নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারকে বাংলাদেশে আয়কর (income tax) কমানোর কথা চিন্তা করতে হবে এখনই

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫


২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৫-৪৫% পর্যন্ত আয়কর দিতে হয়। এই রেট অন্যান্য সম পর্যায়ের দেশ যেমন ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ড থেকে বেশি। আমাদের দেশে এক একেকটি প্রতিষ্ঠানে মোট যত সময় কাজ হয়, তার ৩০২ ঘণ্টা ব্যয় হয় ট্যাক্সের এই টাকা উঠাতে। অথচ, এই একই কাজে ভারতে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় হয় ২৪৩ ঘণ্টা, শ্রীলংকায় ১৬৭ ঘণ্টা আর ভূটানে ২৭৪ ঘণ্টা। যদিও, পাকিস্তানে সরকারী ট্যাক্সের টাকা দিতে সেই দেশের একটি প্রতিষ্ঠানের ৫৯৪ ঘণ্টা লাগে।

বাংলাদেশে একজন সাধারণ মানুষকে তার শ্রম থেকে যে আয়কর দিতে হয়, তা পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা থেকেও বেশি। এই যখন অবস্থা, এটা কোন অবাক করা বিষয় নয় যে বাংলাদেশের ১%-এরও কম মানুষ সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে থাকে!

বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পুরো বিশ্বকে অনেক দিক দিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। পুরো বিশ্ব আজ মাইক্রো-ফাইন্যান্সের জনক ডঃ ইউনুসের জন্যে গর্বিত। এই দেশেই এখন 'সৌর বিপ্লব' চলছে। দেশের চাহিদা মিটাতে সর্বত্র স্থাপন করা হচ্ছে সৌর প্ল্যান্ট। গ্রীড, মিনি গ্রীড তো অবশ্যই, এমনকি ফসলে পানি দেওয়ার সেচ পাম্পও চলছে সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে। বাংলাদেশে গড় আয়ুও অনেক বেড়েছে। কমেছে শিশু মৃত্যুর হার।

একটি মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে এ দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো লাভজনক করে তুলতে সরকারকে এখনই আয়করের রেট কমাতে হবে যাতে করে আরো কর্মসংস্থানের যোগাড় হয়। সরকার এই ব্যাপারটি ভেবে দেখবে কি?



ছবিঃ পায়রা, উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১০

কালীদাস বলেছেন: স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় ৪৮ পারসেন্ট পর্যন্ত ট্যাক্স দিতে হয়। কিন্তু ওরা যে ফ্যাসিলিটি পায় মরা পর্যন্ত, আমরা তার কয় ভাগ পাই? ইভেন ব্যাংকে একাউন্ট খুললে যে চার্জগুলো কাটে, তার কতটুকু সৎভাবে কাটা হয়? কতটুকু সার্ভিস পাই?



আগের পোস্ট সরানোর কারণ কি? আমার কমেন্ট পছন্দ হয়নি নাকি অন্য কিছু?

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সম-পর্যায়ের দেশগুলোর দিকে চোখ দিতে হবে। তাদের সাথে আসল প্রতিযোগিতা। উন্নত দেশগুলোর সাথে কম্পেয়ার করার পর্যায়ে এখনই আসেনি।

আগে পোস্টটি আরো বিস্তারিত ভাবে আসছে। সেইজন্যেই মূলতঃ সরিয়ে ফেলেছি। এছাড়া আমার এই পোস্টটি বেশি গুরুত্ববহ আগেরটির চেয়ে। তাই, সরিয়ে ফেলতে হলো ওটা। আপনার মন্তব্যটা এখনো আছে সেইখানে।

আশা করি ভালো আছেন। অনেক দিন পর আপনাকে আমার পোস্টে কমেন্ট করতে দেখলাম। ভালো থাকুন নিরন্তর।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: যৌক্তিক সুপারিশ । সমস্যা হচ্ছে সরকার জনগনের কথা শুনে না।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সরকারের কানে যারা সুপারিশ করে, তাঁদেরকে ব্যাপারটা ভেবে দেখতে হবে। আমরা হয়তো তাঁদের কানে যথাযথ ভাবে তুলতে পারছিনা।

