নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
জ্ঞানতাপস আল্লামা জালালুদ্দিন রুমী (রহঃ) বলেছেন, ''প্রত্যেক বস্তুর মধ্যে তার ভিতরগত দিকটা লুকিয়ে থাকে; যেমন বিভিন্ন ঔষধের মাঝে তার উপকারিতা লুকানো রয়েছে।''
প্রত্যেকটি সৃষ্ট বস্তুরই একটি বাহ্যিক এবং আরেকটি অদৃষ্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। একটি ঔষধের বাহ্যিক আকার বা আবরণ দেখে তার কার্যকারিতা বুঝতে পারা যায় কি, বলে দেয়া যায় কি তা কোন রোগের প্রতিকার করবে? ঠিক তেমনি একটি গ্ল্যাসিয়ার দেখলেও বুঝা যায় না তা কত অংশ পানির উপর আর কতটুকু নিচে, তার বরফের বহিরাবরণ কতটুকু শক্ত।
মানুষও ঠিক এমনই। পাঁচটি বাহ্যিক ইন্দ্রিয় দ্বারা গঠিত মানব দেহ দেখে কে বলবে বিভিন্ন মানুষের কাজে রয়েছে বিভিন্ন অর্থ! একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের এই যে ফারাক, তা কিভাবে বিশ্লেষণ করা যায়? প্রশ্ন থাকতে পারে, এই বিশ্লেষণের প্রয়োজন কোথায়? একটি উদাহরণ দেই।
একবার এক মহিলা খলিফা হযরত উমর (রাঃ)-এর দরবারে এসে বললেন যে, তার স্বামী রাত-দিন শুধু আল্লাহর ইবাদত করেন।
তা শুনে হযরত উমর (রাঃ) বললেন- ''কি খোদা ভিরুই না তোমার স্বামী।''
মহিলাটি তা শুনে চলে গেলে, এক বেদুঈন উঠে উমর (রাঃ) বললো, মহিলাটি তো তার স্বামীর প্রশংসা করতে আসেনি। সে এসেছিলো তার স্বামী'র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে, কারণ, সে সংসারের প্রতি উদাসীন।
তখন উমর (রাঃ) মহিলাটিকে আবার ডাকতে বলে বললেন, ''তুমি ঠিকই বলেছো।'' মহিলাটি লজ্জায় হয়তো সরাসরি স্বামীর উদাসীনতা সম্পর্কে জানাতে অপারগ হয়ে অন্য কথার মাধ্যমে তা জানাতে চেষ্টা করেছিলো, হযরত উমর (রাঃ) হয়তো তা ঠিক বুঝতে পারেননি অথবা এমন ভাবে কথার উত্তর দিয়েছিলেন যা মহিলাটি বা উপস্থিত কোন কোন মানুষ তা বুঝে উঠতে পারেননি। উমর (রাঃ) হয়তো তার উত্তরের মাধ্যমে বুঝিয়েছিলেন যে খোদা ভীরু মানুষকে খোদার ভয় দ্বারাই বুঝাতে হবে যে, সংসার ধর্মও একটি ইবাদত। এটা হয়তো অন্যরা বুঝতে পারেননি।
মানুষের ইন্দ্রিয়গুলো একই হলেও, এভাবে মানুষের কাজের বা কথার মাঝেও ফারাক আছে। আর ঔষধের গুণের মতই সেই কথা বা কাজের অর্থ শুধু বাহ্যিক দিকটি দিয়েই বুঝা যায় না।
তাই তো, বিখ্যাত সুফি মনসুর হাল্লাজ (রহঃ) ও ফেরআউনের মুখ থেকে একই কথা বের বের হয়েও অর্থে কত পার্থক্য! মনসুর হাল্লাজ (রহঃ) 'আমি খোদা' বলেও খোদা প্রেমিক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিলেন, অন্যদিকে ফেরআঊন একই কথা বলে নিজেকে খোদাদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করেছিলো। হযরত মুসা (আঃ)-এর লাঠি আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী যাদুকরদের লাঠি একই রকম থাকলেও সেগুলোর কার্যকারিতা কি একই রকম রকম ছিলো? নবী'র লাঠি থেকে বের হয়া সাপ কি যাদুকরদের লাঠি থেকে বের হওয়া সাপদের গিলে ফেলেনি?
বানরের স্বভাব মানুষকে অনুকরণ করা, মানুষ যা করে, বানরও তা-ই করে দেখায়। তাই বলে মানুষ ও বানরের কাজের উদ্দেশ্যের পিছনে কোন মিল আছে কি?
=======
২য় প্রকাশ
=======
২| ০৮ ই জুন, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
তা'হলে, দেখা যাচ্ছে যে, বেদুইনটি খলীফা ওমর তেকে বিচক্ষণ ছিলেন; আসলে, ইতিহাসও তাই!
নবী মুসা(স: )'এর লাঠি কখনো সাপ হয়নি, এগুলো মিথ্যা রূপকথা।
৩| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগলো পোষ্ট টি।
৪| ০৯ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০১৯ রাত ১:৩৪
মা.হাসান বলেছেন: প্রথম প্রকাশ্যে পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। একই শব্দ একই ব্যক্তি যখন ভিন্ন ভিন্ন জনকে দুইবার বলে, প্রত্যেকবারের অর্থ এক নাও হতে পারে।
ঈদের শুভেচ্ছা।