নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
৫৬ হাজার বর্গমাইলের এতো বড় বাংলাদেশের জনসংখ্যা মাত্র ১৬ কোটি!
ছিঃ ! ছিঃ!! ছিঃ !! !
ভাবতেই অনেক অনেক কষ্ট লাগে! কষ্টে আমাদের বুক ফেটে যায়। এ কেমন কথা ! মাত্র ১৬ কোটি সম্পদ কেন? কেন ২২/২৩ কোটি নয়। সম্পদ যত বেশী হবে ততই আমাদের দেশ হয়ে যাবে সম্পদশালী।
জনসংখ্যা মানেই সম্পদ । এতো কম সম্পদে দেশের চলবে কি করে? এখনো সময় আছে, এখনই সম্পদ বৃদ্ধি করুন! ধনী দেশের কাতারে যেতে চাইলে সম্পদ বৃদ্ধি করা ছাড়া উপায়ও নেই। আর দুনিয়ায় কে না চায় যে, তার সম্পদ বৃদ্ধি পাক।
দেশের আয়তনের সাথে তুলনা করলে আমাদের কমপক্ষে ২০ কোটি সম্পদ হলেও মান-ইজ্জত বাঁচত। অথচ আমাদের সম্পদ কত কম! সম্পদ বাড়ানো অনেক দরকারী একটি কাজ।
আমাদের গুণীজনদের অমৃত বচন অনুযায়ী, জনসংখ্যা মানেই সম্পদ। কেননা, বিদেশে বাংলাদেশের আদমের (পড়ুনঃ সম্পদের) ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশেই গৃহভৃত্য, হোটেলের বয়, বাগানের মালি, রাস্তাঘাটের ক্লিনার, পাম বাগানের কর্মী সহ এই জাতীয় কাজের অফুরন্তন সুযোগ আছে।
আমাদের সম্পদ যদি ৩০ কোটি হত তাহলে কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা (যাহা রেমিট্যান্স নামে ব্যাপক খ্যাতি অর্জনে করেছে ) আসতে পারত তা কি কেউ এক বার ভেবে দেখেছেন?
বিদেশে আমাদের যে সব সম্পদরা থাকে তারা যে কি মহাসুখে থাকে ভাবলেই মনপ্রাণ আনন্দে ভরে উঠে। ছোট্ট একটি কামরায় ২০/২৫ জন ঘুমায়! অনেক মজা তো। আসলে আমরা সমাজবদ্ধ জীব তো। তাই এক রুমে ২০/২৫ জন ছাড়া আমাদের আনন্দ লাগে না। আমরা চাই প্রকৃত ও প্রাকৃতিক আনন্দ। নির্ভেজাল আনন্দ। সেটা তো তারা পাচ্ছে।
অন্য কোন দেশের মানুষ এতো আনন্দে নেই। সাগর মহাসাগর নৌকায় পারি দিয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে কেস-টেস করে যে সম্পদগুলো কার্ড নিয়ে আছে তাদের অবস্থা দেখলেও অনেকেরই আনন্দ লাগবে। তারা পাঠায় পাউন্ড - ইউরো-ফ্রাংক।
আমাদের সম্পদগুলো মাঝে মাঝে বিদেশের জেলখানাগুলোও দেখে আসে। বিদেশে গেলে সেখানকার সব দেখা দরকার। জেলখানাটাই বা আবার বাকি থাকবে কেন? তা ছাড়া জেলখানায় কত কিসিমের খাবার-দাবার বিনা পয়সায় খাওয়া যায়!
