নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেমন হবে বেহেস্তের জীবন

১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

জান্নাত বা বেহেশত মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালার এক অসামান্য উপহার।
এর মর্তবা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না।


মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা মুমিনের জন্য তৈরি করে রেখেছেন চিরসুখের জান্নাত। এই জান্নাত কেমন, তার বর্ণনা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা পবিত্র কোরআন মাজিদে বিশ্বনবী হুজুর পাক (সা.) হাদিসে সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন।

জান্নাত আরবি শব্দ। এর অর্থ উদ্যান বা বাগান। মহানবী (সা.) বলেছেন, আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেন, আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন সব নিয়ামত প্রস্তুত করে রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং কোনো মানুষের মনে এ সম্পর্কে কোনো ধারণাও জন্মেনি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯৪)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে মুমিনদের জন্য মোতির গাঁথুনি করা একটি তাঁবু আছে। এর উচ্চতা ৩০ মাইল। এর প্রত্যেক কোণে মুমিনদের জন্য এমন নারীরা থাকবে যাদের কেউ দেখেনি। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯৩)


আনাস ইবন মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত,

হুজুর পাক রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ রয়েছে, কোনো সওয়ারি তার ছায়ায় এক শ বছর ধরে চললেও তা অতিক্রম করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯০) ।

আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এরশাদ করেন, ‘হে নবী! যারা ঈমান আনে এবং সত্কর্ম করে, তাদের সুখবর দিন, তাদের জন্য রয়েছে এমন জান্নাত, যার পাদদেশে নহরসমূহ প্রবহমান থাকবে। যখনই তাদের ফলমূল খেতে দেওয়া হবে, তারা বলবে, এরূপ ফলই তো আগে আমাদের দেওয়া হতো। তাদের বাহ্যিক দৃষ্টিতে একই ধরনের ফলমূল দেওয়া হবে (তবে স্বাদ হবে ভিন্ন)। আর সেখানে তাদের জন্য রয়েছে পবিত্র সঙ্গী। তারা সেখানে অনন্তকাল বসবাস করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫) জান্নাতে থাকবে চারটি নদী—একটি পানির, একটি মধুর, একটি দুধের এবং একটি শরাবের।


নবী করিম (সা.) বলেছেন, আমার ৭০ হাজার উম্মত একসঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের চেহারা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৮৯)

আবু হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত,

তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলের চেহারা হবে ১৪ তারিখের চন্দ্রের মতো। জান্নাতে তাদের থুতু আসবে না। নাকে সর্দি ঝরবে না, মলত্যাগ করতে হবে না। তাদের ঘাম মেশকের মতো সুগন্ধিযুক্ত হবে। প্রত্যেকে দুজন করে এমন স্ত্রী পাবে, অত্যধিক সৌন্দর্যের কারণে তাদের মাংস ভেদ করে হাড়ের ভেতরের মজ্জাও দেখা যাবে। জান্নাতিদের মধ্যে মতভেদ দেখা দেবে না। পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হবে না। সবাই এক মন, এক প্রাণ হয়ে থাকবে। সকাল-বিকাল তারা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণায় রত থাকবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৯৯৫)

হুজুর (সা.) আরো বলেন, জান্নাতিরা অসুস্থ হবে না, কখনো তাদের নাকে সর্দি ঝরবে না। থুতু আসবে না। তাদের বাসন হবে সোনা ও রুপার। চিরুনি হবে স্বর্ণনির্মিত। তাদের আংটিসমূহ মুক্তার মতো চিকচিক করতে থাকবে। (বুখারি, হাদিস : ২৯৯৬)

জান্নাতিরা হবে ৩৩ বছরের যুবক-যুবতি, দৈর্ঘ্যে হবে ৬০ হাত, জান্নাতিরা অতি উজ্জ্বল চেহারার অধিকারী। জান্নাতে যে ফলমূল দেওয়া হবে, তা দেখতে এক রকম হলেও স্বাদে-গন্ধে হবে ভিন্নতর ও বৈচিত্র্যময়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘তারা পরিধান করবে চিকন ও পুরু রেশমি বস্ত্র এবং মুখোমুখি হয়ে (গদিতে) বসবে।’ (সুরা দোখান, আয়াত : ৫৩)


