নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়েশিয়াতে আমার ভালোলাগা জিনিস-০৩ Touch n Go

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬



এটি একটি কার্ড। কার্ডটি মালয়েশিয়াতে খুবই জনপ্রিয়। কার্ডের নাম touch n go.
মালয়েশিয়ার প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক লোকের একটি touch n go কার্ড অবশ্যই থাকবে।

কি কাজে লাগেঃ

টাচ এন গো কার্ড অনেক কাজে ব্যবহার করা যায়।

১। গাড়ী পার্কিংঃ



গাড়ী পার্ক করলে তার বাবদ মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এটা করার জন্য এই কার্ড খুবই উপযোগী। গাড়ী নিয়ে পার্কিং এর ভেতর প্রবেশ করার সময় নির্দিষ্ট যন্ত্রে কার্ডটি স্পর্শ করলেই পার্কিংএর প্রবেশ পথ খুলে যাবে। পরে আবার আবার গাড়ী বের করে নেবার সময় একই ভাবে যন্ত্রে স্পর্শ করলে আবার বের হবার পথ খুলে যা্বে। সাথে যন্ত্রটি আপনার পার্কিং বাবদ খরচ কেটে রাখবে। চাইলে আপনি রশিদ প্রিন্ট করে নিতে পারবেন।

২। হাইওয়েতে টোল পরিশোধঃ



মালয়েশিয়াতে বড় বড় হাইওয়েতে গাড়ী নিয়ে বের হলে আপনাকে অবশ্যই টোল পরিশোধ করতে হবে। আমি অমুক এলাকার অমুন পার্টির সহসম্পাদক এই জাতীয় পরিচয় দিয়ে টোল মাফ পাবার কোন সুযোগ নেই। এখানকার টোলপ্লাজাগুলো অনেক সুন্দর আর ডিজিটাল। আপনি নির্দিষ্ট যন্ত্রে touch n go কার্ড স্পর্শ করা মাত্র আপনার টোলের টাকা কেটে নেবে।আপনার যদি স্মার্ট ট্যাগ নামক যন্ত্র থাকে তাহলে আপনি আপনার touch n go কার্ডটি যন্ত্রে স্পর্শ না করেও চলে যেতে পারবেন। স্মার্ট ট্যাগ touch n go থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে নেবে।

এই দেশে অনেক টোল দিতে হয়। এক শহর থেকে আরেক শহরে যদি হাইওয়ে ব্যবহার করে যান তাহলে অনেক টাকা টোল দিতে হয়। যেমন আপনি যদি কুয়ালালামপুর থেকে পেনাং যান তাহলে পেনাং এর প্রবেশ পথের টোল প্লাজায় প্রায় ৪৩ রিঙ্গিত বা (৪৩x২১.৫০= ৯২৪.৫০ টাকা) টোল দিতে হবে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানের টোল তো আছেই।

আর একটি কথা। টোল ফাকি দেবার কোন কায়দা নাই। টোল প্লাজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। সেখানে দুই এক জন ব্যক্তি সব সময় থাকে। তার কাজ মূলত: কারো touch n go এর ক্রেডিট শেষ হয়ে গেলে রিফিল করে দেয়া।

৩। পরিবহনের ভাড়া পরিশোধঃ

মালয়েশিয়ার গণ পরিবহনের মধ্যে বাস (যেটা কুয়ালালামপুরে Rapdid KL নামে পরিচালিত হয়), এলআরটি, মনোরেল ইত্যাদির ভাড়া পরিশোধের জন্য touch n go কার্ড ব্যবহার করা যেতে পারে।

যে কোন পেট্রোল পাম্প স্টেশন, ওয়াটসন, সেভেন ইলেভেন, kk 7 ইত্যাদি দোকানে touch n go কার্ড রিফিল করা যায়। এর মধ্যে ওয়াটসনে রিফিল করলে তারা কোন সার্ভিস চার্জ রাখে না। বাকিরা সার্ভিস চার্জ রাখে।

কোন টোল প্লাজায় যদি আপনার কার্ড এর ক্রেডিট শেষ হয়ে যায় তাহলে আলাদা লাইন দিয়ে প্রবেশ করলে তাৎক্ষণিকভাবে তারা রিফিল করে দেবে।

মাঝে মাঝে ভাবি, এই রকম একটি কার্ড কি আমাদের দেশে চালু করা যেতে পারে না?