অধিক জনসম্পদ দেশেও অনেক কাজ দেয়।
আমাদের গ্রামের মফিজ মিয়ার ৫ টি ছেলে ( পড়ুনঃ সম্পদ) । তার ৫টি সম্পদ যেন ৫টি তরতাজা টাকার গাছ। কি যে বড় লোক মফিজ মিয়া!কেউ কেউ তাকে সাংঘাতিক রকম হিংসা করে।
আর করবেই বা না কেন? মফিজ মিয়া নিজেই বলেছে, তার ৫টা ছেলে যেন ৫ টা টাকা বানানোর মেশিন! সকালে ৫টা ছেলে ৫টা রিক্সা নিয়েও যদি বের হয় সন্ধ্যাবেলা ৫ ছেলে যদি জনপ্রতি ৫০০ টাকা করেও আনে তাহলে ২,৫০০ টাকা আয়! ভাবা যায়! না কেউ কোন কালে ভেবেছিল!?
মফিজ মিয়া অনেক জ্ঞানীগুণী একজন পিতা। আমি চাই, তার মতো বাংলাদেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যত বাবারা জ্ঞানী হোক। কমপক্ষে ৫ টা ছেলে পয়দা করুক। ঘরে ঘরে যদি প্রতি সন্ধ্যায় ২,৫০০ টাকা করে আসে তাহলে দেশের দৈনিক ইনকাম কত হবে ভাবতে পারেন! দেশ চলে যাবে অধিক আয়ের দেশের কাতারে। নিম্ন আয়ের দেশের কাতারে আর নয়!
আমাদের এলাকার মাদ্রাসার রহমান হুজুর, বলেছেন,- মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দিবেন তিনি।
অনেক খাটি একটি কথা । আমাদের দেশের মাটির মতো তার কথাও অনেক খাটি। অথচ আমাদের মধ্যে অনেক নাদান, নালায়েক, নাখান্দা লোক এই খাঁটি কথাটা কেন যে স্বীকার করতেই চায় না। এই যে, ১৯৭১ সালে সাড়ে ৭ কোটি সম্পদ থেকে ৩০ লাখ শহীদ হয়ে ৭ কোটি ২০ লাখ ছিল । তখন কত কম সম্পদ ছিল ।আর এখণ আমাদের সাড়ে ১৬ কোটি সম্পদ ।
এখন কি যিনি মুখ দিয়েছেন তিনি আমাদেরকে আহার দিচ্ছেন না! যখন আমাদের সম্পদ ৩০ কোটিতে দাঁড়াবে তখনও তিনি আমাদেরকে আহারে আহারে ভরিয়ে দিবেন। কোথায় থেকে যে আহার আসবে কেউ বুঝতেও পারবে না। রিজিক তো দিবেন আল রাজ্জাক। তিনি সবার চেয়ে ভালো বুঝেন ও জানেন। আমাদের কারোই উচিত নয় রিজিক নিয়ে অহতেুন চিন্তা করা। রাজ্জাক সেই দায়িত্ব নিয়েছে। তিনি নিখুঁতভাবে তার দায়িত্ব পালন করে যান। নাদান মানুষ সেটা বুঝতে চায় না।
দেশে সম্পদ আসছে, আসবে। সম্পদে সম্পদে ভরে যাবে সারা দেশ। তখন মধ্যপ্রাচ্য সহ সারা পৃথিবীতে থাকবে আমাদের গৃহভৃত্য, মালি, চাকর, বাকর সব.....। বস্তায় বস্তায় আসবে ডলার, দিনার, রিয়াল, পাউন্ড, ইউরো..! ভাবতে আমার কি যে ভাল লাগে! কত যে আরাম লাগে শুনতে!