জান্নাতি রমণীদের কোরআনের ভাষায় বলা হয় ‘হুর’। এ শব্দটি কোরআন মাজিদের চারটি সুরায় ব্যবহূত হয়েছে।

প্রথমত, সুরা দোখানের ৫৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি তাদের আনতলোচনা স্ত্রী দেব।’

দ্বিতীয়ত, সুরা তুরের ২০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তারা সারিবদ্ধ সিংহাসনে হেলান দিয়ে বসবে। আমি তাদের আনতলোচনা হুরদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দেব।’

তৃতীয়ত, সুরা আর রাহমানের ৭২ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘(জান্নাতিদের জন্য রয়েছে) তাঁবুতে অবস্থানকারিণী হুরগণ।’ চতুর্থত, সুরা ওয়াকেয়ার ২২ থেকে ৩৭ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তথায় (জান্নাতে থাকবে) আনতনয়না হুরগণ, যারা আবরণে রক্ষিত মোতির মতো। তারা যা কিছু করত তার পুরস্কারস্বরূপ। তারা তথায় (জান্নাতে) অবান্তর ও কোনো পাপবাক্য শুনবে না, শুনবে সালাম আর সালাম (শান্তি, শান্তি)। যারা ডান দিকের দল, কত ভাগ্যবান ডান দিকের দল। তারা থাকবে এমন উদ্যানে, যেখানে আছে কাঁটাবিহীন কুলবৃক্ষ এবং কাঁদি কাঁদি কলা এবং দীর্ঘ ছায়ায় আর সদা প্রবাহিত পানি ও প্রচুর ফলমূল, যা শেষ হওয়ার নয় এবং নিষিদ্ধও নয়। আর থাকবে সমুন্নত শয্যায়। আমি জান্নাতি হুরদের বিশেষরূপে সৃষ্টি করেছি। তাদের করেছি চিরকুমারী, কামিনী, সমবয়স্কা।’



নবী করীম (সা.) বলেছেন, জান্নাতি রমণীদের চার রঙে সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন—সাদা, হলদে, সবুজ ও লাল। তাদের দেহ জাফরান, মৃগনাভি, আম্বর ও কাফুর দ্বারা সৃষ্টি। তাদের চুল লবঙ্গ দ্বারা সৃষ্টি। পা থেকে হাঁটু পর্যন্ত সুগন্ধি জাফরানের দ্বারা সৃষ্টি। হাঁটু থেকে নাভি পর্যন্ত মৃগনাভির দ্বারা তৈরি, নাভি থেকে ঘাড় পর্যন্ত আম্বরের তৈরি, ঘাড় থেকে মাথা পর্যন্ত কাফুরের তৈরি। যদি একজন রমণী পৃথিবীতে সামান্য থুতু নিক্ষেপ করত, তাহলে সমগ্র পৃথিবী সুঘ্রাণে মুখরিত হয়ে যেত, তাদের বক্ষের মধ্যে আল্লাহর নাম ও স্বামীর নাম লেখা থাকবে। প্রত্যেকের হাতে ১০টি করে স্বর্ণের কাঁকন থাকবে। প্রত্যেক আঙুলে থাকবে মুক্তার আংটি এবং উভয় চরণে থাকবে জহরতের নূপুর।

জান্নাত হলো মুমিনের চিরসুখের ঠিকানা। সেখানে সুখশান্তির অন্ত থাকবে না। সুখশান্তি ও আরাম-আয়েশের জন্য যা প্রদান করা প্রয়োজন তার সব কিছুই মুমিনদের জান্নাতে প্রদান করা হবে। স্বামী-স্ত্রী উভয় মুমিন হলে স্বামী তার দুনিয়ার স্ত্রী পাবে। অন্যথায় স্বামী মুমিন হলে তার জন্য অন্য স্ত্রীর ব্যবস্থা করা হবে। আর শুধু স্ত্রী মুমিন হলে তার জন্য সুখের যাবতীয় সুব্যবস্থা থাকবে। (দুররুন-নাসিহিন : ১/১০৬)

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার বিনোদন মূলক পোষ্ট দিয়েছেন।

বড় অদ্ভুত পোষ্ট।

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজকাল খুব বেহেশতে যেতে মন চায়। এই দুনিয়াতে তো কিছুই পেলাম না। খালি চেয়ে চেয়ে দেখলাম। এখন ভরসা বেহেশত। দোয়া করবেন। আমার আশা যেন পূরণ হয়।

২| ১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভাই জান্নাতে যেতে চাই না। নো নিড।

একটা গান আছে-
৭০টা হুর পরী দিয়া
আমার তো কাম নাই
ও আমি দোযকে যাবো।

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আরে না। চলেন। এক সাথে যাবো।

৩| ১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নারীদের জন্য কি আছে?