এমন যদি হতো, বিরোধীদল এ নিয়ে কথা বলা শুরু করতো। গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই এ নিয়ে কৌতুক পোস্ট করতেন। প্রামানিক ভাই আর কি করি আর ভেবে না পাই ছড়া লেখা শুরু করতেন। এক সময় সরকারের কানে না ঠিকই পৌঁছে যেতো।

মন্তব্যের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

কালীদাস বলেছেন: উইকেন্ড ছাড়া আসতে পারিনা, যেকারণে অনেক পোস্ট মিস হয়। তাছাড়া আপনার রিপ্লাই না দেয়ার খেলাটাও চলছিল কিছুদিন :P সেরকম কয়েকটা পোস্টে কমেন্ট না করেই চলে গেছি।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: কমেন্টের উত্তর না দিতে পারায় দুঃখিত। ওরকম করার পিছনে বিশেষ একটা প্রয়োজন ছিলো। :)

শুভেচ্ছা থাকলো অনেক।

৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বেশি ট্যাক্স ধরে অল্প আদায়ের চেয়ে অল্প ট্যাক্স ধরে বেশী আদায় যে লাভজনক - সাধারন ভ্যবসায়ীরা বুঝলেও সরকার বোঝে না!!!

আর কালীদাস দার কথা মতো ট্যাক্স আদায়ের পরের দায়ও তো মিটাতে হবে। তেবই না মানুষ খুশি মনে নিজের প্রয়োজনেই নিজে ট্যাক্স দেবে উৎসাহের সাথে!

++

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: জ্বী, সেটাও অনেকটা কারণ। তবে, বাংলাদেশের মতো দেশে একটা সময় পর্যন্ত ট্যাক্স রেট কমিয়ে রাখা উচিৎ। মানুষকে ট্যাক্স দিতে আগ্রহী করতে কার্বন ট্যাক্সের মত ব্যাপারগুলো নিয়ে আসতে হবে।

এখানে মনে রাখা জরুরী যে, আমরা যত ট্যাক্স ক্মাবো, তত সাধারণ জনগণ উপকৃত হবে। পণ্যের মূল্য যত কম হবে, তত খেটে খাওয়া মানুষ উপকার পাবে।

এটা কেমন কথা, যে প্রতিষ্ঠান একটি পণ্যে ৫০% পর্যন্ত লাভ করছে আর যে ১০% লাভ করছে------তাদেরকে সমান ট্যাক্স দিয়ে হয়!

