নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়েশিয়াতে Covid 19 : বিদ্যুতের বিল কমে গেল অর্ধেক!

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০১

মালয়েশিয়াতে এই মুহূর্তে প্রচুর ফ্লাইওভারের কাজ চলছে। ছবিতে আম্পাং অঞ্চলের একটি ফ্লাইওভারে বাংলাদেশী শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা যাচ্ছে।


মালয়েশিয়াতে কভিড নাইনটিন এর কারণে চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ বা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বহাল করা হয় ১৭ মার্চ ২০২০ তারিখ থেকে। এরপর ধাপে ধাপে তার মেয়াদ বাড়ানো হয় । সর্বশেষ গত কাল এই মেয়াদ বৃদ্ধি করে একত্রিশে ডিসেম্বর 2020 পর্যন্ত করা হয়েছে।

চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ, এটাকে সাধারণ মানুষ লকডাউন নামে অভিহিত করে থাকে। প্রথমদিকে চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশের সময় ঘর থেকে বাইরে বেরোনোর উপায় ছিল না প্রচুর ভাবে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা হতো। মালয়েশিয়াতে সংক্রমণের হার খুবই কম। এখানে এখন যে মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার বহাল আছে তাকে বলা হয় রিকভারি মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার। চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশ বহাল থাকার সময় মানুষজন সভাপতি ঘরের বাইরে যেতে পারে না ফলে বিদ্যুতের ব্যবহার ও বেশি হয়।

এখানে প্রতি মাসে যথাসময়ে বিদ্যুতের বিল বাসায় দিয়ে যায়। কিন্তু চলাচল নিয়ন্ত্রণ আদেশের সময় প্রথম তিন মাসে কোন বিদ্যুতের বিল না পেয়ে অনেকটাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলাম ।

কোনো না কোনো কারণে বিদ্যুতের বিল বকেয়া হয়ে গেলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তাহলে খুবই বিপদে পড়ে যাব।

ঠিক তখনই সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারলাম সরকার বিদ্যুতের বিল কমিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে এ কারণে বিদ্যুতের বিল আসতে দেরি হচ্ছে।

এরই মধ্যে গতকাল বিদ্যুৎ অফিস থেকে বিদ্যুৎ বিলের নতুন কপি এসেছে। আমি পুরোটা বুঝতে না পেরে
তারা তা লিখেছে সেটাই পরিশোধ করে দেই। গতকাল দেখি আর একটি বিল এসেছে সেখানে আমার বিদ্যুৎ বিল এসেছে -173 রিংগিত!

তার মনে আমাকে আগামী মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ না করলেও চলবে। কেননা ইতিমধ্যেই আমার হিসাবে 173 রিঙ্গিত অতিরিক্ত জমা হয়ে গেছে।

মালয়েশিয়ার সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পহেলা এপ্রিল থেকে একত্রিশে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদ্যুতের বিল অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে এটা বিশেষ করে আবার সিম ব্যবহারকারীদের জন্য।


যেসব আবাসিক বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী বিদ্যুতের ব্যবহার দুই শত ইউনিট এর মধ্যে সীমিত রাখতে পারবে তাদের বিল প্রচলিত সময়ের চেয়ে 50% কম নেয়া হবে।

এছাড়া রয়েছে আরও অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা । কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিল একেবারে ও মাফ করে দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
আমাদের দেশের সংক্রমনের হার কিছুটা কমলেও,
মৃত্যুহার আগের মতোই অপরিবর্তিত আছে।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার আশংকা আগামী শীতকালে বাংলাদেশের অবস্থা একটু খারাপ হতে পারে।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের সরকারও ভালো।
তারা সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ রাখলেও নিয়মিত বেতন দিয়ে যাচ্ছেন।

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সরকারি প্রতিষ্ঠানে না হয় বেতন-ভাতা ঠিকই চলছে। কিন্তু বেসরকারি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ওদের কি অবস্থা?

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মালয়েশিয়ায় কি ধরণের ব্যবসায়িক সুযোগ আছে বিদেশীদের জন্য?

