নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
এরা ভাগ্যবান যে বাসের পাদানিতে ঝুলে থাকার সুযোগ পেয়েছেন।
আমি বাসে প্রচুর যাতায়াত করি। কেননা, আমার এ ছাড়া উপায় নেই। সীমিত আয়ের মানুষ। বাস ছাড়া চলাচলের উপায় নাই। কম দূরত্বের পথ রিক্সায় চলাচল করা যায়। বেশী দূরত্বে পথ বাস ছাড়া আর উপায় কি?
প্রতি মাসে মোট আয়ের একটা বিরাট অংশ চলে যায় যাতায়াত খাতে। তারপরও সর্বদাই মনে ভয় জাগে, জান নিয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবো তো? নাকি দুই বাসের চিপায় পড়ে হাত খুয়াবো। পা খোয়াবো । নাকি বাসের চলায় পিষ্ট হয়ে জানটাই খোয়াবো।
আমার মনে হয় বাস, ট্রাক ইত্যাদি চালানোকে যারা পেশা হিসাবে নেবেন তাদের একটি মিনিমান পড়াশোনা থাকা দরকার। দরকার ভালো প্রশিক্ষণের। তাহলে তারা অন্ততঃ কিছু নিয়মনীতি, আইন কানুন জানবে। যার তার হাতে স্ট্রিয়ারিং ধরার লাইসেন্স দেয়া যুক্তিসঙ্গত নয়।
যখন কলেজে পড়তাম তখন বাসে কিছু ক্যাচাল প্রায়ই চোখে পড়ত। যেমন-
১।
কন্ডাক্টরঃ ভাড়া দেন।
যাত্রীঃ পরে নাও।
কন্ডাক্টরঃ এখন দেন। পরে ভুইলা যাইতে পারেন।
যাত্রীঃ অই ব্যাটা, আমি যামু মীরপুর। ভাড়া পরে নে।
কন্ডাক্টরঃ পরে তো আমার মনে থাকবো না। বিরাট লছ হইবো।
যাত্রীঃ আমার ঠিকই মনে থাকবো।
কন্ডাক্টরঃ ভাড়াটা দিয়া দেন।
যাত্রীঃ চুপ বেয়াদব! মারবো এক থাপ্পড়!
এই সব যাত্রীরা পরে আর ভাড়া দিত না তা যাচাই করে দেখার মতো ধৈর্য কিংবা ইচ্ছা কোনটাই আমার ছিল না। তবে আমি ব্যাক্তিগতভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রিপেইডে বিশ্বাসী। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদেরকে বাসে উঠানো বাস কোম্পানীর দায়িত্ব। তারা টিকিট দিতে পারে। বাসে কোন কারণে প্রয়োজন হলে টিকিট দেখালেই ঝামেলা চুকে যাবে। গাড়ীতে ৫০ টি সিট থাকলে ৫০ জন যাত্রীই উঠবেন। সবাই আরামে যাবেন। অযথা ক্যাচাল কারোই ভালো লাগার কথা নয়।
২।
কন্ডাক্টরঃ ভাড়া দেন।
যাত্রীঃ হাফ ভাড়া রাখ। আমি কলেজের ছাত্র।
কন্ডাক্টরঃ কার্ড দেখান।
যাত্রীঃ কার্ড বাসায় রেখে এসেছি।
কন্ডাক্টরঃ তাইলে পুরো ভাড়া দেন।
যাত্রীঃ বললাম তো ছাত্র। হাফ ভাড়া নে।
কন্ডাক্টরঃ হাফ ভাড়া দিতে চাইলে কার্ড দেখাতেই অইবো।
যাত্রীঃ অই ব্যাটা মারবো এক চড়! বললাম না কার্ড বাসায় রেখে এসেছি।
ছাত্র প্রমাণ করতে চাইলে কার্ড তো দেখাতেই হবে। অথচ খুব কম জনকেই দেখেছিলাম তারা কার্ড দেখাতো।
আরেক ধরনের লোক ছিল তারা পরিচয় দিতঃ আমি স্টাফ। স্টাফ ব্যাপারটা আমি বুঝতাম না। পরে পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারলাম- স্টাফ মনে হচ্ছে তিনি অন্য কোন বাসে চাকরি করেন। তাই তিনি ভাড়া দিবেন না। সেখানেও ক্যাচাল। বাইরের চেহারা দেখে তো আর বুঝার উপায় নেই তিনি আসলেই কোন বাসের স্টাফ কিনা। স্টাফরা কোন ভাড়া দেবে না। কিন্তু তাদের পরিচয় পত্র থাকতে হবে।
৩।
কন্ডাক্টরঃ ভাড়া দেন।
যাত্রীঃ ভাড়া দিতে অইবো ক্যান, আমি তো স্টাফ।
কন্ডাক্টরঃ কার্ড দেখান।
যাত্রীঃ কার্ড বাসায় রেখে এসেছি।
কন্ডাক্টরঃ তাইলে ভাড়া দেন।
যাত্রীঃ বললাম তো স্টাফ। আমার ভাড়া লাগে না।
