নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
ঢাকা শহরের অজস্র স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীদেরকে খুব সকালে দিয়ে আসতে হয়। বেশীর ভাগ স্কুলেই সকাল ৮টা কিংবা সাড়ে আটটার মধ্যে ক্লাস শুরু হয়ে যায়। ঢাকা শহরের বেশীর ভাগ মহিলার কাঁধে অবধারিতভাবে এই দায়িত্বটি এসে পরে। খুব সকালে বাচ্চাকে রেডি করে স্কুলে দিয়ে আসা। যাদের বাসা একটু দূরে তাদের আবার অন্য সমস্যা। স্কুলের সামনে কোন একটি জায়গায় অনেক মহিলাকে তাই দেখা যায় বসে বসে অপেক্ষা করতে কখন ছুটি হবে আর কখন তারা তাদের প্রিয় সন্তানকে নিয়ে নিরাপদে বাসায় ফিরে আসবেন। এই দৃশ্য এখন খুবই কমন একটি বিষয়।
যে কোন ধরনের অপেক্ষাই অনেক কঠিন ও কষ্টের একটি ব্যাপার । কেননা, অপেক্ষার ঘড়ির কাটা খুব আস্তে আস্তে ঘুরে। সময় পার হতে চায় না। তাই বেশ কয়েক জন মহিলা একত্রিত হলে তারা নিজেরাই আগ্রহী হয়ে খাতির জমিয়ে তুলেন। আমি প্রায় প্রতিদিনই এমন জমজমাট আড্ডা দেখে দেখ অভ্যস্ত।
আমার বাচ্চারা যে স্কুলে পড়ে সেখানকার দৃশ্যও মোটামুটি একই। এই স্কুলের বেজমেন্ট-এ দেখলাম আরো সুন্দর ব্যবস্থা। সেখানে একটি জায়গায় মোট কালো রঙের কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে। যাতে করে কোন বেগানা পুরুষলোক ভাবীদেরকে দেখতে না পায়। ফলে সেখানে বসে আচ্ছা করে জমিয়ে আড্ডা দিতে পারেন নারী অভিভাবককুল। বড়ই সুন্দর ব্যবস্থা।
বিকেলবেলায় এই স্কুলে শুরু হয় কোচিং সেশন। বিকেল বেলায় বাচ্চাদের দিয়ে আসা এবং রাতে নিয়ে আসার জটিল দায়িত্বটি পালন করতে হয় আমাকেই। আমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করি রাতের বেলায়ও নারী অভিভাবকদের প্রাধান্য। পুরুষ অভিভাবক নেই বললেই চলে। রাতেও চলে তুমুল আড্ডা। সেই আড্ডা যেন শেষ হতেই চায় না।
নারী অভিভাবকরা জমিয়ে তুমুল আড্ডা দেন। দুনিয়ার কোন বিষয় মনে হয় বাদ থাকে না। আমি চুপচাপ একটি প্লাস্টিকের চেয়ার দখল করে বসে বসে অপেক্ষা করি। আর তাদের আড্ডার মুখরিত কলকাকলি শুনি। উপায় নেই।
তাদের আড্ডা থেকে একটি বিষয় উদ্ধার করলাম- তারা একে অপরকে ভাবী ডাকেন। যেমন রহিমা তার পাশে বসা সখিনাকে ভাবী ডাকেন। আবার সখিনাও রহিমাকে ভাবী ডাকেন। স্বাভাবিক বিষয় এই যে, এখানে একজন ভাবী হলে আরেকজন হবেন ননদ। কিন্তু স্কুলের আড্ডায় নিয়ম অন্যরকম। উদাহরণ হিসাবে-
প্রথম মহিলাঃ তারপর কি হয়েছে শুনবেন ভাবী?.......
দ্বিতীয় মহিলাঃ বলেন ভাবী, শুনবো। …….