মন্তব্য আর প্লাসে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: শিল্প কল কারখানায় যা উৎপাদন হয় তার ঘোষণা থাকে ২৫% মত । যারা অ্যাসেসমেনট করেন তারাই চুরির যাবতীয় কায়দাকানুন শিখিয়ে দেন । ফলাফল রাষ্ট্র ঠকছে । কিন্তু আমাদের মত অকার্যকর রাষ্ট্রের উপদেশ দাতারা উপদেশ দিচ্ছেন ব্যাংক ডিপোজিট থেকে কাটো । স্বল্প সঞ্চয়ী মানুষ পড়েছে বিপদে । তাদের সঞ্চয় থেকে রাষ্ট্র ডাকাতি করছে প্রকাশ্যে । যেদেশ স্বেচ্ছায় শিল্পায়ন করে না বা তার ইচ্ছাই নেই শিল্পে দেশকে ভরে দিয়ে তা থেকে ট্যাক্স আদায় করা তাকে দিয়ে ভাল কিছু হবেনা শুধু সাধারন মানুষকে বলা টিন খোলো । আমি শারীরিক কারনে আগের মত কোন কাজে যোগ দিতে পারিনা কিন্তু আমায় ৫০০০ টাকা ট্যাক্স দিতে হবে খামোকাই । চীন এতটা এগিয়ে রাষ্ট্রের পুজি গঠনে সে কিন্তু ব্যাবসায়িদের ধরেনি প্রাইভেট ইনকাম ট্যাক্স দেবার জন্য বরং তার শিল্প থেকে প্রতি বছর ২০% সরকারকে দিতে হবে শুরুতেই। তার এবছরের বর্ধিত ব্যাবসার বাড়তি আয় ওই একই ভাবে শুরুতেই সরকারকে দিতে হয় । এরপর ওই প্রতিষ্ঠান যদি দ্বিগুণ কামাই করে সরকার তার ওপর কোন দাবি করতে পারবে না। কিন্তু পরের বছর ওই ডাবল আয় খাতায় উঠবে এবং টার্গেট ফিক্স হবে ওভাবেই । ফাকির সুযোগ কম তবে অনিয়ম হয় এবং কর সংগ্রহকারী আর ব্যাবসায়ি দুজনেই শাস্তি পান। ক বছর আগেই শুনলাম সরকারি কর্মীদের কর নির্ধারিত হচ্ছে । আমার বন্ধুরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক তারা আজ পর্যন্ত কর দেননি বা ব্যাক্তি পর্যায়ে কর নির্ধারিত হয়নি । চীনা সরকারের যা আয় তা রফতানি থেকে । নানাবিধ আইন কানুন আছে বা তৈরি করা যায় কিন্তু আমাদের সরকার তা করেন না। ব্যাক্তি পর্যায়ে যে ট্যাক্স আয় হয় তা থেকে সরকারের ১ মাসের বেতন হয়? প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স, শিল্পের ট্যাক্স , বাড়িঘরের ভাড়ার উপর ট্যাক্স , যানবাহনের বানিজ্যিক ট্যাক্স ইত্যাদি অপরিহারয্য । প্রতিষ্ঠান ক্রমাগত লস দেখিয়ে যাবে তাহলে ওই প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিতে হবে যোগ্য লোকের কাছে । আরও বহু প্রক্রিয়া আছে কিন্তু আমাদের সার্বিক বন্ধ্যাত্ত তা হতে দেবে না।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: শিল্প কারখানায় শুধু ট্যক্স নয় বিদ্যুৎ বিল ফাঁকি চেওয়ার প্রবণতাও ব্যাপক। সাধারণ মানুষদের মধ্যেও। কিন্তু কেন? কেন তাদের এই ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠেছে?

একটু জরিপ করলে দেখবেন, কারাখানার মালিকরা এমন ভাবেন যে, সরকার বেশি ট্যাক্স নিয়ে যাচ্ছে। তাদের শোষণ করে নিচ্ছে। এই চিন্তাধারার ভুক্তভোগী কারা? সাধারণ জনগণ। কারণ, আল্টিমেটলি, পণ্যের উচ্চ্যমূল্য তাদেরকেই মিটাতে হচ্ছে।

এক্ষণ এই চিন্তাধারার অনেকগুলো উৎসের একটা- এই যে আয়কর, এটা কমিয়ে দিলে কি হবে? অথবা এটাকে এমন ভাবে সাজানো হলো যে, যা একই সাথে একজন ব্যবসায়ীকে কর দিতে উৎসাহিত করবে, তখন কি হবে? পণ্যের মূল্যের উপর চাপটা কমে যাবে না? তখন ঠিকই পণ্যের উচ্চ মূল্য নেওয়া হলে ব্যবসায়ীদের ধরা যাবে।

ফলাফল, সাধারণ মানুষেরা উপকার পাবেন।

আপনার মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: তথ্যসমৃদ্ধ জনস্বার্থমূলক পোষ্ট।
ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা নিন।

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমিও অনুপ্রাণিত হলাম। মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

দিবা রুমি বলেছেন:
সরকার এখন অন্যদিকে ব্যস্ত, তাই গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাইয়ার কথা বাস্তবায়িত। :)

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সরকারকে এই দিকটাও চিন্তা করতে হবে। ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া মানসিকতা যেমন সমাজে আগাছা তৈরী করছে, তেমনি অত্যধিক ট্যক্স আরোপ জুলুমের পর্যায়ে পড়ে। সরকারকে পাকিস্তানী আমলের ট্যাক্স ব্যবস্থা থেকে দূরে সরে আসতে হবে।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ থাকলো।

৮| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:০৩

শরীফ ভূঁইয়া বলেছেন: হল্লারাজার দেশে সবকিছুই সম্ভব।কমানোর বদলে বছর ঘুরলেই বাড়ে,,,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.