নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। ইসলামি ব্যাঙ্ক দখল সমাচার

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:০৮





ইসলামী ব্যাংক দখলের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীর্ষ ২ কর্মকর্তা মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ ও সামরিক সচিব মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন। তাদের নির্দেশে এস আলমকে সহযোগিতা করেন ডিজিএফআইর তৎকালীন শীর্ষ ২ কর্মকর্তা। এ কথা জানান, ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সে সময়ে নিয়োগ পাওয়া দুই পরিচালক।

চট্টগ্রামের বিতর্কিত ব্যবসায়ী এস আলম ইসলামী ব্যাংক দখল করেন ২০১৭ সালের ৫ জানুয়ারি। তবে, এ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৬ সাল থেকে। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ব্যাংক দখলের যাবতীয় নির্দেশনা আসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। বাস্তবায়ন করে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই)।

২০১৬ সালের মে মাসে ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম। তিনি জানান, নিয়োগের জন্য ডিজিএফআই’র এক কর্মকর্তা তাঁর জীবনবৃত্তান্ত নেন। এরপর তাঁকে ডাকা হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। সেখানে তাঁকে তাঁর করণীয় জানান তৎকালীন মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদ। ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম বলেন, ‘আমাকে বলল যে- ভাই আমি তো ডিজিএফআই ছেড়ে চলে আসছি। কিন্তু সব ঝামেলাগুলো আমার মাথায়। এখন ওপর থেকে আমাকে বলা হয়েছে, আপনাকে পদত্যাগ করানোর জন্য।’

অধ্যাপক আহসানুলের কিছুদিন পর ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে নিয়োগ পান সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল মতিন। তাঁর নিয়োগ এস আলমের প্যারাডাইজ ইন্টারন্যাশনল কোম্পানির পরিচালক হিসেবে। তাঁর নিয়োগ তদারকি করেন শেখ হাসিনার তৎকালীন সামরিক সচিব প্রয়াত মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন। আবদুল মতিন জানান, ব্যাংকের বিভিন্ন বিষয়ে মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয় তাঁর।

ইসলামী ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল মতিন বলেন, ‘পরবর্তীতে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে সেইখানে ডিজিএফআই’র সম্পৃক্ততা আসে। এর আগে পিএম’র অফিস থেকে জয়নাল আবেদিন সে সম্ভবত এস আলমের আত্মীয়, তারা একই এলাকার, তাঁর (জয়নাল) মাধ্যমে মূলত আমাকে অ্যাপ্রোচ করে।’

ধীরে ধীরে ইসলামী ব্যাংকের বোর্ডে সরকার ও এস আলমের লোক আরও বাড়ে। এরপর আসে ৪ জানুয়ারি। যে রাতে ব্যাংকটির এমডিসহ বোর্ডের একাধিক সদস্যকে পদত্যাগে বাধ্য করেন ডিজিএফআই কর্মকর্তা। পরদিন হোটেল রেডিসনে বসে বোর্ড সভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিজিএফআই’র বিভিন্ন পর্যায়ের ৮ থেকে ১০ জন।

ব্যাংকটির সাবেক সাবেক এমডি আব্দুল মান্নান বলেন, ‘যে কাগজে সই করে আমি পদত্যাগ করেছি, এটা ইসলামী ব্যাংকের প্যাড হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এটা একটি ফেক কাগজ ছিল।’

হুকুম পালন করা ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে ইসলামী ব্যাংকের তৎকালীন ৩ পরিচালকের সঙ্গে কথা হয় ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের। তাঁরা জানান, ব্যাংক দখলে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন ডিজিএফআই’র তখনকার মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবর হোসেন ও পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আমিনুল হক।





দিগন্ত

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:২৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: এ বিষয়ে হাসান কালবৈশাখী’র মতামত শুনতে আগ্রহী।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

শাহ আজিজ বলেছেন: হাসান এখন নাক ডাইকা ঘুমাচ্ছে ।

২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:২৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভাবা যায়, আপনি কষ্ট করে একটা প্রতিষ্ঠান তৈরী করবেন, আর সরকার এভাবে সেটা দখল করে সাড়ে সর্বনাশ করে ছেড়ে দিবে!

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: এই মাফিয়া মাদার সম্পর্কে যতই জানছি ততই অবাক হচ্ছি ।

৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১

ধুলো মেঘ বলেছেন: হাসান কালো বৈশাখী তো ঝড়ে উড়ে গেছে হাসিনার সাথেই।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৪

শাহ আজিজ বলেছেন: হাচা নি । আগে কইবেন না ?? B-)

৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:০২

পদ্মপুকুর বলেছেন: আমার যদ্দুর মনে পড়ে এই ব্লগেই তিনি বলেছিলেন যে জামাতের লোকজন বেশি লোভের কারণে শেয়ার বেঁচে দিয়েছিল......

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮

শাহ আজিজ বলেছেন: যার যার মানসিক গঠন যেমন তার প্রকাশ তেমনি হবে ।

৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



দেখা যাচ্ছে, মিলিটারীর বড় পদের অফিসারেরা ও ব্যুরোক্রেটরা জড়িত। এরা অবশ্যই শেখ হাসিনাকে এই দঃরণের বুদ্ধি দিয়েছিলো।

প্রশ্ন, এই ব্যাংকের শুরুটা কিভাবে হয়েছিলো?

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৭

শাহ আজিজ বলেছেন: গুগোল করুন । আমাদের প্রায় সব অপকর্মে আর্মি জড়িত থাকে বলেই দেখছি ।

৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

ছোট কাগজ কথিকা বলেছেন: ইসলামী ব্যাংক দখলের ঘটনাটি দেশের ব্যাংকিং খাতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের একটি দুঃখজনক উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং নিরাপত্তা সংস্থার সংশ্লিষ্টতা ব্যাংকিং সেক্টরে গণতান্ত্রিক নীতিমালা ও স্বচ্ছতার অভাবের ইঙ্গিত দেয়। এ ধরনের ঘটনা দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কমিয়ে দেয়, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: উপদেষ্টারা এবার ঠিক না করতে পারলে দুর্ভোগ আছে আমাদের কপালে।

৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯

শাহিন-৯৯ বলেছেন:

ইসলামী ব্যাংক জামায়াত প্রভাবিত সন্দেহ নেই কিন্তু এই প্রতিষ্টানটি দেশ বিদেশে বেশ সুনাম তৈরি করেছিল সাথে আমাদের অর্থনীতিতে ভাল অবদানও রেখেছিল।

হাসিনা সরকারের মূল বক্তব্য ছিল- আমরা সব খাব।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:২০

শাহ আজিজ বলেছেন: সব খাবে বলেই এই দুরাবস্থা । এখন দেখুন রিপাব্লিক অফ গোপালগঞ্জ ঘোষণা না করে বসে ।

৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: এই সব অথর্ব উপদেষ্টাদের কাছ থেকে বড়কিছু আশা করা যায় না।এদের ঝেটিয়ে বিদায় করে সর্ব দলিয় সরকার গঠন করতে হবে,নয়তো দ্রুত ইলেকশন দিতে হবে।এনজিও চালানো আর সরকার চালানো এক কাজ না।আজ পর্যন্ত হাসিনা বিদায় হওয়া ছাড়া আর কোন ভালো কাজই হয় নাই।বিচার বহির্ভূত হত্যাই বন্ধ বল্ধ করতে পারছেনা সরকার।পুলিশ ঠিকমতো কাজ করছে না,আর্মিও দায়সারা কাজ করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.