নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
গণ শব্দটি শুনলে আমাদের অনেকেরই মনে হতে পারে যে, এখানে হাজার হাজার বা লাখ লাখ লোক জড়িত। বিশাল জনতার বাঁধভাঙ্গা জোয়ার বুঝি।
আসলে সব গণই গণ নয়। সব গণ এর ক্ষেত্রে হাজার হাজার লোক অংশ নেয় না। সামপ্রতিক কিছু ভিডিও এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারী কিছু খবর দেখে আমার কাছে এটাই মনে হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে সামপ্রতিক সময়ে বহুল ব্যবহৃত শব্দ হচ্ছে- ১। গণধর্ষণ ২। গণপিটুনী।
দেখে গেছে- এখানে অযথাই গণ অর্থাৎ জনগণের বদনাম করা হচ্ছে। এখানে জড়িত থাকে খুব বেশী হলে ৩ কি ৪ জন কালপ্রিট। তাই এই সব ক্ষেত্রে গণ শব্দটি কে ব্যবহার করে শব্দটির প্রকৃত অর্থ নষ্ট করা হচ্ছে। যে ৩/৪ জন অমানুষ ধর্ষণ অপকর্মে জড়িত থাকে তারা সমাজের আগাছ, ক্যান্সার। রাষ্ট্রের উচিত এদেরকে উপড়ে ফেলা। তাহলে সমাজ কলুষ মুক্ত থাকবে।
সম্প্রতি আরেকটি গুজব চালু হয়েছে। সেই সাথে চালু হয়েছে গণপিটুনী। এই যে গুজব একখানে চালু করে দিল যে, পদ্মা সেতুকে নাকি মানুষের ( শিশুদের) মাথা লাগবে। কেননা, পদ্মার পানির নিচে এক বিরাট দানব বাস করে। সে চায়না পদ্মা সেতু হোক। তাই সে পদ্মা সেতু তৈরী হতে দেবে না। তাকে মানুষের মাথা দিলে সে আরাম করে খেয়ে ঘুমাবে । এই সুযোগে তড়িঘড়ি করে পদ্মা সেতু তৈরী হয়ে যাবে ।
বাংলার মানুষ এই গুজুব লুফে নিল। আতংক ছেয়ে গেল সারা দেশে। প্রাণ হারাতে শুরু করলো অনেক অসহায় সাধারণ নিরীহ মানুষ। অহেতুক ছেলেধরা/গলা কাটা ইত্যাদি সন্দেহে মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলা শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশে।
গণপিটুনীতে কিন্তু হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয় না। এই সব ভিডিও খেয়াল করে দেখলে দেখা যায়- খুব বেশী হলে ৩ , ৪ জন হত্যাকান্ডে অংশ নেয়। বাকি সবাই দাড়িয়ে মজা দেখে। কেউ ছবি বা সেলফি তুলে, কেউবা ভিডিও করে।
যে ৩/৪ জন অমানুষ গণপিটুনী নামক অপকর্মে জড়িত থাকে তারা সমাজের আগাছ, ক্যান্সার। রাষ্ট্রের উচিত এদেরকে উপড়ে ফেলা। তাহলে সমাজ কলুষ মুক্ত থাকবে।
পাপ ও পাপী উভয়কে সমাজ থেকে বিদায় করতে হবে। পাপ ও পাপী উভয়কে ঘৃণা করতে হবে।
নিষ্পাপ মানুষ আর পাপ বর্জিত দেশ হোক সকলের ব্রত।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ গুলোর মধ্যে পজিটিভ কোন দিক আসলে খুঁজে পাওয়া যায় না। যত সব নেগেটিভ দিক দিয়ে ভরা আমাদের দেশের মানুষ গুলো। এরা এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজার বছর পিছিয়ে আছে । আধুনিক বিজ্ঞান এদেরকে একটি স্মার্টফোন ছাড়া আর কিছুই দিতে পারেনি। আফসোস!
২| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:৩৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
গুজব খুব দক্ষতার সাথে পেশাদার ভাবে ছড়ানো হচ্ছে।
গার্মেন্টস পাড়ায় মহিলাদের দ্বারা ব্যাপক ভাবে ছড়ানো হচ্ছে জানতে পারলাম।
এদেশে গুজব ছড়ানো নতুন কিছু না।
শহিদুলআলমের মতো বড় ফিগারও একটি অপশক্তির ফরমায়েশে গুজব ছড়িয়ে দাংগা বাধানোর এসাইনমেন্ট নিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে বিদেশি চাপে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কবিগুরু মহাশয় অত্যন্ত সত্য কথা বলেছেন । আসলেই আমরা বাঙালি । আজও মানুষ হতে পারি নাই। একুশ শতকে এসে আমাদের দেশের মানুষের কাজ কারবার দেখে ভাবতে পারিনা, আসলে আমরা মানুষ হবো কিনা।
৩| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩০
জগতারন বলেছেন:
আমাদের দেশের চাঁদগাজী -এর মন্তব্য পড়লে যুক্ত রাষ্ট্রের বুড্ডা বার্নি স্যান্ডার-এর কথার মতো মনে হয়।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: চাঁদগাজী হক কথা বলেন অনেক সময় তিক্ত সত্য কথা বলেন। যা অনেকেই সহ্য হয় না। তার মত চিন্তা চেতনার মানুষ কয়েক লাখ দরকার। উনি এক জন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব।
৪| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: জনতা ভুলে গেছে, কেউ যদি সত্যি সত্যি ‘ছেলেধরা’ হয়েও থাকে, তাহলেও তাঁকে পেটানো যায় না। আইনত তো নয়ই, নৈতিক, ধর্মীয় কিংবা অন্য কোনো বিবেচনায়ই নয়।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ছেলে ধরা, মেয়ে ধরা এই সব আজগুবি গল্প আজ থেকে 500 বছর আগে গিয়ে বলেন । এই আমলে এই সমস্ত হাবিজাবি গল্প চলবে না । এটা বিজ্ঞানের যুগ, প্রযুক্তির যুগ । এটা প্রগতিশীলতার যুগ । লজিকের যুগ।
৫| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আইনের শাসন না থাকলে এসব অনাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রতিটা মানুষই ব্যক্তিগতভাবে তার প্রতিটি কাজ কর্মের জন্য দায়ী। প্রতিটি মানুষের সৎ হওয়া উচিত। বিবেকবোধ দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত।
৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:২০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: গণপিটুনি বা পাব্লিক কর্তৃক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পেছনে দুটি কারণ আছে-
১) শিক্ষাদীক্ষার অভাব
২) আইনশৃঙ্খলা, বিচার প্রক্রিয়ায় মানুষের আস্থা না থাকা।
শিক্ষাদীক্ষায় আমাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমান সরকার সবাইকে 'শিক্ষিত' ট্যাগ বা সার্টিফিকেট দিতে চাইছে। (এই তথাকথিত শিক্ষা বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের কুফল বুঝবার জন্য যথেষ্ট নয়।)
তারা জানে জাতি প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হলে, মদকের বিরুদ্ধে অবস্থানের নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘঠানো যাবেনা। বিরোধী দল মত ক্রসফায়ার নাটকে দমন করা যাবে না।
অপরদিকে, পুলিশের অপকর্ম, বিচারবিভাগে সরকারের নিয়ন্ত্রণ দেখে দেখে বিচার প্রক্রিয়ার উপর মানুষের আস্থা উঠে গেছে। মানুষ নিজ হাতে বিচার করতে চাইছে।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঢাকার বাড্ডা এলাকার ওই ভদ্র মহিলাকে পিটিয়ে মারার পেছনে আপনার বলা কারণগুলির কোনটাই দায়ী নয়। মানবতা বোধ এর অভাব রয়েছে।
৭| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এইবার শিরোণাম ঠিক আছে।।।
ছেলে ধরা সন্দেহে গনপিটুনি কাম্য নয়। মানুষ মারা ঠিক নয়। দেশকি জ্বালামুখ হয়ে গেছে???
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দেশের কিছু মানুষ যেন উন্মাদ হয়ে গেছে । তারা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। তারা ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সাদাকালো এসব পার্থক্য বুঝতে পারছে না।
৮| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একটা জাতি যতদিন না প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে......ততোদিন এসব চলতেই থাকবে। বরং দিনে দিনে আরো বাড়বে। ব্লগে লেখা আর চেয়ে দেখা ছাড়া আমাদের আর করার কিছু নাই।
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তারপরও আমরা সবাই আমাদের কথা বলে যাবো। ন্যায়ের কথা বলে যাব । কোন এক সময় হয়তো মানুষের মাঝে পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে । আর যদি কখনো কোন দিন পরিবর্তন না আসে কি আর করা চুপচাপ বসে থাকব । অন্তত ভাবতে তো পারব যে , আমার নিজেরা অন্তত খারাপ না।
৯| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখালেখির চেয়ে মাটি কাটা উত্তম। জ্ঞানচর্চার চেয়ে তেল দেয়া অতি উত্তম!
২৩ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি পেটের খোরাক যোগান এর জন্য মাটি কাটবো। মনের খোরাক যোগানোর জন্য, জীবনের জন্য লেখালেখি করব বই পড়বো। সৃষ্টিশীল কাজ করব।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯৭২ সাল থেকে যদি ফ্রি শিক্ষা দিতো, আজকে কেহ আর পদ্মার বুকের দৈত্যের গল্প শুনে আতংকিত হতো না; আমাদের সরকারগুলো আমাদের জাতিকে পংগু করে রেখেছে।