নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
আমাদের গ্রামের এক প্রতিবেশীর কথা মনে পড়লো। সে একজন ভালো ও দক্ষ ঝালাইকারী( Welder) । সিঙ্গাপুরের কোন এক জাহাজ নির্মাতা কোম্পানীতে কাজ করতো। তার খুব সুনাম ছিল সেখানে। বেতন যা বেতন তা বেশ আকর্ষণীয় বলা যেতে পারে। প্রবাসী বাংলাদেশীরা তাকে নিয়ে রীতিমতো হিংসা করতো। সেই ছেলে আমার প্রতিবেশী। এটা তো বেশ গর্বের ব্যাপার। তবে সম্প্রতি সে দেশে চলে এসেছে চিরতরে। তার চাকরি নট। কোম্পানীর নাকি আর লোক দরকার নেই।
অনেক দিন বিদেশে থাকার পর আমি অবশেষে দেশে ফিরে এলাম । দেশে আসার পর একবারও ওর সাথে দেখা হয়নি। কথা যে বলবো তারও কোন উপায় নেই। তার ফোন নম্বর নাই। যাই হোক কোন উপায়ে তার ফোন নম্বর যোগাড় করতে পারলাম এবং অনেক আগ্রহ নিয়ে তাকে ফোন করলাম।
নানা বিষয়ে খবর নেবার পর আমার স্বভাব সুলভ প্রশ্নটি করলাম।
- বাড়িতে গরু আছে কয়টা?
- কোন গরু নেই।
- গরু নেই কেন?
- এতো ঝামেলা করতে ভালো লাগে না।
- মুরগী নেই? মুরগী আছে কয়টা?
- মুরগীও নেই।
বলিস কি! গরু নেই। আবার মুরগীও নেই । এইটা কোন কথা। গ্রামের বাড়িঘর। সেখানে গরু থাকবে। হাঁস থাকবে। মুরগী থাকবে। ছাগল থাকবে। থাকবে পুকুর। পুকুর ভর্তি নানা জাতের মাছ। পানিতে ভেসে বেড়াবে হংসমিথুন।
সে বলল- এই সব ঝামেলা করতে ভালো লাগে না।
মানুষের হাতে কয়টা টাকা হবার পরই তারা শিকড়কে ভুলে যেতে বসেছে। তারা জানে না, কৃষিই হচ্ছে পৃথিবীর সব চেয়ে পুরাতন শিল্প। এই শিল্পরে আমরা সবাই শিল্পী। আমরা কেন কৃষিকে দূরে রাখবো।
সামান্য কৃষিকাজ করলে প্রতিদিনের বাজারের লিস্টটা দিনে দিনে ছোট হয়ে আসতে পারে। এই সামান্য বিষয়টা আমাদের বুঝে আসেনা।
আফসোস!
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনে একবার দেশে আসেন।
দেখেন। বুঝেন।
তারপর চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ ভাবুন।
ইউরোপে অবস্থান করে বাংলাকে বুঝা যাবে না।
বাংলাকে বুঝতে হলে বাংলায় অবস্থান করতে হবে।
সবাই কেবল কিনতে চায়। কেননা, নগদ টাকা হয়ে গেছে।
কেউ দালালী করে টাকা কামায়।
কেউ নেতাগিরি করে টাকা কামায়।
কেউ অফিসে এই সেই করে টাকা কামায়।
তাই সবাই কেবল কিনতে চায়।
বাজারে এতো জিনিস কোথায় যে সবাই কিনতে পারবে? কারণ প্রবাসী কামলারা কেবল টাকা পাঠায় । দেশে কোন উৎপাদন নেই। কেবল ক্রেতা আছে। তাই প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
এক বছর আগেও যেই ডলারে দাম ছিল ৮৭ টাকা । সেই ডলার কিনতে গেলে এখন ১২০ টাকারও বেশী লাগে।
আসুন।
দেখুন।
বিচার করুন।
২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আপনার পোষ্ট পড়ে ভালো লেগেছে কিন্তু একমত হতে পারছিনা।
কৃষিকাজ, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী পোষা ভালো অভ্যাস, আমরা শহরে থেকেও এগুলো পারিবারিকভাবে করে এসেছি।
কিন্তু যারা এগুলো করেনা তাদেরকে এভাবে বলা যায় না যে 'কয়েকটা টাকা হবার পর শিকড়কে ভুলে গেছে।'
গরু ছাগল না পালার সাথে শেকড়ের কি সম্পর্ক রে ভাই?
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কয়েকটা টাকা হবার পর শিকড়কে ভুলে গেছে।'
গরু ছাগল না পালার সাথে শেকড়ের কি সম্পর্ক রে ভাই?
