নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলোচনা সভার শুরু হলো রাত নয়টার দিকে। সবার সভাপতি আলোচক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সবই তিনি। তিনি যে আলোচনা গুলো করলেন তার সারমর্ম হচ্ছে ঃ এতদিন তিনি অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেছেন। হেদায়েত থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিলেন। এসবের জন্য দায়ী হচ্ছে কুমন্ত্রণা দান করি শয়তান। মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এবার তার দিকে করুণার দৃষ্টি দিয়ে ফিরে তাকিয়েছেন। ফলে তিনি হেদায়েতের সন্ধান পেয়ে গেছেন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে তিনি প্রায়ই নানান বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করে থাকেন। এলাকার আয়োজনে বিভিন্ন ইসলামী জলসা ও ওয়াজ মাহফিলে তিনি এখন প্রথম দিকে বসেন। এই সব মাহফিলে দ্বীনের এমন সব আলোচনা হয় যেগুলো শুনে তার কলিজা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে । এতদিন তিনি কেন এগুলো জানতে পারলেন না। এটা তার জন্য বিরাট একটা আফসোসের ব্যাপার। তিনি পরিবারের মুরুব্বী ও অভিভাবক হিসেবে সকলের উদ্দেশ্যে বললেন,-তোমরা আমরা সবাই এতদিন ভুল পথে ছিলাম ।আল্লাহ চাহে তো আমাদের দ্বীনের রাস্তা খুলে গেছে। আমি ঠিক করেছি তোমরা সবাই এখন দিনের পথে শক্তভাবে চলাফেরা করবে। এর কোন অন্যথা হওয়া চলবে না। মেয়ে লোকের পর্দা টাই হচ্ছে আসল। তাদের জন্য অধিক পড়াশোনার কোন বিধান নাই। এমনকি দরকারও নাই । কি দরকার এত বেশি পড়াশোনা করে। শেষ পর্যন্ত স্বামীর সংসারই তো তার সব কিছু। তাহলে অযথা পড়াশোনার নামে দৌড়াদৌড়ি করে টাকা পয়সা নষ্ট করে পাপ কামানোর দরকারটা কী? তারপরেও যেহেতু তুমি স্কুলে যাতায়াত করছো বড়জোর এসএসসি টা দিতে পারো। এর বেশি আমি কোনো ভাবেই অনুমতি দিতে পারি না। তবে হ্যাঁ স্কুলে যাওয়ার সময় অবশ্যই ইসলামী পোশাক পরিধান করতে হবে। বোরখা হিজাব নেকাপ হাত পায়ে মোজা কোন কিছুই বাদ দেওয়া চলবে না। আমি চাইনা কোনভাবেই বেগানা পুরুষ তোমাকে দেখুক। আরেকটি কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। স্কুল-কলেজ হচ্ছে শয়তানের আখড়া। ওখানে পড়াশোনা করা আমি বরদাস্ত করবো না। কাল থেকে তোমরা মাদ্রাসায় ভর্তি হবে । আমি নিজে গিয়ে তোমাদেরকে ভর্তি করে দিয়ে আসবো। ছেলেমানুষ হয়েছ বলে যে তুমি মাফ পেয়ে গেছো সেটা না। তোমাকেও মাদ্রাসায় পড়তে হবে। এলেম অর্জন করবে সেটা অবশ্যই হতে হবে ইসলামী এলেম। ইহুদী নাসরাদের রচিত শয়তানি বই-পুস্তক পরে তোমরা শয়তানি শিক্ষা গ্রহণ করবে সেটা আমি মানতে পারি না। আরেকটি কথা তোমাদেরকে বলে দিতে চাই । আমাদের বাড়িতে আগামীকাল থেকে কোন টেলিভিশন থাকবে না। এই শয়তানের বাক্স তোমাদেরকে আল্লাহর হেদায়েত থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। যেটা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না। নাতি, তোমাকে বলছি। তোমার আজেবাজে ইহুদী নাসারাদের পোশাকগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদায় করে দাও। খলিফার কাছে গিয়ে ইসলামী পোশাক তৈরি করে নাও। খুব দ্রুতই আমি তোমার মুখমন্ডলে দাড়ি দেখতে চাই। কখনো যদি শুনতে পাই তুমি দাড়ি কমিয়েছো তোমার খবর আছে কইলাম! এভাবে আধা ঘন্টার মত বয়ান দিয়ে দাদাজান পারিবারিক বিশেষ সভার কার্যক্রম শেষ করলেন। ওদের দুজনের মাথায় যেন পুরো আকাশ ভেঙ্গে পড়ল । মনে হল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ঠা ঠা শব্দে বাজ পড়েছে। সারা রাত দুশ্চিন্তায় দুর ভাবনায় ওদের দুজনের কারোই ঘুম হলো না। অজানা এক আশঙ্কায় বুকের ভেতর কেবল দুরু দুরু করতে লাগলো। জীবনটা কোন দিকে যাচ্ছে ওরা ভেবে পেল না।

