নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
পর্যটন শিল্পের বিকাশ করুন।
বাংলাদেশেও দেখার মতো অনেক জায়গা আছে। আছে অনেক ঐতিহ্য। তাই বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পকে আর অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। একথা এখন দিবালোকের মতো সত্য যে, বর্তমান বিশ্বে পর্যটন একটি অতি বড় মাপের শিল্প। আমাদের দেশে শিল্প বলতে এক সময় পাট শিল্পকে এবং বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পকে বোঝানো হচ্ছে। পর্যটনও যে একটি বড় মাপের শিল্প হতে পারে তা আমাদের দেশের জনসাধারণ এখনো হয়তো জানেই না। বাংলাদেশে পর্যটনও হতে পারে জাতীয় আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস। আমাদের রয়েছে অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ। যার যথাযথ ব্যবহার আমাদেরকে পৌছে দিতে পারে সাফল্যের দ্বারে। এজন্য দরকার সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা । বাংলাদেশ যে একটি সুন্দর দেশ তা সবাইকে জানাতে হবে। পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে বাংলাদেশের দ্বার।
বাংলাদেশের অনেক মানুষ হয়তো জানেন না যে আমাদের কক্সবাজারের মতো বড় আর সুন্দর সি বিচ পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এটি বেশ ঢালু আর প্রশস্ত। প্রাকৃতিক এ বিচ বিধাতার অপার দান। বেশীর ভাগ দেশের সি বিচ হয় খাড়া আর সংকীর্ণ। কিন্তু তারা তাই সাজিয়ে গুছিয়ে এমন সুন্দর করে রেখেছে যে পর্যটকরা দলে দলে ছুটে যায় সেই সব সমুদ্র উপকূলে। দুহাতে তারা খরচ করে টাকা। আয় হয় সে সব দেশের। মানুষের কর্মসংস্থান হয়। অর্থনীতি হয় শক্তিশালী।
অথচ আমাদের দেশে কখনো এদিকে নজর দেয়া হয়নি। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত যে বিশাল প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত (সি বিচ) আছে তাকে সাজাতে পারলে ঝঁকে ঝাঁকে বিদেশী পর্যটক আমাদের দেশে আসবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। পৃথিবীতে লাখ লাখ ভ্রমন বিলাসী লোক রয়েছেন যারা সারা দুনিয়া ঘুরে বেড়াতে ভালবাসেন। তাদেরকে বাংলাদেশে টেনে আনতে হবে। এটা শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে করা যাবে না। নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা আর বৈচিত্র দিয়ে তাদেরকে আকর্ষণ করতে হবে। উন্নত বিশ্বের ভ্রমন বিলাসী মানুষ টাকা খরচ করার জন্য এক পায়ে খাড়া। তাদেরকে টাকা খরচ করার সুযোগ করে দিতে হবে। আমাদের সি বিচের মূল সমস্যা হচ্ছে এখানে পানি ছাড়া আর দেখার মতো কিছু নেই। হ্যা, সমুদ্রের পানি অবশ্যই দেখবে। তবে তার সাথে আরো বহুবিধ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। কক্সবাজারে সব ধরনের হোটেল বানাতে হবে। যাতে ধনী, গরীব সবার থাকার মতো জায়গা থাকে। ফাইভ স্টার হোটেল থাকতে হবে। ভাল বিমান চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে। ঢাকা থেকে ট্রেনে যাবার সুযোগ থাকতে হবে। সব পর্যটক যে বিমানে যাবে তা তো আর নয । নাইট ক্লাব, ক্যাসিনো, বার , পাব সহ বিনোদনের সবধরনের