নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
হাতের লেখা সুন্দর হওয়া আবশ্যক। বাল্যকালে আদর্শ লিপি নামক বাংলা ভাষা শিক্ষার প্রথম পুস্তকেই্ এই মহান উক্তিটি প্রথম জানতে পারি।
কিন্তু এ গুরু উক্তিটি আমার জীবনে কোন কাজে আসেনি। আমার হাতের লেখা সুন্দর হয়নি। আমার আরেক সমস্যা আমার লেখার মান অনেক খারাপ।
আমার লেখা কেউ পড়তে চায় না। যখন দেখি আমার কোন লেখা মাত্র ১০/১১ জন পড়েছে তখন মনে হয় এর চেয়ে দলিল লেখক হলেই তো ভাল হত। দলিল লেখক তার লেখার জন্য পারিশ্রমিক নেন। ব্লগে লিখে কেউ কোন সম্মানী ভাতা পায়না। তবে মাঝে মাঝে অসম্মানের সাথে ব্যানড হয় বা জেনারেল হয়।
আমার মনে আছে, দোহারের জয়পাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে আমি যখন ক্লাস নাইনে উঠি তখন আমার এলাকার এক মুরুব্বী আমাকে বলেছিলেন-
-কোন ক্লাসে উঠলা, মিয়া?
স্কুল পর্যায়ে নাইন তখন অনেক উপরের ক্লাস। নাইনে উঠলে অন্য রকম ভাব চলে আসে। আমার মধ্যেও মনে হয় খানিকটা ভাব চলে এসেছিল। তাই বললাম
- নাইনে পড়ি।
দলিল পড়তে পার মিয়া??
দলিল পড়তে পারাটা ছিল অনেক বড় একটা কঠিন কাজ। দলিলের লেখা মানেই জটিল হাবি-জাবি টাইপ কিছু একটা। এমন বাজে লেখা খুব কম লোকই পড়তে পারে। যে ছেলে দলিলের মতো জটিল আর বাজে লেখা পড়তে পারে সে তো অবশ্যই অনেক ভাল ছাত্র। তার নাইনে উঠা সার্থক।
আমি নাইনে উঠলেও দলিল পড়তে পারিনি। এখন যত দূর জানি, দলিল কম্পিউটারে টাইপ করে তৈরী করা হয়।
তবে এই আমলে ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন পড়তে পারাটা এখনো অনেক বিদ্বান লোকের কাজ। আজ পর্যন্ত পড়তে পারা যায় এমন প্রেসক্রিপশন আমি খুব একটা দেখিনি।
ব্লগে কোন সহব্লগার ডাক্তার থাকলে রাগ না করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। কেননা, কোন কোন ডাক্তারের লেখা মুক্তার মতো ঝকঝকে।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্যার, ঠিক হোজ্জা সাহেবও এমন একটি গল্প বলেছিলেন। তার পায়ে ব্যথা ছিল বলে প্রতিবেশীর চিঠি লিখে দেননি। কেননা, পায়ে ব্যথা থাকার জন্য ২০ ক্রোশ হেটে তার পক্ষে গিয়ে চিঠি পড়ে দিয়ে আসা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তার লেখা কেবল তিনিই পড়তে পারতেন।
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১১
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দলিল লেখকের লেখা আর ডাক্তারের লেখা পড়তে পারা আসলেই বিড়াট কম্ম - এই কম্মটির একটি যিনি পারেন তিনি ফার্মেসীর কম্পাউন্ডার !!!
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৪০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জয়পাড়ার হাসপাতাল রোড়ের আমার বন্ধু হরেকৃষ্ণ এক জন ওষুধ বিক্রেতা। সে দেখি ঘটাঘট আজে বাজে লেখা প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ বিক্রি করে ফেলে। দেখের তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যায়।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:১৩
ওমেরা বলেছেন: আমাদের এখানে প্রেসক্রিশন হাতে লিখতে হয় না আপনার হাতে দিবে ও তাই আপনাকে কষ্ট করে পড়তেও হবে না ভাইয়া।ওটা সরাসরি আপুতেক ( মেডিসিনের দোকান) ও চলে যাবে আমি ওখানে নাম , আইডি নাম্বার বল্লেই মেডিসিন পেয়ে যাবেন ॥
ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ও এরকম হবে তাই চিন্তার কোন কারন নেই ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপু রে, আমরা তো বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের সব কিছুই ম্যানুয়াল! হাত থাকতে আমরা কেন কম্পিউটারে লিখতে যাবো?