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমাদের দেশ বলতে ঢাকা; যাদের গাড়ী আছে, বাড়ী আছে, তাদের কাজে লাগবে; মালয়েশিয়াতে থাকলে বাংলাদেশেও আসবে। মালয়েশিয়াতে প্রায় সবার গাড়ী আছে, মনে হয়।

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশে টোল ফাকি দেয়ার প্রবণতা ব্যাপক। এখানে টোল ফাকি দেয়ার সুযোগ নেই। মালয়েশিয়াতে অনেক গাড়ী। এরা গাড়ী বানায়। আমদানি করে না। সম্প্রতি প্রোটন গাড়ী কোম্পানী বাংলাদেশের PHP Automobiles নামক কোম্পানীর সাথে যেীথ উদ্যোগে Proton গাড়ী বানানোর জন্য কারখানা বানাচ্ছে।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

জোকস বলেছেন: আমার গাড়ি নাই :(

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: গাড়ী হতে কতক্ষণ। এক সময় মানুষের হাতে মোবাইল ফোন ছিল না।এখন হাতে হাতে দামী দামী সব স্মার্ট ফোন। গাড়ীও হবে। কাজ করুন। দেশ এগিয়ে যাবে। গাড়ী আসবে।

৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


মালয়েশিয়া কি নিজেরা গাড়ী বানায়?

০১ লা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়া নিজেরাই গাড়ী বানায় । তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড প্রোটন Proton। এর একটি সিস্টার কনসার্ন আছে - perodua
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডাঃ মাহাথির বিন মোহাম্মদ প্রোটন এর প্রধান উপদেষ্টা।


৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫২

ঢাকার লোক বলেছেন: আমার যতদূর মনে পড়ে জাপানি মিৎসুবিশির সাথে মিলিতভাবে এ গাড়ি মালয়েশিয়ায় তৈরী/ সংযোজন করে!

০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: উন্নত দেশের কারিগরী সহায়তা নিয়ে হলেও প্রগতি কোম্পানী গাড়ী বানালে দেশের জন্য মঙ্গল হতে পারত। দেশের মঙ্গল চাওয়ার মতো বড় বড় মানুষ দরকার। আমরা খুবই সাধারণ মানুষ। আমাদের চাওয়া, না চাওয়াতে কিছুই যায় আসে না।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
টোলপ্লাজা একটা অযথা সময়ক্ষেপণ ফালতু ব্যবস্থা।
উন্নত বিশ্বে গাড়ীর নাম্বারপ্লেটে লাগানো সেন্সর থেকে চলন্ত অবস্থাতেই মাইল হিসেব করে নোটিস পাঠিয়ে টোল সংগ্রহ করা হয়। গাড়ী ৯০ মাইল স্পিডে থাকলেও স্লো করার দরকার হয় না।

০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দেশ যত উন্নত তত বেশী সুবিধা। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ হিসাবে এরা এখনো অত উন্নত নয়। তবে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। এটাই তো অনেক।

৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৪৮

অর্ফিয়াসের বাঁশি বলেছেন: হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময় নাকি হোন্ডার কারখানা করার কথা ছিল এদেশে- গাজীপুরে, শুনেছি। সেসময় ইন্ডিয়াতেও হোন্ডার কারখানা বসে নি। কিন্তু জমিজমাসংক্রান্ত কি এক কারণে নাকি পরে আর সেটা বাস্তবায়ন হয় নি। সেসময় যদি হোন্ডার কারখানা এদেশে থাকতো, এতদিনে আমরাও গাড়ি শিল্পে আরো অগ্রগতি করতাম। তারা প্রথমে মোটরসাইকেল তৈরি করতে চেয়েছিল.. সেই ভেহিকল যদি ইন্ডিয়াতে রপ্তানি হত, তাহলে কত আয় হত ভাবলেও ভাল লাগে। এরপর ডেভেলপ করলে হয়ত গাড়ি শিল্পও চলে আসতো। আমাদের দেশও হয়ত এতদিনে প্রায় মালয়েশিয়া সমপর্যায়ে চলে যেত।
আফসোস