তাই আজকের নবীন দম্পতি যারা তাদের কাছে আমার ব্যাকুল ও আকুল আবেদন , প্লিজ প্লিজ, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করুন। ২০৪১ সালের মধ্যে যে করেই হোক আমাদের সম্পদ ৩০ কোটিতে নিতে হবে। জাতি আপনাদের কাছে বিরাট গঠনমূলক ভূমিকা আশা করতেই পারে। মনে রাখতে হবে, এক এক টি মানুষ যেন এক একটি টাকার বস্তা!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অবশ্যই আচানক ঘটনা।
এরা আছে বলেই না দেশে জিডিপির পরিমাণ প্রতি বছর বেড়েই যাচ্ছে।
যতই সম্পদ ততই জিডিপি।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ৩-৪ টা করে বিয়েও করতে হবে। তারপর স্ত্রীদের গার্মেন্টসে পাঠাতে হবে। কী বলেন?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রিয় নবীজির আদেশ মেনে চলা প্রত্যেকটি উম্মতে মোহাম্মদীর দায়িত্ব ও কর্তব্য তাঁর আদেশ অনুযায়ী চারটা বিবাহ করা। এটা তো অবশ্যই করা উচিত। সেই সাথে দাসী বাঁদী তো ফ্রি।
কেয়ামতের পর যখন সবাইকে আবার জীবিত করা হবে তখন সেই মাঠে উম্মতে মোহাম্মদীর সংখ্যা দেখিয়া প্রিয় নবীজি গর্ববোধ করবেন এবং আনন্দ লাভ করবেন।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২০
কামাল১৮ বলেছেন: স্যাটায়ারটি ভালো হয়েছে।হুজুরদের বয়ানের মতো শুনলাম।সাথে কিছু সুরা কেরাত মেশালে আরো উত্তম হতো।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমার দোয়া-কালামের ভান্ডার খুবই কম। বাল্যকালে নামাজ পড়ার জন্য "সহিহ নামাজ শিক্ষা" বই থেকে কয়েক খানা সুরা অর্থ সহ মুখস্ত করেছিলাম। আজ পর্যণ্ত উহাই আমার সুরা-কেরাতের ভান্ডার।
তাই ওয়াজে পাক কালামের বাণী দিতে ব্যর্থ হলাম। তবে ব্লগারগণের মাঝে প্রচুর পরিমাণ হাফিজ-কারী ইত্যাদি আছেন। এই দিকটা উনারা দেখবেন বলে আমি আশাবাদী।
৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
জনসংখ্যা সব সময় দেশের সম্পদ নয়। হয়তো কখনো কখনো অভিশাপও হয়ে দাড়ায়। দেশের জনসংখ্যা আমার ধারণা ২০ কোটির উপর হবে। ২৫ কোটিও হতে পারে। তবে কোনো ভাবেই ১৬-১৭ কোটি নয়।
প্রবাসের জেলখানা যে প্রবাসের মতো সুন্দর হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। জেল তো জেলই। প্রবাসের নামে কতো মানুষ কতো দিকে মারা যাচ্ছে তার সঠিক পরিসংখ্যান কারো কাছে নেই। (সময় ও সুযোগ হলে এই বিষয়ে লিখবো)
ভালো লিখেছেন। পোস্টে লাইক+++
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
স্যার, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটাকে সম্পদে পরিণত করা একটা বুলি মাত্র। আপনি দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ান। আপনি অনেক ভালো বুঝেন। জনসংখ্যাকে সম্পদে পরিণত করা এতো সহজ কাজ নয়।
৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:১৬
সোনাগাজী বলেছেন:
জাপান, ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও জার্মানীর মানুষ আসলেই সম্পদ
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তবে প্লান মাফিক কেউ চালালে আমরা সম্পদ হতে পারতাম।
লাখ লাখ গ্র্যাজুয়েট প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশের আপদ হয়েেই বের হয়।
সম্পদ আর কয়টা হয়?