হ্যাঁ, বাংলাদেশেও এই রকম হবে। তবে সময় লাগবে। সেই সময়টা কত সেটাই প্রশ্ন। সেটা হতে পারে ১০০ বছর । হতে পারে ৫০০ বছর। সময় টা বড্ড দীর্ঘ।
তবু আমি আশাবাদী। এক দিনই আমরা করবো জয়।
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২১
অন্তরন্তর বলেছেন: দলিল পড়ার কথায় মনে পরে গেল আমার ছাত্রজীবনের কথা। দলিল পড়া খুব কঠিন কাজ ছিল। আমি দলিল পড়তে পারতাম না। লিখা সুন্দর হয়েছে।
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মাঝখানে আমি অনেক দিন মাস্টারী করার সুবাদে অনেক আজে বাজে লেখা পড়ার সুবাদে আমি এক জন বাজে হাতের লেখার আদর্শ পাঠক হয়ে যাই। তখন অনেক অনেক খারাপ হাতের লেখা পড়তে পারতাম। কিন্তু তারপরও দলিল আর প্রেসক্রিপশন পড়তে ব্যর্থ হতাম।
জয়পাড়ার হাসপাতাল রোড়ের আমার বন্ধু হরেকৃষ্ণ এক জন ওষুধ বিক্রেতা। সে দেখি ঘটাঘট আজে বাজে লেখা প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ বিক্রি করে ফেলে। দেখের তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যায়।
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সবকিছু পরিবেশের উপর নির্ভর করছে। আপনি যখন জমি জমার কাজ করবেন, তখন অটোমেটিক বুঝে যাবেন দলিলের লেখা। আবার কম্পাউন্ডার হলে বুঝে যাবেন ডাক্তারদের লেখা। কারণ, ওষুধের নামগুলো কম্পাউন্ডারের পরিচিত থাকে।
আমি যখন প্রবাস জীবন শুরু করেছিলাম, তখন এক ফিলিপিনো ইঞ্জিনিয়ারের হাতের লেখা খুবই দুর্বোধ্য মনে হত। বেশীরভাগ ফিলিপিনো ব্লক লেটারে রিপোর্ট লিখে (এই অভ্যাসটা এখন আমারও!)। তার হাতের লেখা নতুন কেউ বুঝত না সহজে। আমি কয়েকদিনেই বুঝে গিয়েছিলাম!
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দেশে জমির পরিমাণ কমেছে। বেড়েছে বাড়ি ঘর। এখন জমি কেনার চেয়ে মহাসাগর কেনা সহজ। তাই ধরেই নেয়া যায় এ জমি জমার মালিক হতে পারবো না। তবে দলিল এখন যেহেতু টাইপ করে লেখা হয় তাই বুঝা সহজ।
আপনার মন্তব্য বাস্তবতাকে ধারণ করেছে। এটা আমার একটা শিক্ষা।
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৮
কানিজ রিনা বলেছেন: ছোটকাল থেকে আমাদের জমির দলিলগুল
পড়তে পড়তে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তবে
ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন লেখে তাতে মনে
হয় তারা ঔষুধের বানান জানেনা। শুধু প্রথম
অক্ষর আর দ্বীতিয় অক্ষর দেখে দোকনীরা
চিনে ঔষুধ দেয়। ধন্যবাদ আনকমন লেখার
জন্য।
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:১৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ, আপু। তবে আমাদের দুর্দিন কেটে গেছে । এখন দলিল দস্তাবেজ সব কম্পিউটারে টাইপ করে লেখা হয়।
ডাক্তারদেরও কম্পিউটারের আওতায় আনার সময় এসে গেছে।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সব সময়।
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৫৭
সুমন কর বলেছেন: আমার হাতের লেখাও বুঝা যায় না !!! হুম, আগের দলিলগুলো খুব প্যাঁচানো প্যাঁচানো হাতের লেখায় থাকত।
২০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি যেই আমলে নাইনে পড়তাম সেই আমলে কম্পিউটার এতো সহজলভ্য বস্তু ছিল না। এখন সব কিছু কত সহজে হয়। তখন কালির কলমে দলিল লেখা হতো।
