নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
দেশে যাবার সুযোগ আসছে। তবে....
----------------------------------------------------
== গৌতম রায় ==
গতকাল রাতে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের ফেইসবুক পেজে দেয়া তথ্য থেকে বুঝা গেল- স্বপ্ন অধরাই থাকলো। কারন, একজন অবৈধ শ্রমিককে দেশে যেতে ৩/৪ হাজার রিঙ্গিত গুনতে হবে। প্রায় সবাই ৬ মাসের বেশী অবৈধ। তাদের জরিমানাই লাগবে ২ হাজার রিঙ্গিত। অনেকের পাসপোর্ট নেই বা মালয়েশিয়া আসার প্রমানাদিও নেই। তাদের জরিমানা গুনতে হবে ৩ হাজার রিঙ্গিত। সাথে ট্রাভেল পাস, স্পেশাল পাস, বিমানের টিকেট। খরচ প্রায় ৪ হাজার রিঙ্গিত। এই কেইসগুলো মূলতঃ বেশী। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কতজন শ্রমিক এত টাকা খরচ করে দেশে যাবে বা যেতে পারবে? এটা কোন সূযোগই নয় বা সাধারন ক্ষমাও নয়। তারপর ভবিষ্যতে ৫ বছরের জন্য এদেশে তাকে ব্ল্যাকলিষ্ট করা হবে।
কাজেই যারা দেশে যাবার জন্য সরকারের নতুন ঘোষনায় পথ চেয়েছিল, তাদের আশায় গুড়েবালি। অবৈধ শ্রমিক বিতাড়নে সরকারের এই প্রকল্প কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
আসুন তবু দেখা যাক কার জন্য কত টাকা জরিমানা-
মালয়েশিয়ায় অবৈধ হবার হবার পর ইমিগ্রেশনে কার কত রিঙ্গিত জরিমানা ধার্য্য করা হয়েছে?
-----------------------------------------------------------------------------
♦ ১ - ৩০ দিন পর্যন্ত দৈনিক ৩০ রিঙ্গিত হিসাবে।
(যেমন- ২০ দিন অবৈধ হলে ৬০০ রিঙ্গিত)।
♦ ৩১দিন - ৬ মাস যতদিনই হোক ১,০০০ (এক) হাজার রিঙ্গিত।
♦ ৬ মাসের উর্ধ্বে যত দিন বা বছরই হোক ২,০০০ (দুই) হাজার রিঙ্গিত।
♦ মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে এলে, অর্থাৎ এদেশে আসার কোন প্রমানপত্র দেখাতে না পারলে অবৈধভাবে থাকার জন্য ৩,০০০ (তিন) হাজার রিঙ্গিত।
♥ উল্লেখ্য, প্রতিটি জরিমানার সাথে স্পেশাল পাসের জন্য ১০০ রিঙ্গিত জমা দিতে হবে।
ইমিগ্রেশন ব্ল্যাকলিস্ট
----------------------------------
কাকে কতদিনের জন্য এদেশে ব্ল্যাকলিষ্ট করা হবে-
৭ দিন - ১ মাস = ১ বছর
২ - ৩ মাস = ২ বছর
৩ - ৬ মাস = ৩ বছর
৬ মাস বা তার বেশী = ৫ বছর।
বাবু গেৌতম রায় এক জন সাংবাদিক। তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অন্যান্য বাংলাদেশী সাংবাদিকদের মতো নন। তার কলমে ধার আছে।
তিনি প্রায় ২৯ বছর আগে ব্যাংকক বেড়াতে এসে শখের বশে মালয়েশিয়া আসেন। পরবর্তীতে তিনি এখান বিয়ে করেন। অধুনালুপ্ত আজকের কাগজের তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি। তার করা অনেক রিপোর্ট সেই সময় সারা জাগিয়েছিল।
মালয়েশিয়াতে প্রথম বাংলা পত্রিকা তার হাত ধরে বের হয়েছিল। এখানে উনার সুন্দর একটি লেখা আমি শেয়ার করছি।
০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যা হলে সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয় । অতিরিক্ত জনসংখ্যা কি কাজে লাগানো
? দেশে কোন কাজ নেই। আছে কেবল হাহাকার। বাংলাদেশের পক্ষে কখনোই সম্ভব না। মালয়েশিয়ার যে সম্পদ ও অবকাঠামো আছে সেটা বাংলাদেশের কখনোই ছিল না । ভবিষ্যতেও থাকবে না। বাংলাদেশের পরিস্থিতি ও মালয়েশিয়ার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।। বাংলাদেশের আয়তন মালয়েশিয়ার আয়তন এর তিন ভাগের এক ভাগ । বাংলাদেশের জনসংখ্যা 17 কোটি। মালয়েশিয়ার জনসংখ্যা সোয়া তিন কোটি। একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ ।ভালো থাকুন সব সময়।
২| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৪৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অত্যন্ত জরুরীভাবে অবৈধদের দেশে পাঠানো উচিত বলে মনে করি।
০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কয়েক লাখ অবৈধ শ্রমিককে বাংলাদেশ নিয়ে কি কাজ দেবেন? দেশে কি কাজ আছে? এটা নিয়ে আপনি একটা পোস্ট দিন। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।
৩| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আনুমানিক কি পরিমাণ অবৈধ বাংগালী আছেন সেই দেশে?
