নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়েশিয়াতে বাংলাদেশী শ্রমিক নিয়ে অসাধারণ একটি লেখা।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:১৭

বাবু গেৌতম রায় এক জন সাংবাদিক। তিনি মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অন্যান্য বাংলাদেশী সাংবাদিকদের মতো নন। তার কলমে ধার আছে।

তিনি প্রায় ২৯ বছর আগে ব্যাংকক বেড়াতে এসে শখের বশে মালয়েশিয়া আসেন। পরবর্তীতে তিনি এখান বিয়ে করেন। অধুনালুপ্ত আজকের কাগজের তিনি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি। তার করা অনেক রিপোর্ট সেই সময় সারা জাগিয়েছিল।
মালয়েশিয়াতে প্রথম বাংলা পত্রিকা তার হাত ধরে বের হয়েছিল। এখানে উনার সুন্দর একটি লেখা আমি শেয়ার করছি।

*********************************************************

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানীতে
আমার অনীহা কেন?

♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥
মালয়েশিয়া যতটুকু দেয়
তার চেয়েও বেশী নেয়।
------------------------------------
== গৌতম রায় ==

মালয়েশিয়ার শিল্প প্রতিষ্ঠান যখন বিদেশী শ্রমিক সংকটে ছটফট করছে তখন আমার মনে পড়ে জেলে জঙ্গলে আশ্রিত শ্রমিকের অসহায় মুখটি। কারন যে বিদেশী শ্রমিকদের উপর এত জুলুম অত্যাচার নির্যাতন চলছে, লেভীর নামে শ্রমিকের টাকা হাতিয়ে নেয়া, পথে ঘাটে পুলিশের হয়রানী, দালাল দিয়ে কৌশলে অর্থ নেয়া, তার উপর জেল জুলুম নির্যাতন কত কিছু। কত রঙ্গলীলাই না চলছে এই বিদেশী শ্রমিক নিয়ে। ওদের কি মানুষ মনে করছে মালয়েশিয়া?

অথচ এই বিদেশী শ্রমিকরাই হচ্ছে মালয়েশিয়া অর্থনীতির অক্সিজেন। এখন সে অক্সিজেন সংকটে আছে মালয়েশিয়া। একদিকে টাল মাটাল অর্থনীতি, আরেকদিকে শ্রমিক সংকট। আর এ অক্সিজেন পূরন করতে বাংলাদেশী শ্রমিক অপরিহার্য্য মালয়েশিয়ায়।
কারন, বিশ্বের কোন দেশই মালয়েশিয়াকে এখন আর শ্রমিক দিতে রাজী নয় তাদের অসাধু অবস্থানের কারনে। যতটুকু বুঝি বাংলাদেশও নয়। কিন্তু বাংলাদেশের একশ্রেনীর মানুষ বিশেষ করে দালাল এজেন্টরা মালয়েশিয়ায় লোক নিবে শুনলেই 'আলহামদুলিল্লাহ' বলে খুশীতে মেতে উঠে।
না দেশপ্রেমের তাগিদে নয়, তাদের চৌদ্ধগোষ্ঠীর কামাইয়ের মহানন্দেই এ উল্লাস। আর আমাদের মিডিয়া তাদের আরো পাগল বানিয়ে ছাড়ে।
কিন্তু আমি একটুও খুশী হই না। কারন আমি চাই এই অক্সিজেনের অভাবে মালয়েশিয়া ধুকে ধুকে মরুক আর অনুধাবন করুক বাংলাদেশী শ্রমিক কত বেশী দরকার মালয়েশিয়ার জন্য। যে মালয়েশিয়া আমাদের জন্য মারনেশিয়া হয়ে শ্রমিকদের ক্রীতদাস বানিয়ে রেখেছে সে মালয়েশিয়ার জন্য কিছুটা শিক্ষা দরকার আছে।
সকালে আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর সাথে চা বিস্কুট খেয়ে বিকেলে চুক্তিতে সই করে আর রাতে সে চুক্তি বাতিল করে। আমি সে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে আপত্তি করছি। কারন, আমার দেশকে অপমান করার ধৃষ্টতা দেখিয়েছে ওরা। একজন দেশপ্রেমিক হিসাবে মালয়েশিয়ার কাছে আমাদের নতজানু আর আশা করি না। সম্পর্ক হতে হবে 'উইন উইন' পদ্ধতিতে। একতরফা কেন?

বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষ না খেয়ে নেই। এছাড়া আহামরি কি এমন আছে মালয়েশিয়ায়? শ্রমিকরা যা কামায় সেটা তো মালয়েশিয়াই ছলে বলে কৌশলে রেখে দিচ্ছে। আর গা বাঁচিয়ে যেটুকু সে দেশে পাঠাচ্ছে তাতে দেশে থাকলে দিব্যি এর চেয়ে ভালো থাকতো।

তাই আমি জানি না আমার কথাগুলো কে কিভাবে নিবে। একদিন এই মালয়েশিয়ায় লোক নেবার জন্য কত আকুতি মিনতি করেছি, কত নিউজ লিখেছি। আর আজ সেই আমিই বলছি- অনেক হয়েছে, আর নয়। আর নয় মালয়েশিয়া। সুন্দরী সাপের সৌন্দর্য্য আমরা মুগ্ধ হয়ে যেন ভুলে না যাই সুন্দরীর বিষাক্ত ছোবলের কথা। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেশ এই বাংলাদেশ আজ ঘুরে দাঁড়াতে শিখেছে।
জনশক্তি রপ্তানীর নামে আমাদের আত্মসন্মান যেন বিকিয়ে না দেই। জানি যুক্তি অনেক আসবে, কিন্তু আমার যুক্তি একটাই- আমরা ঘুরে দাঁড়ালে, অবশ্যই নত হবে ওরা। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক অক্সিজেনে বাংলাদেশী শ্রমিকের বিকল্প আর নেই। অনেকের চেয়ে আমি এটা বুঝি একটু বেশী। কারন, এই মালয়েশিয়াকে আমি চিনি ২৯ বছর। খুব সামনে থেকে দেখেছি কাদের রক্ত ঘামে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে আজকের এই মালয়েশিয়া। এটাও দেখেছি মালয়েশিয়ায় শ্রমিক এসে কি পেয়েছে আর কি হারিয়েছে। এদেশে অনেকের সোনার যৌবন ধ্বংস করেও ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পারেনি। হিসাবের খাতাটা মিলছে না কোনভাবেই। কাজেই মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানীর ঢেকুর তুলে লাভ নেই। লাভ হবে দালালের।

আর শ্রমিকের লাভটা হবে জমি জমা বিক্রি করে বিদেশভ্রমনের স্বাদ পূরন। তারপর হয়তো মাথা থেকে 'বিদেশ' পোকাটা দূর হবে। এরপর শিক্ষালাভ করে বলবে- দেশে মাটি কামড়ে পড়ে থাকবো, তবু আর মালয়েশিয়া নয়।
** আমার লেখায় একমত হলে শেয়ার করুন
( আমি শেয়ার করে দিলাম। এবার পাঠক পড়ুন)

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০৭

দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: পড়ে ফেললাম।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দাদা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার আরো জানার জন্য গৌতম দা'র ফেসবুক লিঙ্ক শেয়ার করছি। উনি অনেক লিখেন।

গৌতম দাদার ফেসবুক

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১০

মুক্তা নীল বলেছেন: সাজ্জাদ ভাই,
বাবু গৌতম রায় মালয়েশিয়ার জনশক্তি রপ্তানির ব্যাপারটি নিয়ে যে কলাম'টি লিখেছেন আরও বেশি করে প্রচারের দরকার। আমাদের দেশে নিউজপেপারে ও টেলিভিশন চ্যানেল এর ধারাবাহিক পর্ব দেখিছি, ভিসা জটিলতা , পালিয়ে বেড়ানো,
ধরপাকড়, দালাল টাকা আত্নসাধ করে নানান হেনস্তা । তারপরও আমাদের দেশের কিছু মূর্খ্য জনগন যদি বুঝতে পারতো?
মালয় মেয়েরা বাংগালী ছেলেদের এতো-ই পছন্দ করে কেন? বিয়ে করতে কি সিনিয়র /জুনিয়র মানে না?
ধন্যবাদ ভাই ভালো একটা খবর শেয়ার করার জন্য।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভাইয়া,

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার আরো জানার জন্য গৌতম দা'র ফেসবুক লিঙ্ক শেয়ার করছি। উনি অনেক লিখেন।

গৌতম দাদার ফেসবুক

মালয় মেয়েরা কেন পছন্দ করে সেটা আরেকটা পোস্টে বলবো। সেটাও কাজের জন্য। কঠোর পরিশ্রম করতে জানে বলে।