একে অপরকে ভাবী ডাকার পিছনে কী কারণে থাকতে পারে। আমি চুপচাপ চিন্তা করতে থাকলাম। এক সময় আমার কাছে মনে হলো এটা একটি পুরুষতান্ত্রিক ঝামেলা হতে পারে। তারা যদি একে অপরকে ভাবী না ডেকে আপা ডাকেন তাহলে স্বাভাবিক নিয়মে
কোন এক জনের স্বামীর কাছে অপর একজন শ্যালিকা হয়ে যেতে পারেন। এটা বড় একটা একটা আপদ। তখন দুলা মিয়া দুস্টামী করার অধিকার পেয়ে যেতে পারেন। কেননা, দুলামিয়াদের সাংবিধানিক অধিকার রয়েছ শ্যালিকাদের সাথে দুষ্টুমী করার।
আর তাই মনে হয় আমাদের নারী অভিভাবককুল যখন যেখানে অনেকেই একত্রিত হোন অপর পক্ষের নারীদেরকে আপু/আপা না ডেকে নিরাপদ ডাক ভাবী ডাকেন। একে অপরকে ভাবী ডাকলে উভয়েই থাকেন নিরাপদ।
বড়ই আচানক ঘটনা।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি সপ্তাহে বলতে গেলে ৭ দিনই স্কুলে যাই।
তাই বিষয়টি লক্ষ্য করেছি।
তবে আমার গবেষণালব্ধ তথ্য মনে হয় খুব বেশী ভুল নয়।
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: বহুদিন ধরে ড্রাফটে একটা লেখা পড়ে ছিলো, শেষ করা হয়নি। টাইটেল দিয়েছিলাম "ভাবী ভাবী ভাবী শুনেন..."। লেখাটা এই ভাবীদের নিয়েই ছিলো।
গত সপ্তাহে সৌদীতে বাংলাদেশীদের একটা পিকনিকে গিয়েছিলাম, আমার বউ একজনকে আপা ডাকতেই তিনি উত্তর দিলেন, আমার মিষ্টার ওমুক প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন। বাড়ি ফেরার সময় বউ জিজ্ঞাসা করলো যে এমন হলো কেন? তাকে আপনার ব্যাখ্যাটাই দিয়েছিলাম
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি সঠিক কাজটি করেছেন।
আপনার বুদ্ধি ভালো ।
৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাবি ডাকাটা সেইফ, বোন ডাকলে তার হাজবেন্ড বোন জামাই সূত্রে মশকারী সম্পর্কে গড়াতে পারে, তায় জামাই বাবুকে ভাই ডেকে সম্পর্কটা স্বাভাবিক রেখে তার বউকে ভাবি ডাকাটা সেইফ
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঠিকই তো।
সম্পর্ক ঠিক রাখা সব চেয়ে বেশী জরুরী।
৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাহ! গবেষণা ধর্মী লেখা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিরাট বড় গবেষক হয়ে গেছি।
আফসোস!
৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১১
এলে বেলে বলেছেন: আপনার মনে দারুন সুক্ষ রসবোধ আছে। আশপাশ ভালোই নযর রাখেন।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কি আর করা।
আমাদের চারপাশ নিয়েই তো আমাদের পরিবেশ।
আমাদের সমাজ।
আমাদের দেশ।
সমাজের বাইরে তো আর যেতে পারি না।
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
হাসান রাজু বলেছেন: দুস্টামী করার অধিকার ভাবীর সাথেও আছে। যে অধিকারের চর্চা করে, সে কি এই অধিকার বৃথা যেতে দিবে !
