নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের বেকারদের জন্য চাই কাজ

০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:২৬



বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে অসংখ্য তরুণ-তরুণী আজ বেকার। সর্বত্র তাদের করুণ আর্তনাদ আর হাহাকার। বাবা-মা অসহায়। একটি কাজ চাই।

কে দেবে তাদেরকে কাজ! কেউ কি নেই তাদের পাশে দাঁড়াবার?

বিগত বছর বিশেক ধরে দেখা যাচ্ছে, কোন একটি চাকরির বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হলেই দেখা যায় হাজার হাজার বেকার তরুণ-তরুণী যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আয়োজিত যে কোন চাকরির পরীক্ষায় একাধিকবার বাছাই পরীক্ষা নেবার পরও দেখা যায় হাজার হাজার প্রার্থী তখনও লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে ভাইভা দেয়ার সময়। এদের বেশীর ভাগই মেধাবী। এদেরকে উপযুক্ত কাজ দেয়ার দায়িত্ব সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের উপরও বর্তায়। বেকারদের কষ্ট আসলেই অসহনীয়। এক মাত্র মধ্যবিত্ত তরুণ-তরুণীরাই বোধ হয় এই কষ্টের সব চেয়ে বেশী শিকার। কেননা , তাদের সব স্বপ্ন পাস করে একটি চাকরি পাওয়া। সেটা আজ বড় কঠিন হয়ে গেছে।

আমাদের দেশে এখন অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে যেখানে বেকারদের কাজ দেয়া যেতে পারে। এধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে - বিভিন্ন গার্মেন্টস ও বায়িং হাউজ সমুহ, রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান সমুহ ও বিভিন্ন আধুনিক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সমুহ।

এই সব প্রতিষ্ঠানের মালিক কর্তৃপক্ষের একধরনের নেশা রয়েছে তা হল এরা দেশের কর্মী নিয়োগ করার চেয়ে বিদেশের কর্মী নিয়োগ করাকেই বেশী ভাল মনে করে। আমার জানামতে, আমাদের পাশের সার্ক দেশ ভারত, পাকিস্তান এমনকি শ্রীলংকা থেকেও বাংলাদেশে কাজ করছে হাজার হাজার লোক। তারা ভাল বেতনও পাচ্ছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এদের বেতন হাজার ডলারের উপরে। এক হাজার ডলার বেতন এক জন বাংলাদেশের বেকার তরুণ-তরুণী কখনো কল্পনাই করতে পারবেনা।


সামান্য চার / পাঁচ হাজার টাকা বেতনের একটি চাকরির জন্য আমাদের বেকাররা জুতার তলা ক্ষয় করে ফেলছে প্রতি নিয়ত। ডলার তো তাদের কাছে স্বপ্ন মাত্র। আমাদের সেই সব বিদেশী কর্মীদের নিয়োগ দাতারা কি তা জানেন? আমার মনে হয় তারা তা জানেন না। জানলে দেশে এতো লোক বেকার থাকতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় করে বিদেশী কর্মী তারা নিয়োগ করতে পারতেন না। আমি মনে করি, আমাদের দেশের যারা বহির্বিশ্বে কাজ করছে তাদের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তাদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে। মাঝে মাঝে পত্রিকার পাতায় তা ছাপাও হয়। তারা যে সৎ ও নিষ্ঠাবান তা অনেক উন্নত দেশেই প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজের দেশেই তাদের কোন কদর নেই। আমার মনে হয় , দেশে যদি কেউ ৮/১০ হাজার টাকা বেতনের একটা কাজ করতে পারতো তা হলে কেউই বাড়ি-ঘর, জমি-জমা, সহায়-সম্বল বিক্রি করে বিদেশে পাড়ি জমাতো না।

প্রায়ই পত্রিকার পাতায় দেখি, বিভিন্ন দেশে আমাদের দেশের যুবকেরা কাজের সন্ধানে গিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সহায় সম্বল বিক্রি করে বিদেশে গিয়ে তাদের এই করুণ অবস্থা আমাদেরকে আর কতকাল দেখতে হবে। অথচ আমাদের দেশের শিল্প মালিকরা, ব্যবসায়ীরা অকারণেই বিদেশী কর্মী আনতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন ।