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: নারীরা তো অবলা। তাদের আবার এতো কি দরকার? তারা থাকবে ঘরে।

৪| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১৯

সুপারডুপার বলেছেন:



বেশিরভাগই তো পুরুষদের মাস্তি করার জন্য । নারীদের মাস্তি করার জন্য কি কিছু নাই ?

আরো একটা ব্যাপার ব্লগে সবাইকে দেখছি মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করেন যেন জান্নাতবাসী হন। জান্নাতের বর্ণনা দেখে বোঝা যায় দোয়া করি তিনি যেন জান্নাতে মাস্তি করতে পারেন, বললেও ভুলের কিছু নাই। দুঃখিত , ধর্মানুভূতির লোকেরা মাইন্ড করলে কিছু করার নাই। জান্নাতের বর্ণনা দেখে নিজেই দেখেন এটাই বোঝা যায় কি না।

ঝামেলাটা হচ্ছে বাপে- বেটায় দুইজন-ই জান্নাতে গেলে, বাপে এইভাবে মাস্তি করলে বেটা দেইখা লইলে অথবা বেটা মাস্তি করলে বাপে দেইখা লইলেও কি পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হবে না? বাপের হুররে বেটার পছন্দ হলে, বেটার হুররে বাপের পছন্দ হলে ও তারা যদি কোনো কপি নিতে অস্বীকৃতি জানায় বা অরিজিনাল টাই নিতে চায় , তাহলেও কি পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ সৃষ্টি হবে না ?

ধর্মানুভূতির ব্লগারদের জন্য বিঃদ্রঃ এখানে কাউকে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয় নি। আবার ইসলাম বিদ্বেষ ইসলাম বিদ্বেষ বইলা চিৎকার চেচামেচি করতে আইসেন না। আপনার বেহেশতের বর্ণনাই এই রকম।

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সবই আল্লাহ সোবাহানা তায়ালার ইচ্ছ। তিনি যা চাইবেন সেটাই হবে।

৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৪

সুপারডুপার বলেছেন:



জান্নাতে থাকবে চারটি নদী—একটি পানির, একটি মধুর, একটি দুধের এবং একটি শরাবের।
- পানি , মধু , দুধ ও শরাবের মধ্যেও অনেক প্রকারভেদ আছে। এক নদীতেই কি বিভিন্ন প্রকার ড্রিংকস প্রবাহিত হবে?
কারো যদি বিয়ার, ভদকা, গাঁঞ্জা, আফিম, হিরোইন ইত্যাদি খাওয়ার ইচ্ছা জাগে; সে কি করবে ?

জান্নাতে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার বাহন কি? ভটভটি বাস নৌকা ট্রাম ট্রেন প্লেন জাহাজ রকেটে সসার নাকি বুরাক। যদি বলেন বুরাক, এখন কারো যদি অন্য যানবাহনে চড়ার ইচ্ছা জাগে, সে কি করবে?

জান্নাতের অবস্থান কোথায়?

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আল্লাহর ইচ্ছার উপর তো আর কোন কথা নাই। তিনিই সব জানেন। মানুষ কিছুই জানে না। তারা বড়ই নাদান।

৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫০

বিজন রয় বলেছেন: মালয়েশিয়া বাদ দিয়ে পোস্ট দিলেন???