আবার শুরু হয়ে যেত ক্যাচাল। আজকাল এই সব ক্যাচাল আছে কিনা আমার জানা নাই। না থাকলে ভালো। ক্যাচাল জীবনকে বিষাদময় করে তুলে।
আমাদের বাসগুলোতে সাধরণতঃ নিম্নমধ্য বিত্তের চলাচল। বাসে নানান হৈ চৈ হয়। ধাক্কাধাক্কি হয়। পকেট মার হয়। জীবন যে কি কষ্টের সেটা বাসে চড়লে সামান্য টের পাওয়া যায়। আমরা সবাই যদি বিবেকবান হই, অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হই, সততা আর ন্যায়বান হই তাহলে বাসও হতে পারে আনন্দপূর্ণ একটি জায়গা।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। কিন্তু যাদের বাজেট কম তাদের তো বাস ছাড়া উপায় নেই। তাদের জন্য আমাদের প্রচুর ভাবতে হবে। সবাই মানুষ। সবাইকে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ দিতে হবে।
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩১
করুণাধারা বলেছেন: ছবিটা দেখলেই ভয় ধরে যায়, এদের যদি হাত কাটা পড়ে বা মাথা কাটা পড়ে! যদিও রাস্তায় বেরোলেই দৃশ্য সব সময় দেখতে হয়।জানিনা আমাদের পাবলিক বাস সার্ভিস এত বছরেও কেন ঠিক হলো না, এখনো মানুষকে দরজায় ঝুলতে ঝুলতে যেতে হয়।
পোস্ট ভালো লেগেছে।++++
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: হাত কাটা, পা কাটা, মাথা কাটা এই সব এখন দিনে দিনে ডাল ভাত হতে চলেছে। কেন যে আমরা মানুষ হচ্ছি না।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৩২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: লোকাল বাসে সব সময়ের জন্য কিছু ক্যাচাল থাকবেই।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কিন্তু ক্যাচাল থাকা উচিত নয়।এই যুগে মানুষ সভ্য। তাদের আচার-আচরণও যেন সভ্যতার মাত্রা অতিক্রম না করে সেটা সব সময়ই খেয়াল রাখা দরকার।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৪২
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এই ক্যাচালগুলোর জন্য যাত্রীরাই দায়ি।।
আফসোস!!!! দেশের পরিবহন ব্যবস্থা (সড়ক, নৌ, আকাশ), কোনটাকেই নিরাপদ করা গেল না
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাসপক্ষ আর যাত্রীপক্ষ দুই পক্ষই কম বেশী দোষী। তবে বাসের ম্যানেজমেন্ট ভাল করা দরকার। সেবার জন্য কিছু খরচও করা উতি। যেমন যাত্রীকে ভাড়া নেবার সাথে সাথে হাতে টিকেট দেয়া, আসনগুলো নিয়মিত পরিস্কার রাখা ইত্যাদি।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সাধারন মানুষের বাসের ভিতরে সত্য ঘটনা তুলে ধরেছেন খুব সুন্দর করে।
দুই টাকা পাঁচ টাকার জন্য অনেক চিল্লাচিল্লি হয়। তবে বাসওয়ালারা খারাপ হলেও বেশ কিছু যাত্রী আছেন তারাও বিরাট বদ। নোংরা মানসিকতা।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পরিবর্তন সময়ের দাবি। এখন সময় এসে গেছে ভাল হবার। আগের মতো খারাপভাবে চলার দিন শেষ। আসুন, সবাই ভালো হই। সবাই ভালো আচরণ করি।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১১
হাঙ্গামা বলেছেন: মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: এই ক্যাচালগুলোর জন্য যাত্রীরাই দায়ি।।
আফসোস!!!! দেশের পরিবহন ব্যবস্থা (সড়ক, নৌ, আকাশ), কোনটাকেই নিরাপদ করা গেল না
ক্যামনে যাত্রীরা দায়ী?