তবে কেউ যদি সম্পদ বলতেই চায় তাহলেঃ এদেশের মাটিকে সম্পদ বলতে পারে। এমন মাটি অনেক দেশেই নেই। কিন্তু এখন ধান চাষের জমিতে বালি ভরাট করে আট্টালিকা বানানোর কাজ চলে সারা দেশে।
এক সময় চাষের জন্য কোন জমি থাকবে না। কিন্তু দালান কোঠা থাকবে।
৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
এ পোষ্টে জনসম্পদের বিষয়ে আপনার রম্য কথনটি বেশ উপভোগ্য হয়েছে ।
এটা মনযোগ দিয়ে পাঠে বুজেছি কথিত জনম্পদটি যেন ভবিষ্মতে আপদে পরিনত না হয় সে দিকে
খেয়াল রেখে দেশের সরকার ও সচেতন সকল মহল যেন যথাযথ কার্যক্রম গ্রহন করে । বেশ উপভোগ্য
রম্য লেখটি ভাল লাগল সেই সাথে আপনার লেখনি ও আপনার প্রতি যথাযোগ্য সন্মান রেখেই এ বিষয়ে
কিছু কথা ও দিক নির্দেশনা দিয়ে আমার নীজের ভাবনার কিছু বলে গেলাম এসাথে।
আমার বিবেচনায় এই সময়কালে জনসংখ্যা আসলেই একটি বিশাল সম্পদ ।
এটাকে নিয়ে রঙ্গ তামাসা করার মত তেমন কিছু নেই, তবে ভাবার অনেক বিষয়ই আছে।
মানূষের মত হাজার ভাগের এক ভাগ কাজ করার যোগ্যতা সম্পন্ন একটি রোবট তৈরী করতেও
লাগে প্রায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার অথচ একজন মানুষের তুলনায় সে কাজ করতে পারে সিমীত
আকারে । একটি সুই এ পাছায় সুতা ডোকানোর মত সুক্ষ কাজ সে পারবেনা করতে মানুষের
মত কিংবা চাকুরী কাঠামোতে একেবারে প্রায় নিন্মস্তরে থাকা একজন অভিজ্ঞ টাইটিস্টের মত
চোখ বোজে কিবোর্ড চেপে ঝরের গতিতে পারবে না একটি দামী রোবট টাইপ করতে ,এরকম
কাজের যোগ্যতা সম্পন্ন রোবট তৈরী করতে যে পরিমান অর্থ ব্যয় হবে তাদিয়ে হাজরগুন
বেশী পাকৃতিক ও জনসম্পদ তৈরী করা যাবে অনায়াসে ।
এত হল এক দিক, আরেক দিক হলো জনসম্পদকে কি নীজ দেশে বসেই কাজ করতে হবে?
আল্লার এই বিশাল দুনিয়ায় যে কেও দেশ কাল পাত্র ভেদে কাজ করতে পারে নীজের ইচ্ছা মতন করে ।
সে দেশে কিংবা বিদেশে বসে যেখানেই কাজ করুক না কেন তাতে নীজ দেশের লাভ বৈ ক্ষতি কি তাতে ।
একদিকে তারা পাঠায় রেমিটেন্স, আর দিকে দেশে তার জায়গায় আন্য আর একজনের জন্য ভেকেন্সি
তৈরী করে দিয়ে দেশের ভিতরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃস্টি করে ।
এবার আসা যাক বিদেশে গিয়ে অড জব (Odd job) করা নিয়ে ।
এখানে অড জব প্রসঙ্গে বলা যায় কোন কাজই অসন্মানের কাজ নয় , সকল কাজকেই দেখতে হবে
সন্মানের চোখে । শুধু মুখে মুখে ডিগনীটি অফ লেবার না বলে কথায় ও কাজে তার প্রমান দিতে হবে।
যে অড জবগুলি বিদেশে গিয়ে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে করলে তাতে নিয়ে করা রম্য কথন বিভিন্ন
মহলে, সেই কাজগুলি উন্নত বিশ্বে গিয়ে করলে দেখা হয়না তেমন করে । দেশ হতে সরকারী কিংবা
