নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাউন্টারের লোকটি বললেন- ডেঙ্গুর টেস্টে কোন ডিসকাউন্ট নেই! *************************************

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৭

ডেঙ্গুর সিজন চলছিল। আশেপাশের কম বেশী সবারই ডেঙ্গু হচ্ছিল। খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। এই বুঝি সে ঘরে এলো।
শেষ পর্যন্ত রক্ষা হলো না। আমার একমাত্র পুত্র এডিস মশার কামড়ের প্রথম শিকার হলো। রাতে ভালো মানুষ ঘুমিয়েছিল। সকালে স্কুলে যেতে হবে। কিন্তু ঘুম ভাঙ্গছে না। মাথায় হাত দিয়ে দেখি প্রচন্ড জ্বর। পুত্রের খালামণিকে কল করলাম। তিনি বললেন- দ্রুত ব্লাড টেস্ট করাতে।

বাসার কাছে সিটি হসপিটাল। গেলাম সেখানে। টাকা পরিশোধ করে ব্লাড স্যাম্পল দিতে গিয়ে ভিমরি খেলাম। যে রুমে স্যাম্পল নেয়া হচ্ছে সেটা খুবই অপরিস্কার একটা রুম। ৩/৪ জন বসে জম্পেশ আড্ডা দিচ্ছিল। আমরা দুজনে দরজার সামনে অপেক্ষা করছিলাম। তারা আর ডাকে না। বেশী দেরী হচ্ছে দেখে নিজেই রুমে ঢুকে পড়লামঃ আমার ছেলে রক্তের স্যাম্পল দিতে হবে। এখানেই কি নেয়া হবে?

মনে হলোঃ তারা খুব চেতে গেছে। যাক তারা তাদের ময়লা হাতে রক্তের স্যাম্পল নিল। তুলনামূলকভাবে বেশী ব্যাথা পাওয়া গেছে বলেই আমার ছেলে জানালো।

ঠিক করলাম নেক্সট টেস্ট এখানে করবো না। যারা ন্যুনতম পরিচ্ছন্নতা মেনে চলে না তাদের সাথে আমি নেই । এবার গেলাম ইবনে সিনা, ধানমন্ডিতে। সেখানে গিয়ে দেখি শত শত লোক। তারা সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে। প্রথমে পেমেন্ট কাউন্টারে গিয়ে লাইনে দাঁড়ালাম। বিরাট লাইন। তবে অতবেশী সময় লাগল না।

ডেঙ্গুর জন্য প্রথমেই যে টেস্টটি করতে হয় তার নাম Complete Blood Count (CBC) এর মূল্য সরকার কর্তৃক নির্ধারিত। আমি পেমেন্ট কাউন্টারে দায়িত্বরত ব্যক্তি কাছে জানতে চাইলাম- সিবিসি টেস্টের জন্য কত টাকা লাগে। উনি বললেন- ৫০০ টাকা। আমি বললাম- আপনাদের এখানে তো সব টেস্টে ২৫% ডিসকাউন্ট আছে শুনেছি। উনি বললেন- সব টেস্টে ২৫% ডিসকাউন্ট থাকলেও এই টেস্টে নেই।
-কেন নেই।
- কারণ এটা সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। তাই এখানে ডিসকাউন্ট দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
- এই ৫০০ টাকা কি আপনারা সরকারের কোষাগারে জমা দিবেন?
- না তা কেন দিব?
- তাহলে ডিসকাউন্ট কেন দিবেন না?

এবার উনি উনার যুক্তি প্রদর্শন করলেন। সারা দেশে ডেঙ্গুর মৌসুমে হাজারে হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়। অবধারিতভাবে তখন মানুষকে কয়েকবার টেস্ট করাতে হয়। এই চান্সে টাকা কামানোর হিড়িক পড়ে যায় । তখন যে যার মতো টাকা রাখতেন। কোন জায়গায় এই টেস্ট নিত ১০০০ টাকা । কোন জায়গায় ১৫০০ টাকা। কোথাও বা তার চেয়েও বেশী। ফলে মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার তখন কিছু টেস্টের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

আর যেহেতু সরকার বলেছেন- ৫০০ টাকা নিতে তাই ইবনে সিনা এই টেস্টে কোনপ্রকার ডিসকাউন্ট দিবে না।
আমি বললাম- যেহেতু এই ৫০০ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হবে না এবং সরকার ডিসকাউন্ট দিতে নিষেধও করেনি আর আপনারা তো আপনাদের ওয়েব সাইটে এই কথা উল্লেখও করেননি।

- ভাইরে, বাদ দেন। বাংলাদেশে কেউ ওয়েবসাইট পড়ে?

সে যাই হোক। আমার যুক্তিতে কোন কাজ হবে না। তাদের দোকান। তারা ডিসকাউন্ট দিলেও পারে না দিলেও পারে। তাদের ইচ্ছা।

হুদাই ১০০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে ডিসকাউন্টের আশায় ১ ঘন্টা ঠেলাঠেলি করে লাইনে দাঁড়িয়ে রইলাম। এর চেয়ে মোঃপুর থানার পাশের আল মানারের সার্ভিস অনেক বেশী ভালো।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: ঢাকার বাসিন্দারা দেশের গ্রামান্চলের তুলনায় একটু বেশী নোংরা ও নিষ্ঠুর। ক্লিনিকগুলোর মধ্যে পপুলার তুলনামুলক ভাবে একটু বেশী পরিচ্ছন্ন ও রোগী বান্ধব। খরচতো কম-বেশী সবখানেই আছে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমি সব চেয়ে খারাপ সার্ভিস পেয়েছি পপুলার থেকে।
আমার প্রচন্ড ঘৃণা লেগেছিল।

আমার এই পোস্টখানা পড়ুন।

২| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনার পপুলারের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টা বিচ্ছিন্ন ঘটনা কিনা ভাববার বিষয়। আমি গ্রাম থেকে গিয়েও ভালো সার্ভিস পাওয়ার কারনটা বুঝলাম না। মাস তিনেক আঘে গিয়েছিলাম।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ওই ব্যাটারা খুবই খারাপ ।
তাদের সার্ভিস আরো বেশী খারাপ ।

৩| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

আমি সাজিদ বলেছেন: খুবই দুঃখজনক।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমার মানুষ ভালো না।
কি আর করা।

৪| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: খুটিয়ে খুটিয়ে দেখার অভ্যাস আপনার আছে। তাই আপনার যন্ত্রনা বেশি। ছাড় দিতে শিখুন। নইলে আনন্দ নিয়ে বেচে থাকতে পারবেন না।

ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে আমার ভাতিজার ডেঙ্গু টেস্ট করিয়েছি। ৯ শ' টাকা নিয়েছে। আমাদের ভাগ্য ভালো ২৫% ছাড় দেওয়ার পর ৯শ' টাকা নিয়েছে।

২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আপনি বড়লোক মানুষ।
আপনার সাথে কার তুলনা।
ডেঙ্গু টেস্টে কোন ডিসকাউন্ট হয় না।
আপনি উদার মানুষ ।

৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৪

শায়মা বলেছেন: ডেঙ্গু টেস্ট একদম ফ্রি করে দেওয়া উচিৎ সকল হসপিটালে।

২২ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমারও একই কথা।
মানুষ বিপদে পড়েছে। কেননা, এই টেস্ট কয়েকবার করাতে হয়।
আর খরচ? সামান্য একটু রিএজেন্ট হয়তো লাগে।
বাকিটা তো পুরোই লাভ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.