সুযোগ থাকতে হবে। যদি দেশের কারো আপত্তি থাকে এই সব এলাকায় কেবল মাত্র বিদেশী ছাড়া আর কেউ যেতে পারবে না এমন বিধান করা যেতে পারে। পর্যটকদেরকে টাকা খরচের সুযোগ করে দিতে হবে। কক্স বাজারে সমুদ্রে বোট চড়ার সুযোগ নেই। নৌবিহারের সুযোগ থাকতে হবে। সমুদ্রের সব ধরনের সামুদ্রিক খেলার ব্যবস্থা থাকতে হবে। সাগরে যেখানে সম্ভব মাছ দেখানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। মোট কথা সুযোগ সুবিধার কোন প্রকার ঘাটতি রাখা যাবে না। মানুষকে টাকা খরচ করার জায়গা করে দিতে হবে। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত এক ফুট জায়গাও ফাঁকা না রেখে আধুনিক সুবিধাদি দিয়ে সাজিয়ে তুলতে হবে যাতে ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটক আসে।
বাংলাদেশে পর্যটক এলে কত ধরনের লাভ যে হবে তা বলে শেষ করা যাবেনা। প্রথমত, আমাদের জাতীয় বিমান সংস্থার সুনাম বৃদ্ধি করতে পারলে বিদেশীরা বাংলাদেশ বিমানেই আসবে । ফলে বিমানের লাভ হবে লাখ লাখ টাকা। এর জন্য বিমানের সুযোগসুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। অবশ্য বিমানের বর্তমান যা অবস্থা তাতে প্রবাসী বাংলাদেশীরাই তাদের প্রিয় মাতৃভূমিতে আসার সময় বাংলাদেশ বিমানে চড়েনা। কিন্তু বিমান ভাল হলে তা যে কেবল পরিবহন হিসাবে কাজ করবে তাই নয় তা হবে একটি বিজ্ঞাপন। বাংলাদেশ বিমান প্রচার করবে পর্যটন স্পটগুলো। নানাধরনের ভ্রমন প্যাকেজ দিয়ে বিমান পর্যটক ধরে নিয়ে আসবে বাংলাদেশে।
অবশ্য চেষ্টা করলে বিমানের অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব। একটি বাজেটে বিমানের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রেখে বিমানের সংস্কার করা প্রয়োজন। নতুন নতুন উন্নত মানের এয়ার বাস সংযোগ করতে হবে। দূর্নীতি দূর করতে হবে। সময়-নিষ্ঠ হতে হবে। বাংলাদেশ বিমানের সব চেয়ে বড় দোষ তার সময় জ্ঞান খুবই টনটনে। নয়টার ট্রেন কয়টায় ছাড়বে এটি এখন কেবল বাংলাদেশের ট্রেনের ক্ষেত্রে নয় বিমানের ক্ষেত্রে আরো বেশী করে সত্য ও প্রযোজ্য। যান্ত্রিক ত্রুটিও বাংলাদেশ বিমানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাই বিমানের উন্নয়নে মনোনিবেশ করা জরুরী। এর কোন বিকল্প নেই।
পর্যটনের দ্বিতীয় লাভ, বিদেশীরা বাংলাদেশে এসে দু’হাতে খরচ করবে। তাতে দেশের অর্থনীতি হবে মজবুত। তারা আসার সময় যে ভিসা নিয়ে আসবে তাতেও বাংলাদেশের লাভ হতে পারে। এদেশে এসে তারা যে সব তিন তারকা, চার তারকা, পাঁচ তারকা হোটেলে থাকবে তাতে লাভবান হবে দেশ। হোটেলে কর্মসংস্থান হবে অনেক মানুষের। তারা এদেশে এসে কেনাকাটা করবে । তাতে বিকশিত হবে এদেশের শিল্প। তারা এখানে এসে এদেশের রিক্সায় চড়বে। ক্যাব ব্যবহার করবে। এতে এদেশের মানুষের লাভ ছাড়া ক্ষতি হবার কোন সম্ভাবনা নেই। তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে টাকা খরচ করার পথ বাতলে দিতে হবে আমাদেরকে।
