নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানভির জুমার

সব সময় সব জায়গায় সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে।

তানভির জুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়ের নতুন ভিডিও দেখলা। আওয়ামী লীগ আবার নতুন ন্যারেটিভ বানিয়ে ভবিষ্যতে এন্ট্রি নিতে চায়।

০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২২

আমি আজকে জয়ের নতুন ভিডিও দেখলাম। কয়েকটা জিনিস খুব স্পষ্ট লাগলো
আওয়ামী লীগ আবার নতুন ন্যারেটিভ বানিয়ে আসলে ভবিষ্যতে এন্ট্রি নিতে চায়। এটা আমার কাছে আরও স্পষ্ট হয় লাস্ট ২-৩ দিন/রাতের গুজব, তিল কে তাল বানিয়ে পোস্ট দেওয়া এগুলো দেখে

দেশে যা হচ্ছে ফেসবুকে যত বড়, বাস্তবে তত বড় না। অনেক বিচ্ছিন্ন/মাইল্ড ইন্সিডেন্টকে অনেক বড় করে দেখানো হচ্ছে। গুজব ইনটেনশনালি এখানে ছড়ানো হচ্ছে। এগুলো সব আওয়ামী লীগের ফেভারে আসবে লং রানে।
সেই সাথে বিজয় শুরু হতে পারে নাই অলরেডি শাহবাগীপনা শুরু হয়ে গেছে। এই বিজয়ে সারা দেশের সব শ্রেণির মানুষ নেমেছে, মুসলিমরাও নেমেছে, রক্ত দিয়েছে। কিন্তু খুব সূক্ষ্মভাবে আমি নিজেই খেয়াল করসি যে শাহবাগী ন্যারেটিভ-ইসলাম বিদ্বেষী ন্যারেটিভ/ভাইভ তৈরী করা হচ্ছে। এটা ভুল কাজ হবে। দেশে আমরা চাই সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাক। এখানে সকল ধর্মের মানুষ তাদের নিজ ধর্ম স্বাধীন ভাবে পালন করুক,তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকুক। লাস্ট ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে ইসলামিস্টরা। সবচেয়ে বেশি রক্ত দিয়েছে ইসলামিস্টরা। শাপলা ভুলে গেলে চলবে না।

আমরা চাই ইনসাফ ভিত্তিক নতুন রাষ্ট্র। এখানে যারা গুজব ছড়িয়ে, আওয়ামী লীগকে আবার নতুন করে রাজনীতি করার স্পেস দিতে চায় যারা তাদেরকে এখনই থামান। এদের তিলকে তাল বানানো পোস্ট, সুশীলপনা এগুলোকে থামান। এরা নব্য রাজাকার। এরা নব্য গাদ্দার। এরা আবার আওয়ামীলীগ কে অদূর নিকটেই রাজনীতিতে আসার প্রেক্ষাপট বানাতে চাইছে।

এখন বিভেদের সময় না। বিভেদ বাড়াবেন না। সবাই মিলে এই আন্দোলন করেছি আমরা। আমি নিজে রাস্তায় নেমেছি স্টুডেন্ট না হওয়া সত্বেও। আমি হয়তো নিজে দেশেও থাকবো না কয়েক বছর পর, হয়তো চলেও যাবো, তাও আমি নেমেছি ইনসাফের জন্য, নিজের রক্ত বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত ছিলাম, নিজের জীবন চলে যেতে পারে জেনেও নেমেছিলাম। আমার অসুস্থ বাবা রাস্তায় দুইদিন নিজে নেমেছেন। আমি রাস্তায় মাঝ বয়সী, বৃদ্ধ অনেক মানুষকে দেখেছি, দেখেছি মায়ের বয়সী অনেক মহিলাকে। আমি দেখেছি মাদ্রাসার ছাত্রদেরকেও। আমি সবাইকে দেখেছি রাস্তায়। এই আন্দোলন কারো একার না। কেউ একা এখানে রক্ত দেয় নি, সবাই দিয়েছে। আল্লাহর ওয়াস্তে এখানে কেউ বিভেদ বাড়াবেন না। আমরা ইনসাফের রাষ্ট্র চাই। আমরা সবাই একসাথে সুন্দরভাবে বাঁচতে চাই। আমরা আওয়ামী মন্সটারদেরকে আর এদেশে রাজনীতি করতে দিতে চাই না।