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়ার মানুষ খুব ভালো। তারাও বেহেশতে যাবে। আমরা মিলেমিশে থাকব।

৭| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমাকে জোর করেও কেউ বেহেশতে পাঠাতে পারবে না।

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাকে সাথে না নিয়ে আমি যাবোই না । যে করেই হোক আপনাকে নিয়ে যাব।

৮| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২১

সাইন বোর্ড বলেছেন: জান্নাতের লোভে নয়, বরং আমরা পাপের ভয়ে দুনিয়াতে ভাল কাজ করব, মানুষের উপকার করার চেষ্টা করব, কারো ক্ষতি করব না, মানুষকে কষ্ট দেব না। সর্বপরি মানুষের কল্যাণ কামনা করব ।

কে জান্নাতে যাবে, সেটা আল্লাই ভাল জানেন ।

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রতিটি মানুষ যদি ভালো হয়ে যায় তাহলে ধর্মের অতটা প্রয়োজনও থাকে না। তবে বেহেশত দরকার আছে।

৯| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩২

মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: @সুপারডুপারকে বলছি ।

জান্নাতে নারীদের জন্য কী আছে ?
আল কুরআনে জান্নাতের বর্ণনায় মুমিন পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্য বারবার অসংখ্য আয়তলোচনা, লাজরাঙা ও অপরূপা হুরপরীর প্রলোভন দেখিয়ে আল্লাহ তাদের স্বাভাবিক ও মজ্জাগত বহুগামী প্রবৃত্তির চাহিদা মেটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । জান্নাতের উত্তরাধিকারী মুমিনা নারীরা এই প্রতিশ্রুতিটির ঘনঘটা দেখে এবং নিজেদের জন্য সুন্দরতম ও প্রেমময় পুরুষের বৈশিষ্ট্য বর্ণনায় ঘাটতি দেখে হয়তো বিভ্রান্তি ও গোপন হতাশায় আক্রান্ত হতে পারেন ।

নারীদের স্বাভাবিক ও সহজাত প্রবৃত্তিতে বহুগামী ভালোবাসা ও যৌনাকাংখার চাহিদা আছে কি নেই সেই মনস্তাত্বিক গবেষনা ও বিতর্ককে একপাশে সরিয়ে শুধু একটা কথাই এ ক্ষেত্রে বলা বোধ হয় যথেষ্ট হবে যে, জান্নাতে কোন মানুষের কোন চাহিদাই কখনো অপূর্ণ থাকবে না । আল্লাহ স্বয়ং এই নিশ্চয়তা দিয়েছেন । কুরআনে এবং হাদিসে এ নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে ।

আরেকটি কথা । নারীদের বহুগামি যৌনাচারের প্রবণতা যেহেতু পৃথিবীতে সকল যুগে সকল সমাজেই ‘সোশ্যাল ট্যাবু’ অর্থ্যাৎ অস্বাভাবিক ও অনাকাংখিত বিষয় ছিল, তাই কুরআনে যদি কোন নারীর জন্য বহু সুপুরুষের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের পৌরুষত্ব, মর্দামি আর শৌর্য্যবীর্যের প্রশস্তি গাওয়া হতো, তাহলে পুরুষনিয়ন্ত্রিত এই পৃথিবীর প্রচলিত ও সভ্য রুচিতে তা স্থূল, অশ্লীল ও বিব্রতকর বলে বিবেচিত হতো ।

@সুপারডুপার,
আপনি আমার 'স্বপ্নের শেষ ঠিকানা, জান্নাত' শিরোনামের লেখাটি পড়তে পারেন । আশা করি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন ।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই সব বিষয় বিনা বাক্য ব্যয়ে গ্রহণ করে নিতে হয়। প্রশ্ন করলে দেখা যাবে যে অনেক কথাই আসে।

১০| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৬

মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: লেখককে বলছি, আমার দুর্ভাগ্য যে আমার লেখাটি পোস্ট করার দিনই আপনি একই বিষয়ে আপনার লেখাটি পোস্ট করলেন । আমি কুরআনের আলোকে জান্নাতের একটি কাহিনীচিত্র তৈরী করেছি । আপনাকে তা পড়ার জন্য আমন্ত্রন জানাচ্ছি । অন্তত লেখার ভূমিকাটি পড়বেন । আপনার কমেন্টবক্সের সন্দেহবাদী প্রশ্নকারীদের জবাব আমার লেখায় পাবেন বলে আশা করছি । ধন্যবাদ ।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমরা জান্নাতে যেতে যতটা আগ্রহী ভালো কাজ করতে ততটা আগ্রহী নই। ভালো কাজ করলে, সততাকে লালন করলে এই পৃথিবীতেই বেহেশত তৈরি করে নেয়া খুবই সম্ভব । এখানে মানুষ অনেক শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

১১| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৯

সুপারডুপার বলেছেন:



@মু, আমজাদ হোসেন,

তার মানে এইগুলো মানুষের কল্পনাপ্রসূত চিন্তা। তাহলে আপনারা ক্যান বলেন এইসব আল্লা থেকে ডাউনলোড হয়েছে?

