নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
আমি যখন ঢাকায় থাকতাম তখন প্রতি দিন খুব সকালে কাজে যেতাম। তখন পথের দুই পাশে অসাধারণ সব দৃশ্য দেখতে পেতাম। তেমনই একটি দৃশ্য হচ্ছে- সকাল বেলায় দোকানীদের ঝাড়ু দেয়ার দৃশ্য।
ঘর ঝাঁড়ু দেয়া খুব ভালো কাজ। এতে করে বাড়িঘরের ময়লা দূর হয়। কিন্তু আমি এক দোকানীকে প্রায়ই পেতাম- তিনি ঘর ঝাড়ু দিয়ে দিয়ে ময়লাগুলো রাস্তায় ফেলছেন। আমি যে এক জন মানুষ নামের দুপেয়ে প্রাণী এটা তিনি গ্রাহ্যই করলেন না। আমার গায়ের উপরই ঝাড়ু দিয়ে ময়লা ফেলতে লাগলেন। আমি দ্রুত পায়ে সরে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলাম। আপনি বাঁচলে বাপের নাম।
জাতি হিসাবে আমরা মনে হয় আমরা খুব বেশী পরিস্কার নই। এর মানে এই যে, আমরা ময়লা যথাস্থানে ফেলতে অভ্যস্থ নই। আমাদের আশেপাশে তাই ময়লা ফেলার জন্য কোন ডাস্টবিনও নেই। আর ডাস্টবিন থাকলেও তাতে কেউ ময়লা ফেলবে না। আর ডাস্টবিনটিও খুব বেশী দিন অক্ষত থাকবে না। কোন এক সদয়বান চোর সে সেটাকে নিয়ে যাবে। আমরা খুবই সভ্য জাতি।
বাংলাদেশের পথে ঘাটে প্রচুর ময়লা ফেলা হয়। রাস্তার ধুলোবালি সংগ্রহ করে মাটির নীচে পুতে ফেলা ভালো কাজ হতে পারত। কিন্তু এটা কেউ করবে না। বরং ঘরবাড়ির যত ময়লা রাস্তায় এনে ফেলবে। অন্ততঃ আমি যত দিন ঢাকায় ছিলাম এটাই প্রত্যক্ষ করেছি। সড়কের মাঝ খানের বিভাজক ( যাকে ডিভাইডার বলে) এর উপরে আশেপাশের বাসার সবাই ময়লা আবর্জনা এনে জড়ো করছে। সেই ময়লা থেকে প্রচন্ড বমির উদ্রেককারী সব গন্ধ এসে পড়ছে। মাছি ভন ভন করছে।
রাস্তার ময়লার দুইটি প্রতিক্রিয়া আছে। একটি শুকনোর সময়। আরেকটি ভেজার সময় মানে বৃষ্টি হলে। শুকনোর সময় ধুলোবালি উড়ে চোখ মুখ কানা করে ফেলে। এই সময় অনেক দোকানী নিজেকে বাঁচানোর জন্য পানি ছিটায়। সে ভুলে যায় এই ময়লার কিছু অংশ সেও রাস্তায় ফেলেছে। আর বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। পুরো রাস্তা কাদাময় হয়ে যাবে।
কুয়ালালামপুরের রাস্তায় রাস্তায় প্রতিদিন ভোরে দেখা যায় লাল গেঞ্জি পরিহিত ( যাদের বেশীর ভাগই বাংলাদেশী) কর্মীরা রাস্তা পরিস্কার করছেন। রাস্তা থেকে ধুলো সংগ্রহ করে পলিথিন ব্যাগে ভরে রাখছেন। ধুলোর এই ব্যাগগুলো পরে বড় ট্রাক এসে সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। এই ভাবে শহরের রাস্তাঘাচ পরিচ্ছন্ন থাকছে। আলম ফ্লোরা নামের এই পরিছন্নতা কোম্পানীর প্রায় সব কর্মীই আমি দেখেছি বাংলাদেশের। তাদের নিজ দেশের রাস্তা কেউ পরিস্কার রাখে না। রাস্তার ধুলো কেউ সংগ্রহ করে অপসারণ করে না। আফসোস!