বাংলাদেশে বিদেশী পর্যটক আকর্ষণের জন্য সর্বপ্রথম যা করা প্রয়োজন তা হলো সুনাম। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের কমপক্ষে একটি আকর্ষণীয় জিনিসের সুনাম ছড়িয়ে দিতে হবে। যেমন ভারতের রয়েছে তাজমহল। আমাদেরও তেমনি রয়েছে বিশাল সাগর উপকুল। এতো বড় বেড়ানোর মতো উপকুল পৃথিবীর আর কোথাও নেই। এই তথ্যটি আমার মনে হয় বিদেশী পর্যটকদের কাছে আজও পৌছেনি। এর জন্য দরকার সুনাম ও প্রচার। কথায় বলে, প্রচারেই প্রসার। বাংলাদেশের পর্যটন খাতের বিকাশে আমার প্রস্তাবগুলো হচ্ছেঃ
১। সাগর উপকূলকে পর্যটকদের বেড়ানোর উপযোগী করে সাজানো হোক। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে লুইআই কানের মতো ডিজাইনারদের দ্বারা উপকূল সাজানো হোক। এখানে নিরাপত্তার বিষয়টিকেও প্রাধান্য দেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশে ছিনতাইকারী আর মাস্তানে ভরপুর। মানুষের নিরাপত্তা এদেশে প্রধান একটি সমস্যা। দেশে থেকে ছিনতাইকারী আর মাস্তান উৎখাত করা হোক। যেন সারা মানুষ নির্ভয়ে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতে পারে। অন্ততপক্ষে পর্যটন এলাকা গুলোতে ভাল নিরাপত্তা দেয়া হোক। বিদেশী মেহমানরা যেন খারাপ ব্যবহার না পায়। তারা যেন বাংলাদেশ সম্পর্কে ভাল ধারনা নিয়ে যেতে পারে।
২। রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার (বাংলাদেশ ) সংস্কার করা হোক। যেন মানুষের এক বাক্যে বলতে বাধ্য হয়, বাংলাদেশ বিমান খুব ভাল বিমান। বাংলাদেশ বিমানের মতো বিমান আর হয়না। আসুন, আমরা বাংলাদেশ বিমানে চড়ি।
৩। ভিসা পদ্ধতি আরো উন্নত করা হোক। বিদেশী পর্যটকরা যাতে সহজে বাংলাদেশে আসার ভিসা পেতে পারে তার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে।
৪। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করা হোক। এর জন্য বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টিভিগুলোকে কাজে লাগোনো যেতে পারে। বিজ্ঞাপনগুলো যেন ইংরেজিতে হয়।
৫। পর্যটস স্পটগুলোর বিপনীবিতানগুলোতে বিক্রেতা যাতে ইংরেজিতে কথা বলতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে। তাদের ব্যবহার ভাল হতে হবে। এমনিতে বিদেশী মানুষ দেখলে দোকানীরা বেশী মাত্রায় লাভের চেষ্টা করে যা করা মোটেই উচিত নয়। বিপনী বিতানে সুন্দর পরিবশে থাকলে তারা কিনতে বেশী উতসাহ বোধ করবে।
বর্তমান বিশ্বে অনেক দেশে পর্যটন জাতীয় আয়ের প্রধান উৎস। আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় মালদ্বীপ, শ্রীলংকা প্রভৃতি দেশ পর্যটন খাতে অনেক আয় করছে। পর্যাপ্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কেন এখাতে পিছিয়ে থাকবে? বর্তমানে দেশে সকল ক্ষেত্রে চলছে সংস্কারের জোয়ার । বর্তমান সরকারের কাছে তাই আমার প্রত্যাশ্যা তারা পর্যটন খাতের দিকে নজর দেবেন।
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন
গ্রাম-বটিয়া, পোঃ জয়পাড়া
উপজেলা - দোহার
জেলা - ঢাকা-১৩৩০
E-mail:[email protected]
০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সহমত আপনার সাথে। উদার মন নিয়ে পর্যটন এলাকাগুলো থাইল্যান্ডের পতোয়ার মতো খুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে দেশের কোন গোড়া মানুষদের সেখানে যাবার দরকার নেই।
