নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
'গো' মানে গরু। তাই, 'গো-বেচারা' মানে 'গরুর মতো বেচারা'। কাউকে গো-বেচারা বলা মানে তাই এক রকম অপমান করা। আমার মনে হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যারা ঢাবিতে পড়ে পড়ে মার খাচ্ছেন, তাদের সাথে 'গো-বেচারা' উপাধীটা খুব খায়।
আমি তখন শাবিপ্রবি-তে পড়ি। শিকড় বলে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। হঠাৎ, একদিন শুনতে পেলাম যে, আমার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে ছাত্রদল আটকিয়ে রেখেছে সিলেটের মদিনা মার্কেট এলাকায়। তখন বি,এন,পি'র সময়। স্বভাবতই, ছাত্রদল তখন মারমুখী অবস্থায়। আমি দেরী না করে সিলেটের পান্ডা গোছের কিছু স্থানীয় ছাত্রকে নিয়ে মোটর সাইকেলে করে ছুটে গেলাম ঘটনাস্থলে। যারা আটকে রেখেছিলো, তাদের পাঙ্গা লাগিয়ে ছুটিয়ে আনি সেই সাংস্কৃতিক কর্মীকে।
আরেকবার, শুনতে পাই যে, ছাত্র ইউনিয়নের এক বন্ধুকে শাবির ছাত্র সংসদের ভিতর আটকিয়ে মারছে ছাত্রদল। বন্ধুটি ছিলো সি,এস,সি ডিপার্টমেন্টের। ক্লাস রেখে ছুটে গেলাম প্রথমে কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে। খবর দিলাম সেই বন্ধুর সাথীদের। দেখি সবাই গড়িমসি করছে। আমি তাদের রেখে যখন ছাত্র সংসদে যখন পৌঁছালাম, তখন প্রায় ১০-১৫ মিনিট হয়ে গিয়েছে। গিয়ে দেখি সংসদের ভিতরে তালা আটকিয়ে সেই বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ছাত্রদল। আমি এক লাথিতে তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে সেই বন্ধুকে বললাম- 'আয়, আমার সাথে।' হাত ধরে সবার সামনে বের করে নিয়ে আসলাম তাকে।
আরেকবার, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়েই, সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর শরণকালের সবচেয়ে নেক্কার সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রদল। আমি তখন ভিসি অফিসে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমর্থন করায় ভিসি ডঃ মসলেহউদ্দিন আমাকে জেরা করছেন। বলছেন যে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়াটা উনি আটকে দিবেন। সেই সময়ই, ছাত্রদল হামলা চালায়। আমি ভিসি স্যারের অফিস থেকে বের হয়ে দুটো ইট হাতে নিয়ে ছাত্রদলের মুখোমুখি হই। দূর থেকে একটা ছেলে দেখতে পাই রিভলভার দিয়ে আমার দিকে নিশানা করছে। আমি তার দিকে একটি ইট ছুড়ে মারতেই দেখি সে উল্টো দিকে ফিরে ভোঁ দৌড় দিয়েছে।
এমন ছিলো আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। আজ থেকে প্রায় ১৭-১৮ বছর আগে আমার মতোই কিছু শিক্ষার্থী সব সময় দুঃসময়ে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতো ঢাল হয়ে। এখন হয়তো তেমন মানুষের সংখ্যা কমে গিয়েছে। অথবা, ঢাবিতে তেমন ধরণের কেউ নেইই!
তাই, ভিপি নূরুলরা এমন পড়ে পড়ে মার খাচ্ছেন।
প্রথম কার্টুনঃ সৈয়দ এনায়েতুর রহমান
২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪৩
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বড় দুঃখের বিষয় এইটা। আপনি দেখি অনেক সাহসী ছিলেন। এমন সৎ সাহসী যদি হতো সবাই।
৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০২
অনল চৌধুরী বলেছেন: নূর বিএনপি-জামাতি।
কিন্ত কেউ অপরাধ করলে সেজন্য দেশে আইন-আদালত আছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো পবিত্র জায়গায় সন্ত্রাসের মাধ্যমে দূর্বল কাউকে আঘাত করা হলে আর আইনের দরকার কি?
এই সন্ত্রাস একদিন নিজেদের উপরও আসতে পারে।
৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি অবশ্যই সাহসী ছিলেন; কিন্তু "মুক্তিযোদ্ধা"কে হেয় করার মতো কার্টুনটা সুযোগ মতো পোষ্টে লাগায়ে দিয়েছেন।
৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: আপনি তাহলে ষন্ডা গোছের কেউ ছিলেন! ইট হাতে যে রিভোলভারের বিরুদ্ধে দাড়ায় (ফিলিস্তিনীদের মত), তাকে তো বিশেষ কক্ছু মানতেই হবে। আচ্ছা, আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন যে, ঐ রিভোলভারধারী আপনাকে গুলি ছুড়বে না!
আর হ্যা, প্রশাসন যেখানে অপারগ (অনেকটা ইচ্ছা করেই) সেখানে আপনার মত সকল ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে বলিষ্ঠ হাতে। কিন্তু বর্তমানের আমাদের এই সকল হাস/মুরগী মার্কা সাধারন ছাত্রদের পক্ষে সেটা সম্ভব কিনা সন্দেহ।
৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: সাধারন শিক্ষার্থীরা মাইর খায় কারন দেশের রাজনীতির অবস্থা ভালো না। রাজনীতিতে দক্ষ লোক নেই বলে।
৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৯
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ভাগ্যিস আপনি সেই যুগের লোক ছিলেন, এ যুগে ওসব কান্ড করলে শিবির ট্যাগ খেয়ে মাইর থেরাপি খেতেন।
৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২৭
জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি সাধারণ ছাত্র। তবে আমি কুংফু-কারাতে শিখেছিলাম কিশোর বয়সে।
প্রয়োজনে ব্রুস লি হয়ে যেতে পারি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সাধারন ছাত্র কেউ মার খাচ্ছে না।
যারা মার খেয়েছে নুরা বাদে সবাই বহিরাগত শিবির ক্যাডার।
নুরা নিজেই বলেছে নিরাপত্তার জন্য(মারামারি করতে) এদের এনেছি।