আমার এক বন্ধু যে কিনা আমেরিকায় থাকে ( এবং এই ব্লগে কবিতা ও লিখে) । একবার দেশে এসে কোথাও গেছে। সেখানে কোন চাপানি খাবার পর তার কাছে কিছু ময়লা জমে। সে ময়লাগুলো ফেলার জন্য ডাস্টবিন খুঁজে। তার আচরণে সবাই বিস্মিত হয়। আশ্চর্য। ময়লা ফেলার জন্য ডাস্টবিন খুঁজতে হবে কেন? কয় দিন বিদেশে থেকে ফুটানি দেখ! ময়লা পথে ফেললেই তো হলো। কয় দিনের বৈরাগী। ভাতেরে কয় অন্ন! অথচ আমাদের অনেক মানুষই বিদেশে ময়লা ফেলার কোন ডাস্ট বিন সময় মতো খুজেঁ না পেলে প্যান্টের পকেটে ময়লা নিয়ে ঘুরেন এমন উদাহরণও আছে। পরে বাসায় এসে তারা ময়লা ডাস্ট বিনে ফেলেন।
আমি যেই উপজেলার নাগরিক সেখানে একটি পৌরসভা আছে। এর নাম দোহার পৌরসভা। এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। অথচ মজার ব্যাপার হলো- এই পৌর শহরে নেই কোন ময়লা ফেলার ডাস্টবিন। সবাই পথে ঘাটে ময়লা ফেলছে। হিসু করছে।
হিসু করার জন্য সব চেয়ে নিরাপদ আর উত্তম জায়গা সম্ভবত ঢাকা মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম। আমি যখন ঢাকায় থাকতাম তখন দেখতাম অসংখ্য পথচারী সেখানে প্রাকৃতিক সেচ কার্য পরিচালনা করছেন। জায়গাটি প্রচন্ড দুর্গন্ধ হওয়ার কারণে পথ চলতে খুবই কষ্ট হতো।
তাই আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি যেটা বলতে চাই সেটা হলো-
১। নিজের ঘর পরিস্কার করে সেই ময়লা রাস্তায় না ফেলে বাসায় বা দোকানেই ছোট ডাস্টবিনে রাখতে হবে।
২। রাস্তার ময়লা ও ধুলো পরিস্কার করে রাস্তা ঝকঝকে রাখতে হবে। রাস্তায় ডাস্টবিন স্থাপন করতে হবে।
৩। পর্যাপ্ত পরিমাণে পাবলিক টয়োলেট স্থাপন করতে হবে।
এই গ্রাম আমাদের। এই শহর আমাদের । এই দেশে আমাদের। এটাকে পরিস্কার রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এতে অবহেলা করা বা লজ্জা পাবার কিছু নেই। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানেরই অংশ। আমাদের ইমানের জোর বাড়ানো খুবই জরুরী।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মফিজ ভাই , আপনি সঠিক মন্তব্য করেছেন। জাতি বদলাবে বলে মনে হয় না। তবে নোংরা দেখলে আমার খুব খারাপ লাগে। আপনি তো বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশে আছেন। সেখানকার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। আমরা জানি। তারা কেমন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার মন্তব্যগুলো খুবই সুন্দর হয়। আমার খুবই ভালো লাগে।
শুভ সকাল । ভালো থাকুন প্রতি দিন।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
জাতি বুড়িগংগায় পায়খানা করে, আবার সেই পানি খায়; জাতি নিজেই রিসাইক্লিং মেশিন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রতিটি বাঙ্গালীই যেন রিসাইক্লিং মেশিনে পরিণত হয়েছে। তবে আমাদেরকে বদলাতে হবে। নিজেদের ভালোর জন্য।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬
রিফাত হোসেন বলেছেন: মনের কথা বলেছেন। এই নিয়ে বহু আলোচনা,সমালোচনা করেছি। লাভ হয়েছে কম-বেশী। আমাদের রক্তে এই শৃঙ্খলা এখনো ভালভাবে বসে যায়নি। শিক্ষার ব্যবস্থায় ও সরকারি কার্যক্রমে এই নিয়ে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয় না। অফিস থেকে এসে আমি একটু ক্লান্ত তাই আর বিস্তারিত মন্তব্যে গেলাম না। ভাল লেখেছেন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার মনে হয়, শিক্ষক আর জনপ্রতিনিধিরা সচেতন হলে তারা কিছুটা পরিবর্তন করতে পারেন। তবে তারা নিজেরাই সচেতন নন। যারা বিদেশে বেড়াতে যান তারা সেখান থেকে শিখে এসে দেশে প্রয়োগ করতে পারেন। সেটাও কেউ করেন না। বদলানো দরকার।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
হাবিব বলেছেন: আমি একদিন বাসে আট নাম্বার বাসে করে যাচ্ছিলাম। একেবারে পেছনের সিটে জায়গা পেয়েছিলাম সেদিন। এক বুড়ো লোকও উঠেছিলো শিশুমেলা থেকে। পান্টের সাথে গ্রামীন চেকের শার্ট। পকেটে বাদাম ছিলো তার। পকেট থেকে আকটা একটা করে বাদাম বের করে খাচ্ছে আর সেই খোসাগুলো বাম হাতে রাখছে। আমি অবাক হলাম। তিনি মুখ দিয়ে বাদাম ছিলিয়ে খাচ্ছে, অথচ ইচ্ছা করলেই বাদামের খোসা বাইরে ফেলে দিয়ে আরামে বাদাম খেতে পারতো। খাওয়া শেষে বাদামের খোসাগুলো বুক পকেটে ভরে রাখলো। আমি একবার বলতে চেয়েছিলাম, চাচা দেন বাদামগুলো আমি ছিলিয়ে দেই।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রিয় হাবিব স্যার,
মালয়েশিয়া এয়ার লাইন্সের সার্ভিস খুব একটা খারাপ না। কিন্তু ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটের সার্ভিস সব চেয়ে খারাপ হয়। কারণ কি জানেন?
আমি প্রথম যখন আসি তখন মালয়েশিয়া এয়ার লাইন্সে এসেছিলাম। ঢাকায় ছিল ঝকঝকে বিমান। কুয়ালালামপুরে নামার সময় দেখি বিমানের সর্বত্র ময়লা, কাগজ, খাবারের উচ্ছিষ্ট সব মিলিয়ে এটাকে আর বিমান বলা চলে না। অথচ কুয়ালালামপুর থেকে সিডনী যান এই বিমানে । দেখবেন সব ঝকঝকে।
জাতি হিসাবে আমরা যথেষ্ট পরিস্কার নই। আমাদের মনও খুব ব্শেী পরিস্কার নয়।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৯
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: খুব ভালো আলোচনা করেছেন ভাইয়া, লাইক দিলাম।
আপনার অভিজ্ঞতা থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি, যা আমার বিতর্কে কাজে লাগে। আপনাকে ধন্যবাদ
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অসাধারণ লিখেন। আপনাকে দেখে আমার আগের দিনের কথা মনে পড়ে। শুভ সকাল । ভালো থাকুন প্রতি দিন।
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০০
রাজীব নুর বলেছেন: একখান ভালো পোষ্ট দিছেন।
কিন্তু এই জাতি নষ্ট হয়ে গেছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জাতির গায়ে ময়লা লেগে গেছে। ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা দরকার। সব ঠিক হয়ে যাবে।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,
সত্য কথাই বলেছেন। ময়লা ফেলতে ডাষ্টবিন খোঁজার জন্যে আমিও অনেক অবাক চোখের সামনে পড়ি।
আসলে আমরা বাইরে থেকে ময়লা কতোখানি পরিষ্কার করি জানিনে তবে আমাদের মনের ভেতর যে ময়লা পাহাড়সম জমে আছে তা যে কখনই ঝেড়ে ফেলিনে তা চাঁদ-সূর্য্যের মতো স্পষ্ট।
আপনার লেখায় সেটাই ফুটে উঠেছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অনেক সুন্দর করে কথা বলেন। এমন সুন্দর যে পড়ে বিমোহিত হই। সবাই যদি আপনার মতো হতো!