বেসরকারী পর্যায়ে যারা বৃত্তি কিংবা অন্য যে ভাবেই হোক উন্নত বিশ্বে যান তার পড়াশুনার ফাকে ফাকে
সেখানকার অনেক অড জব কর থাকেন , তখন তা করতে তখন তাদের সন্মানে বাধেনা একেবারে ।
আরো কথা হলো গৃহ ভৃত্য , ঝাড়ো দেয়া কিংবা পরিচ্ছন্ন কর্মের মত কাজ উন্নত বিশ্বের নীজ নাগরিকেরাও
করেন বেসুমার ভাবে, কৈ তা নিয়েতো কেও কিছু বলেনা এমন করে, আবার দেশ হতে বা্ইরে গিয়ে যারা
অড জব করেন সে রকম অড জব দেশেই করে থাকেন প্রবাসীদের চেয়েও বেশী সংখক নীজ দেশের মানুষে ।
এখন যদি সেই একই কাজ বিদেশে গিয়ে কেও করেন বলে তা নিয়ে করা হয় রম্য তাহলে একই কাজ
যারা দেশে বসে করেন তাদেরকে কি করা হয় না হেন ইত্যাকার কথা বলে । বিষয়গুলি ভেবে দেখার দরকার
আছে ।
হ্যা একথা সত্য যে প্রবাসী কর্মীরা অনেক অমানবিক ও কর্ম পরিবেশে কাজ করেন , তাঁদের রয়েছে
অনেক দুর্দশা ও করুন পরিনতি । এ জন্য জনবল রপ্তানী ও আমদানি কারী সকল দেশের সরকারকে নিতে হবে
প্রয়োজনীয় উদ্যোগ আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন ILO কে । এখানে উল্লেখ্য প্রবাসী কর্মীদের বিশাল অংশ্যই
প্রিকেরিয়াস এমপ্লয়মেন্ট কেটাগরীতে পরেন । প্রিকেরিয়াস এমপ্লয়মেন্ট হলো এমন একটি কর্ম
পরিবেশ যেখানে একজন কর্মীর না আছে কর্ম স্থায়ীত্বের নিষ্চয়তা , না আছে কর্মঘন্টা , মজুরী , ছুটি ছাটা
কিংবা অন্য সকল প্রকারের স্থায়ী কর্মেদের মত সুবিধা । উন্নত বিশ্বে তাদের নীজ দেশে নাগরিকদের
একটি বিশাল অংশই প্রিকেরিয়াস এমপ্লয়ী হিসাবেই কর্মরত । আমি এই বিষয়ে একটি গবেষনা কর্ম
পরিচালনা করতে গিয়ে দেখেছি প্রডানশন লাইনে কর্মরত যে কোন কর্মীকেই তার ঐ লাইনের
সুপারভাইজার বা ম্যনেজার সামান্যতর ভুলের কারনে ঐখানে বলে দেন GO home , মানে
ঐ দিনের জন্য তার কর্ম শেষ এমনকি চাকুরীটাউ তার খতম ।
এটা বিশেষভাবে ঘটে সে যদি এজেন্সি ওয়ার্কার হিসাবে কর্মে নিয়োগী হয়ে থাকে । তার মানে
এরকম ক্ষেত্রে সে পরের দিন ঐ কাজে যেতে পারবে কিনা তা নির্ভর করে তার নিয়োগকারী
এজেস্ট এর উপরে । মোদ্দা কথা হল প্রিকেরিয়াস এমপ্লয়ীর দুর্গতি উন্নত আনুন্নত দুনিয়ার
সকল দেশেই সমপরিমানে অচে । তাই যে যেখানেই কাজ করুক শ্রমিকের অধিকার থাকতে
হবে সকলের মতই সমান করে । দেশে বাইরে সবখানেই তাই, যে ভাবেই হোক বিশেষ করে
সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে শ্রমিকের অধিকার অর্জনে সকলের কলমের হাতিয়ার উঠোক
জেগে গর্জন করে । সাধুবাদ জানাই রম্য আকারের হলেও আপনার এই প্রয়াসটিকে ।
এখন আসা যাক দেশের বাইরে প্রবাসী কর্মীদেরকে কর্ম করতে গিয়ে গাদাগাদি করে এক ঘরে
ঠাসাঠাসি করে বসবাসের কথা মালায় । অনেকেই থাকেন বাধ্য হয়ে, আবার অনেকেই থাকেন
