নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
আমাদের দেশে যারা ব্যবসা করেন কিংবা রাজনীতি করেন আমার কেন যেন মনে হয় তারা টাকাটাই বেশী বুঝেন। তারা কেবল সুযোগ খুঁজতে থাকেন কি করে আরো দু’দুপযসা বেশী করে কামিয়ে নেয়া যায়।
যেমন পরিবহন ব্যবসায়ীদের কথা বলা যেতে পারে। যারা বাস বা এই জাতীয় পরিবহনের মালিক তারা খালি গুণে গুণে টাকা নেন যাত্রীদের কাছ থেকে। যাত্রীদেরকে সামান্য সুযোগ-সুবিধা দিতে চান না। ঢাকা শহরে যে সব বাস, মিনিবাস, বিগবাস, অটো চলে তার কোনটাই স্বাস্থ্যকর নয়। যেমন সিটগুলো খুবই চিপা, একজন বসাই দায়। সিটে বসলে পা রাখা কঠিন হয়ে পরে। মনে হয় যাত্রীদের পা না থাকলেই মনে বেশী ভালো হতো। সিটগুলো ব্যাপক নোংরা । জীবন একবারও পরিস্কার করা হয় না। ভেতরে ধোলাবালি গিজ গিজকরে। লোহার নানান অংশ বের হয়ে থাকে যাতে মানুষের জামা কাপড় ছিড়ে যায় । তাদের গায়ের চামড়া ছিলে যায়। যাত্রীদের ব্যাগ রাখার কোন ব্যবস্থাই নেই। অথচ মানুষের সাথে অন্তত একটা ব্যাগ তো থাকতেই পারে।
একটি বাসে যে কয়টি সিট থাকে তার তিনগুণ যাত্রী নেয়া হয় দাঁড় করিয়ে। বাস গাদাগাদি করে দাঁড়াতে গিয়ে কোন মানুষের মাঝে সামান্যতম দূরত্ব থাকে না। একবারে পিছনে যে যাত্রীটি দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি পড়েন মহাবিপদে। কেননা, মাঝখানের কোন স্টপেজে নামতে চাইলে তাকে দাঁড়ানো যাত্রীদেরকে ঠেলে সামনে এগিয়ে এসে তাঁরপর বের হতে হবে। সেটা খুবই কঠিন একটি ব্যাপার। এসময় পাত্রীদের অনেকেরই জামার বুতাম ছিড়ে পড়ে যায়। কারো কারো মানি ব্যাগ খোয়া যায়। নারী যাত্রীরা পড়েন আরো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে। এই ভাবে যাতায়াত করেন সাধারণ মানুষজন।
একথা না বললেও চলে যে পরিবহন খুব লাভজনক একটা ব্যবসা। বাসে যে কয়জন মানুষ মানুষ বসে যাতায়াত করেন তার চেয়ে ঢেড় বেশী মানুষ দাঁড়িয়ে যান। যে সব মানুষ দাঁড়িয়ে যায় তারা যে ভাড়া দেয় তা হল লাভের উপর সোয়া সের লাভ। কাউন্টার করে যে বাসগুলো চলে তার ভাড়া অনেক বেশী। কিন্তু সেবার মান সাধারণ বাসের মতোই। সেখানে দাঁড়িয়ে যেতে হয়। মানুষের পায়ের পারা খেতে হয়।
সাধারণত শহরে যাতায়াতের জন্য কম আয়ের মানুষই বাস ও অন্যান্য পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করে। তবে আন্তঃজেলায় চলাচলের জন্য সব ধরনের আয়ের মানুষই বাস ব্যবহার করে। অবশ্য কিছু বাস আছে যেগুলো বলা হয় এসি বাস। এগুলোর ভাড়া বেশী।
আমাদের মনে রাখা দরকার, যাত্রীরাও মানুষ। আর আশ্চর্যজনক কথা হলো বাসের মালিকরাও মানুষ। মানুষে হয়ে মানুষের সেবা করা উচিত। আমাদের দেশের একটা শ্রেণী তো নির্বাচন এলে দেশ আর দশের সেবা করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। এই মনোভাবটি সারা বছর ধরে বজায় থাকলে হয়তো সাধারণ মানুষ তাদের মনে অজান্তেই কিছু সেবা পেয়ে যেত। অথচ তারা সেটা পাচ্ছে না।
আফসোস!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তাহলে আমার মতো বাদুরঝোলা হয়ে যাতায়াত করতে থাকুন।
মাঝে মাঝে নিজের উপর রেগে যাবেন।
কিছুই করার থাকবে না।
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সব জায়গায় মেট্রো আর রেল গেলে এদের অবস্থা খারাপ হবে। তবে এদের সাইজ করতে হলে শক্তিশালী সরকার দরকার। কিন্তু এদের টাকা দিয়েই তো আবার রাজনীতিবিদরা টিকে আছেন...
