নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
এক দিন সন্ধ্যা বেলায় স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ভ্রমণের উদ্দেশে পথে হাঁটার সময় কোন এক দেশী ভাইয়ের সাথে দেখা। (বাংলাদেশী শ্রমিকরা কোন বাংলাদেশীকে পেলে দেশী ভাই বলে সম্বোধন করেন)।
ভদ্রলোক বেশ চটপটে। যেখানে কাজ করেন সেটা একটা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। অনেক বেশী কাজ করেন বলে মালিকের আস্থা আছে তার উপর। অন্যান্য শ্রমিকের চেয়ে তার আয় অনেক বেশী। কথায় কথায় তার মাসিক ইনকামের অঙ্কটাও বলেই ফেললেন। তাকে বেশ সফল আর তৃপ্ত মনে হলো।
শুনে খুব ভালো লাগলো আমার। বললাম- টাকাগুলো খুব চিন্তাভাবনা করে খরচ করবেন।সম্ভব হলে আয়ের একটা অংশ কোন ভালো ব্যাংকে সঞ্চয় করুন। এখন আপনার ভালো রোজগার আছে। সামনে হয়তো বা থাকবে না। সেই সময় এখনকার টাকাগুলো আপনাকে বটগাছের মতো ছায়া দেবে।
সেটা জানি ভাই। আমার কোন বদঅভ্যাস নেই। বিড়ি সিগারেট খাই না। কোন নেশা করি না। বাজে খরচের মধ্যে যেটা করি সেটা হলো- দেশে প্রচুর কল করি। পরিবারের সবার সাথে কথা বলি। কাজের শেষে যখন রুমে যাই তখন খুব একা একা লাগে। ইমোওয়ালা একটা ফোন কিনেছি। স্ত্রীকেও কিনে দিয়েছি। কথা বলার সময় সবাইকে দেখতে পাই। এটাতে খুব বেশী খরচ হয় না। তবে খুব শান্তি লাগে।
এক সময় ফোন করা কত কঠিন ছিল। পুরো গ্রামে একটা ফোন ছিল না। এখন বলতে গেলে হাতে হাতে ইমো আর ফেসবুকওয়ালা ফোন।
*************************************************************
মালয়েশিয়ার পুলিশ আর ইমিগ্রেশন ব্যাপক ধরপকড় করে। সব পুলিশ ভালো নয়। কাগজপত্র থাকলেও ধরে। না থাকলেও ধরে। পাসপোর্ট থাকলেও ধরে। না থাকলেও ধরে। অনেকেই ব্যাখা করে ছাড়া পায়। ছাড়া পায় না এমন লোকও খুব কম নয়।
খুব খারাপ লাগে যখন দেখি অনেক দেশী ভাইকে পুলিশ ধরে পথের পাশে কোন একটা জায়গায় বসিয়ে রেখেছে। আর দেশী ভাইয়েরা অসহায় হয়ে বসে আছে।
আমার মাঝে মাঝে মনে হয়- দেশের শ্রমিক দেশে কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘর সংসার করতে পারলে কতই না ভালো হতো। কয় দিনের মানব জীবন। পেটের দায়ে ২০/২৫ বছর একা একা বিদেশে বিভুইয়ে কাটিয়ে দিচ্ছে কত তরুণ আর যুবা। দেশে তাদের জন্য প্রচুর কলকারখানা থাকা খুবই দরকারী। যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাওয়া খুবই জরুরী।
মানুষ হাসিখুশী থাকুক। সবার মন হোক ভালো। হিংসা দূর হোক।
১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দেশের পোলা দেশেই কাম করুক। বিদেশে কি এমন মধু আছে!
কয় দিনের জীবন।
সারা জীবনে বিবির সাথে সংসার করার মতো কয়টা দিন পায় তারা?
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২৪
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে মনে হয়- দেশের
শ্রমিক দেশে কাজ করে পরিবার পরিজন
নিয়ে ঘর সংসার করতে পারলে কতই না
ভালো হতো। কয় দিনের মানব জীবন।
পেটের দায়ে ২০/২৫ বছর একা একা বিদেশে
বিভুইয়ে কাটিয়ে দিচ্ছে কত তরুণ আর যুবা।
দেশে তাদের জন্য প্রচুর কলকারখানা
থাকা খুবই দরকারী। যোগ্যতা অনুযায়ী
কাজ পাওয়া খুবই জরুরী।
সহমত... ছোটবেলা থেকেই বাইরে যাওয়াটাকে আমি ঘৃণা করি। কিন্তু পেটের দায়ে তবু মানুষকে যেতে হয়।
১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পেটের দায় দেনা তো দেশেই মেটানো দরকার। জীবন খুবই ছোট । এটাকে ভালো ভাবে উপভোগ করার দরকার আছে।
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: দেশে চাকরী নাই।
কোনো চাকরী নাই।
খুব ক্ষমতাবান মামা, চাচা থাকলে চাকরী পাওয়ার সম্ভবনা আছে।
১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, আপনি বলেছিলেন - ১৮ কোটি মানুষ দেশের সম্পদ। সম্পদ পাচার হয়ে যাচ্ছে কেন?