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:১৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিশ্বের অন্যান্য দেশ মালয়েশিয়ায় শ্রমিক দিতে আপত্তি করার কারণ হচ্ছে জনশক্তি রপ্তানির দরকষাকষির দিক দিয়ে ওই সকল দেশগুলো যথেষ্ট সুবিধাজনক অবস্থানে আছে | ফিলিপাইন, চিন, শ্রীলংকা ও ভারত জনশক্তি রপ্তানিতে শীর্ষের কাতারের কয়েকটি দেশ | এদের শ্রমিকরা দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণে আমাদের শ্রমিকদের চাইতে অনেক এগিয়ে | প্রবাসী ভারতীয়রা যথেষ্ট দক্ষ এবং তাদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অনেক ভালো | এমনকি তাদের প্রতিদ্বন্ধি চীন ও ফিলিপাইনের চাইতেও ভারতীয়রা ভাষাগত দক্ষতার কারণে জনশক্তিতে অনেক সুবিধাজনক অবস্থায় আছে |

আমাদের অদক্ষ এবং অর্ধশিক্ষিত রেমিটেন্স প্রেরণযোগ্য জনবলকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা ছাড়া এই সকল হতভাগ্য শ্রমিকদের জীবনের মানউন্নয়ন করা সম্ভব নয় | যতই সদুপদেশই প্রদান করুন না কেন প্রবাসের সোনার হরিনের হাতছানি থেকে এদের ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব | একমাত্র সরকার যদি তৃণমূল পর্যায়ে কারিগরি এবং ইংরেজি ভাষায় নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রদান করে এই অদক্ষ জনশক্তিকে দক্ষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারে তবেই তাদের প্রবাস জীবনের হেনস্থা বা শোষণের কিছুটা অবসান হবে |

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দাদা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনার আরো জানার জন্য গৌতম দা'র ফেসবুক লিঙ্ক শেয়ার করছি। উনি অনেক লিখেন। আপনি পড়লে আরো অনেক লেখা দেখতে পাবেন। উনার অভিজ্ঞতার আলোকে অনেক কিছু লিখেন। আমার মনে হয় এটা সবার পড়া উচিত।

গৌতম দাদার ফেসবুক পড়ুন। অনেক কিছু জানার আছে।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:৫৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেন।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাইয়া। আপনার লেখার হাত খুবই ভালো।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলতে কি আমি চাই আমাদের দেশের কেউ যেন মালোশিয়া না যায়। বরং ,আলোশিয়ার লোকজন আসুক আমাদের দেশে।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মালয়েশিয়া বাংলাদেশী শ্রমিকদের কি ভাবে দাশ বানিয়ে রেখেছে এবং কি ভাবে তাদের আয় কেড়ে নিচ্ছে এ বিষয়ে আলোকপাত করার দরকার ছিল।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১১০০ রিংগিত ২২ হাজার টাকা।
আড়ত থেকে মাছ কিনে ঢাকার রাস্তায় মাছের হাড়ি মাথায় নিয়ে ফেরি করলে এর চেয়ে দ্বিগুন টাকা ইনকাম সম্ভব।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৮

অনল চৌধুরী বলেছেন: েখাটা কবে প্রকাশিত হয়েছে?
কোন দেশকে কেউ শ্রমিক নিতে বাধ্য করতে পারে না।
প্রত্যেকটা স্বাধীন দেশ তাদের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নেবে।
মালয়শিয়ায় বাংলাদেশী শ্রমিকরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সৃষিবট করছে।
তবে শ্রদ্ধেং ড: মহাথিরের আগের আমলেও বাংলাদেশী শ্রমিকদের দেশে না পাঠিয়ে বন্দী শিবিরে রেখে চরম অমানবিক অত্যাচার করা হতো ,যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য না।
মুক্তনীল বলেছেন,মালয় মেয়েরা বাংগালী ছেলেদের এতো-ই পছন্দ করে কেন? বিয়ে করতে কি সিনিয়র /জুনিয়র মানে না?
ধন্যবাদ ভাই ভালো একটা খবর শেয়ার করার জন্য।
-বিয়েতে আবার বয়স কি? বড় মেয়েদের যে কেউ বিয়ে করতে পারে।
শচীন টেন্ডুলকার,অভিষেক,ম্যাক্রো,নিক জোনস-প্রিয়াংকা চোপড়া-সবাই করেছে।
মারয় মেয়েরা করলে সমস্যা কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.