আমি মনে করি, এ ধরনের নিয়োগ দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। কারণ এর দ্বারা আমাদের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা চলে যাচ্ছে অন্যের ঘরে। দেশী মোবাইল ব্যবহার করলে যেমন দেশের টাকা দেশেই থাকে তেমনি দেশের কর্মী নিয়োগ করলেও দেশের টাকা দেশেই থাকবে।

বিদেশী কর্মী নিয়োগ করার ক্ষেত্রে তাদের যুক্তিটা আসলে কোথায়? আমাদের দেশের বেকারদেরকে প্রশিক্ষণ দিলে তারা কি পারবেনা সেই সব বিদেশীদের চেয়ে ভাল কাজ করতে? আমাদের শিক্ষিত তরুণদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলুন। যাতে তারা দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পায়। সব চেয়ে বড় যেটা সেটা হল নিয়োগ দিয়ে তারপর শিখিয়ে নেয়া। আমি মনে করিনা যে আমাদের দেশের একজন মানুষ ভারত, পাকিস্তান বা শ্রীলংকার এক জন মানুষের চেয়ে কম কাজ করবে।

এটা যে মনে করে সে কি আসলে দেশ প্রেমিক? বাংলাদেশের জন্য কি তার কোন টান আছে? দেশের মানুষের প্রতি কি তার কোন দায়িত্ববোধ নেই? ৫০ হাজার শিক্ষিত তরুণদের মাঝ থেকে বাছাই করে ১০০ জন তরুণকে নেয়া হোক। তাদেরকে ইংরেঝি ভাষা সহ সব ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হোক।

বাড়িঘর সহায় সম্পত্তি সব বিক্রি করে মানুষ বিদেশে যায় কাজ করতে। কেবল মাত্র একটি কাজের জন্য। সেই কাজটি কেন তারা নিজের দেশে পাবেনা? এক জন বিদেশীকে যে বেতন দেয়া হয় সেই পরিমাণ বেতন দিয়ে বাংলাদেশের পাঁচ-ছয় জন লোক রাখা যেতে পারে। তাহলে কেন অযথা বিদেশী কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে?


দেশের ভেতরেই যদি বেকারদের কর্মসংস্থান করা যায় তাহলে সেটাই হবে সব চেয়ে ভাল। তারপর যদি বিদেশে পাঠতেই হয় তাহলে বেকারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে উপযুক্ত করে তুলে তারপর পাঠাতে হবে যাতে তারা ভাল কোন কাজ পায়। বিদেশে বাংলাদেশের মানুষের বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ভাল কোন কাজ জুটে না। কারণ তাদের তেমন ইংরেজি জ্ঞান নেই। তাদের নেই কোন ভাল কাজের প্রশিক্ষণ। সব চেয়ে বেশী সমস্যা হয় ভাষা নিয়ে।

সব শেষ কথা, আমি কোন যুক্তি তর্কে যেতে চাইনা। আমাদের দেশের তরুণদেরকে দেশের স্বার্থেই কাজ দেয়া হোক। তারা যেন ভালভাবে বেঁচে থাকতে পারে। দেশের টাকা দেশেই থাকুক। একটি আত্ননির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাইলে এর কোন বিকল্প আছে বলে আমি মনে করিনা।

এ ব্যাপারে আমি সচেতন সকল মহলের মতামত কামনা করছি। অনেক আগের একটি কবিতা বলার লোভ সামলাতে পারছি না।

কবিতাটি হল:

কত রূপ স্নেহ করি
স্বদেশের কুকুর ধরি
বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া ।’

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৩৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: আসলে বিদেশ শব্দটাই আমাদের কাছে অনেক গুরুত্ববহন করে।

আর তাছারা কাজে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা চাওয়া, যার জন্য ফ্রেশাররা অনেক পরিশ্রম করেও একটা কাজ ম্যানেজ করতে পারেনা। কারোর কারোর জন্য ফ্রেশার অবস্থাতেই ৫/৬ বছর কেটে যায়। ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা আমরা করিনা।