১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ১৫০০ আগের মানুষের ভাবনার সাথে আজকের মানুষের ভাবনার মিল থাকার কথা নয়। তখন পৃথিবীতে তেমন কিছুই ছিল না। আজ পৃথিবীতে কত নেয়ামত। তখনকার মানুষ এই সব নেয়ামত দেখলে এটাকেই এক প্রকার বেহেশত মনে করত।

১২| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৩

মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: @সুপারডুপার, আপনাকে যখন বড় কোন পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়, আপনি কল্পনা করেই নিতে পারেন লোভনীয় অনেক কিছুর কথা । আপনাকে যখন শাস্তির ভয় দেখানো হয়, তখন আপনি কল্পনা করেই নিতে পারেন ভয়ের অনেক কিছু ।
বিশ্বাস বস্তুটি আসলে ভালোবাসার অনুভূতির মতো । হৃদয়হীন ব্যক্তিকে ভালোবাসার অনুভূতির ব্যাপারটি যেমন বুঝানো সম্ভব নয়, একইভাবে অবিশ্বাসীদেরকে বিশ্বাসের কথাও বুঝানো যায় না ।

মুক্ত মনে চিন্তা করতে থাকুন । পূর্বসংস্কার কিংবা নেতিবাচক মানসিকতা ছেড়ে কুরআন নিয়ে গঠনমূলক চিন্তা করুন । কে কুরআন নাজিল করেছে, কার উপর করেছে, কীভাবে করেছে--এসব গৌণ বিষয়গুলিকে বাদ দিয়ে কেন কুরআন নাযিল করা হয়েছে, কুরআনে কী নাযিল করা হয়েছে, মানুষের জন্য কুরআনের শিক্ষা কতটা প্রয়োজনীয় কিংবা অপ্রয়োজনীয়, কুরআনের শিক্ষাগুলির সামাজিক, মনস্তাত্ত্বিক ও দার্শনিক গুরুত্ব আছে কিনা-এসব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন ।

মুহূর্তেই কোনকিছুকে বা কাউকে অবিশ্বাস করা যায়; কিন্তু বিশ্বাস করতে বহু সময় লাগে ।
মুখ ঘুরিয়ে নিলেই আপনি অবিশ্বাসী । কিন্তু শুধু তাকিয়ে থাকলেই আপনি বিশ্বাসী হতে পারবেন না । আপনাকে বিশ্বাসের বহু জটিল অলিগলি ঘুরে আসতে হবে । সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম সন্দেহ-সংশয়ের সাথে বারবার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জিততে হবে ।

আমি আপনাকে এসব কথা বলছি এজন্য যে আমি সম্ভবত আপনার যায়গা থেকে বিশ্বাসীদের দলে উঠে এসেছি । তাই ক্ষোভ নয়, সহানুভূতি থেকে কথাগুলি বলেছি । ধন্যবাদ ।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি খুবই সুন্দর কথা বলেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:২৫

সুপারডুপার বলেছেন:



@মু, আমজাদ হোসেন,

অবিশ্বাসীর প্রশ্ন না। লজিকের প্রশ্ন। আপনার কথা অনুসারে , বেহেশত সমাজের মতন-ই হবে, আরো স্পেসিফিক ভাবে বললে আরব সমাজের মতন-ই হবে । তাহলে কি দাড়ায়? কার বানানো মনগড়া কথা ঐগুলো হতে পারে?

নারীদের যৌন চাহিদা বেশি , কিন্তু তারা বেহেশতেও পুরুষ- হুররা নিয়ে মাস্তি করতে পারবে না। এরাবিয়ান পুরুষতান্ত্রিকতায় চলবে বেহেশতে। অসামঞ্জস্যতা কে বিশ্বাস করে আপনি যদি সন্তুষ্ট থাকতে চান, ওকে।

সবই আল্লা -র ইচ্ছা। আল্লায় না করুক বেহেশতে আবার আপনি মেয়ে না হন। তক্ষণ হুর মাস্তি মিস হবে ।