ডাঃ মর্তুজা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ও রাজনীতিতে আসার চেষ্টা করবে অনেকটা প্রতিশোধপরায়ণ হয়েই, দেশের জন্য কিছু করার অভিপ্রায়ে নয়। সে আপাতত সরাসরি বলছে না কিন্তু সময় বুঝে সে আসার চেষ্টার অবশ্যই করবে।

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৩৬

নয়া পাঠক বলেছেন: পরিবার ভিত্তিক রাজনীতি এ দেশে চিরতরে বন্ধ করে লীগাল গণতান্ত্রিক একটা দেশে পরিণত করতে হবে এই দেশকে। যারাই প্রাপাগাণ্ডা ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারলেই এটা বন্ধ হবে। এছাড়া এগুলোকে থামানোর আর কোন রাস্তা নেই।

৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:৫১

জটিল ভাই বলেছেন:
এটা হওয়াই কি স্বাভাবিক ছিলো না?
তারেক, জয়। ভাইসভার্সা।

৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:২২

বিষাদ সময় বলেছেন: এখন তো আমরা একটা গনতান্ত্রিক দেশ । এ রকম একটা দেশে আওয়ামীলীগ এর ভবিষ্যতে এ এন্ট্রি নেয়ার চেষ্ট করাটাও অন্যায় হবে?

৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫০

কাঁউটাল বলেছেন: কলকাতার সাংবাদিকের হাসিনা অধ্যায়ের ভয়ংকর মূল্যায়ন।
====================================

তিনি বাংলাদেশের জনগনের প্রধানমন্ত্রী দাবী করলেও ছিলেন বিনা ভোটের জনসমর্থনহীন স্বৈরাচারী লেডি হিটলার। পৃথিবীর ইতিহাসে RAB ও অনুগত বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে নিষ্ঠুরতম ভিন্ন মতাবলম্বী হত্যাকারী ।

তিনি আওয়ামীলীগের সংগঠনকে ব্যবহার করলেও--- ছিলেন চাটুকার ও দুর্নীবাজ আমলা-মন্ত্রী পরিবেষ্টিত। তার অফিসকে তিনি ব্যবহার করেছেন দেশের জন্য নয়---এস আলম গ্রুপ, ব্যাংক খেকো আবদুল হাই, নগদ, সামিটগ্রুপ, এক্সিম নজরুল, দরবেশ বাবা, লক্ষ-কোটি ডলার পাচারকারী কয়েকজন বিলিওনারের জন্য। তার স্বৈর শাসনের পৃষ্ঠপোষক মোদীর ভারতে আম্বানী এবং আদানীর জন্য একচেটিয়া কাজ করার মডেল তিনিও ফলো করেছেন।

সংসদকে তিনি দুর্নীতিবাজদের ক্লাবে পরিনত করেছেন। তার গুরুত্বহীন ঝিনাইদহের সাংসদ আনারুল হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনে কলকাতায় নির্মমভাবে নিহত হলেও তিনি ছিলেন নিশ্চুপ। বেনজিরকে দুর্নীতি করার ওপেন লাইসেন্স দিয়ে নিরাপদে পালানোর সুযোগ দিলেও---ন্যায্য অধিকার চাওয়ায় দেশের ভবিষ্যৎ তরুনদের করেছেন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য, তাদের বুকে চালিয়েছেন নির্বিচারে গুলি।