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি সঠিক বলেছেন।
হা জয়যুক্ত হয়েছে।
হা জয়যুক্ত হয়েছে।
হা জয়যুক্ত হয়েছে।
৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যারা অধিকার ফলাতে পারে সব খানেই পারে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অধিকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি শব্দ।
এর নানা মাত্রিক তাৎপর্য আছে।
বড় সহজ শব্দ নহে।
৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাচ্চাদের স্কুলে আমার স্ত্রী এবং অন্যরা অনেকে একে অন্যকে তুমি করে বলে এবং নাম ধরে ডাকে। তারা বান্ধবীতে পরিণত হয়ে যায় অনেক ক্ষেত্রে। ভাবি আপা কোনটাই বলে না অনেকে। তুই বলে কি না এটা জানতে হবে।
বাচ্চার বাবারা যদি স্কুলে যায় সেই ক্ষেত্রে তাদের একে অন্যকে দুলাভাই ডাকা উচিত আপনার সূত্র অনুযায়ী।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভাইরে, আমার কোন সূত্র নেই।
আমি কোন বিজ্ঞানী নই।
আমি এক জন অধম নাখান্দা মানুষ।
৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: আপাও বলতে শুনেছি।তবে গল্পের মান খুব নিচু।দেশ ,সমাজ,রাজনীতি বা সাহিত্যনিয়ে আলাপ খুব কম হয়।আমি এমনও বলতে শুনেছি,জানেন ভাবি আমার বাচ্চার ইয়েটা না খুব ছোট।অন্যেরা ফোড়ন কাটে,ভাইয়েরটাতো ঠিক আছে!
আমার স্ত্রী সরকারী চাকরি করায় আমাকে মাঝে মাঝে যেতে হতো বাচ্চাকে স্কুলে দিতে আসতে বা নিয়ে আসতে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি বলতে গেলে সপ্তাহের ৭ দিনই শুনি।
আমাদের নারী সমাজ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায় ।
অপেক্ষা করতে কষ্ট হয়।
কেননা, অপেক্ষা করার সঙ্গী হিসাবে কোন ভদ্রলোককে খুঁজে পাই না।
আফসোস!
১০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: নারীকে ছোট করছি না।এটা আমার স্বভাবে নেই।যা সত্যি তাই বললাম।কেউ ভুল বুঝতে পারে।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সত্য হচ্ছে কঠিন।
কঠিনেরে বাসিয়াছি ভালো।
১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার স্ত্রী একদিন শোনালো যে এক ভাবি নাকি স্কুলে গিয়ে আরেকজনের সাথে আলাপ করছে যে তারা স্বামী- স্ত্রী বেডরুমে না বরং বাথরুমেই সেরে ফেলে।
আমিও কামাল১৮ এর মত কোন নারীকে ছোট করার জন্য বলছি না। বলছি যা শুনেছি তাই। কেউ ভুল বুঝতে পারে। আশা করি বিষয়টা পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক। প্রাসঙ্গিক না হলে মুছে দিতে পারেন।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বলেন কি!
বড়ই আচানক ঘটনা তো!
১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২১
করুণাধারা বলেছেন: ভালো পর্যবেক্ষণ!! তবে আমার মনে হয়, এদের জীবনে সন্তানের লেখাপড়া ছাড়া আর কিছু নেই। তাই হয়তো আড্ডার মাধ্যমে একঘেয়েমি কাটায়।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জানি না আপনি সঠিক কিনা।
সঠিক হতেও পারেন।
তবে ঢাকা শহরে বাস করলে সবাইকেই যেতে হয় ।
১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের ডায়লগ গুলো আপনার খুবপ পছন্দ।
আমারও পছন্দ।
বড়ই আচানক ঘটনা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি সঠিক বলেছেন।
আপনার বুদ্ধি ভালো।
আপনার বুদ্ধির কোন কুল কিনারা নাই।
১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কর্মঘণ্টা অপচয়ের অসাধারণ উদাহরণ এগুলো।
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার স্ত্রী একদিন শোনালো যে এক ভাবি নাকি স্কুলে গিয়ে আরেকজনের সাথে আলাপ করছে যে তারা স্বামী- স্ত্রী বেডরুমে না বরং বাথরুমেই সেরে ফেলে।
অনেক প্রেমিক প্রেমিকা তো পার্কের ভিতর কাম সারে। সিএনজি'র ভিতর হাতাহাতি করে। সবই সময়ের চাহিদা।
০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
জীবন চলে জীবনের গতিতে।
প্রয়োজন আইন জানে না।
প্রেম কোন আইন মানে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দারুণ গবেষণা ব্যাপারটা আমিও লক্ষ্য করেছি। তবে এত গভীরভাবে ভাবিনি।