কোন ব্যাখ্যা?
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দুই পক্ষেরই দোষ আছে। সব চেয়ে বড় দোষ ব্যাবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের। সুন্দর সমাধান আছে। তারা তা করতে চায় না।
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২১
বিদেশে কামলা খাটি বলেছেন: গরীবের কথা কেউ ভাবে না। তারা সব সময়ই অবহেলিত। তাদের কেউ নেই।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কাউকে অবহেলা দেখানোর কোন সুযোগ নেই। সবাই সমান সুযোগ পাবার দাবি রাখেন।
৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৮
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: এখনো এই ক্যাচাল আছে, ভবিষ্যতে আশাকরবো থাকবে না।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সামনের দিনগুলো আরো সুন্দর হবে এটা আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি। আগামীর বাংলাদেশ হবে সুন্দর।
৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:২৯
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @হাঙ্গামা, আপনার জন্যই লগইন করলাম। আপনি কি লেখাটা পড়েন নি????
"যাত্রীঃ অই ব্যাটা, আমি যামু মীরপুর। ভাড়া পরে নে।"
"যাত্রীঃ অই ব্যাটা মারবো এক চড়! বললাম না কার্ড বাসায় রেখে এসেছি।"
"যাত্রীঃ বললাম তো স্টাফ। আমার ভাড়া লাগে না।"
---- কিছু বুঝলেন????
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের মাঝে শিষ্টাচারের অভাব খুব বেশী। তাই বুঝি মাঝে মাঝে আমরা হোচট খাই।
১০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯
রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: তারা কেন বুঝে না?
আমি জীবনে অনেক লোককে দেখেছি বাসের মধ্যে ক্যাচাল
করতে । এই সব ৩য় ক্লাসের
মানুষেরা কোন দিন ভাল হয় না ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জাতি হিসাবে কেন যেন আমরা খুব বেশী ভদ্র হতে পারিনি। এটা আমাদেরকে ভোগায়।
১১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সত্যি লোকাল বাসে দুর্গতির শেষ নেই।
২০১১ সালের কথা। মৌচাক থেকে যাত্রাবাড়ি আসব। সেদিন ছিল জ্বর। অফিস শেষ করে অকেক্ষণ দাড়িয়ে ছিলাম। ভালো কোন বাস পাচ্ছিনা।
শেষে লোকালবাসে চড়লাম। একেতো গরম, তার উপর মানুষের শরীরের তাপ, ভীড়, ঠেলাঠেলি। সীট না পেয়ে একসময় মনে হলো বুঝি অজ্ঞান হয়ে পড়বো। কোন রকমে আল্লাকে ডাকতে ডাকতে রক্ষা পেয়েছিলাম।
১২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: ক্যাচাল উপরোক্ত আলোচনার সাপেক্ষে মন্তব্য নিম্নরূপ:
আপনি গাড়ি চালকদের নূন্যতম শিক্ষা বা যথাপোযুক্ত প্রশিক্ষণের কথা বলেছেন ঠিক আছে। তবে কথা হলো, আমাদের দেশে যত সড়ক দূর্ঘনটা ঘটে তার সবটার পেছনে গাড়ি বা গাড়ি চালক দায়ী এই ধারণটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়। যাত্রী বা পথচারীদের অসচেতনতার বা অসাবধানতার জন্যও অনেক সময় দূর্ঘটনা ঘটে।