নীজ ইচ্ছায় ব্যয় সাস্রয়ের কথা বিবেচনা করে। কারণ তারা জানেন বিদেশে কষ্ট করে কাজে
নিয়োজিত থাকার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে , এর মাঝেই যতটুকু পারা যায় অর্থ বাচিয়ে
নিয়ে যেতে হবে দেশে কিংবা দেশে থাকা প্রিয়জনদের কাছে পাঠাতে হবে ।
তাই গাদাগাদি করে থাকটাকেও সাময়িক কালের জন্য অনেকেই নেন বেছে নীজের মত করে।
হ্যাঁ এ কথা সত্য যে বিদেশে তাদের কর্ম পরবেশ ও মর্যাদা অনেকটাই সুখকর নয় বটে ।
এটা জানার পরেও অনেক মানুষই যেতে চান নীজের মনের খায়েস মিটাতে ।
তারা নীজের দেশের ভিটে মাটি বেচে কিংবা বন্ধক দিয়ে যেতেও হন না পিচপা কিছুতে ।
আমাদের দেশের বাড়ীর এক প্রতিবেশী এক সময় উন্মাদ হয়ে ছিলেন মালএশিয়ায় গিয়ে
কাজ করতে । তাকে অনেক করে বুঝালাম এখানে তোমার যা কিছু আছে তা নিয়েইতো
তুমি থাকতে পার আরো ভালভাবে, যদি তুমি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষন ও ব্যাংক ঋন নিয়ে
তোমার বসত বাটিতেই হাস মুরগীর খামার কিংবা তোমার বাড়ীর পাশেই নীজ বিলে
গড়ে তোল মাছের খামার ভাল করে । কে শুনে কার কথা , দালাল ধরে পানির দরে
তার ভাল জায়গা জমি বিক্রি করে আরেক দালালের হাত ধরে মালএশিয়ায় গিয়ে
বনে জঙ্গলে কাজ করে বিভিন্ন ধরনের ধান্দাবাজীর শিকার হয়ে একেবারে শুন্য
হাতে ফতুর হয়ে দেশে ফিরে ।
অন্যদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে আপদ ভেবে যারা এর বংশ বিস্তার রোধে একে ধরেছিল খুব
ঠেসে, এখন তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঋনাত্বক আকার ধরেছে। চীনের মত এককালের
বিশাল জনসংখার দেশ বিপদটা বুঝতেছে হারে হারে, এখন বলতেছে সন্তান পয়দা করলে
পুরস্কার সাথে অর্থ দিবে বিস্তর পরিমানে । ইউরোপিয়ান দেশগুলিতেও প্রায় এখন অবস্থা
তেমনই ভাবগতিক ধরছে , তারা বুঝতে পারছে জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে তাদের
তরে ।
আরেক দিকে নিসস্তান যারা তারা বুঝে সন্তান পয়দা করা কেমন কঠীন তাদের তরে
ওঝা তাবিজ ,আর মানত করে দেশে বিদেশে ঘুরে পীর ফকিরের কাছে একটি সন্তান লাভের তরে ।
আবার বেশী সন্তান থাকাটাও এখন আর আপদ নয় কারো কাছে এ পেষ্টে বলা মফিজ মিয়ার
উদাহরণ যথেষ্ট যা মনপুত হয়েছে । আবার কম সন্তান নিয়েও অনেক ধনবান মানূষ আছে বিপদে।
পারছেনা তাদেরকে শিক্ষিত করে মানূষ করে তুলতে , তারক কোকো তার কিছুটা প্রমান ধরে ।
তাই বিবিধ দৃষ্টিকোন হতে দেখলে জনসংখ্যা সত্যিকার অর্থেই একটি বিশাল সম্পদ ও আল্লার
অশেষ নিয়ামত , একে নিয়ে তাই রম্য না করে এই জনসংখ্যাকে প্রয়োগনীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ণ দিয়ে
সত্যিকার ভাবেই বিশাল জনসম্পদে পরিনত করা যায় যদি কেও তেমন করে ভাবে ও ইচ্ছা করে।