মানুষ কেবল পানি বা পহাড় দেখতে আসবে না। তারা বিনোদানও চায়। তারা পান করতে চায় । তারা উপভোগ করতে চায়। তাদের জন্য সেটা উদার করতে হবে।
ইউটি্উবে পর্যটন স্থানগুলোতে নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ভিডিও তৈরী করে প্রচার করতে হবে। নিরাপত্তা একটি অনেক বড় ব্যাপার। তবে এই খাতে নজর দিলে পরিবর্তন আসতে পারে।
২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে এক মাত্র মালয়েশিয়াতে বেড়াতে গেছে ১ লাখ ৫৪ হাজার জন বাংলাদেশী। এক বার ভেবে দেখুন কি পরিমাণ টাকা তারা সেই দেশে খরচ করে রেখে আসে।
এর উল্টাটি করার চেষ্টাও করতে হবে।
২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সাথে ছবি দিলে ভাল হত।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার সংগ্রহে ভালো কোন ছবি নেই। তাই ছবি দিতে পারিনি।
৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: সরকার আজও উদাস পর্যটন শিল্পের প্রতি।
এই খাত থেকে সরকার অনেক টাকা অনকাম করতে পারে।
আমাদের দেশে পর্যটনদের কোথাও গেলে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: একটি দেশের মানুষ যেমন তার দেশের পর্যটন শিল্পও তেমনই হবে। তবে আগামীতে আমাদের জন্য ভালো কোন দিন আসতেও পারে।
৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৫:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: যারা পর্যটন শিল্পের বিকাশ করবে বা এ কাজে আছে তাদের পরিবার পরিজন দেশের বাইরে থাকে, তারা ছুটি ছাটায় দেশের বাইরে পর্যটনে থাকে। দেশের পর্যটন নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথা নেই।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অসাধারণ মন্তব্য করেছেন। ইহাই সত্য। ইহার কোন পরিবর্তন হবে না।
৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
যেই পরিমান বাংলাদেশী ভারত, ভুটান, নেপাল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া যাচ্ছেন, সেই পরিমান বিদেশী কি বাংলাদেশে আসেন?
গত ২/৩ বছর, বছরে গড়ে ৫০ মিলিয়ন আমেরিকান বিদেশ ভ্রমণে যায়, ৭৫ মিলিয়ন বিদেশী আমেরিকা ভ্রমণ করে থাকে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ২০১৮ সালে ১ লাখ ৫৪ হাজার বাংলাদেশী মালয়েশয়াতে বেড়াতে গেছেন। বিপরীতে ও খান থেকে কয় জন বাংলাদেশে এসেছেন সেটা কোন পত্রিকায় পেলাম না।
৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা টপিক নিয়ে লিখেছেন ভাই।
আমাদের প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থানগুলোকে বিদেশী পর্যটকরা যাতে আকৃষ্ট হয় সেভাবে সাজানো দরকার। চিটাগাং ছাড়া দেশের অন্যান্য যে কয়েকটা ছোটছোট স্পট আছে সেগুলোতে যাতায়াত, থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাই, আপনি অনেক সঠিক কথা বলেছেন। আমাদের জিনিস আছে। জিনিসের রূপ চর্চা নেই। প্রচার নেই। প্রসার নেই।
সবাই মিলে চেষ্টা করলে হয়তো ভালো কিছু হবে।
৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১১:১৬
নতুন বলেছেন: দেশের অভ্যন্তরীন পয`টনও অনেক ভুমিকা রাখে এই খাতে,
