নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিন্নাহ সাহেব একটা গাধা ছিল

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৫:৫৪


ভাষার মাস এলেই আমার কাছে কেন জানি না মনে হয়, পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ সাহে একটি গাধা ছিল। তাও উচু মাপের কোন গাধা নয়। নীচুস্তরের গাধা। নইলে সদ্য স্বাধীন একটি দেশে ভাষা নিয়ে কেউ ক্যাচাল লাগায়।

ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট ছিল পাকিস্তান। কালচার বা ভাষা ভিত্তিক কোন রাষ্ট্র নয়। ফলে এ রাষ্ট্রটি নানান কারণেই অদ্ভুত ছিল। একটি রাস্টের দুইটি টুকরা। মাঝে খানে প্রায় দেড় হাজার মাইলের ব্যাবধান। এই রাষ্ট্র কখনোই টিকতো না।

পূর্ব বাংলার ভাষা ছিল বাংলা। আর পাকিস্তানের প্রদেশেগুলোতেও একাধিক ভাষা। সুতরাং রাষ্ট্র ভাষা নিয়ে জিন্নাহ সাহেব এর " একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের এক মাত্র রাষ্ট্র ভাষা " একটি গাধাসুলভ কথা ছাড়া অন্য কিছু নয়।

তিনি যেটা করতে পারতেন সেটা হলো - তিনি একটি আপোষমূলক প্রস্তাব দিতে পারতেন। যেমন - তিনি একটি কমন বা সাধারণ ভাষার প্রস্তাব দিতে পারতেন। সেটা ইংরেজি হতে পারে। বাকি ভাষাগুলো হতে পারতো জনসংখ্যার অনুপাতে। যেমন- বাংলাভাষী লোক সংখ্যা বেশী হলে প্রথম জাতীয় ভাষা হতে পারতো বাংলা। উর্দুভাষী লোকসংখ্যা দ্বিতীয় হলে উর্দু হতে পারতো দ্বিতীয় রাষ্ট্র ভাষা। রাষ্ট্রীয় কাজ চালানোর জন্য কমন ভাষা থাকলে দেশটি টিকে যেতে পারতো। জনগণেরও কল্যাণ হতে পারতো।

শ্রীলংকার কথা এ প্রসংগে বলা যেতে পারে। সেখানে বেশীর ভাগ মানুষ সিনহালা ভাষায় কথা বলে। এরপর তামিল ভাষীদের স্থান । সেখানে কমন ভাষা হিসাবে ইংরেজি খুব গুরুত্বের সাথে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমনকি বেশীর ভাগ সংসদ সদস্য সেখানে সংসদের অধিবেশনে ইংরেজিতে ডিবেট করেন। সরকারী যে কোন ফরমে তিনটি ভাষা ব্যবহা্র করা হয়। রাষ্ট্রীয় টেলিফোন সহ সব ধরনের মোবাইল ফোন ও দপ্তরে তিনটি ভাষার অপশন আছে। তারা সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য যে কাজটি করেছে তা হলো- তাদের জাতীয় সঙ্গীতের তামিল সংস্করণ তৈরী করেছে যাতে তামিল জনগণ তা গাইতে পারে।

আর আমাদের এখানে ঠিক তার উল্টো। জিন্নাহ সাহেব ভাষা চাপিয়ে দিতে গিয়ে তার সাধের পাকিস্তানের গোড়া কেটে আগায় পানি ঢালার চেষ্টা করেছিলেন।

বাংলা অনেক সুন্দর একটি ভাষা। কথা বললে বাংলায় বলুন। বিশুদ্ধ বাংলা বলুন। বাংলা আমার ভাষা। বাংলা আমার দেশ।

পৃথিবীতে ভাষার নাম দিয়ে কয়টা দেশ আছে? খুব বেশী নেই বলেই আমার মনে হয়। তবে শুদ্ধ বাংলা ভাষা চর্চার সাথে সাথে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে যোগাযোগ ও উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংরেজি ভাষার সঠিক চর্চা করাও খুব জরুরি। উচ্চ শিক্ষা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ইংরেজিতে করা উচিত। তাতে করে বিশাল জ্ঞানের জগতে বিচরণ করতে সুবিধা হবে।

সম্ভব হলে সব ক্লাসেই গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ক বই গুলো ইংরেজিতে পড়ানো উচিত।

ভাষার মাসে ভাষা শহীদ ও ভাষা সংগ্রামীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

শহীদ স্মৃতি অমর হোক। বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইংরেজী তখন অফিসের ভাষা ছিলো; জিন্নাহ বেকুবী করেছিলো; বাংগালীরা মগজ হারায়েছিলো, বাংগালীরা ইংরেজী চাইলে সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমার মনে হয়, সেই সময়েই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা দরকার ছিল। অথবা দরকার ছিল আরো ১শত বছর বৃটিশ শাসনে থাকা। তাতে লাভ হতে পারত।

এটা আমার প্রায়ই মনে হয়।

২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আসলে বেশি গাঁধা ছিল জিন্নাহর সাগরেদ বাঙালি নেতারা | তারা জিন্নার সাথে নেচে পাকিস্তান সৃষ্টির সময় পূর্বপাকিস্তানের অনেক সম্ভাব্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ ভারতের কাছে সপে দিয়েছিলো পশ্চিম পাকিস্তানের অংশকে ভৌগোলিক সুবিধা দেয়ার জন্য | ওই সকল ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো পূর্বপাকিস্তানের অংশে থাকলে এখনকার বাংলাদেশ আরো সমৃদ্ধশালী হতো |