যাহোক জনতাকে কিভাবে নীজের , সমাজের , দেশের ও সমগ্র বিশ্বের জন্য সম্পদে পরিনত করা
যায় তা ভাবতে হবে সচেতন সকলকে ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শুরু হওয়ার পথে।
উন্নত দেশগুলিতে অলরেডি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মূলত পরিচালিত হবে টেকনোলজি ও ডিভাইস ব্যবহার করে।
ফলে শ্রমিকের চাহিদা কমে যাবে ভয়ংকর রকম এবং আশংকা জনক ভাবে।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের মত অদক্ষ শ্রমিকের তেমন কোন চাহিদা থাকবেই না।
আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন বড় বড় স
চেইন শপগুলিতে এখন আর অসংখ্য সেলস ম্যান, সেলস গার্ল ,সেলস এইডি এই সমস্ত আর থাকছে না ।
এমনকি পেমেন্ট কাউন্টারগুলিতেও যার যার টাকা পরিশোধ করছে ক্রেতারা নিজে নিজেই ।
তাহলে লক্ষ্য করুন এখানে অনেক শ্রমিকের চাকরি চলে গেছে।
সামনে হাজার হাজার শ্রমিকের চাকরি চলে যাবে । এটাই বাস্তবতা।
এই কঠিন বাস্তবতার মধ্যে আপনাদের মহামূল্যবান জনশক্তি কোথায় রপ্তানি করবেন?
মালয়েশিয়াতে?
সৌদি আরবে?
মধ্যপ্রাচ্যে?
আমেরিকাতে?
ইউরোপে?
কোথায়¿??¿
৭| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
উপরের মন্তব্যের ঘরে বেশ কিছু বানান প্রমাদ আছে ।
চোখে ভাল দেখিনা বলে লেখার সময় ভুল ধরা পরেনি ।
এখন প্রকাশের পরে দেখি বেশ বানান প্রমাদ রয়েছে ।
এডিট করে সংশোধনের উপাই নাই । তাই দয়া করে
নীজ গুণে শব্দগুলি সঠিক বানানে বুঝে নিবেন ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বানান ভুল করা কিংবা টাইপো এগুলো তেমন কোন ফ্যাক্টর না ।
মূল মেসেজটা পৌঁছাতে পারলেই হচ্ছে।
৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি। ভিক্ষাবৃত্তি তো আছেই।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জুমার নামাজ শেষ করে মসজিদ থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এত এত মানুষ হাত পেতে দাঁড়িয়ে থাকে যেটা দেখতে খুবই অস্বস্তি লাগে।
লজ্জা লাগে যে এত মানুষ ভিক্ষা করে চলবে কেন?
জনসম্পদের এই বেহাল অবস্থা কেন?
৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩
নাহল তরকারি বলেছেন: অনেকে ৩০ বছরের পর বিয়ে করে। তখন ছেলেদের পুরুষাঙ্গ লাফায় না। যাদের টা লাফায় তারা আবার গর্তে সেটা ঢুকাতে পারেন না। তাই ছেলেদের ১৮ বছরে বিয়ে করা উচিত। যদি আপনার এটা কমেডি ব্লগ না হয়।
হোটেল বয়, মেকানিক, মালি, চাকর বাকর ইত্যাদি পোস্টে তো যাবেই, সাথে যে কোন মাল্টিন্যাশনাল কম্পানির ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক ইত্যাদি অফিসার পদেও তারা যাবে।
কেমন হয় কোন বাংলাদেশী আমেরিকার কোন বীমা কম্পানির একজন বড় অফিসার হয়!!
