নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি লাইব্রেরী ছিল। তবে লাইব্রেরীর জন্য কোন আলাদা কক্ষ কিংবা ভবন ছিল না। গ্রামের স্কুল । তাই এই সব আশা করা বৃথা।
তবে অনেক অসাধারণ বই পড়েছি। জুনিয়ার হাইএ থাকার সময় এতো বেশী বই পড়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই ধন্য ছিলাম।
আমাদের স্কুলের বই গুলো থাকতো শিক্ষকদের কমন রুমে। মানে যেখানে সব স্যাররা বসতেন সেখানে। সেখানে বেশ কয়েকখানা আলমারীতে অনেক বই রাখা ছিল।
আমার স্বপ্ন ছিল সবগুলো বই পড়ে ফেলব।
বইগুলোর দায়িত্বে ছিলেন বাংলার শিক্ষক জনাব হরিদাস মন্ডল । তাকে আমরা পন্ডিত স্যার বলেই জানতাম। আমি যত দিন তাকে শিক্ষক হিসাবে দেখেছি তত দিন তিনি ক্লাসে ধুতি আর পাঞ্জাবী পড়েই আসতেন।
আমার স্কুলের সেই বই আর পন্ডিত স্যার হরিদাস মন্ডলকে খুব মিস করি।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খলিল ভাই, ছোটখাটো কাজ করি বলে প্রচন্ড খাটুনি যায়। অনেক রাতে প্রাণের টানে ব্লগে আসি। ক্লান্তিজনিত কারণে লিখতে মন চাইলেও শরীরর সমর্থন করে না। তাই অনেক লেখা শুরু করলেও শেষ করে পোস্ট করা হয় না। স্কুলের লাইব্রেরীটি আমার মাঝে বইয়ের তৃষ্ণা সৃষ্টি করেছিল। আমাদের শিক্ষকরা চাইলে হাজারে হাজারে ছাত্রছাত্রীদেরকে তৃষ্ণার্ত করে দিতে পারেন। তাতে অভাগা জাতি লাভবান হবে। সব স্কুলেই গ্রন্থাগার সক্রিয় থাকা দরকার।
২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:১০
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
চমৎকার স্মৃতিময় একটি লেখা। ভাল লাগলো। +++
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অবশেষে আমাদের বায়স্কোপ স্রষ্টা এলেন। আপনার আগমন শুভ হোক। নতুন বই নিয়ে আপনার ব্যস্ততা প্রত্যক্ষ করেছি। আপনার জন্য সীমহীন শুভ কামনা। ভালো থাকুন সব সময়।
৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: একবার গিয়ে তাদের দেখে আসবেন। অথবা ফোনে কথা বলে নিবেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জীবনের কঠোর বাস্তবতায় ঘর ছাড়াও দেশছাড়া। শিক্ষকগণ কে কোথায় আছেন জানাও কঠিন। স্কুলের আমাদের সময়ের কোন শিক্ষকই আর নেই। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: স্কুলের স্যার মানেই একটা বিশেষ শ্রদ্ধার জায়গা। এখনকার স্যাররা কেমন জানিনা (কোচিং ব্যবসার কারনে), আমাদের সময় উনারা আসলেই শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মফিজ ভাই, আপনি যথার্থই বলেছেন। আমাদের হেড স্যার হায়াত আলী মিঞা বলতেন, সেই আমলে জমিদার ঘরের ছেলেরা শিক্ষকতায় আসতেন প্রাণের টানে। সেই টান এখন আর আগের মতো সবল নেই। ছাত্র শিক্ষক সম্পর্ক এখন আগের মতো মধুর নেই। কৃত্রিম হয়ে গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: সংক্ষিপ্ত স্মৃতিচারণটা একটা মিষ্টি আলোর মতো জ্বলে উঠলো যেন। আমাদের মালিকান্দা হাইস্কুলেও যে একটা লাইব্রেরি আছে, তা আমি জানতে পারি ক্লাস টেনে ওঠার পর। ওখান থেকে সবার আগে যে বইটি আমি সংগ্রহ করি, সেটা ছিল সুকান্ত সমগ্র। আমাদের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমজাদ স্যারের তত্ত্বাবধানে একটা ছোট্ট কক্ষে ছিল লাইব্রেরিটা; হয়ত এর ভেতরে আরো মালামাল ছিল যা পরিষ্কার মনে নেই।