ফুটওভার ব্রীজ থাকলেও অনেকে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। পানির বোতল, কলার খোসা, খাবারের প্যাকেট ইত্যাদি নির্দিষ্ট স্থানে না ফেলে বেশির ভাগ যাত্রী রাস্তায় ফেলে। অতিরিক্ত যাত্রী হিসেবে গাড়িতে ওঠে। গাড়িতে তুলতে না চাইলে অনেক যাত্রী মারামারি পর্যন্ত করে। গাড়িতে ওঠে দ্রুত যাওয়ার জন্য চালককে অনবরত তাগাদা দেয়, এমনি এজন্য গালমন্দও করে কেউ কেউ।
সুতরাং একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমি মনে করি, শুধু চালকদের নূন্যতম শিক্ষিত বা প্রশিক্ষিত হলেই হবে না। যাত্রীদেরও সর্বোচ্চ সচেতন এব সাবধান হতে হবে। তবেই দূর্ঘটনা হার কমবে বলে মনে করি।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা প্রয়েঅজনের চেয়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। বাকি সমস্যা যেটাই বলবেন তা সৃষ্টি এই অতিরিক্ত জনসংখ্যা থেকেই। তাই কোন কিছুর ম্যানেজমেন্ট খুবই কঠিন। কেউ পারে না। কেবলই আফসোস। তবে দিন বদলাতে পারে।
১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর নিকৃস্টতম পাবলিক বাস সার্ভিস হল এই বাংলাদেশে! কোলাকাতায়ও অনেক ভাল সার্ভিস আছে। আমাদের বাস মালিকরা সব এমপি আর মন্ত্রী আর নেতা তাই সার্ভিসের ধার ধারেনা (প্রথম আলো। )!
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার কথায় সত্যতা আর বাস্তবতার ছাপ। কিন্তু পরিবর্তন দরকার। আর কত। দেশের বয়স তো আর কম হলো না। এবার একটু ভালো ভাবে চলা দরকার।
১৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:২১
হাঙ্গামা বলেছেন: মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @হাঙ্গামা, আপনার জন্যই লগইন করলাম। আপনি কি লেখাটা পড়েন নি????
ষ্টাফদের ভাড়া লাগে না এবং ষ্টুডেন্টদের হাফ ভাড়া লাগে সুতরাং এই দুই শ্রেনীর মানুষকে সাধারন যাত্রীর শ্রেনীতে ফেলা যাবে না।
এরা কার্ড বাসায় রেখে আসুক বা গলায় ঝুলিয়ে হাটুক তাতে নজর না দিই।
এবার আসি আমরা যাধারন যাত্রীদের কথায়....আমি মতিঝিল যাত্রাবাড়ি বা আরো দূর থেকে যদি মিরপুর আসি তাহলে ভাড়া পরে দেয়াটাই স্বাভাবিক। কি মহাভারত অশুদ্ধ হয় যদি ভাড়া পরে দিই।
কন্ডাক্টরঃ পরে তো আমার মনে থাকবো না। বিরাট লছ হইবো।
তোর মনে থাকবে না কেন? মনে রাখাই তোর কাজ। আমি আগে ভাড়া দিলে ও এরপর আরো তিনবার ভাড়া চাইতে আইসা আমারে বিরক্ত করবি তখন ?? অনেককে তো ঘুম থেকে উঠাইয়া ও বলবি "ভাড়া লন" .....তখন?
আর বিরাট লসের কথা বলিস? ১/২ জন ভাড়া না দিয়া নাইমা গেলে তোর বিরাট লস হবে আর সিটিং হিসাবে ৪০ জনের যায়গায় মিরপুর পর্যন্ত আসতে আসতে আযায়গা, কুযায়গা থেকে আরো ২০০ লোক নিয়া আসবি তখন যে বিরাট লাভ করবি সেইটার কথা কে বলবে?
আর ৫ হাজার ড্রাইভার হেল্পার সিধা করা সোজা নাকি ২ কোটি যাত্রী সিধা করা সোজা?
