নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
আজকাল দেখতে পাই উগ্রতা ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। একজন মানুষ তার মতের সাথে আরেক জন মানুষের মতের মিল না হলেই হামলে পড়ছে। আক্রমণ করছে। এবং মেরেও ফেলছে। কি সাংঘাতিক ব্যাপার!
আমার মতের সাথে আপনার মতের মিল না হতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক। তাই বলে আক্রমণ করতে হবে? প্রতিটি মানুষই স্বতন্ত্র এবং অনন্য বৈশিষ্ট্যে মহিমান্বিত। প্রতিটি মানুষই তার মতের জন্য অপর মানুষের কাছে সম্মান পাবার অধিকারী। এক জন মানুষ তার মত প্রকাশ করতে পারেন। অন্য এক জন মানুষ এই মত নাও পছন্দ করতে পারেন। তাই বলে আক্রমণ করা কখনোই ভালো কাজ হতে পারে না। কারো মত আপনার পছন্দ না হলে শ্রেফ স্কিপ ইট- এটাকে ভুলে যান বা এড়িয়ে যান।
অন্য মানুষের মতামতকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া একটা বিরাট গুণ । এই গুণ সবার থাকে না। যাদের এই গুণ আছে তারা অনেক বড় মাপের মানুষ। কাউকে ছোট করে বা হেয় করে বা আক্রমণ করে বক্তব্য দেয়া সুবিবেচনাপ্রসূত নয়। আমাদের বক্তব্য হতে হবে মার্জিত। সুন্দর ও শালীন। শুনলে যেন মনে হয় কোন এক রোমান্টিক কবির কাব্য গাথা।
অন্য মানুষকে সম্মান করলে আপনি ধরেই নিতে পারেন সেই মানুষটিও আপনাকে সম্মান করবেন। খোজ নিয়ে দেখুন- আপনি যেই মানুষটিকে দুই চোখে দেখতে পারেন সেই মানুষটিও দুই চোখে না হোক, অন্ততঃ এক চোখে হলেও আপনাকে দেখতে পারে না। বিজ্ঞানী নিউটন এর তৃতীয় সূত্র এখানে খুবই কাজ করে। ভালোবাসা ভালো বাসা তৈরী করে। পক্ষান্তরে, ঘৃণাও ঘৃণা তৈরী করে। আমাদের ভালো বাসা অনেক দরকার। ঘৃণার কোন দরকার নেই। আমাদের ভালোগুণের দরকারআছে। খারাপ গুণের কোন দরকার নেই।
ব্যস্ত পথে যেই মানুষটিকে আমরা হাটতে দেখি সেই মানুষটি কেবল একটি মানুষ মাত্র নহেন। হতে পারেন তিনি একটি সরকারী বা বেসরকারী অফিসের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী। তিনি হতে পারেন কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। পেশাগত পরিচয়ের বাইরেও তিনি একজন পিতা, এক জন স্বামী এবং তিনি কোন বাবা মার সন্তান। তিনি এক জন সৎ মানুষ হতে পারেন। তাকে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। আপনি যদি বাস চালক হন আপনি তার উপর দিয়ে বাস তুলে দিতে পারেন না। আপনি যদি মটর সাইকেল চালক হন আপনি তার উপর দিয়ে হোন্ডা তুলে দিতে পারেন না। তাকে সম্মান দিন। তাকে নিরাপদে পথ চলতে দিন। তাকে তার প্রিয় জনের কাছে ফিরে যেতে দিন। মানুষের জীবন অনেক মূল্যবান। এই জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে তারা কতই না নির্বোধ।
২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভালো গুণ ধরে রাখা খুবই জরুরি। পৃথিবীতে আমাদের আয়ু খুব কম। এই সামান্য সময়টা ভালো ভাবে উপভোগ করা দরকার। এখানে হিংস্রতা মানায় না।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলার মানুষ অসুস্হ পরিবেশে জীবন যাপন করছেন, অন্যের জন্য সহানুভুতি নেই
২৫ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কিন্তু আমরা সবাই তো মানুষ। আমরা কেন এমন হবো। আমরা কি পৃথিবীর সব চেয়ে সুন্দর মানুষ হতে পারি না?
চেষ্টা করলে এটা সম্ভব।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজ আর এই সমাজের মানুষ গুলো বদলে গেছে। হিংস্র হয়ে পড়েছে। কারো মধ্যে মায়া মমতা নেই। একজন সাংসারিক মানুষও যদি ঘরের বাইরে যায়। তখন সে বদলে যায়।