জিন্নাহ ও পাঞ্জাবি নেতারা এতোই ধুরন্ধর ছিল যে তারা পূর্বপাকিস্তানে কোনো দূতাবাস পর্যন্ত রাখতে দেয় নাই, আর আমাদের বাঙালি গাধা নেতাগুলো সেই সময় সেটাও বুঝে উঠতে পারে নাই | তখন যদি একজনও দূরদর্শী নেতা থাকতো তবে ঢাকাতে দূতাবাস রাখার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে পারতো | পাকিস্তান আমলে পাকিরা দূতাবাসের সুযোগ নিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে আর বাঙালিরা তখন আঙ্গুল চুষেছে | আমরা স্বাধীন না হতে পারলে এখনকার মতো নানা দেশে যাওয়ার সুযোগও পেতাম না |

পাকিস্তানিরা সবসময়েই একটি চরম স্বার্থপর জাতি | এরা মুখে ইসলামের কথা বলে যতরকম অসৎ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকে বলে সারা পৃথিবীতেই এদের চরম ঘৃণার চোখে দেখা হয় | আমরা খুবই সৌভাগ্যবান তাদের কাছ থেকে আলাদা হয়ে, ওদেরকে বিশ্ববাসী গালমন্দ করলে তার ভাগিদার আমাদের হতে হয় না |

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ আপনার মন্তব্য। আমি বিমুগ্ধ।

আমার মনে হয়, সেই সময়েই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা দরকার ছিল। অথবা দরকার ছিল আরো ১শত বছর বৃটিশ শাসনে থাকা। তাতে লাভ হতে পারত।

এটা আমার প্রায়ই মনে হয়। ভালো থাকুন সব সময়।

৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: ৮ ই ফালগুন আমাদের মাতৃ ভাষা দিবস।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এটা এখন সবার। সারা পৃথিবীর।

৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মুহম্মদ আলী জিন্নাহ কখনোই মুসলিম ছিলেন না। তিনি জীবনে কখনো নামাজ পড়েননি। বরং অবিভক্ত ভারতে তার মুম্বাইয়ের বাড়িটি ছিল একটি হেরেমখানার মতো। তিনি নিয়মিত শুকরের মাংস খেতেন এবং মদ পান করতেন। নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
এই লোককে পাকিস্তানীরা তাদের জাতির পিতা সম্মান দিয়ে উপাধী দিয়েছে 'কায়েদে আজম'। একদল গাধার নেতা তো গাধাই হবে, তাই না? মুসলিম বাঙ্গালীরা পাকিস্তান আন্দোলনে শামীল হয়ে চরম ভুল করেছিল। ১৯৭১ সালে সেই ভুল তারা শুধরে নিয়েছে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ মন্তব্য স্যার। খুবই ভালো লাগলো। আামার জানার পরিধি বেড়ে গেল।

পাকিস্তান কখনোই আমাদের ছিল না। আমাদের ছিল বাংলা বা পূর্ব বাংলা। পাকিরা শোষণ করেছে।

ধন্যবাদ, সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সব সময়।

৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পাকি রা একটা হিংসুক জাতি। এদের এই দাদাগিরি মনোভাব মধ্যপ্রাচ্যেও জারি আছে। যদিও কিছু শ্রমিক ভাই এদের এসব দাদাগিরি স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়। এদের নিজেদের দোষেই এরা পৃথিবীতে বদনাম কুড়ানো দেশগুলোর একটা। এদের থেকে আলাদা হয়ে আমরা ভুল করিনি...

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ত‌বে আমা‌দের দে‌শের সীমা রেখা আমার পছন্দ হয়‌নি। প্রায় চার দি‌কেই ভারত। নেপা‌লের সা‌থে আমা‌দের সীমান্ত থাকা দরকার ছিল। তা‌তে নেপাল ও বাংলা‌দে‌শের উপর ভার‌তের প্রভাব সামান্য হ‌লেও কমত।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫২

রানার ব্লগ বলেছেন: মুহম্মদ আলী জিন্নাহ কখনোই মুসলিম ছিলেন না। তিনি জীবনে কখনো নামাজ পড়েননি। বরং অবিভক্ত ভারতে তার মুম্বাইয়ের বাড়িটি ছিল একটি হেরেমখানার মতো। তিনি নিয়মিত শুকরের মাংস খেতেন এবং মদ পান করতেন। নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
এই লোককে পাকিস্তানীরা তাদের জাতির পিতা সম্মান দিয়ে উপাধী দিয়েছে 'কায়েদে আজম'। একদল গাধার নেতা তো গাধাই হবে, তাই না? মুসলিম বাঙ্গালীরা পাকিস্তান আন্দোলনে শামীল হয়ে চরম ভুল করেছিল। ১৯৭১ সালে সেই ভুল তারা শুধরে নিয়েছে।


বড্ড নির্মম সত্য !!! এরা আবার নাকি মুসলিম, এরা নাকি ইস্লামের জন্য কান্না কাটি করে আর এদের সাথে আজাইরা কিছু নাবালক বেকুব বাংলাদেশি গর্ধভ হা হুতাশ করে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ আপনার মন্তব্য। খুবই ভা‌লো লাগ‌লো। ভা‌লো থাকুন সব সময়। ধন্যবাদ।

৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ একটা পার্ফেক্ট মন্তব্য করেছেন।
তার কমেন্টে একটা লাইক দিলাম।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: উনার মন্তব্য যথার্থ। উনা‌কে এবং আপনা‌কে অ‌নেক ধন্যবাদ। ভা‌লো থাকুন সব সময়।

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০০

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: যথার্থই লিখেছেন। ++++

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মাতৃভাষা বাংলা আমার সকল ভাষার সেরা। বাংলা‌কে বি‌শ্বের মা‌ঝে ছ‌ড়ি‌য়ে দি‌তে চাই‌লে ইং‌রে‌জি‌তে দক্ষতা অর্জন কর‌তে হ‌বে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.