এসব থেকে আমাদের বের হওয়া উচিৎ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। তবে আমি মনে করি বিদেশ থেকে ট্রেনার এনে আমাদের তরুণদেরকে প্রশিক্ষণ দিলে ১০০০ জনের ভেতর হলেও ১০ টি রত্ন বের হয়ে আসবে। এটা আমার বিশ্বাস।

আমাদের তরুণদের প্রতি আমার আস্থা আছে। তাদেরকে শিখালে তারা শিখতে পারে। তাদের মেধা আছে। সেই মেধাকে দেশের কাজে লাগাতে হবে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি অনেক অনেক ভালো থাকুন। আপনার মঙ্গল কামনা করি।

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো একটা বিষয়, অনেক আলোচিতও।

দেশের ভেতর বিদেশী নাগরিককে চাকরি দেয়ার ব্যাপারে একটা পলিসি থাকা দরকার, যে পলিসির দ্বারা কোম্পানি বাধ্য থাকে দেশের নাগরিকদের চাকরি দেয়ার ব্যাপারে। হয়ত নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু আমি সেই পলিসির কথা বলছি যাতে দেশীয়রা অগ্রাধিকার পায়। রিসেন্টলি বেরিয়ে এসেছে, ভারত বিরাট অঙ্কের ওয়েজেস নিয়ে যাচ্ছে। কোম্পানি মালিকরা এই লসের ব্যাপারটা রিয়ালাইজ করে দেশের নাগরিক নিয়োগ করলে (১) বেকারত্ব কমতো এবং (২) দেশের টাকা বিদেশে কম চলে যেতো।

সরকারিভাবে আরো অধিক সংখ্যক যুবককে টেকনিক্যাল ট্রেনিং দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে ফরেইন ওয়েজেস যেমন বাড়বে, দেশেও এদের নিয়োগ বাড়বে এবং ফরেইন ইমপ্লয়মেন্ট কম্বে।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি এক জনের কাছে জানতে পারলাম- আমাদের এক তরুণ ভারতে পড়াশোনা করত। সেখানে পড়াশোনা শেষ করার পর একটি জব অফার পায়। পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের দরকার পড়লে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে জানায় যে, কোন বিদেশী নাগরিককে তারা এই জবটি করতে অনুমতি দিতে পারবে না। এটা কোন ভারতীয় করবে। তাতে এক জন ভারতীয়র কর্মসংস্থান হবে। সেই সাথে ভারতের টাকা ভারতেই থাকবে।

এটা সেই তরুণটি র জন্য খারাপ হলেও এটাই কিন্তু দেশ প্রেম। দেশের কর্তা ব্যক্তিরা এটা অনুধাবন করলেই দেশের মঙ্গল।

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

শাহিন-৯৯ বলেছেন:



আমার কিছু দেখা অভিজ্ঞতা শেয়ার করি আপনার সাথে, আমি যে কোম্পানীতে ছোট একটা চাকরী করি সেখানে এক সময় সিও থেকে শুরু করে উপর লেভেলের সবাই দেশীয় ছিলেন, তাঁরা প্রায় সবাই বুটেক্সএর ছিল। এই ইন্জিনিয়ার গ্রুপটি এমনভাবে দখল করল সবকিছু অন্য কারোর মূল্য যেন নেই তাদের কাছে, সবইকিছু পায় বুটেক্সধারীরা (ইনক্রিমেন্টসহ প্রায় সকল সুবিধা) অন্যদের হাতে শুধু শুকনা মুলা ধরিয়ে দেয় ফলে যা হওয়া তাই হল অন্যরা কাজের গতি কমিয়ে দিল, এমডি স্যারের মাথা ঘুরল এখন ৩ জন সিও শ্রীংলকার, অন্য ম্যানেজার লেভেলে ইন্ডিয়ান এমনি পাকিস্তানিও আছে। অল দেশীয় পন্য আউট। তাদের অন্য কুকর্ম নাই বলি।

আমি বলছি না সব কোম্পানী এরকম কিন্তু আমাদের মাঝে এরকম নানান ঝামেলা আছে তাই মালিক পক্ষ বিদেশীদের দারস্থ হয়।

