নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
বটিয়া ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্রের অতি নিকটে অবিস্থত একটি গ্রাম।
অথচ এই গ্রামের শিক্ষার হার খুব বেশী নয়। এই গ্রামে একটি মাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর নাম বটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়।
অনেক স্বপ্ন আর আশা নিয়ে অনেক বছর আগে গ্রামের অনেকগুলি বিদ্যাউৎসাহী তরুণের প্রচেষ্টার ফসল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এটি। স্কুলটি নিয়ে গ্রামবাসী গর্ব করতে পারে। কারণ, বাংলাদেশের সব গ্রামে স্কুল থাকে না। যে গ্রামে স্কুল আছে সে গ্রামের মানুষ অবশ্যই ভাগ্যবান। এই একটি দিক দিয়া বটিয়া গ্রামবাসী অত্যন্ত ভাগ্যবান যে তাদের গ্রামে একটি স্কুল আছে।
যে গ্রামে একটি স্কুল আছে সে গ্রামের শিক্ষার হার যে ধীরে ধীরে বাড়বে তাতে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোতে আগের তুলনায় অনেক ভাল ভাল শিক্ষক নিয়োগ করা হচ্ছে। ফলে শিক্ষার মান যে বাড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এই বিশেষ সুযোগ গ্রামবাসীকে কাজে লাগাতে হবে।
কিন্তু একটি বিষয় দেখে আমি খুবই হতাশ বোধ করছি যে, বিদ্যালযটি বর্তমানে গ্রামবাসীর কাছেই অবহেলার স্বীকার হচ্ছে। গ্রামের অনেকের কাছেই এখন যথেষ্ট পরিমাণ নগদ টাকা থাকার ফলে তারা আর ছেলে-মেয়েদেরকে নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াতে চাইছে না। হয়তো এখানে ফ্রি পড়ানে হয় বলে কিংবা অনেক গরীব মানুষের ছেলে-মেয়েরা পড়ে বলে যাদের পয়সা আছে তাদের এখানে পড়াতে ভাল লাগে না। ফলে উপজেলা সদরে বেশ কতগুলো কেজি স্কুল গড়ে উঠেছে সেখানে এখন সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। এসব কেজি স্কুলের মাসিক বেতন ৩০০/৫০০ টাকা হলেও কেউ থামছে না। ছাত্র বেতন বেশী হলেও এসব স্কুলের শিক্ষকরা তেমন মানসম্পন্ন নয়। অন্তত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুলনায় তারা অনেক কম মান সম্পন্ন। কিন্তু তারপরও তারা অনেক ছাত্র পাচ্ছে। অবস্থাপন্নরাও কেজি স্কুলে পড়ানোটাকে একটা ফ্যাশন মনে করে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন। ফলে অবহেলিত হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যায়টি।
আমার কথা হচ্ছে যে, শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষাই যথেষ্ট যেটা গ্রামের স্কুলের কাছ থেকেই ঢের বেশী পাওয়া সম্ভব। এর জন্য অনেক অনেক পথ পাড়ি দিযে জয়পাড়ায় যাবার কোন দরকার নেই। বরং এখানে ছাত্র-ছাত্রী বৃদ্ধি পেলে আরো ভাল ও বেশী মানসম্পন্ন শিক্ষকের জন্য সরকারের কাছে দাবি করা যাবে। শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাপারে এই বিদ্যায়টিই যথেষ্ট হতে পারে।
পরিশেষে গ্রামবাসীর প্রতি আমার উদাত্ত আহ্বান, আমাদের গ্রামের গৌরব বটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। আমাদের পূর্বসুরীরা অনেক কষ্টে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাদের স্বপ্ন ছিল এটি গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালাবে। তাদের সেই সুন্দর আর পবিত্র স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য আসুন আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে প্রাথমিক শিক্ষার জন্য দূরের স্কুলে না পাঠিয়ে এই স্কুলেই পাঠাই। আমাদের সাধ্য মতো ভূমিকা রাখি একে এগিয়ে নিয়ে যাবার ।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সারা দেশে একই আঙ্গিকের শিক্ষা ব্যবস্থা থাকা দরকার। প্রয়োজনে বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো যেতে পারে।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৩
শিখণ্ডী বলেছেন: আপনাদের এলাকার লোকেদের পয়সা বেশি সবাইকে দেখাতে হবে না? বটিয়া কোথায় চিনলাম না। চাকরি সূত্রে দোহার-নবাবগঞ্জে খুব যাতায়াত ছিল এক সময়, খুবই সুন্দর এলাকাটি। অনেক স্মৃতি ভেসে উঠছে মনে। শুভেচ্ছা রইল।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বটিয়া দোহার থানা ভবনের সামনে সামনে থেকে দক্ষিণ দিকে হাটা দিলে ৫/৭ মিনিটে পৌছা সম্ভব। তবে এখন কেউ হাটে না। কেউ রিক্সায় চড়ে। যারা রিক্সায় চড়ে না তারা হুন্ডায় চড়ে। হাটার ব্যাপারটা দিনে দিনে উঠে যেতে বসেছে।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষা অধিদপ্তরের বরাবর আপনি একটি দরখাস্ত দেন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: চাকরির প্রয়োজনে জীবনের বিরাট একটা সময় দেশের বাইরেই কাটিয়ে দিলাম। প্রিয় এলাকার জন্য আমি কোন ভূমিকাই রাখতে পারলাম না। আফসোস।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মানুষ বর্তমান বিশৃংখল সমাজের সাথে মিশে গেছে; তারা নিজেদের মাঝে শ্রেণীভাগ করছে; তারা পরিবারের পরিবারে প্রতিযোগীতা করছে।