৮| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০০
কাইকর বলেছেন: আমার হাতের লেখা উকিলদের মতো ।সব স্যার বুঝে না।
২১ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি গুণী মানুষ। আপনার লেখা নিয়ে এক সময় বইও বের হতে পারে। এটা একটা বিরাট ব্যাপার। আপনার জন্য শুভ কামনা সব সময়।
৯| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:০৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাজ্জাদভাই,
আমার ব্যক্তিগত জমির দলিলও পড়া সহজ কিন্তু ডাক্তারদের ব্যবস্থাপনা পড়াটা সাধারনের পক্ষে একেবারে সম্ভব নয়। বেশকিছু দিন আগে আপনার ভাইপোর খেলতে গিয়ে পায়ে প্রচন্ড লাগে। আমি আগে এক্সরে করিয়ে প্রায় দুআড়াই ঘন্টা লাইন দিয়ে শহরের নামি ডাক্টারবাবুকে দেখিয়ে ঔষুধের দোকানে গেলে, না আপনাকে ঔষধ দেয়নি। সম্পূর্ণ বেডরেস্ট দিয়েছে। ২, নম্বরে ওয়াটার ব্যাগে ঠান্ডাজলের সেক দিতে বলেছে। এহেন ব্যবস্থাপনা পাঠোদ্ধার করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি।
শুভরাত্রি।
১০| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১০
স্রাঞ্জি সে বলেছেন: এদের কারণে অনেক মানুষ বিপদে পড়ে যায়।
১১| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা---
রাস্তায় প্রায়ই সাইন বোর্ড দেখি ''দলিল লেখক''।
তবে দলিল লেখকদের হাতের লেখা কিন্তু সুন্দর হয়।
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:৫১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সামহোয়ার ব্লগের লেখকরা এক কথায় অসাধারণ। তাদের মায়ায় পড়েই তো এখানে বিচরণ করছি।
এখন সব দলিল কম্পিউটারে প্রিন্ট করা হয়। এই সব পড়ার মধ্যে কোন গর্ব নাই।
১২| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: পোস্ট পড়ে হেসেছি, মন্তব্য পড়ে আরও বেশি হাসলাম। বিশেষ করে এক নং মন্তব্য তো । জমির দলিল পড়ার চেষ্টা করিনি কখনো। করে দেখবো ।
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার সু্ন্দর মন্তব্য খুবই আমোদজনক। তবে আগের মতো হাতে লেখা দলিল এখন আর দেখা যায় না। পড়ার ইচেছ থাকলেও পড়তে পারবেন না।
১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আপনার লেখা কে বলে নাম টা দেন। তার লেখা একটু পড়ে আসি, দেখি সে কতবড় লেখক।
আপনার প্রতিটা লেখাতেই যে সূক্ষ্ম রসবোধ আছে সেটা অতুলনীয়
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বস ,
আমি আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেছি। এতো সব যুক্তিপূর্ণ লেখা আরজ আলী মাতুব্বর ছাড়া আর কারো লেখায় পাইনি। আপনাকে শ্রদ্ধা।
১৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মারছে... আরজ আলী বানায় দিলেন??? আমি তো তার নখেরও যোগ্য না। শিটম্যান
১৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি বিনয়ী মানুষ। তাই এমন বলছেন। আরজ আলী মাতুব্বর নেই। তার পদাঙ্ক ধরে আপনি খুব ভালো আলোচনা করেছেন। আমি খুব উপভোগ করেছি। এমন লেখা কালে ভদ্রে পড়তে পাই। এই লেখার দাম লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আমি হাতে চিঠি লিখলে, নিজে গিয়ে পড়ে দিতে হয়