বুড়ো মাহাথিরের মগজ হয়তো পায়খানায় পরিণত হয়েছে; এসব গরীব মানুষেরা কেন সেই দেশের সরকারকে জরিমানা দিতে হবে? এসব গরীব মানুষজন গিয়েছিলেন নিজেদের পরিবারের খাওয়া ও ভরণপোষণের জন্য আয় করতে, ও মালয়েশিয়াকে শ্রম দিয়ে সাহায্য করতে! মাহাথির ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আসলে, উহাকে গলা ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করতে হবে; উনার জেলে যাবার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে!
০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি যতটুকু খোঁজ-খবর রাখি তাতে আমার মনে হয় কমপক্ষে চার লাখের মতো শ্রমিক আছে যারা অবৈধ । কিন্তু এরা বারবার টাকা জমা দিয়েছে বৈধ হওয়ার জন্য । টাকা পয়সা দিয়েছে কিন্তু বৈধ হতে পারেনি। দুই দেশের দালালরা টাকা-পয়সা লুটেপুটে খেয়েছে । মাঝখান থেকে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিরীহ সাধারণ শ্রমিকরা।
০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী ডক্টর মাহাথির কখনোই বিদেশে শ্রমিক আনা পছন্দ করেন না। তিনি মনেপ্রাণে চান, মালয়েশিয়ার মানুষ এখানকার কাজ গুলো করুক।
৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: মাশরাফি প্রবাসী মন্ত্রী হবেন। তারপর এই সমস্যা অতি দ্রুত মিটবে।
০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি একবার বলেছিলেন অতিরিক্ত জনসংখ্যা বাংলাদেশের জন্য মহাসম্পদ.। সেই সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য আপনি একটা ফর্মুলা দিয়ে পোস্ট দিবেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় আপনি পোস্ট দেন নি। এমনকি আপনার নিজেরও চাকরি নাই । আফসোস।
অতিরিক্ত জনসংখ্যা বাংলাদেশের সম্পদ নয় । মহা বিপদ , আপদ । মালয়েশিয়ায় এসে দেখে যান।
৫| ০৫ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাজ্জাদ ভাই,
ফেসবুক থেকে দিয়েছেন কাজেই কতটা সত্য সন্দেহ থেকে যায় । তবে যদি ধরেই নেই পার্লামেন্টে এরকম একটি ব্যবস্থাপনা স্বীকৃত হয়েছে তাহলে নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। পেপারস না থাকার জন্য ধরে শাস্তি দেওয়া খুব ভালো- মানলাম সে কথা। কিন্তু দেশের বডার সিকিউরিটির কাজ কি তাহলে?