দেশের কাজে লাগান।
আপনি জ্ঞানী মানুষ। আপনি আমার চেয়ে ভালো জানেন।
মামা-খালু যেন বাসায়ই থাকে। তাদের জোরে যেন কর্মসংস্থান না করতে হয়।
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:১২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গরীব দেশের চাকুরিতে ভারসাম্যের জন্য জনগণের একটা নির্দিষ্ট অংশ দেশের বাইরে চাকুরি করলে অসুবিধা নেই। তবে তা যেন পরিবার থেকে ২০/২৫ বছর বিচ্ছিন্নভাবে থাকা না হয়। যদিও বাস্তবতা বাধ্য করে সবাইকে...
আকতার হোসাইনকে বলছি - বিদেশ গেলে তরুণ অবস্থাতেই যাওয়া উচিত। যাতে উপযুক্ত বয়সে দেশে কিছু করার মত অবস্থায় ফেরত আসা যায় এবং পরিবারকে সময় দেয়া যায়...
১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বিবি বাচ্চা নিয়ে বিদেশে থাকতে পারলে তো সমস্যা নেই। কিন্তু এটা তো হয় না। খোজ নিয়ে দেখুন- দেশের কয়েক লাখ বিবি তাদের স্বামীকে বিদেশে পাঠিয়ে বছরের পর বছর নির্ঘুম রাত কাটায়।
জীবন কয় দিনের।
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:২৯
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আলতো ফালতু উন্নয়ন প্রকল্পে দেশের পয়সা খরচ না করে সরকারের উচিত কলকারখানা তৈরিতে জোর দেয়া।
এলাকায় খুজ নিলে দেখা যায়, বড়বড় চোরেরা লাখ লাখ টাকা লোন পেলেও পরিশ্রমী উদ্দ্যোক্ত লোন পাচ্ছেন না। (যিনি লোন পেলে নিজের এবং কয়েকটা বেকারের বেকারত্ব অবসান হতো।)
সরকারের উচিত এইসব ছোটছোট বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া। পরিশ্রমীদের শ্রমের, সাধনার মূল্যায়ন করলে উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।
১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: খুবই সুন্দর বলেছেন ভাই।
আপনার মতো করে যেন আরো অনেকে ভাবেন।
শুভ কামনা।
৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:৩৫
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব খারাপ লাগে যখন দেখি অনেক দেশী ভাইকে পুলিশ ধরে পথের পাশে কোন একটা জায়গায় বসিয়ে রেখেছে। আর দেশী ভাইয়েরা অসহায় হয়ে বসে আছে।
এই কথাটা পড়ে সত্যিই খারাপ লাগলো খুব।
১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখানে পুলিশগুলো খুব সুবিধার নয়। আমি নিজে কয়েকবার তাদের খপ্পরে পড়েছি। আমার নিজের অভিজ্ঞতা হলো- এখানে ৪ জন পুলিশের মধ্যে ৩ জনের আচরণ খুবই রুক্ষ্ণ। বিশেষ করে গরীব শ্রমিক পেলে এরা তাদের বাহাদুরী ভালোই দেখায়।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫৫
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভেবেছিলাম বুঝি আপনি গল্প বা কিছু লিখবেন। কিন্তু এখানে স্বদেশী নাগরিকদের জীবন যে ভাবে তুলে ধরলেন তাতে অত্যন্ত বিষণ্ণ বোধ করছি । মানুষের মন থেকে এই বর্ণবিদ্বেষ বা রেসিয়ালের অবসান ঘটুক । ভ্রাতৃত্ববোধের প্রসার হোক ।
শুভকামনা ও ভালোবাসা প্রিয় সাজ্জাদ ভাইকে।
২০ শে মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:০১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রিয় দাদা, মানুষের কষ্ট দেখতে মনটা মনে হয় ময়লা হয়ে গেছে।
কেবল কষ্ট লাগে। কারণ মানুষের জন্য কিছু করার মতো সামর্থ্য বিধাতা আমাকে দেনননি।
তাই তাদের দেখে কেবল কষ্টই পাই।
ভালো থাকুন সব সময়। শুভ কামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৯ ভোর ৬:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনা, ও উনার বলদ মুহিতের চাকুরী থাকাতে, দেশের বাকীদের দেশে চাকুরী নেই।