বেকারত্ব দুর করতে হলে যুবকদের আত্ন-কর্মস্থানের বিকল্প কিছু নাই।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের সবার মাঝে দেশের প্রতি, কাজের প্রতি, সততার প্রতি দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। অপরের প্রতি সম্মানবোধও থাকতে হবে।
"মুই কি হনুরে!" জাতীয় চিন্তা ভাবনা মাথায় আনা যাবে না।
সব চেয়ে বড় কথা বিদেশীদের যে গুণের জন্য আমাদের কর্তা ব্যক্তিগণ তাদেরকে পছন্দ করে সেই গুণগুলো আয়ত্ব করতে হবে সবার আগে।

প্রচুর কল কারখান স্থাপন করতে হবে। রাজনীতি মুক্ত কর্মক্ষেত্র থাকতে হবে।

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্ল্যান মোতাবেক চাকুরী সৃষ্টি করা হলো সরকারের মুল কাজ; এটা না করলে, রাজনৈতিকদলগুলো সরকারের সাথে কথা বলতে পারে, সাহায্য করতে পারে।

শেখ হাসিনা যাই করুক, চাকুরী শব্দটা উচ্চারণ করে না; ফখরুলের মুখে একটি শব্দ, "বেগম জিয়া"; ড: কামাল বলে, "শেখ হাসিনাকে প্রতিরোধ কর"; এদের সবাইকে নির্বাসন দেয়ার দরকার।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দেশে সাধারণ মানুষদের জন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি না করে মালয়েশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে দেয়া বেশী সহজ।
তাতে অনেক দালালের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়। এটাও একটা বিরাট কাজ।

৫| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:০০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সরকারের এসব নিয়ে ভাবনা নেই। থাকলে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেশি বেকারদের চাকরিতে নিতে বাধ্য করতো। প্রয়োজনে নতুনদের জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখা যেতো। যাতে 'অভিজ্ঞতা' নামক জিনিষ'টা ছাড়াও চাকরী পাওয়া যায়।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের কিছু একটা করা দরকার। জীবন তো একটাই। এ্ক জীবনে কেন এতো সব ভোগান্তি থাকবে?

৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: সহমত।

হাজার হাজার তরুণকে বসিয়ে রেখে, দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে কীভাবে??X(

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: লাখ লাখ তরুণ তরুণীকে কর্মবীরে পরিণত করতে হবে। তাদের মেধা আর যোগ্যতাকে শানিত করে কাজে লাগাতে হবে। তবেই না দেশ সামনে এগিয়ে যাবে।

৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১২

রাজীব নুর বলেছেন: চাকরির বাজার খুব খারাপ।
চাকরি নাই। চাকরি নাই।
একটা ছোট পদের জন্য হাজার হাজার লোক এপলাই করে।

১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই বাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এই বাজার ঠিক করা দরকার সবার আগে। কেননা, এই বাজারে কোন এক সময় সবাইকে সওদা করতে হয়।

৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

নতুন বলেছেন: নিজে ব্যবসা শুরুর চেস্টা করতে হবে.... এতো মানুষকে চাকুরী দেবার ক্ষমতা আমাদের দেশের নাই।

হাতের কাজ শিখতে হবে, ছোট ব্যবসা শুরু করতে হবে...

৯| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বেকারদের নিয়ে সরকার মনে হয় কখনই ভাবে না।দেশে লক্ষ লক্ষ বেকারদের উচিৎ একটা আন্দোলন করা।কিছু দাবী সরকারের কাছে তুলে ধরা।
আজকাল অভিজ্ঞতা ছাড়া কেউ চাকরি দিতে চাই না।সবাই অভিজ্ঞ লোক চাই।কিন্তু তারা বোঝে না যে তারাও এক সময় অনভিজ্ঞ ছিল।
দেশের অনেকে আছে পড়া শোনা শিখে ছোট খাটো কাজ করতে লজ্জা পায়।তাই তারা বিদেশে গিয়ে ছোট কাজ করছে।
বিদেশে গিয়ে কি করছে সেটা তো আর দেশের লোক দেখছে না।
এ দেশে সরকারি চাকরি ছাড়া আর কোন চাকরির নিরাপত্তা নেই।প্রতিষ্ঠান ইচ্ছে করলেই যে কোন সময় এক জন কর্মীকে কোন কারন ছাড়াই চাকরি থেকে অব্যহতি দিয়ে দিচ্ছে।মাঝ পথে একটা লোক চাকরি হারিয়ে আর নতুন করে কোন চাকরিও পাচ্ছে না।
আমি এমন অনেক লোককে দেখেছি যারা মাঝ বয়সে বিদেশ যাচ্ছে শুধু দেশে কিছু করার মত নাই বলে।
ব্যবসা করতে গেলে তো আজকাল অনেক টাকা লাগে।থানা লেভেলে একটা দোকানের পজিশন নিতেই লেগে যায় দশ বারো লক্ষ টাকা।আর সব খরচ তো বাদই।যেখানে বেশির ভাগ মানুষে দিন আনতে পান্তা ফুরায় তারা ব্যবসা করবে কি ভাবে।