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লাগলো সাজ্জাদ ভাই আজকে আপনার পোস্টটি পড়ে। ++
শুভকামনা জানবেন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দাদা, আপনার কথা ভাবছিলাম। আর আপনি দেখি ব্লগ ঘুরে গেছেন।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কথাগুলো খুবই গঠনমূলক। বিদেশের মাটিতে বাসার বাইরে গেলে তো থুথু ফেলাটাও কষ্ট। রাস্তার পাশে কফ দেখলে আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে।
তবে আমার মনে হয়, ১৫-২০ বছর আগের চাইতে ঢাকার অবস্থা একটু উন্নত হয়েছে। ড্রেনের পাশে কুকুরের মতো ছাড়তে দেখা যেত অহরহ। এখন ড্রেনগুলো আন্ডার কভার হওয়ায় ওটা কমেছে।
বিভিন্ন ভাবে এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়ানোর দরকার।
অনেক ভালো লাগলো পোস্ট এবং সুপারিশ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি এক জন গুণী মানুষ। গুণী মানুষরা চাইলে সমাজ বদলে দিতে পারেন। তারা জাতির বিবেক।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮
নীলপরি বলেছেন: বাস্তব চিত্রটাই তুলে ধরেছেন ।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সবার মাঝে সচেতনতা জাগিয়ে তোলা জরুরি। তবেই না পরিবর্তন আসবে।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
১১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৩
জুন বলেছেন: আমরা নিজেদের এসি গাড়ী পরিস্কার রাখার জন্য কাচ নামিয়ে রাস্তায় চিপসের ঠোংগা আর কোকের ক্যান বা বোতল ছুড়ে মারি।
বিলেতে সাড়ে সাতশ দিন বইটির লেখক লিখেছিলেন তিনি একদিন রাস্তায় হাটছেন তার সামনে এক শ্বেতাংগ ভদ্রলোক টিস্যু পেপারে নাক ঝেড়ে প্যান্টের পকেটে রাখলেন । লেখক বলেছেন এদেশের মানুষ নিজে অপরিচ্ছন্ন হয়ে পরিবেশ পরিস্কার রাখে আর আমরা নিজেরা পরিচ্ছন্ন থেকে পরিবেশকে নোংরা করি ।
ভুটানে রাস্তার পাশের প্রতিটি সাধারন দোকানের দরজার বাইরে এত সুন্দর করে রাখা ময়লা ফেলার বিন যা আমি ভাবতেও পারি নি চিপসের প্যকেট হাতে নিয়ে ।
থাইল্যন্ডে আজ থেকে অনেক বছর আগে পথে ময়লা না ফেলার জন্য সরকার থেকে কার্য্যক্রম শুরু হয়েছিল । সেসময় একদিন এক পরিবার এদিক ওদিক তাকিয়ে চুপ করে ময়লা নিয়ে রাস্তায় ফেলে । তিনদিন পর সেই ময়লা পার্সেলে তাদের বাসায় আসে সাথে জরিমানার টিকিট । আমাদের দেশেও এমন জরিমানা সিস্টেম করা উচিত তবে অনেক পরিমানে । দশ বিশ টাকা না কারন আমরা আবার বড়লোকের জাতি । কলকাতার নিউমার্কেটের সামনে এক কলা আলা বলেছিল " এই যে দিদি এখানে এই বক্সে খোসাটা ফেলুন নইলে আমাকে পঞ্চাশ পয়ছা জরিমানা করবে "। তারা পঞ্চাশ পয়সাতেই ভীত আমাদের ভয় পাওয়াতে হলে মিনিমাম ৫০০ টাকা করতে হবে
মালয়েশিয়ায় আমিও প্রচুর বাংলাদেশী পরিচ্ছন্ন কর্মী দেখেছি মালাক্কা যাওয়ার সময় । আপনার সচেতনতামুলক লেখাটিতে অনেক ভালোলাগা ।
+
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৪২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জুন আপু, আপনার মন্তব্য আমার পোস্টের চেয়েও দামী। অনেক সুন্দর করে বলেছেন। আর হ্যাঁ, মালাক্কায় পুলাউ বেসার গিয়েছিলেন তো? যেই দ্বীপ যেখানে অনেক অনেক লম্বা মানুষের কবর আছে। এই নিয়ে একটা পোস্ট দিব ভাবছিল আজ ৪/৫ মাস ধরে।
