নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
প্রায় এক সপ্তাহের মত হয়ে গেল মালয়েশিয়ার আকাশ অনেকটাই ঢেকে আছে হেজের কারণে। আজকের পরিস্থিতি অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ। কেননা, আজ পুরো আকাশে ঢেকে আছে । সকাল দশটা বাজতে চলল। এখনো সূর্যের দেখা নেই। মূলত পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বন-জঙ্গলে অগ্নিকাণ্ড হলে সেখানকার বিষাক্ত বাতাস, ছাই ইত্যাদি উড়ে এসে মালয়েশিয়ার আকাশ বাতাস দখর করে ফেলে। ফলে বাতাসে গুমোট পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় । সূর্যের দেখা মেলে না । দৃষ্টিসীমা কমে যায়। হাই ওয়েতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। মানুষের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হয়। বিশেষ করে স্কুল গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের সমস্যাটা একটু বেশি হয়। আজকালের মধ্যে এই সমস্যা দূর না হলে ধারণা করা যায় আগামী সপ্তাহে স্কুল বন্ধ দিয়ে দিতে পারে।
বনে আগুন ধরে যাওয়া ছাড়া সরাসরি বাতাসে তৈরি হয় আর যে কারণগুলো হেজের জন্য দায়ী তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফসলের ক্ষেতের খড় কুটো, নাড়া, ইত্যাদি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা। এই কাজটি দুই দেশের কৃষকরাই করে থাকেন। সর্বশেষ জানা যাচ্ছে , মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হেজের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখতে চলেছেন।
মালাক্কা প্রণালীর এক পাশে মালয়েশিয়া । আরেক পাশে ইন্দোনেশিয়া। ইন্দোনেশিয়ায় আগুন লাগল তার দোয়া তাদের সহজেই মালয়েশিয়াতে চলে আসে। ২০১৩ ইন্দোনেশিয়ার বনের আগুন লাগলে ধোয়া ও ছাই এসে সিঙ্গাপুরকে ঢেকে ফেলেছিল।
কারণ।
The main cause of this haze is the slash and burn practice by farmers and peat fires blown by the wind from Indonesia. especially Sumatra, which mainly affects the Peninsular Malaysia and Kalimantan, which mainly affects East Malaysia. ... Malaysia is working with the Indonesian authorities to help curb peat fires.
বনে জঙ্গলে আগুন লাগলে কিংবা ফসলের ক্ষেতের নাড়া ও খড় কোটা এবং অবশিষ্টাংশ বাতাসে পোড়ালে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস, ক্ষতিকর কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস, কার্বন কণা , ছাঈ এর বিভিন্ন অংশ ধুলা ইত্যাদি বাতাসে মিশে গিয়ে বাতাসকে প্রচুর পরিমাণে দূষিত করে ফেলে। এই বাতাস এমনই হয় যে ইহা ভেদ করে সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে পারে না । এই বাতাস শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের জন্য তা আরো বেশি ক্ষতিকর । এই অঞ্চলে সাধারণত ইন্দোনেশিয়ার বনে জঙ্গলে আগুন লাগে। ওখানকার কৃষকরা ফসল কাটার পর ক্ষেতের অবশিষ্টাংশ আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় ।এমনকি মালয়েশিয়ার কৃষকরা ওই কাজটি করে থাকে।
গত 7 দিন যাবত মালয়েশিয়ার আবহাওয়া হেজের কারণে খুবই খারাপ যাচ্ছে । এখানকার প্রশাসন ও এর বিরুদ্ধে নানান ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আবহাওয়া মারাত্মকভাবে দূষিত হয়ে গেছে । নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে। আজ সারা দিন সুর্যের দেখা মেলেনি। খুবই খারাপ অবস্থা।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৩৩
ইসিয়াক বলেছেন: পৃথিবীটা ক্রমশ বাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে । মানবজাতির জন্য ভয়ঙ্কর দুসময় সমাগত।
শুভসকাল।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মানুষ খুবই ভয়ঙ্কর প্রাণী। মানুষ পৃথিবীটাকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলেছে। আফসোস।
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৫
শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক!