তাই, আপনারও ভালোর জন্য বলি, ব্রেইন ওয়াশড হয়েন না। সহানুভূতি থেকে আমিও কথাটি বললাম।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজ থেকে 5 হাজার বছর পরেও কিছু মানুষ নির্বোধ থেকে যাবে।

১৪| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২২

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @মু, আমজাদ হোসেন
আপনার জান্নাত বিষয়ক পোস্টের মাথায় অবিশ্বাসীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা আছে (শুধুমাত্র বিশ্বাসী পাঠকদের জন্য, এই "শুধুমাত্র" শব্দটি নিষেধার্থক) । এই জাতীয় "প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত" পোস্টে কমেন্ট করা থেকে বিরত থাকি নীতিগত কারনে, তাই কিছু প্রশ্ন থাকা সত্ত্বেও এড়ায় গেলাম।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কিছু মানুষ আছে এরকম।

১৫| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:২৮

সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক
আপনার ধর্মীয় আপাত "সহজ সরল" পোস্ট দেয়ার পিছনে একটা ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে অনুমান করি।

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মহান আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুন।

আমিন।

১৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের মুসলমান করে পাঠিয়ে । ইসলাম মেনে বেহেশতে যেতে পারার জন্য।

১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অবশ্যই যাবেন । আপনার জন্য সেখানে অপেক্ষা করছে ৭২ জন হুর। তাড়াতাড়ি ওয়ার্মআপ করে তৈরি হয়ে নিন।

১৭| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার ব্যাতিক্রমী পোস্ট। ভালো লেগেছে সাজ্জাদ ভাই। দৈনিক আকাম কুকাম তো কম করছি না। কি জানি পাবোকি যেতে জান্নাতে? ধন্যবাদ আপনাকে ভালো একটা পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে আমি যতটা ধারণা করতে পারি আপনি খুব একটা বেশি খারাপ কাজ করে উঠতে পারেন নাই। সুতরাং আমি ধরে নিতে পারি আপনি জান্নাতে যাবেন।

১৮| ১৮ ই জুন, ২০২০ সকাল ৯:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মক্কার অসভ্য দরিদ্র বেদুইন সমাজের চাহিদা অনুসারে জান্নাতের জিনিষ সমুহ কিতাবস্থ হয়েছে।

তৎকালিন দরিদ্র বেদুইন যুবকদের বিয়ে করাটা খুবই কঠিন ছিল। বিয়ে করতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হোত।
মদিনায় বিতাড়িত মুসলিম গ্রুপ দ্রুত তরুন যেহাদি সংগ্রহের জন্য অবাধ যৌনাচারের লোভ্নীয় জান্নাতেরস্বপ্ন দেখানো হয়েছিল।
যেহাদিদের জন্য তাৎক্ষনিক জান্নাতুল ফেরদৌস।
জান্নাতের সব উপকরনই তৎকালিন যৌনকাতর দরিদ্র বেদুইন যুবকদের মনসতত্ত্ব অনুযায়ী হয়েছে।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অত্যন্ত চমৎকার ভাবে আপনার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন । খুবই ভালো লাগলো।

১৯| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: বেহেশ যেতে চাইলেই তো আর যেতে পারবেন না। অনেক শর্ত আছে। একটাও শর্ত কি পূরন করতে পেড়েছেন?

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: যে মুখে একবার কালেমা উচ্চারিত হয়েছে সেই মুখ কখনোই দোযখে যাবে না। আর আমি আজ পর্যন্ত এমন কোনো খারাপ কাজ করি নাই যে আমি জান্নাতে যেতে পারব না । আপনি আমাকে খারাপ ধারণা করছেন কেন? আমি একজন সহজ সরল ভালো মানুষ।

২০| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: না আমি বেহেশতে যাবো না। অপরিচিত হুরদের সাথে---- সম্ভ্বব না।
হুর আমার পছন্দ না। রক্তমাংসের মানুষ আমার পছন্দ।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রথম প্রথম তো সব কিছুই অপরিচিত থাকে। এক বার আলাপ পরিচয় হয়ে গেলে আর অপরিচিত থাকবে না । সুতরাং লজ্জা করেন না । চলেন।

২১| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: বেহেশতে আমাকে নিয়ে অন্য কাউকে নিয়ে যান। অনেকেই সেখানে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি অন্য কোন ভাল মানুষ চিনি না যে সাথে করে নিয়ে যাব। আপনাকে যেতেই হবে।