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যৌবন প্রাপ্তির সাথে সাথেই ছেলেমেয়েদেরকে বিয়ে দিয়ে দেওয়াটা উচিত।
বিয়ে যখন করতে হবে ৩০-৩৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকার কোনই মানে হয় না।
এই বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে এবং ব্লগের বিশিষ্ট চিন্তাবিদদেরকে চিন্তা-ভাবনা শুরু করার জন্য উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০১
বিজন রয় বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: স্যাটায়ারটি ভালো হয়েছে।হুজুরদের বয়ানের মতো শুনলাম।সাথে কিছু সুরা কেরাত মেশালে আরো উত্তম হতো।
ইয়েস।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমি দোয়া কেরাত তেলাওয়াত ইত্যাদি কিছুই পারি না
আমাদের ওয়াজ হুজুর রাজিব নূর সাহেব সহযোগিতা করলে কিছু দোয়া কেরাত হয়তো ঢুকিয়ে দেওয়া যেত।
কিন্তু তাকে আজকাল আর দেখাই যায় না ।
কোথায় কোন পথে ঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন কে জানে।
আফসোস!
১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জনসংখ্যা আসলেই একটা বড় সম্পদ। তবে সম্পদকে দেখাশোনা করে রাখতে হয়। চীন, ভারত, পাকিস্তান আর বাংলাদেশ জনসংখ্যার কারণে একদিন অনেক উন্নত দেশ হবে। এখন থেকে ৫০ বছর পরে বিশ্বের অর্থনীতির কেন্দ্র হবে এশিয়া। সেটাও জনসংখ্যার কারণে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন বেশী বাড়ছে না। তাই সরকারের উচিত হবে ব্যাপারটা নিয়ে একটু সিরিয়াস হওয়া। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে গেলে পরে সমস্যা হবে। যেটা ইউরোপের অনেক দেশে হচ্ছে। জাপান এবং চীনও জনসংখ্যা নিয়ে চিন্তায় আছে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনের বাচ্চা কাচ্চা কয় জন?
১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: অযোগ্য অদক্ষ রাজনীতিবদদের কারনে আমরা আমাদের বিশাল জনসংখ্যা কাজে লাগাতে পারছি না। আফসোস।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
৫ বছর চলে গেছে?
কোথায় আপনার সেই জনসংখ্যা-জনসম্পদ ফরমুলা?
সৌদি বেড়াতে গিয়েও কি বুঝেন নাই আমাদের সম্পদ কতটা সম্পদ?!
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৬
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: সব জনসম্পদ ৫০০ টাকা করে ২৫০০ ইনকাম করলে, টাকাটা দিবে কে? মুসিবতের বিষয় হইলো।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমাদের দেশের অনেক উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিসহ অনেক মানুষই এখনো ঘোরের মধ্যে আছেন ।
তারা মনে করেন জনসংখ্যা মানেই সম্পদ।
কিন্তু তারা বোঝেন না যে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ জনসংখ্যাই একটি দেশের জন্য সম্পদ হতে পারে।
কেননা বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ সীমাবদ্ধ ।
দেশে কোন কাজ নেই ।
কাজের জন্য মানুষদেরকে পাঠাতে হয় অন্য দেশে।
আফসোস!
১৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০৩
আলামিন১০৪ বলেছেন: ভাই, আল্লাহ আপনাকে মুথে তুলে খাওয়াবে না, নবীদেরও খাওয়াই নাই..আর আল্লাহর পৃথিবী ছোট না। দেশের জনবোঝা কে জনসম্পদে পরিণত করা, সবার দায়িত্ব। আর আল্লাহ চোরদের দায়িত্ব নেন না.।আমি একটা সরকারী ডিপার্মেন্টে চাকুরি করি এখানে সততা হলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ..।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভাই, আমি দেখেছি, আমাদের মানুষজন বিদেশে কি পরিমাণ কষ্ট করে।
সামান্য ভাতের জন্য দেশ, বাড়ি, বাবা-মা, পরিবার পরিজন ছেড়ে তারা কি যে হাহাকার নিয়ে আছে আমি নিজ চোখে দেখে এসেছি।
তার চেয়ে ভালো নয় কি-ম সন্তান সংখ্যা ১/২ টার মাঝে সীমিত রাখা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, কি আচানক ঘটনা, এই পোস্ট'টাও পড়ুন। খেতে পাই বা না পাই, বছর বছর সন্তান উৎপাদন করতে হবে