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য মালয়েশিয়া এখনো খুবই আদর্শ জায়গা।
এখানে বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা আসছে। বিশেষ করে অবৈধ কালো টাকার মালিক রা তাদের টাকা এখানে এনে বিনিয়োগ করছে।

ব্যবসা করার জন্য জায়গাটি খারাপ নয়। আমি অনেক বাংলাদেশি কানাডিয়ান দেখেছি যারা ক্যানাডা থেকে এখানে এসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছে।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: ভাল খবর ! কিন্তু আমাদের তো সব নর্মাল- সরকার হয়তো বিদ্যুৎ বিল বাড়ানোর পায়তারা করছে!!!

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি নিজেও ধারনা করতাম যে জুন-জুলাইয়ের শেষ থেকে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমবে। কিন্তু জুন জুলাই আগস্ট শেষ হয়ে এখন সেপ্টেম্বর শুরু হতে চললো। কিন্তু ভাইরাসের আক্রমণের হার আগের মতই আছে।

এখন ধারণা করা যায় যদি এটা আগামী শীতকাল পর্যন্ত চলে তাহলে হয়ত সর্বনাশ হতে পারে।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪

জুন বলেছেন: আর আমাদের বিভিন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করে বিদেশী শ্রমিকরা,
যেমন মেট্রো রেলের কাজ করছে যতদুর মনে হয় চীনা শ্রমিকরা

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন
এছাড়াও আমাদের দেশে ভারত পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার প্রচুর লোকজন কাজ করে।

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় ভারতে যে বিদেশি রেমিটেন্স আসে তার মধ্যে অন্যতম প্রধান একটি দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ থেকে তারা প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে।।

আর বাংলাদেশের মানুষ কাজের জন্য হাহাকার করে। ঘরবাড়ি বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমায়।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মালয়শিয়ায় জনগণকে ভালবাসে এমন লোক সরকারে আছে। তারা সত্যকার জননেতা

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আসলে মালয়েশিয়া আয়তনে বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় সাড়ে 3 গুণ বড়। তাদের হাতে সম্পদ রয়েছে প্রচুর। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে। প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশি কলকারখানা আছে সেখানে। ফলে মানুষ জনের মাঝে তেমন কোনো অভাব নেই।

পক্ষান্তরে বাংলাদেশ আয়তনে খুবই ছোট একটি দেশ। জনসংখ্যা মালয়েশিয়ার প্রায় ছয় গুণ। সম্পদ বলতে তেমন কিছু নেই ।। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা স্বাধীনতার পর থেকেই ছিল না। তেমন কোন কলকারখানা ও নেই যে মানুষ প্রচুর পরিমাণে কাজ পাবে।

৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: সরকারি প্রতিষ্ঠানে না হয় বেতন-ভাতা ঠিকই চলছে। কিন্তু বেসরকারি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ওদের কি অবস্থা?

বেসকারী স্কুল ওয়ালা ভালো নেই। তবে মাদ্রাসার হুজুররা বেসরকারি স্কুল থেকে ভালো আছে।

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: হুজুররা তো দাওয়াত খেয়ে আর গুরুদক্ষিণা নিয়েই সারা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে ভালো ভাবে। আমাদের ভাবতে হবে সাধারণ মানুষের কথা। সাধারণ মানুষই সব।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: এটাই হচ্ছে জনকল্যাণমুখি সরকারের দৃষ্টান্ত। আমাদের এখানে শুধু মূল্যবৃদ্ধিই ঘটে, মূল্যহ্রাসের দৃষ্টান্ত বিরল।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,





আমাদের বিদ্যুৎ বিল কিন্তু ভৌতিক ভাবে দুই-তিন গুন বেড়েছে। 8-|
এটা হলো সু-শাসন আর দুঃশাসনের উদাহরণ !


০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সব ই কপাল।
যেমন আমার -আমার মাইনাস বিল আসছে। তাই আগামী দুই মাস কোন বিল না দিলেও চলবে।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশের চোর ছ্যাচ্চোড়রা নিজেদের দেশকে উন্নত করার পরিবর্তে উন্নত দেশে টাকা পাচার করে দেশের আরো ক্ষতি করে।
সভ্য দেশে উৎসবে-দুর্যোগে সবকিছুর দাম কমে আর বাংলাদেশের মতো অসভ্যদের দেশে বাড়ে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.