০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের দেশে যত কারখানা হবে ততই আমাদের শ্রমিকরা দেশে কাজ করতে পারবে। বিদেশে কামলা দেয়া মোটেই সম্মানজনক নয়ঁ। আরো কারখানা চাই। এর বিদেশে নয়। দেশেই কাজ করতে চাই।

৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১১

শায়মা বলেছেন: আমারও ভালো লাগলো। :)

০২ রা মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: উন্নত প্রযুক্তি মানুষের জীবনকে করে সহজ। প্রযুক্তিকে নিজের মতো করে ব্যবহার করতে হবে। দেশ এগুবে। দেশের মানুষ এগুবে। উন্নত হবে দেশ।

৮| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মালয়েশিয়া ভ্রমণকালে আমি এ সিস্টেমের সুবিধেটুকু দেখেছি। আপনাকে ধন্যবাদ, সবার সাথে এ সিস্টেমটাকে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য। তবে আমার কেন জানি মনে হয়, আমাদের দেশে এরকম কিছু চালু হলেও তাতে কিছু ফাঁক ফোঁকর থেকে যাবে, কিংবা ইচ্ছে করেই রেখে দেয়া হবে। যেমন, আমাদের দেশের বড় বড় সেতুগুলোতে বসানো ওজন মেশিনগুলোকে ইচ্ছে করেই অচল করে রেখে দেয়া হয়, অথবা ভুল রীডিং দেবার ব্যবস্থা করে রাখা হয়।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মালয়েশিয়াতে অনেক ভালো ভালো জিনিস যেমন দেখেছি। তেমনি অনেক খারাপ খারাপ জিনিস ও দেখেছি। এখানে দেখা আনন্দদায়ক ভালো জিনিস গুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাস্তাঘাট, ব্যাংকিং ব্যবস্থা , পলিটিক্যাল ব্যবস্থা , টুরিস্ট স্পর্ট গুলির সুন্দর ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি আরো অনেক।

আজকাল বাংলাদেশের ভালো জিনিস খুঁজে পাই না । মানুষের ব্যবহার দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ কিছু কিছু মানুষ যেন খারাপ কাজ করার জন্য পাগল হয়ে থাকে।

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: কাজের পোস্ট। অনেক ধন্যবাদ।

০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি অনেক কষ্ট করে পড়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার সুন্দর সময় কামনা করছি। অনেক অনেক ভালো থাকুন সব সময়। জীবন হোক অনিন্দ্য সুন্দর।

১০| ০৯ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মালয়েশিয়ার সবই সুন্দর, যে দেশে এয়ারপোর্টে নেমেই মনে হয় এই দেশ থেকে যাওয়ার দেশ। আর এই থেকে যাওয়া চিন্তাটাই হয়ে দাড়ায় ভয়ংকর কাল !

১০ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে তিন হাজার কালো টাকার মালিক এই দেশে সেকেন্ড হোম করে নিয়েছে। লাখ বাংলাদেশি এদেশে কামলা দিয়ে কোন রকমে পেটের ভাত জুটিয়ে নিচ্ছে। প্রতি বছর দেড় লাখের উপরে পর্যটক এ দেশে ঘুরতে আসছে বাংলাদেশে থেকে।

বেশ কিছু মানুষ এখানে বিয়েও করেছে চিরকাল থেকে যাওয়ার প্রত্যাশা য়।

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১:৫২

আমি সাজিদ বলেছেন: আমাদের প্রগতি সামনের বছর থেকে নিজেদের গাড়ি উৎপাদনে যাবে৷

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সুফি মিজান সাহেবের কোম্পানি চট্টগ্রামে বাংলাদেশে প্রোটন গাড়ি উৎপাদন করবে।
যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ।
মালয়েশিয়া থেকে প্রকৌশলী এবং প্রোটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রায়ই বাংলাদেশে আসেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.