ব্লগার মাহমুদ হাসান খান ভাই http://www.somewhereinblog.net/blog/orpheus007 অনেক কাজ করেছেন ব্যক্তিউদ্দোগে, দেশের বাইরের পয`টকদের কাছে বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরতে।
https://www.facebook.com/groups/beraibangladesh/ উনি ছিলেন বাংলাদেশে বিদেশি পয`টকের গাডিয়ান এঙ্জেল।
অকালেই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন তিনি।
এই রকমের লোকের হাতে যদি সরকারী দায়ীত্ব দেয়া যেতো তবে অবশ্যই দেশের পয`টন এগিয়ে যেতো।
১৩ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার মন্তব্য থেকে অনেক মূল্যবান কিছু জানতে পারলাম। আমাদের মাঝখান থেকে নতুন কোন গুণী ব্যক্তি হয়তো বের হয়ে আসবেন। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।
৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ১২:২২
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশী ছেলে মেয়েরা এখন বিশ্বের বড় বড় হোটেল রিসোটে কাজ করছে।
বত`মানে দেশের প্রায় নামকরা সব ৫ তারা হোটেল রিসোটে আমার সহকমী`রা বিদেশের চাকুরীর অভিগ্যতা নিয়ে দেশে কাজ করছে।
দেশে এখন পয`টনে বড় বড় কিছু প্রকল্প দরকার সেটা দিয়ে আমাদের দেশে পয`টক আকষ`ন করতে পারি।
২০ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার নিজের ধারণা, পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক বিনিয়োগের দরকার। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার কে কোন বিদেশী কোম্পানির কাছে দিতে পারলে তারা পর্যটনের জন্য নানা আকর্ষণীয় স্থাপনা তৈরি করতে পারবে বলে আমার মনে হয়। তখন অনেক মানুষেরই আর মালয়েশিয়া থাইল্যান্ড যাওয়ার দরকার পড়বে না।
৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
নতুন বলেছেন: বিদেশী বিনিয়োগ আসবে তবে তার আগে সরকারকে তাদের দেখাতে হবে এখানে বিনিয়োগ করলে লাভ হবে।
বিভিন্ন রিসোট, থিমপাক`, একটিভিটি পাক` অবশ্যই এইখানে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে কিন্তু তার আগে সরকারকে নিজে বিনিয়োগ করে পয`টক বাড়াতে কাজ শুরু করতে হবে।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ সকাল ১০:৫৫
নতুন বলেছেন: খুবই প্রয়োজনীয় একটা বিষয় এটা এবং এই খাতে বিলিওন ডলার আয় সম্বব।
ব্যক্তিগত ভাবে এই ইন্ড্রাস্টিতে ১ যুগ কাজের অভিঙ্গতা থেকে বলছি।
কয়েকটি জিনিস নিয়ে সবকারের কাজ করা উচিত। এবং দেশের বাইরে যারা বিভিন্ন ভালো প্রতিষ্টানে আছে তাদের নিয়ে কাজ করলে অনেক নুতন নতুন আইডিয়া পাবে যাতে করে বিদেশী পযটকদের দেশে আকষন করা সম্ভব।
* বড় বড় কিছু প্রযেক্ট করতে হবে যেটা বাইরের দেশের মানুষদের আকষ`ন করে।
* যোগাযোগ ব্যবস্তা উন্নয়ন করতে হবে।
* ভিসা অন এরাইভ্যালের ব্যবস্তা করতে হবে....
* বড় হোটেলের জন্য সাহাজ্য করতে হবে.....
* ব্রান্ডিং একটা অনেক বড় বিষয়... দেশের কয়েকটা এলাকর বিভিন্ন পযটন বিষয় নিয়ে বিশ্বে প্রচারনা চালিয়ে। বাংলাদেশে আশার জন্য হুজুগ বানাতে হবে।
আগে ভাবুন কেন আপনি বাংলাদেশে যাবেন? কি কি আছে? আপনি কি পাবেন বাংলাদেশে? সেই জিনিস গুলি পযটকের জন্য থাকতে হবে. তবেই বাইরের দেশের পযটক আসবে।