ভেবেই তো আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপু, পরিস্থিতি আসলেই ভয়াবহ রকম খারাপ। ২০১৩ সালে জঙ্গলের ছাই , কার্বন ইত্যাদি দিয়ে সিঙ্গাপুর শহর ঢেকে দিয়েছিল ।প্রমাণ হিসেবে
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: চারিদিকে খালি আগুন আর আগুন
আমাজানে আগুন, অস্টেলিয়াতে আগুন, ইনদো নেসিয়াতে আগুন, পেয়াজ-রসুনের দামে আগুন। এত আগুনের তাপে বিবেক বুদ্ধি পুড়ে ছাই হয়ে গেল
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসভ্য মানবকুল পৃথিবীটাকে শেষ করে দিচ্ছে । একে বাঁচিয়ে রাখা দরকার।
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: আজ সকাল থেকেই ঢাকা শহরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে প্রায়ই নিম্ন চাপ আর ঘুর্ণিঝড় আসে। এটাও খুব খারাপ।
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩
রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: ইস,, পরিবেশ দূষণ সর্বত্র চরম আকার ধারন করছে
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পৃথিবীতে ভদ্র মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কেউ ভালো হতে চায় না। সবাই সুযোগ খুঁজে।
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
মালয়েশিয়ার উচিত ইন্দোনেশিয়ার জংগলের আগুন নিবানো।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রতি বছরই এই জাতীয় ঘটনা ঘটে। যাতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সব চেয়ে বেশী ভুগে শিশুরা।
৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪
চাঙ্কু বলেছেন: প্রতি বছর এমন হলে কিন্তু মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়ার সাথে আলোচনা করা এটার সমাধান করে না কেন? চিডি দিলেই কি আর হপে?
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পুরো ব্যাপারটাই বলতে গেলে প্রাকৃতিক ভাবে নিয়ন্ত্রিত । মানুষ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে । কৃষকদেরকে আরো বেশি সচেতন হবে। সম্ভবত সেই কারণেই শিখিয়ে দেওয়া। আজ সকালে বৃষ্টি হয়েছে। আশা করা যায় পরিস্থিতির কিছুটা হলেও উন্নতি হবে।
৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৮
সামছুল মালয়েশিয়া প্রবাসী বলেছেন: ভাই, হেজ মানে কি?
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বনে জঙ্গলে আগুন লাগলে কিংবা ফসলের ক্ষেতের নাড়া ও খড় কোটা এবং অবশিষ্টাংশ বাতাসে পোড়ালে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস, ক্ষতিকর কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস, কার্বন কণা , ছাঈ এর বিভিন্ন অংশ ধুলা ইত্যাদি বাতাসে মিশে গিয়ে বাতাসকে প্রচুর পরিমাণে দূষিত করে ফেলে। এই বাতাস এমনই হয় যে ইহা ভেদ করে সূর্যের আলো পৃথিবীতে আসতে পারে না । এই বাতাস শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বিশেষ করে শিশুদের জন্য তা আরো বেশি ক্ষতিকর । এই অঞ্চলে সাধারণত ইন্দোনেশিয়ার বনে জঙ্গলে আগুন লাগে। ওখানকার কৃষকরা ফসল কাটার পর ক্ষেতের অবশিষ্টাংশ আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয় ।এমনকি মালয়েশিয়ার কৃষকরা ওই কাজটি করে থাকে।
গত 7 দিন যাবত মালয়েশিয়ার আবহাওয়া হেজের কারণে খুবই খারাপ যাচ্ছে । এখানকার প্রশাসন ও এর বিরুদ্ধে নানান ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পোস্ট দেখেই ভেবেছিলাম ইন্দুইরা কি আবার আগুন দিছে নাকি?