কোন সম্পর্ক নাই।
না থাকাই তো ভালো। বরং সম্পর্ক থাকলেই জ্বালা।
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমি তো মুখিয়ে আছি, শহুরে জীবনের যদি ইতি টানতে পারি তবে নিজের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজে উৎপাদন করে খাবার খুব ইচ্ছে।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সেটাই । কবি বলেছেনঃ ফিরে চল মাটির টানে।
ঢাকা কোন বসবাসের জায়গা নয়।
নরক। সাক্ষাৎ নরক।
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২১
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: গ্রামে অনেকেই এখন গরু, মুরগী পোষেনা।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি গ্রামে গিয়ে হতাশ হয়ে যাই। গ্রামকে এখন সবাই শহর বানাতে চায়।
শহরের সুবিধা থাকতে পারে। তাই বলে গ্রামের সুবিধা তো ফেলে দেবার নয়।
৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন সবই ফার্ম সিস্টেমে চলে গেছে কেউ আর গ্রামে গরু মুরগী পালেনা।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তবে পালা উচিত।
আগে গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে এগুলো ছিল।
ফার্মের জিনিস তো কেউ মজা করে খায় না।
ঠেকার কাম চালায় ।
৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
মিরোরডডল বলেছেন:
ইউরোপে অবস্থান করে বাংলাকে বুঝা যাবে না।
বাংলাকে বুঝতে হলে বাংলায় অবস্থান করতে হবে।
বছরে এক থেকে দুইবার, কখনও তিনবারও বাংলাদেশে যাওয়া হয়, সারাবছরে একটা নির্দিষ্ট সময় বাংলাদেশে কাটানো হয় ফ্যামিলির সাথে। আর তখন গ্রামেও যাওয়া হয়। দেশের অবস্থা কাছ থেকে দেখি এবং অনুভব করি।
সবাই কেবল কিনতে চায়। কেননা, নগদ টাকা হয়ে গেছে।
কেউ দালালী করে টাকা কামায়।
কেউ নেতাগিরি করে টাকা কামায়।
কেউ অফিসে এই সেই করে টাকা কামায়।
তাই সবাই কেবল কিনতে চায়।
আসলে বিষয়টা হচ্ছে সবাই বাঁচতে চায়। বাঁচার জন্য টাকার দরকার।
যে যেভাবে পারছে কিছু না কিছু করছে, জীবনটাকেতো চালিয়ে নিতে হবে।
গরু ছাগল হাঁস মুরগি পালনই একমাত্র ওয়ে অভ লিভিং না।
অনেক কিছুই আমরা বলতে পারি, কারণ বলা সহজ কিন্তু করা সহজ না।
তাই প্রতিদিনই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
প্রথমে করোনা এবং পরবর্তীতে একের পর এক যুদ্ধ হচ্ছে এ পরিস্থিতির কারণ।
যেটা শুধু বাংলাদেশে না, সমগ্র বিশ্বে এখন জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া।
এক বছর আগেও যেই ডলারে দাম ছিল ৮৭ টাকা । সেই ডলার কিনতে গেলে এখন ১২০ টাকারও বেশী লাগে।
হ্যাঁ এটার কারণ আমরা সবাই অবগত।
২০০৮-৯ এর রিসেশনের কথা মনে নেই!
এবারেও ক্রাইসিস পিরিয়ড চলে গেলে আবার সব ঠিক হবে আশা রাখি কিন্তু সেটা যে কবে, উই ডোন্ট নো।
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গরু ছাগল হাঁস মুরগি পালনই একমাত্র ওয়ে অভ লিভিং না।
ভাইরে, মাপ চাই।
সাথে দোয়া চাই ফ্রি।
আমি কখন বললাম যে গরু ছাগল হাঁস মুরগি পালনই একমাত্র ওয়ে অভ লিভিং ।
৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বউ পালার পর আর এগুলো পালা লাগে না
১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কবি বলেছেনঃ বউ পালা আর হাতি পালা সমান।
আফসোস!
৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে এলে কেউ এমনিতেই দেশে কিছু করতে পারে না। কৃষি কাজেও আর মন দিতে পারে না...
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
প্রবাসে তো আর লাট সাহেব ছিল না।
কামলা দিয়ে খেত।
দেশে এসে নিজের বাড়িতে টুকটাক চাষ বাস করবে তাতেও ভারি লজ্জা।
৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: আপনার কয়টা গরু আছে? মুরগী আছে?
দেশে এসে করছেন টা কি?
মালয়েশিয়ার সংবাদ দিবে কে?
বাংলাদেশে কি কৃষি বিপ্লব হয়েছে?