আমরা যদি ইতিহাস ঘাঁটি তাহলে দেখব গুজরাটি ব্যবসায়ী যে আব্দুল্লাহকে আইনি সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে গান্ধীজী সদ্য ব্যারিস্টারি পাস করে সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি দিয়েছিলেন সেখানেও ছিল এরকম অভিবাসী সমস্যা। সে সময় গুজরাট সহ দক্ষিণ ভারতের বহু শ্রমিক ভাগ্যান্বেষণে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমিয়েছিল। ওখানে যাওয়ার পর এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা শ্রমিকদের যাবতীয় প্রমাণপত্র কেড়ে নিতো । এমনকি তাদের উপার্জনের টাকাও নিজেরা আত্মসাৎ করত। ফলে বছরের পর বছর বিদেশে থাকলেও এই সমস্ত ভারতীয় ছিল সেই তিমিরেই। বিভিন্ন এজেন্সির হয়ে ফেরিওয়ালার মত ছোটখাটো পেশার কাজ করতে বাধ্য হতো। বছরের পর বছর কাজ করলেও তাদের হাতে কোন পয়সা আসতো না, বা দেশে ফেরার অর্থানুকূল্য ছিল না। এক হিসেবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চিরতরে। আরো পরে সে দেশের সরকার এই সমস্ত ভারতীয়দের বুকে পরিচয় পত্র ঝুলিয়ে রাখার বিধান দিলে গান্ধীজীর নজরে আসে। উল্লেখ্য একপ্রকার প্রতারিত এই ভারতীয়দের বলা হতো ডায়াচ ইন্ডিয়ান।
গান্ধীজী শুধু আব্দুল্লার মত গুজরাটি ব্যবসায়ী নন, এই সমস্ত ডায়াচ ইন্ডিয়ানদের জন্য এবার পথে নামলেন । তাদেরকে আইনি সহায়তা দিয়ে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করলেন। এমনকি যারা সে দেশে দীর্ঘদিন অবস্থান করছেন তাদেরকে নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা করলেন। আর এখান থেকেই হল গান্ধীজীর গান্ধীজী হয়ে ওঠার সূত্রপাত।
মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিদের এই প্রতারণা চক্রের খপ্পরে পড়ে যেভাবে সরকারি বিধানে শাস্তিপ্রাপ্ত হতে চলেছে বলে ফেসবুকে বিষয়টি উল্লেখ করলেন তা পড়ে আমার সেদিনের কথাই মনে পড়ে গেল। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় এখানে এত জন লোকের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে এমন একজন গান্ধীজীর উঠে আসা দরকার।
শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
০৫ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাবু গেৌতম রায় এক জন সাংবাদিক। তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অন্যান্য বাংলাদেশী সাংবাদিকদের মতো নন। তার কলমে ধার আছে।
তিনি প্রায় ২৯ বছর আগে ব্যাংকক বেড়াতে এসে শখের বশে মালয়েশিয়া আসেন। পরবর্তীতে তিনি এখান বিয়ে করেন। অধুনালুপ্ত আজকের কাগজের তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি। তার করা অনেক রিপোর্ট সেই সময় সারা জাগিয়েছিল।
মালয়েশিয়াতে প্রথম বাংলা পত্রিকা তার হাত ধরে বের হয়েছিল। এখানে উনার সুন্দর একটি লেখা আমি শেয়ার করছি।
উনার সাথে আমার ব্যক্তিগত ভাবে পরিচয় আছে। উনি যা লিখেন জেনে-শুনে-বুঝে লিখেন। সুতরাং উনার লেখায় আস্থা রাখা যায়।
আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক অনেক ভালো থাকুন । বিশাল মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
একটা সময় মালোয়েশিয়ানরা এদেশে আসতো শিক্ষা-দীক্ষা আর ব্যবসার উদ্দেশ্য। এখন আমরা যাই তাদের দেশে কামলা খাটতে। এটা রাষ্ট্র হিসাবে আমাদের চরম ব্যর্থতা। একজন মাহাথির মোহাম্মদ একটি রাষ্ট্রকে কিভাবে অর্থনৈতিকভবে সফলতার পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তা আমাদের কাছে রহস্যময়। আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে দেশকে বিক্রি করি, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করি। অদক্ষ, অশিক্ষিত মানুষদের পরিবার থেকে দূরে সরিয়ে কাজ না দিয়ে বিদেশে কামলা দিতে পাঠাই। এসব মানুষ আজ না দেশে আসতে পারছে, আর না পরিবার-পরিজনকে সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দিতে পারছে।