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমরা সাধারণ যাত্রীদের আয়ের বিরাট একটা অংশ চলে যায় বাস-রিক্সা-সিএনজি এই সবের পিছনে। অথচ সেবার মান কিন্তু বলার মতো না। এই অবস্থার অবসান দরকার।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৩
বিজন রয় বলেছেন: আফসোস!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বড়ই আফসোসের বিষয়!।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬
বিজন রয় বলেছেন:
.
.
.
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বড়ই আচানক ঘটনা!
আফসোস!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাস্তবিকই বিরাট আচানক ঘটনা।
আফসোস!
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪
স্বর্ণবন্ধন বলেছেন: বিরক্ত হতে হতে একসময় বিরক্তিও শেষ হয়ে যায়। তখন সব নির্বিকার লাগে। এটাই হয়ত জীবন।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি গরীব মানুষ।
আমার জামাকাপড়ের ১২ টা বেজে যায়।
মানুষের পায়ের পারা খেয়ে জান বেরিয়ে যায়।
৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪০
সড়কযোদ্ধ২ বলেছেন: *নিশ্চয়ই এ আধার একদিন কেটে যাবে*
সড়কে পুত্রহত্যার বিচার চেয়ে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রাজধানীর সেন্ট যোসেফ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিনের বাবা, সামরিক-স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের রাজপথের সাহসী যোদ্ধা, প্রাক্তন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আহসান উল্লাহ ভুঁইয়া টুটুল। গত ১১ ফেব্রুয়ারি উত্তরায় জনবহুল সড়কের ওপর বাসচাপা দিয়ে হত্যা করা হয় আদনান তাসিনকে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হলেও আজ পর্যন্ত ঘাতক বাসের চালক ও তার সহকারিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বাসের মালিককেও আনা হয়নি আইনের আওতায়। পুত্রশোকে তাসিনের পাগলপ্রায় মা এখন কার্যত শয্যাশায়ী।
*অন্যদিকে ঘাতক বাসটির মালিক, চালক ও, চালকের সহকারি বীর দর্পেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সর্বত্র। প্রচলিত আইন তাদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারেনি।
**আর তাসিনের বাবা পৃথিবীর সব চেয়ে বড় বোঝা 'বাবার কাধে সন্তানের লাশ' নিয়ে এখনও বিচারের দাবিতে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
***আসুন, আমরা পুত্রহারা আহসান উল্লাহ টুটুলের পাশে দাঁড়াই, তাসিন হত্যার ন্যায় বিচারের দাবিতে সোচ্চার হই। সড়কে মৃত্যুর মিছিল থামাতে সারা দেশে গড়ে তুলি সড়ক দুর্ঘটনাবিরোধী জাতীয় জাগরণ। ****নিশ্চয়ই এ আধার একদিন কেটে যাবে, পূবের আকাশে উদিত হবে তিমিরবিদারী দিবাকর; আমাদের সড়ক হবে নিরাপদ ও জনবান্ধব।
**তাসিন, তোমার জন্য দু'ফোটা চোখের জল। ওপারে ভালো থেকো।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনরা কথা যেন সত্য হয়।
সবাই ভালো থাকুক।
৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: দরিদ্র দেশের মানূষজন শুধু চায় আর চায়। এদের দাবী দাওয়ার শেষ নেই। আজিব!!!!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
দরিদ্র মানুষের চাওয়া খুব কম।
তাদের চাহিদা ৩ বেলা সামান্য আহার।
একটু শান্তি ।
আর কিছু চায় না।
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: এই কথা ভেবেই পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে বাস।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সরকারী মাল দরিয়াতে ফেলার নাকি নিয়ম।
তাই তারা পুড়িয়ে টেস্ট করছে।
সামনে হয়তো পানিতে ফেলবে।
আফসোস!
৯| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: লোকজনের মন্তব্যের উত্তর দিচ্ছেন না কেন?
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি রোগী মানুষ।
শরীর খুব দুর্বল।
শক্তি নেই বললেই চলে।
ইচ্ছে থাকলেও অনেক কিছু করতে পারি না।
আফসোস!
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৪
বিজন রয় বলেছেন: বাস যাত্রীরা কি সামান্যতম সেবাও পেতে পারেন না?
না পারে ন। কারণ.......... অনেক।