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: টিকিট সিস্টেম থাকা দরকার। আপনি ভাড়া দিবেন । আপনার হাতে এক খান টিকেট দিবে। সেটাই প্রমাণ করবে আপনি ভাড়া দিবেন। মানুষ হিসাবে বাংলাদেশের সবাই যে খুব বেশী সততার পরিচয় দেয় তা কিন্তু নয়। সৎ মানুষ অনেক আছেন। কিন্তু সিস্টেম থাকা তো দরকার। বাসে উঠার সাথে সাথে ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে একখান টিকেট হাতে নিন। সব ঝামেলা শেষ।
১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:০৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: রাস্তা বাড়ছে, গাড়ি বাড়ছে যাত্রীও বাড়ছে। আসলে বাংলাদেশের মানুষ দিনদিন কর্মপ্রিয় হয়ে উঠছে।
হ্যা, আগে এমন স্টাফ ক্যাচাল বেশিই দেখা যেতো বাসে। বর্তমানে প্রায় আট বছর আমি বাসে উঠিনা। চেয়ারকোচে দু একবার উঠলেও লোকাল বাসে উঠাই হয়না এখন।
ভালো লাগলো আপনার বাস্তব শেয়ার
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: যাদেরকে বাসে উঠতে হয় না তারা অবশ্যই ভাগ্য বান। তবে এই ভাগ্যবানের সংখ্যা খুবই কম। দরিদ্র মানুষদেরকে বাসে উঠতেই হবে। নইলে সব ইনকাম রিক্সা/ট্যাক্সি ভাড়া দিতেই শেষ হয়ে যাবে। ভাত-পানি খাবার টাকা থাকবে না। ব্যবস্থাপনা সুন্দর থাকলে বাসও নিরাপদ পরিবহন হতে পারে।
১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৮
হাঙ্গামা বলেছেন: অবশ্যই টিকেট সিষ্টেম থাকা উচিত এবং গাড়ির ভেতর ভাড়া নেবার কোন সিষ্টেমই থাকবে না।
দেখতে চাই এরপর কিভাবে গাড়ির ভেতর ক্যাচাল হয়।
২৪ শে এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৫:৫৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর সিস্টেম থাকলে কোন ক্যাচাল হবার কথা নয়। আমাদের কর্তৃপক্ষগুলোর উচিত সুন্দর সিস্টেম চালু করা। তাহলেই ক্যাচাল দূর হয়ে যাবে।
১৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৪
শায়মা বলেছেন: টিকেট ছাড়া ওঠা চলবে না আর হাফ ফুল কোনো ফ্রি নাই করে দিতে হবে। তাহলে যদি আচাল কেচাল কমে....
তবুও কি কমবে? একটা বন্ধ করলে আরেক কেচাল টেনে আনবে.....
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: স্বভাব বদলাতে হবে, আপু। আমরা কেউই মনে হয় যথেষ্ট ভদ্রতা বজায় রাখতে চাই না।
১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছাত্রজীবনে বাসই ছিল আমার চলার বাহন। অতএব, এসব ক্যাচালের সাথে পরিচিত। এখনও প্রয়োজন হলে বাসে উঠতে দ্বিধা করিনা। তবে বাস এখন যত্র তত্র থামিয়ে যাত্রীকে নামতে বলে, এজন্য বাসে ওঠার চেয়ে বাস থেকে নামাটা বেশী বিপজ্জনক হয়ে গেছে।
কেউ কেউ বলে, রাজধানীর বুকে চলাচলকারী বহু বাসের মালিক পুলিশের লোক, অথবা অন্য কোন প্রভাবশালী লোক। তাদের লোভস্পৃহা আর দুরাচার এর ফলে বাস চলাচলে কোন শৃঙ্খলা আনা যায় না।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমরা সবাই সভ্য আর ভদ্র হলে সবই সম্ভব। তবে আমাদের জনসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই বেশী হওয়ায় ব্যাবস্থাপনার কাজটি খুবই কঠিন হয়ে গেছে। তবে সামনে ভালো দিন আসবে। মানুষ আরো ভালো হবে। সেই দিনের অপেক্ষায় থাকবো সবাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৪
ক্স বলেছেন: বাস নিম্ন মধ্যবিত্তের বাহন - এটা আপনি বুঝেছেন। বাস মালিকেরা তো বোঝেনা। এজন্যে লক্কড় ঝক্কর বাসে রং করে এক রাতে সিটিং বানিয়ে ভাড়া তিন ডবল করে দিতেও এদের বিবেকে বাধেনা। আমি সৌভাগ্যবান যে আমাকে বাসে খুব কম চড়তে হয়।