নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চুইঝাল হলো এক ধরনের লতা জাতীয় গাছ যা মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর চাষ হয়। এটি পানের গাছের মতো দেখতে এবং এর পাতা ও কাণ্ড থেকে একটি ঝাঁঝালো স্বাদ পাওয়া যায়, যা মাংস, মাছ, বা বিভিন্ন রান্নায় ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের খুলনা বিভাগ জুড়ে আলাদা কদর রয়েছে চুইঝালের। বর্তমানে, খুলনা বিভাগের নড়াইল জেলায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে চুইঝালের। যার ফলে লাভবান হচ্ছে কৃষক ও স্থানীয় অর্থনীতি।
অন্য ফসলের তুলনায় মসলা জাতীয় পণ্য চুইঝালের আবাদে পরিশ্রম কম, রোগবালাইও নেই বললেই চলে। সেই সঙ্গে চাষাবাদের জন্য আলাদা জমিরও প্রয়োজন হয় না। বাড়ির আঙিনা কিংবা বাগানের যেকোনো গাছের সঙ্গে সহজেই চাষ করা সম্ভব। এককথায়, স্বল্প ঝামেলা ও স্বল্প ব্যয়ে উৎপাদন করে চাহিদা থাকায় বিক্রিতে ঝামেলা পোহাতে হয় না। এসব সুবিধার কারণে নড়াইলে চুইঝালের আবাদ বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, ভৌগোলিক কারণেই জেলাটির মাটি মসলা জাতীয় এই পণ্য চাষের জন্য বেশ উপযোগী।
সংশ্লিষ্ট চাষিদের মতে, বেলে–দোআঁশ মাটিতে চুইঝালের চারা রোপণ করলে সবচেয়ে ভালো ফলন পাওয়া যায়। একটি গাছ থেকে কাটিং পদ্ধতিতে নতুন করে চারা উৎপাদন করা যায়। ফলে বারবার চারা কেনার প্রয়োজন হয় না। গাছ রোপণের পর জৈব সার ও পর্যাপ্ত পানি দিলেই হয়। বাড়তি তেমন কোনো যত্নের প্রয়োজন নেই। দুই বছর পর থেকে গাছ বিক্রি করা যায়। গাছের ওজন হিসেবে এর দাম নির্ধারণ হয়। গাছের বয়স যত বাড়ে, দামও বাড়তে থাকে। ১০ বছরে একেকটি গাছ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়।
চুইঝালের চাষ এই জেলায় বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো, চারা উৎপাদন এর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া। অতীতে, চুইঝালের চারা নড়াইলের নার্সারিতে উৎপাদিত হতো না। মালিকেরা খুলনার ফুলতলা ও ডুমুরিয়া থেকে চারা এনে খুচরা বিক্রি করতেন, তবে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে। দুই বছর ধরে নড়াইলে চুইগাছের চারা উৎপাদিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে চুইঝাল চাষে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার পরই নড়াইলের অবস্থান। গত বছরের তুলনায় এ বছর এর উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৫ টন। কৃষি সংশ্লিষ্ট তাই সকলের আশা, জেলায় চুইঝাল উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাক, এতে করে উদ্বৃত্ত ফসল বিদেশে রপ্তানি করাও সম্ভব।
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: হয় , তা যা বলিছেন, হেভি টেঁসটি , কি আর কবো --------------
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:০৩
ব্লগ সার্চম্যান ২ বলেছেন: এখন ধীরে ধীরে দেখবেন আরো অনেক কিছুতেই সাফল্য আসছে।যা আগে আমরা কল্পনাও করতে পারি নাই। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪
জুল ভার্ন বলেছেন: অনলাইনে পণ্য বিক্রেতাদের প্রতারণার আর এক পণ্য চুই ঝাল। আমি কিনে প্রতারিত হয়েছি। আবার বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁয় চুই ঝালের রান্না আর এক প্রতারণা। মূল রান্নায় ব্যবহার করে মরিচ, সাথে কয়েক টুকরো চুই ঝাল দিয়ে প্রদর্শন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯
শাহ আজিজ বলেছেন: বাড়িতে মাংসে চুই দিয়ে খাবেন , মজা পাবেন ।
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাড়িতে ছোট ভাই এই গাছ লাগাইছে। েএই গাছ এত ছড়ায় বাপরে, পুরো এলাকা দখল করে নিচ্ছে। আর সুন্দরও লাগে। সবুজ স্নিগ্ধ। এবার নিয়ে এসে টবে লাগাইছি সুন্দরের জন্য দেখি হয় কিনা
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: হুম চুই গাছের আলাদা ক্যারেকটার , ভাল লাগে দেখতে খেতে ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৬
শাঙ্কোপাঞ্জা বলেছেন: আমাদের খুলনা বাগেরহাট অঞ্চলের মানুষের চুই ঝাল দিয়ে মাংস, আর হাঁসের মাংসের সাথে সেয়াই পিঠা ছাড়া চলবে না।