নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
আবারও পানি বিহীন কাটাতে হবে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর ও এর আশে পাশের এলাকার মানুষদেরকে। এর আগেও এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। তবে এবারকারটি নজিরবিহীন। কেননা, এই খবরটি এখানকার প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিকপত্রিকাগুলোর লিড নিউজ হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে।
একটি প্রধান দৈনিকে পানি সরবরাহকারী সংস্থার উল্লেখ করে বলা হয়েছে- কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা চলার উপযোগী পানি জমা করে রাখুন। জানানো হয়েছে- ক্লাং ভ্যালি অঞ্চলের ৬২০,৮৩৫ টি আবাসিক সংযোগ স্মরণ কালের ইতিহাসের সব চেয়ে বড় এই পানি সরবরাহ বিহীন অবস্থায় থাকতে যাচ্ছে। বলা হচ্ছে- ২৪ শে এপ্রিল ২০১৯ তারিখ থেকে ৮৬ ঘন্টার জন্য পানির ট্যাপগুলো শুকনো অবস্থায় থাকতে চলেছে। ৫৭৭ টি সরবরাহ অঞ্চলের মোট ৪,১৪২,৪৬৫ জন ভোক্তা এই সময় দুর্ভোগের স্বীকার হবেন। যে সব জেলার লোক জন ভোগান্তি পোহাবেন সেগুলো হচ্ছে- ক্লাং, শাহ আলম, গোমবাক, কুয়ালালামপুর, কুয়ালালাঙ্গাত ও কুয়ালাসেলাঙ্গর।
অতি জরুরী কিছু মেরামত কাজের জন্য কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগ নিচ্ছেন বলে জানানো হয়েছে।
ক্লাংভ্যালী অঞ্চলে প্রায়ই এই ধরনের পানি সংকট দেখা গেছে। আমি বিগত ৫ বছরে এই ধরনের সংকট অনেক দেখেছি। কিন্তু এবারের মতো পত্রিকার লিড নিউজ দেখনি। খুব টেনশনে আছি। পানি বিহীন ৮৬ ঘন্টা পার করা চাট্টি খানি কথা নয়।
এই সময় যারা মালয়েশিয়া বেড়াতে আসবেন তারা ঝামেলায় পড়বেন এটা বলাই বাহুল্য। বড় বড় হোটেলগুলো কি ভাবে গ্রাহকদের পানি সরবরাহ অব্যাহত রাখবে সেটাও একটা বিরাট ব্যাপার।
এখন প্রতীক্ষায় আছি ভয়ঙ্কর ২৪শে এপ্রিলের জন্য। পানি কত দামী আবার বুঝতে পারবে সবাই। দাঁত থাকতে আমরা কেউ দাঁতের মর্যদা বুঝি না।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দাদা, এখানে অনেকবার এমন পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।
এবার আর পারবো বলে মনে হয় না।
পানির অপচয় করা ঠিক নয়।
পানির কোন দাম নেই। এটা অমূল্য সম্পদ।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৩
ল বলেছেন: পানিটা কতটা দামী আসলে সেটা যদি বুঝতে পারতাম তবে জীবনের আরো অনেক কিছু সহজ হয়ে যেত।
পানি ছাড়া জীবন একবার চিন্তা করে দেখুন কতটা ভয়াবহ!!
আললাহ সকলের মঙ্গল করুন।
আপনার ২৪ এপ্রিল কাটুক ভাবনাহীন।
শুভ কামনা।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিরাট টেনশনে আছি। বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে কিভাবে সামাল দেব।
মানুষ বুঝে না। পানি অপচয় করে। পানির সঠিক ব্যবহার করা উচিত।
আগামীতে পৃথিবীতে জ্বালানী আর পানির সংকট বেশী হবে বলেই মনে হচ্ছে।
আপনার লেখা পড়ে অনেক আনন্দ পেলাম।
আপনার জন্যও শুভ কামনা। ভালো থাকুন সব সময়।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাস্তবে আমি ভেবে তো শিউরে উঠছি । আগে থেকে কিছু মজুদ করে দেখুন যাতে খুব বেশি সমস্যা না হয় ।
শুভকামনা প্রিয় সাজ্জাদ ভাইকে ।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাসায় আর কয় ঘন্টার পানি মজুদ রাখা যাবে, দাদা? পানি এমন একটি জিনিস যার প্রয়োজন সব সময়। এটা এমন একটি জিনিস যা ছাড়া পৃথিবীর কোন প্রাণী এক মুহূর্তও চলতে পারে না।
আপনি ভালো থাকুন। কারো যেন পানির অভাব না হয়। সব প্রাণী সুখে থাকুক।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
রুটিন মেইটেনেন্সের জন্য একটি পানি সাপ্লাই কম্পানী নোটিস দিয়ে পানি বন্ধ করতে পারে। এটা স্বাভাবিক প্রসেস।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তবে সময়টা অনেক বেশী দীর্ঘ। এটা আগেও হয়েছে। তবে এবারকাটি অনেক আতঙ্কের। আমার মনে হয়, ঢাকায়ও এমনটি হয় না।
ধন্যবাদ।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: হায় হায়----
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অলরেডি হাহাকার শুরু হয়ে গেছে । বড় বড় দোকানের বোতলজাত পানি ও বালতি সব বিক্রি হয়ে গেছে। কারবালা আসছে! ঢাকা শহরের তুলনায় এখানকার অবস্থা খুবই করুণ। খুবই খারাপ অবস্থা।
৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
বাংলার মেলা বলেছেন: সমস্যা নেই। মালয় দেশে প্রতিদিন অপরাহ্নে বৃষ্টি হয় বলে শুনেছি। তখন গোসল করে প্রয়োজনীয় পানি জমিয়ে রাখলেই সমস্যা সমাধান হবে আশা করি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অলরেডি হাহাকার শুরু হয়ে গেছে । বড় বড় দোকানের বোতলজাত পানি ও বালতি সব বিক্রি হয়ে গেছে। কারবালা আসছে!
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এ কি! বলেন কি? তাহলে তো হাফ দোজখ হয়ে যাবে।