নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাজারে হাজারে এমবিবিএস আছে। ডাক্তার নেই একটাও!

০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪০

এদেশে প্রফেশনাল তৈরী হয় না। নেতা তৈরী হয়। অদক্ষ শ্রমিক তৈরী হয়। এক জন ভালো ডাক্তার তৈরী হয় না। রোগীরা ভারতে গিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সুস্থ হয়ে আসে। আমােদের এমবিবিএস গণ শ্লোগন দেন। ছুরি, চাকু, আর বন্দুক নিয়ে মিছিল করেন। পড়াশোনা করেন না। নকল করে সার্টিফিকেট বাগিয়ে ডাক্তার বনে যান। প্রশ্নপত্র ফাস করে পাস করেন। কোটার বিসিএস দিয়ে চাকরিও পেয়ে যান। ৪৬ সেকেন্ডে রোগী দেখে প্যারাসিটামল ৩ বেলা প্রেসক্রিপশনও দেন।

আসল কাজ হয় না। মানুষ ধুকে ধুকে মরে। যাদের টাকা আছে তার সিংগাপুর- ব্যাংকক গিয়ে চিকিৎসা করান। কেউ বা যান ভারতে।

প্রতি বছর লাখ লাখ লোক চিকিৎসার জন্য ভারতে চলে যাচ্ছেন। কারণ দেশের ডাক্তাররা চিকিৎসার চ ও জানেন না।


হাজারে হাজারে এমবিবিএস আছে। মাসে মাসে বেতন আছে। ভাতা আছে । দেশে বিদেশে ট্রেনিংও আছে। ডাক্তার নেই একটাও! আফসোস!


আমার এক বন্ধু ঢাকার এক স্বনামধন্য বিশেষেজ্ঞর কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে রোগীর সাথে ডাক্তারের কোন কথাই হয়নি। অথচ তিনি বিশাল বিশাল সব প্রেক্রিপশন দিয়েছেন। টেস্ট দিয়েছেন। ডাক্তারের সময় নেই রোগীর সাথে কথা বলার।

পরে আমার বন্ধু চেন্নায়ে যায়। সেখানে প্রথম দিনেই ডাক্তার তার সাথে এক ঘন্টার উপরে কথা বলেন। নানান চেক আপন করেন। বর্তমানে রোগীর অবস্থা খুবই ভালো।

দেশের চিকিৎসায় মানুষ বেসামাল।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই। কিছু বলার নেই। খুব কাছ থেকেই দেখা, বাংলাদেশ এ অনেক টাকা খরচ করেও সাধারণ একটি রোগ ভাল হয় না। অথচ সেই লোক যখন ভারতে গিয়ে চিকিৎসা করল, সুস্থ হয়ে গেল।

৪৬ সেকেন্ডে যে দেশে রোগী দেখে প্রেসক্রিপশন দেয়া হয় সেই দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার কেমন তা আর বলা লাগে না।

০৫ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দরকার হলে এখানে বিড়লা হার্ট সেন্টারের শাখা খোলা যেতে পারে। মাউন্ট এলজিাবেথের শাখা খোলা যেতে পারে।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।

০৫ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভয়ানক, দুঃখজনক এবং আতঙ্কজনক।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

নীল আকাশ বলেছেন: দেশে দুই ধরনের কসাই দেখতে পাওয়া যায়। এক ধরনের হলো অশিক্ষিত আর আরেক ধরনের হলো শিক্ষিত। বাংলাদেশের বেশির ভাগ ডাক্তাররাই হলো শিক্ষিত কসাই।

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:০০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ব্যাপারটি অনেকটা সেই রকমই। তাদের কোন কমিটমেন্ট নেই সমাজের প্রতি।

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশেও অনেক ভালো ডাক্তার আছেন। তবে এখনো বেশির ভাগ ডাক্তরই সেবার মন নিয়ে কাজ করেনা।

ডাক্তারাও তো আমাদের দেশের ই মানুষ.... তাই তারাও নিজেদের অনেক বড় মনে করে, মানুষকে মুল্যায়ন কম করে। এটা আমাদের দেশের অনেক মানুষের মাঝেই আছে।

তবে এখন ডাক্তারের সংখ্যা বাড়তেছে তাই সেবা না দিলে তার কাছে জনগন কম যাবে সেটা বুঝতে পারলেই সেবার প্রতিযোগিতা শুরু হবে।

০৬ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৮:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ২০১৭ সালে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ ভারতে গেছেন। এদের একটা বিরাট অংশ গেছেন চিকিৎসা সেবা নিতে । দেশে সেবা পাওয়ার উপায় নেই।

৫| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৫

নয়া পাঠক বলেছেন: আমি সর্বদা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি হে আল্লাহ তুমি আমারে কখনও অসুস্থ্য করো না, কারণ চিকিৎসা নেবার ক্ষমতা আমার নেই। আর সরকারি হাসপাতাল কি আর বলবো!

তবে একথা ঠিক এদেশেও অনেক বড় বড় ডাক্তার রয়েছেন, অনেক ভালো মানের চিকিৎসা সেবা তারা অনেক কমমূল্যে করে থাকেন। কিন্তু তারা প্রচারবিমুখ তাই তাদের খবর আমরা পাই না।

শুধু একতরফা ডাক্তারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষ আমাদের সিস্টেমে, দোষ আমাদের অনেক স্থানে।

১৩ ই মার্চ, ২০১৯ ভোর ৫:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আল্লাহ সোবাহানা তায়ালা আপনার দোয়া কবুল করুন। আপনি ভালো থাকুন। আমিন।

৬| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৮

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি পড়েছেন জেনে আমি কৃতজ্ঞ। তবে আমাদের দেশে মেধা আছে। মেধার যত্ন নেই। মেধাবী নিজেও তার মেধার যত্ন নেয় না। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।

৭| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

নতুন বলেছেন: ক্লিনিক/ডায়াগনিস্টিক সেন্টারগুলি সবাই ব্যবসা করছে এবং তারা অনেক সময় ডাক্তারদের চাপ দেয় বেশি টেস্ট দেবার জন্য।

ডাক্তার/শিক্ষক রা তাদের প্রাইভেট প্রক্ট্রিসকে টাকা আয়ের বড় মাধ্যম মনে করে।

সরকারী কোন নজরদারী নেই তাই জবাবদিহিতাও নেই।

আমাদের নিজেদের পাল্টাতে হবে.... তবেই সমাজে পরিবত`ন আসবে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আগে নিজেকে ঠিক করতে হবে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সময় দারুণ একটা শপথ লিপিতে স্বাক্ষর নেয়া হয়। সেই শপথ লিপিটা ইংরেজিতে লেখা কপিটি পড়ার সুযোগ আমার হয়েছিল। পাস করার পর কেউ সেটা মনে রাখে না।

প্রতিটি মানুষ সত আর নিবেদিত হলে সমাজ বদলে যাবে। বদলে যাবে দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.