নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
তিনি ছিলেন চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর। যে সময়ে সৈয়দ আজল এই পদে আসীন হোন, তখন ইউনান ছিলো বর্বরতায় পূর্ণ। তিনি যে সময়ে এই অঞ্চলের দায়িত্ব নেন, সেই সময়ে সেই অঞ্চলের মানুষদের ওরাং ওটাং-এর সাথে তুলনা করা হতো। সৈয়দ আজল ইউনানের দায়িত্ব নিয়ে ঝংঝিং চেং নামক এক শহর স্থাপন করেন। তারপর, সেখানে বৌদ্ধ ও যারা কনফুসিয়াস ধর্ম অনুসরণ করতেন, তাঁদের জন্যে টেম্পল বানিয়ে দেন। পাশাপাশি দুটো মসজিদও স্থাপিত হয়।
সৈয়দ আজল ছিলেন ইসলামের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ)-এর ২৬-তম বংশধর। তাঁর বাবা ছিলেন ইরানের কোরাসমিয়া'র বাসিন্দা। মঙ্গলরা যখন সেই শহর আক্রমন করে, তখন তাঁদের পরিবারকে মঙ্গলরা জিম্মি করে নেয়। এরপর, সৈয়দ আজল মঙ্গলদের সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন। সিচুয়ান আক্রমনের সময় তিনি মঙ্গল সেনাদের লজিস্টিকের দায়িত্বে ছিলেন।
১২১১ সালে জন্ম নেওয়া এই মহান ব্যক্তিটি নিজের কর্মময় জীবন শেষে ১২৭৯ সালে ইউনানেই মৃত্যুবরণ করেন। তিনিও ইতিহাসে সেই মহান ব্যক্তিদের একজন যিনি নিজের জন্মভূমি থেকে বহু দূরে কোন জায়গায় মৃত্যুকে বেছে নেন।
সূত্রঃ
১) Thomas Walker Arnold (1896). The preaching of Islam: a history of the propagation of the Muslim faith
২) Morris Rossabi (28 November 2014). From Yuan to Modern China and Mongolia
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমার কাছেও খুবই নতুন একটি বিষয়। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
শুভেচ্ছা।
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
অন্তরা রহমান বলেছেন: আবারও একই ব্যাপার। তবে রেফারেন্স দিয়েছেন এইবার! আর পোস্ট ছোটর ব্যাপারে নিশ্চয়ই বলবেন আগ্রহ জাগানোই শুধু আপনার "দায়িত্ব"।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:০৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
হা হা হা!!!
জী, এবারো একই উত্তর দিচ্ছি - ওটাই আমার নিজ প্রদত্ত দায়িত্ব।
ধন্যবাদ।
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৪:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্ট টির।
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ইউনান বর্বরতায় পুর্ণ ছিলো"
"পৃথিবী যখন বর্বরতায় ভরে গেছে, তখন মুসা(আ: ) এসেছেন; বিশ্ব যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত তখন ঈশা (আ: ) এসেছেন; যখন পৃথিবীর মানুষ পাপাচারে ডুবে গেছেন তখন মোহাম্দ (স: ) এসেছেন"; এগুলো সঠিক নয়, এগুলো ইমোশানেল মুখবন্ধ; আসলে, এঁরা (নবীরা) প্রচলিত সমাজ ব্যবস্হায় পরিবর্তন এনেছিলেন; তখন রাজতন্ত্র ছিলো, প্রশাসন ছিলো, মানুষ ক্রমাগতভাবে ভালো থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:২৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বর্বরতার সংজ্ঞা হয়তো একেক জায়গায় একেক রকম।
আবার, ইউনানের সেই সময়কার বর্বররা মনে করেছিলেন, তারা নিজেরা বর্বরতার যুগে বাস করছিলেন, তাঁরাই আবার বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা মুসলমান হয়েছিলেন। তাঁরা যদি নিজেদের আগের অবস্থাকে বর্বরতা বা অন্ধকার যুগ হিসেবে মনে না করতেন, তাহলে নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করেছিলেন কেন!? কেন তাঁরা নতুন ধর্মের আশ্রয় নিয়েছিলেন?
আপনার কথা তাই অবিবেচনাপ্রসূত।
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:৪২
দ্যা বাকের ভাই বলেছেন: মাউলানা মিজানুর রহমান আজহারী মতালম্বিরা এই ছবিতে সিক্স প্যাক খোজবেন।
৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " বর্বরতার সংজ্ঞা হয়তো একেক জায়গায় একেক রকম। আবার, ইউনানের সেই সময়কার বর্বররা মনে করেছিলেন, তারা নিজেরা বর্বরতার যুগে বাস করছিলেন, তাঁরাই আবার বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা মুসলমান হয়েছিলেন। তাঁরা যদি নিজেদের আগের অবস্থাকে বর্বরতা বা অন্ধকার যুগ হিসেবে মনে না করতেন, তাহলে নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করেছিলেন কেন!? কেন তাঁরা নতুন ধর্মের আশ্রয় নিয়েছিলেন? "
-ধর্মগুলো ছিল ভুল সমাধান; এতে মানবসমাজ অনেক সময় ব্যয় করেছে ভুলের বৃত্তে ঘুরপাক খেয়ে
আপনার কথা তাই অবিবেচনাপ্রসূত।
০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ রাত ১০:৪৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ওয়েল, সেইটা হয়তো আপনার বা আপনার মতো কিছু মানুষের কাছে।
কিন্তু, সেই সময়ে, ইউনানের জনগণের কাছে তা মনে হয়নি। তাঁরা দ্রুত নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করেছিলেন।
তাঁরা হয়তো আমার মতোই আপনার সাথে একমত না হয়ে বলবেন - 'চাঁদগাজী সাহেব অবিবেচনাপ্রসূত কমেন্ট করছেন।'
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১:৩৫
ইসিয়াক বলেছেন: এ বিষয়গুলো আমার কাছে একেবারেই নতুন । শেখার নতুন দিগন্তের সন্ধান দাতাকে অশেষ ধন্যবাদ।