১০| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের আর সব ক্ষেত্রের মতো এখানেও একই সমস্যা, যথাযথ পরিকল্পনার অভাব। যে টাকায় একজন বিদেশী কর্মী রাখা যায়, তার চেয়ে অনেক কম টাকায় দেশী কর্মী রাখা যায়। এদেরকে প্রশিক্ষন দিলে এরা অবশ্যই বিদেশীদের থেকে ভালো করবে। এটা নিয়োগদাতাদেরকে কে বোঝাবে, আর সরকারকেই কে বোঝাবে!
দেশের সবকিছুতেই কেমন যেন একটা গা-ছাড়া ভাব। পাগলেও নিজের ভালো বোঝে, শুধু আমাদের মাথারাই বোঝে না।
সবই কপাল!! :(

০৯ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মফিজ ভাই, আপনি আমার মনে কথাটি বলেছেন। কঠোর নিয়ম নীতি চালু রাখলে আমাদের তরুণদের কাজ থেকে কাজ আদায় করে নেয়া সম্ভব।

১০০০ জন তরুণকে প্রশিক্ষণ দিলে ১০ টি রত্ন বের হবে না এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের উচিত রত্ন খুঁজে বের করা। দেশ প্রেম জাগ্রত করা। আমাদের সবার মাঝে দেশের প্রতি, কাজের প্রতি, সততার প্রতি দায়বদ্ধতা থাকতে হবে।

আপনি উন্নত দেশে থাকেন। আপনার কাছে এই ধরনের পোস্ট আশা করছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।ভালো থাকুন সব সময়।

১১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয়সাজ্জাদভাই,

এমন একটি সমাজ সচেতন মূলক পোষ্ট দিলে যা হওয়ার তাই হল । প্রচুর কমেন্ট জমে গেছে, এবার সময় নিয়ে প্রতিমন্তব্য করতে বসুন। এপ্রসঙ্গে আমার মত হল, দেশে শিল্পায়নে বিদেশী পুঁজি নিঃসন্দেহে স্বাগত । তবে কর্মসংস্থানের দিকটা মাথায় রেখে একটা শ্রমের গ্রেডেশন ও সংখ্যা বেঁধে দেওয়া বোধহয় জরুরি । এবিষয়ে দেশের একটা সুনির্দিষ্ট মার্কেট পলিসিও দরকার।। পাশাপাশি বহুজাতিক সংস্থাগুলিকে কাজ করার সহায়ক পরিবেশ করে দেওয়া কাম্য। কোনপ রকম রাজনৈতীক চাপ বলপূর্বক অর্থ আদায়, এসব ছুঁড়ে দেশের মধ্যকার পরিবেশকে শিল্প উপযোগী করে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে হবে।

একই সঙ্গে মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের পরে বৃত্তিশিক্ষার প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। প্রয়োজনে অধিক সংখ্যক ভোকেশনাল স্ট্রিম চালু করে নবপ্রজন্মের বেকারত্বের অভিশাপ কমবে বলে আমার বিশ্বাস ।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

১২| ১১ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৫০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সরকার পাব্লিকের মতামত, পরামর্শ শুনলে দেশের এই অবস্থা হতো না। দুঃখ, আমাদের সরকারগুলো ক্ষমতায় যাওয়ার পর পাব্লিকের গলা চেপে ধরে। ভালো মন্দ কিছুই শুনতে চায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.