২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৪২



আলোচনা সভার শুরু হলো রাত নয়টার দিকে। সবার সভাপতি আলোচক সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সবই তিনি।

তিনি যে আলোচনা গুলো করলেন তার সারমর্ম হচ্ছে ঃ
এতদিন তিনি অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেছেন। হেদায়েত থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিলেন। এসবের জন্য দায়ী হচ্ছে কুমন্ত্রণা দান করি শয়তান।

মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এবার তার দিকে করুণার দৃষ্টি দিয়ে ফিরে তাকিয়েছেন। ফলে তিনি হেদায়েতের সন্ধান পেয়ে গেছেন।

স্থানীয় মসজিদের ইমাম সাহেবের সাথে তিনি প্রায়ই নানান বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করে থাকেন।

এলাকার আয়োজনে বিভিন্ন ইসলামী জলসা ও ওয়াজ মাহফিলে তিনি এখন প্রথম দিকে বসেন। এই সব মাহফিলে দ্বীনের এমন সব আলোচনা হয় যেগুলো শুনে তার কলিজা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে । এতদিন তিনি কেন এগুলো জানতে পারলেন না।
এটা তার জন্য বিরাট একটা আফসোসের ব্যাপার।

তিনি পরিবারের মুরুব্বী ও অভিভাবক হিসেবে সকলের উদ্দেশ্যে বললেন,-তোমরা আমরা সবাই এতদিন ভুল পথে ছিলাম ।আল্লাহ চাহে তো আমাদের দ্বীনের রাস্তা খুলে গেছে। আমি ঠিক করেছি তোমরা সবাই এখন দিনের পথে শক্তভাবে চলাফেরা করবে। এর কোন অন্যথা হওয়া চলবে না।

মেয়ে লোকের পর্দা টাই হচ্ছে আসল। তাদের জন্য অধিক পড়াশোনার কোন বিধান নাই। এমনকি দরকারও নাই । কি দরকার এত বেশি পড়াশোনা করে।

শেষ পর্যন্ত স্বামীর সংসারই তো তার সব কিছু। তাহলে অযথা পড়াশোনার নামে দৌড়াদৌড়ি করে টাকা পয়সা নষ্ট করে পাপ কামানোর দরকারটা কী?

তারপরেও যেহেতু তুমি স্কুলে যাতায়াত করছো বড়জোর এসএসসি টা দিতে পারো। এর বেশি আমি কোনো ভাবেই অনুমতি দিতে পারি না।

তবে হ্যাঁ স্কুলে যাওয়ার সময় অবশ্যই ইসলামী পোশাক পরিধান করতে হবে। বোরখা হিজাব নেকাপ হাত পায়ে মোজা কোন কিছুই বাদ দেওয়া চলবে না। আমি চাইনা কোনভাবেই বেগানা পুরুষ তোমাকে দেখুক।

আরেকটি কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। স্কুল-কলেজ হচ্ছে শয়তানের আখড়া। ওখানে পড়াশোনা করা আমি বরদাস্ত করবো না।

কাল থেকে তোমরা মাদ্রাসায় ভর্তি হবে । আমি নিজে গিয়ে তোমাদেরকে ভর্তি করে দিয়ে আসবো।

ছেলেমানুষ হয়েছ বলে যে তুমি মাফ পেয়ে গেছো সেটা না। তোমাকেও মাদ্রাসায় পড়তে হবে। এলেম অর্জন করবে সেটা অবশ্যই হতে হবে ইসলামী এলেম। ইহুদী নাসরাদের রচিত শয়তানি বই-পুস্তক পরে তোমরা শয়তানি শিক্ষা গ্রহণ করবে সেটা আমি মানতে পারি না।