২২| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: হেদায়েও ও গোমরাহী স্পষ্ট হয়ে গেছে। বুদ্ধি-বিবেচনায় স্বাধীন মানুষ যার যেটা পছন্দ গ্রহণ করতে পারে।
কিন্তু এমন সময় আসবে যখন আফসোস করেও কোন লাভ হবে না।
মন্তব্যটি তাদের জন্য যারা সঠিক রাস্তা খুজে পেতে চায়।

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি খুবই সুন্দর কথা বলেছেন।

২৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৪

সুপারডুপার বলেছেন:



মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: কিন্তু এমন সময় আসবে যখন আফসোস করেও কোন লাভ হবে না।

- আপনার জন্য আমার ২ টি পোস্ট:

১) ভ্রান্ত বিশ্বাসে মানুষকে বন্দী করে শাসন করার একটি শক্তিশালী হাতিয়ারের নাম ' ভয় '

২) কিছু উচ্চশিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক মুসলিমদের ধর্মবিশ্বাস

১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: উনি একজন পরহেজগার মানুষ।

২৪| ১৮ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: @সত্যপীরবাবা, আমি চাইনি অবিশ্বাসীরা বিশাল কলেবরের লেখা পড়ে নিজেদের অমূল্য সময় নষ্ট করুক, এবং অনুসন্ধিৎসু প্রশ্নের বদলে বিষমেশানো বিদ্বেষি মন্তব্য করে আমাকে অকারনে বিদ্ধ করুক । আপনার বিষমেশানো আক্রমন নয়, সংশয়ী ও সন্ধিগ্ধ প্রশ্নের জবাব দিতে আমি রাজি আছি । খোদ লেখকের লিখিত অনুমতি পেয়ে নিশ্চয় তার নিষিদ্ধ পোস্ট পড়তে কোন দ্বিধা থাকার কথা নয় আপনার । ওয়েলকাম টু মাই ▬▬▬▬▬▬ஜ স্বপ্নের শেষ ঠিকানা, জান্নাত ஜ▬▬▬▬▬▬ –এ । ধন্যবাদ ।

২৫| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ঘুরে আসুন।
তবে দোযকে গেলে আমাকে নিয়ে যাবেন প্লীজ। খুশি মনে যাব।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি আজ কোথাও যাব না।

২৬| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি এখন মুসলিম হিসেবে জন্ম গ্রহন করেছি। ছেলেবেলায় আমার পিতা মাতা আমাকে ধর্মীয় শিক্ষা দিয়েছেন সৎ, সুন্দর ও মানসিক প্রশান্তিপুর্ন জীবনযাপন করার জন্য। আমি নামাজ রোজা ও অন্যান্য ধর্মীয় দ্বায়িত্ব পালন করি করি মানসিক প্রশান্তির জন্য এবং সৎ জীবনযাপন করি বিবেকের কাছে ক্লিয়ার থাকার জন্য। আবার যারা অন্য ধর্মের অনুসারী , তারাও তাদের ধর্ম পালন করে সেই একই কারনে। মৃত্যূর পরে কি আছে তাতো কারোরই জানা নাই। জান্নাত, স্বর্গ বা হেভেনে কি আছে কি নেই কি হবে সেসব জেনে? ধর্ম ১৫০০ বছরে আগেও ছিল, হাজার বছর পরেও থাকবে। অবিশ্বাষীরা যতই চেষ্টা করুক না কেন দিন শেষে তারা বিশ্বাষীদের বিশ্বাষে চির ধরাতে সক্ষম হবে না।

আমি ধর্ম নয় ধর্মান্ধতার সমালোচনা বেশি প্রয়োজন বলে মনে করি। ধর্মের দোহাই দিয়ে উগ্র মতবাদ, মেয়েদের ঘরে বন্দী করে রাখা, লেখাপড়ায় উৎসাহ না দেয়া , চাকুরি করতে না দেয়া ইত্যাদি আজকের যুগেও আছে। এ ছাড়াও আছে হজ্ব করে টুপি দাড়ি লাগিয়ে ধার্মিক সেজে অসৎ পথে চলা বকধার্মিকের দল। বাংলাদেশে দিন দিন এই ধরনের ধর্মান্ধতা বাড়ছ। এসবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা খুবই প্রয়োজন।

১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন। খুব ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.