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আমি এখন এক ভোগে মরা রোগী। মরার অপেক্ষায় আছি।
আমার জায়গা নেই। জমি নেই। ঘরবাড়ি কিছুই নেই।
একটা ডেরা ভাড়া নিয়ে আছি।
বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লব হতে পারতো। কিন্তু বিপ্লব হয়েছে জনবিস্ফোরণের ।
আফসোস!
১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: বাড়ীর আঙ্গিনায় কিছু একটা করলে উপকারই হয়।সেটা গরু ছাগল হতে হবে এমন না।লতা পাতাও হতে পারে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
অবশ্যই। এখন কেউ শখের কৃষিও করতে চায় না।
শহরে আবার দেখা যায় উল্টোটা। সেখানে বিল্ডিং এর ছাদে মালিকপক্ষ ছাদবাগান করে।
গ্রামে কেউ বাগান করতে চায় না।
আফসোস!
১১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:১৭
বিষাদ সময় বলেছেন: কৃষি এখন আর গ্রামে নাই ভাই।
কৃষি এখন কৃষকের ক্ষেত থেকে প্রোমোশন পেয়ে অভিজাতের ছাদে চলে এসেছে। সেখানে তারা ১০০০ টাকা খরচ করে ১ টা লাউ উৎপাদন করে তৃপ্তির ঢেকুর তালেন আর বাজার থেকে ৫০ টাকার লাউ ৭০ টাকায় কিনতে হলে সব গেল গেল বলে গালি গালাজ করেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি অসাধারণ বলেছেন। আপনার হিউমার ভালো লেগেছে।
আপনার কথাগুলো সবাইকে বলার মতো।
১২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪৪
রানার ব্লগ বলেছেন: এটা সমসাময়িক বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের স্বাভাবিক রুপ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঠিক। কিন্তু এমন হবার কথা নয়।
কথা ছিল না।
১৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি যদি এখন ঢাকায় না থেকে গ্রামে থাকতেন তাহলে কি গরু মূরগী পুষতেন?
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনি বলেন তো আমি কি করতাম?
আর আপনি কি করতেন?
১৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৯
জুন বলেছেন: আমাদের ছোট বেলায় দেখেছি আমার আব্বা হাস মুরগী পালন করা ছাড়াও অনেক ফুল আর ফলের গাছ বুনতেন। প্রায় ৩০/৩৫ টি মোরগ মুরগী ছিল। নিজ হাতে খাবার মেখে দিতেন। বিদেশী মুরগীর সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে আনা দুটো বিশাল আকৃতির বুনো মোরগ ছিল। তারা পেছনের উঠানে খেত ঘুরতো আর রাত হলে সেখানে রাখা খাচায় থাকতো।
বড় খাচায় টিয়া পাখি আর ময়না পুষতেন।
সেই সাথে প্রচন্ড সাহিত্যমনা ছিলেন। রবীন্দ্র নাথ নজরুল শরৎচন্দ্রের লেখা গল্প কবিতা থেকে পাতার পর পাতা হুবুহু মুখস্থ বলতে পারতেন। নজরুল গীতি পছন্দ করতেন, অবসরে শুনতেন।। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন, এক ওয়াক্তও কাজা ছিল না আমৃত্যু ।
এখন মনে হয় চুরির ভয়ে কেউ এসব পোষে না । দেখেন না মানুষের দিঘীর হাজার হাজার মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলে শত্রুতা করে , বিঘার পর বিঘা ফলন্ত গাছ গোড়া থেকে কেটে দেয় । এসব তো আগে ছিল না সাজ্জাদ হোসেন।
ভালোলেগেছে আপনার লেখাটি।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আপনাকে ধন্যবাদ। আপু।
ভালো থাকবেন সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৪
মিরোরডডল বলেছেন:
কৃষিই হচ্ছে পৃথিবীর সব চেয়ে পুরাতন শিল্প। আমরা কেন কৃষিকে দূরে রাখবো।
এটুকু পর্যন্ত ঠিক আছে সাজ্জাদ।
তার মানেই এই না গ্রামের সব ঘরেই মুরগি গরু ছাগল, পুকুরে হাঁস মাছ থাকতেই হবে।
আর না থাকলে আমরা ধরেই নিবো
কয়টা টাকা হবার পরই তারা শিকড়কে ভুলে বসেছে।
ভালো কাজে উৎসাহ দেয়া ভালো, কিন্তু কারো অপারগতার কারণে নেগেটিভ ধারণা পোষণ করা ঠিক না।
ভদ্রলোকতো বলেই দিয়েছেন ওনার এসব করা ঝামেলা মনে হয়, এটা তার মনে হতেই পারে, উনি হয়তো অভ্যস্ত না।
যার যেভাবে ভালো লাগে সে সেভাবেই থাকবে, সবাইকে সবকিছুতে একরকম হতেই হবে কেনো!
আর না হলেই অভিযোগ।