তিনি দেশকে শেষ করলেন , দেশের মানুষকে ঋনে জর্জরিত করলেন, তার দলকে শেষ করলেন,তার জন্য নিরলস কাজ করে যাওয়া হাজার হাজার কর্মীদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিলেন। দেশের বিচার বিভাগ, প্রশাসন, অর্থনীতিকে পংগু করে একা দেশ থেকে বিশাল কার্গো বিমানে একশত ২৫ টি লাগেজ ভরে সোনা, ডলারসহ মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে নিরাপদে ভারতে পালিয়ে গেলেন। তিনি শুধু নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবলেন---তার দলের নেতা ও কর্মীদের কথা একটিবারের জন্যও ভাবলেন না।
বাংলাদেশে 'হাসিনা আধ‍্যায়'-এর সমাপ্তি হলো। 'অত‍্যাচারী শাসক' তকমা গায়ে নিয়েই তাকে আগামীর বাংলাদেশ মনে রাখবে। পদ্মা সেতু থেকে মেট্রো রেল--বহু কাজের অবদান চাপা পড়ে যাবে শত শত লাশের স্তূপের নীচে ।

--কিংশুক প্রামাণিক।
(সংবাদ প্রতিদিন, কোলকাতা 7 -8-24)

৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

ঊণকৌটী বলেছেন: আপনি একটা বাজে মানুষ, আসবে আওয়ামী লীগ আবার স্ব সম্মানে ফিরে আসবে, না হলে বাংলাদেশ আফগানিস্তান হয়ে যাবে বা গেছে হয়তো, তবে যাই হোক বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কিন্তু অন্ধকার

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৩৯

নতুন বলেছেন: রাজারা চায়রা প্রজারা শিক্ষিত হউক।

অন্ধ ভক্ত চায় রাজা। তবেই শুধুই মার্কায় ভোট দেবে প্রজা।

বিএনপি এখনই ক্ষমতায় বসতে চাইছে, এরা আবার তান্ডব চালাবে, সবার একাউন্টই খালি।

জনগন ভোট দিতে পারলে জামাতকে ভোট দিবে। আবার যুদ্ধে আয়ামীলীগ আবার আসবে।

জনগন যদি দুনিতি বন্ধে, একমত না হয়, দানবেরা আবার তাদের দল ভারী করবে।

প্রবাসীরা দেশে বউ রেখে আসে, তারা চাইবে তাদের বউ ঘরে পর্দা করে বসে থাকুক। :( সেই কারনে ওয়াজ খুবই জনপ্রিয় আমাদের দেশে।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৫৬

সোহানী বলেছেন: কাঁউটাল এর নিউজটা দেখে ভালো লাগছে। কাল থেকে ভারতীয় মাধ্যমে দেশের বিরুদ্ধে অপ্রপচার দেখছিলাম। এমন কি তাদের সংসদে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছিল। এতো অপ্রপচারের মাঝে এটি একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ।

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৭:০২

সোহানী বলেছেন: কাঁউটাল, নিউজটার লিংকটা দিবেন কি?

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাধারণ মানুষ এই আন্দোলন নিয়ে আবেগাপ্লুত হয়েছে। ৫ তারিখে পথে নামতেই একজন বোরকা পড়া মহিলা কাঁদতে কাঁদতে আমাদের চকলেট বিলালো। আর বলল যে যে সব বাচ্চা মারা গেছে তাদের জন্য দোয়া করবেন। এই মহিলা একা ছিলেন সম্পূর্ণ। তার কোন স্বার্থ আছে বলে মনে হল না।

জয় পলটি মেরেছে। জয়ের কথা মানে আসলে হাসিনার কথা। কয়েকদিন পরেই দেখবেন যে হাসিনা লেকচার দেয়া শুরু করেছে। এখন গুরুত্বপূর্ণ হল যেন তথ্য বিকৃতি বা ইতিহাস বিকৃতি না হয়। ইতিহাস বিকৃত হলে কয়েক বছর পড়ে আওয়ামীলীগ আবার একটা মহান দল হিসাবে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিতি পেতে পারে। যেমন এই প্রজন্মের অনেকেই আওয়ামীলীগের অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানে না। পাঠ্য বইয়ে শুধু আওয়ামীলীগের জয়গান। বিএনপি তার স্বভাব বদলেছে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। এরাও নিজেদের বিপদ ডেকে আনবে কি না এটা সময় বলে দিবে। ভালো হতো যদি নতুন কোন দল বা নেতৃত্ব আসতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.