আপনার মন্তব্য গুলো পত্রিকায় কলাম আকারে আসলে অনেক মানুষ পড়তে পারত।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
১২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫০
গরল বলেছেন: বাংলাদেশের সবচেয়ে ফিট-ফাট, উচ্চশিক্ষিত, উচ্চপদস্ত লোকজন যারা খুবই বিলাসবহুল অট্টালিকায় অফিস করেন তারাও নামাজের সময় বেসিনে অজু করে টয়লেটতো কাঁদা করেনই অফিসও নোংরা করেন। অফিস নোংরা করাটা তাদের ঈমানি দায়িত্ব বলেই মনে করে সবাই।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার এই কথাটি অনেক নির্মম বাস্তবতা। আমিও দেখেছি। সবারই সাবধান হওয়া উচিত। আমরা পরিস্কার আর ঝকঝকে থাকতে চাই। নোংরা পরিবেশ কেউ পছন্দ করবে না।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
১৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ++++++
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা।
১৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮
কিশোর মাইনু বলেছেন: কিছু বলার নেই
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তবে কিছু একটা করার আছে। আসুন, আমরা সচেতন হই। কাজ করি।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
১৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১০
অন্তরা রহমান বলেছেন: যেখানে সেখানে প্যান্ট খুলে দাঁড়িয়ে যাওয়ার ইতরামি এই দেশের অনন্য বৈশিষ্ট্য। আর ডাস্টবিনের চাইতে তার চারপাশে ময়লা পড়ে শতগুনে। আইন লাইনে না আসলে, মানুষ বেলাইনে যাবেই। কিস্যু করার নাই।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার মন্তব্য নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের এলেবেলে বইতে দারুণ একটা লেখা আছে। সবাই সেটা পড়লে ব্যাপারটি বুঝতে পারবেন।
আমাদের আইন আছে। তবে প্রয়োগ নেই। বা সবার উপরে প্রয়োগ করা হয় না।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতি দিন।
১৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে +++
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার +++ পেয়ে আমি বিমুগ্ধ হলাম।
শুভ সকাল ।
ভালো থাকুন প্রতিদিন।
১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৩০
মুক্তা নীল বলেছেন:
বিবেকের বড়-ই অভাব। গঠনমূলক ও সচেতনতামূলক পোস্ট। ভালোলাগা রইলো +++
১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৫:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি পড়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। অনেক অনেক ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানেরই অংশ। এটা কেতাবী কথা, তবে তা শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রযোজ্য। কেউ পরিস্কার থাকার চেষ্টা করলেও মানুষ সমালোচনা করবে। এমন পরিস্থিতির শিকার আমিও হয়েছি। সরকার ঠিক না থাকলে জনগন কখনও ঠিক থাকে না......সেটা যে দেশই হোক না কেন!
আমাদের ইমানের জোর বাড়ানো খুবই জরুরী। অবশ্যই জরুরী, তবে সম্ভাবনা খুবই সীমিত।