আরেকটি কথা তোমাদেরকে বলে দিতে চাই । আমাদের বাড়িতে আগামীকাল থেকে কোন টেলিভিশন থাকবে না। এই শয়তানের বাক্স তোমাদেরকে আল্লাহর হেদায়েত থেকে দূরে সরিয়ে দিতে পারে। যেটা আমি কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না।


নাতি, তোমাকে বলছি। তোমার আজেবাজে ইহুদী নাসারাদের পোশাকগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদায় করে দাও। খলিফার কাছে গিয়ে ইসলামী পোশাক তৈরি করে নাও। খুব দ্রুতই আমি তোমার মুখমন্ডলে দাড়ি দেখতে চাই। কখনো যদি শুনতে পাই তুমি দাড়ি কমিয়েছো তোমার খবর আছে কইলাম!

এভাবে আধা ঘন্টার মত বয়ান দিয়ে দাদাজান পারিবারিক বিশেষ সভার কার্যক্রম শেষ করলেন।

ওদের দুজনের মাথায় যেন পুরো আকাশ ভেঙ্গে পড়ল । মনে হল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে ঠা ঠা শব্দে বাজ পড়েছে।

সারা রাত দুশ্চিন্তায় দুর ভাবনায় ওদের দুজনের কারোই ঘুম হলো না। অজানা এক আশঙ্কায় ব

উনিশশো নব্বই সালের মাঝামাঝি কোন এক রাতে কুয়েত আক্রমণ করে উহা দখল করে নেন ইরাকের স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেন। তাকে প্রতিহত করার জন্য সে সময় আমেরিকান নেতৃত্বাধীন জোট ইরাক আক্রমণ করে।

সেই সময় তার অসংখ্য সমর্থক ছিল বাংলাদেশে। খুবই কড়া সমর্থক। তারা অনেকে সাদ্দাম হোসেনের ছবি হাতে নিয়ে অনেক মিছিল করেছে । এমনকি অনেক কড়া সমর্থক তাদের নবজাতকের নাম রেখেছিলে সাদ্দাম হোসেন।

১৯৯০ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত সময়ে জন্মগ্রহণকারী সাদ্দাম হোসেনদের একটা বড় অংশ এখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছে। বিভিন্ন জায়গায় এখন বেশ বড়োসড়ো সাদ্দাম হোসেন দেখতে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে সাদ্দাম হোসেনের এত সমর্থক কেন ? এর কারণ আমি আজও খুঁজে পাইনি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এর কারণ হলও আমরা হুজুগে বাঙালি। কোনও জিনিসের গভীরে না যেয়ে সবাই যা করে আমরাও তা করি।

২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি খুবই চমৎকার বলেছেন।

২| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় কারনে সাদ্দাম সাহেব বাংলাদেশে কিছু মানুষের প্রিয়।

আপনাকে একটা তথ্য দেই-
যখন কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের পতন হয়- তখন ওই শহরের মানুষ লুটপাতে মেতে উঠে। সাদ্দামের সময় দেখেছি- তার প্রিয় জনগনেরা তার মিতুতে কান্না না করে লুট করার ব্যস্ত ছিলো। ঠিক রাজিব গান্ধী মারা যাবার পরও খুব লুটপাট হয়েছিলো।

২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: রাজিব গান্ধী মারা গেলে ও তাঁর দল ছিল ক্ষমতায়।
তাই সেই ধরনের লুটপাট হয়নি ।
ওই সময়কার পত্র পত্রিকা আমি পড়েছি।

৩| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫০

খায়রুল আহসান বলেছেন: হুজুগের কারণেই এমনটা হয়।

২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। আমি নিজেই সে সময় উনার সর্মথক ছিলাম। এখন আর উনাকে সর্মথন করি না। তবে উনার শোচনীয় করুণ মৃত্যুও আমি সমর্থন করি না।

৪| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫০

আদম_ বলেছেন: You are right. I had known a man who was a fertilizer businessman, he had a big picture of Saddam and that was hanged in his shop, every morning he gave Agarbati to the picture- like puza. The stupid businessman died in his sleep before died of Saddam, otherwise I could have seen what he does after Saddam's execution.

২৩ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: He was a real fan of Mr. Saddam Hussein, the Iraqi Dictator. In our society you may find this type of many Fans. Sometimes they are harmful to the society and sometimes they are very innocent.

Thank you so much for your good comment. Best regards.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.