নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পথের আপদকে লাঠি দিয়ে পিটান!

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২



ঢাকা শহরে পথচারী মানুষ কি একে অপরকে আপদ মনে করে? কারণ, স্বল্প পরিসরের ফুটপাতে চলতে গেলে যে জায়গা এক জন মানুষের লাগে সেটা এখন পথে হাটতে গেলে পাওয়া যাচ্ছে না। গায়ে গা লেগে যাচ্ছে। পায়ে পা লেগে যাচ্ছে। উন্নত সভ্য দেশ হলে ঢাকা শহরে একটি শব্দ কেবল শোনা যে তা হচ্ছে- সরি! কারণ, কারো গায়ে ধাক্কা লাগলে সরি বলতে হয়। কারো পায়ে পারা লাগলে সরি বলতে হয়। আমরা বলি না। আমরা বলতে পারি না। কারণ কতক্ষণ বলব। সব সময়ই মানুষের গায়ে আমরা ধাক্কা দিই। পায়ে পারা দিই।

ছোট বেলায় আমাদের গ্রামে গ্রাম সম্পর্কের এক নানী ছিলেন। তার বড় একটি গুণ ছিল- তিনি কখনোই মানুষের ছায়া মাড়িয়ে পথ চলতেন না। তার বক্তব্য ছিলঃ এক জন মানুষ আর আর তার ছায়ার মধ্যে কোন তফাৎ নেই। তাই আসল মানুষকে মাড়িয়ে যাওয়া আর আর তার ছায়াকে মাড়িয়ে যাওয়া দুটোই নানীর কাছে বিরাট অপরাধ ছিল। আমরা নাতিরা তার এই কান্ড দেখে এমন ভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতাম যাতে পুরো রাস্তায় ছাড়া পড়ে আর আমাদের নানী যাতে আটকা পড়েন। নানীও বার বার বিরক্তি প্রকাশ করে আমাদেরকে সরতে বলতেন। আমরা সরতাম না। শেষমেশ বিরক্ত হয়ে নানী রাস্তা বাদ দিয়ে ক্ষেতের ভিতর দিয়ে চলে আহা, কি যে ভালো মানুষ ছিলেন তারা।

আমার মনে হয়, ঢাকা শহরে পথচারীরা একে অপরকে আপদ ভাবেন। ভাবেন ক্ষতিকর ছিনতাইকারী বা এই ধরনের কেউ। কিন্তু কিছু করার নেই। মনের রাগ মনে চেপে পথচারীরা পথ চলেন।

কিন্তু যারা যান বাহন চালান তারা কিন্তু মনের রাগ মনে চেপে রাখতে পারেন না বা রাখেন না। সাইকেল বা মোটর সাইকেল চালকরা সাধারণ পথচারীদেরকে বিরাট আপদ মনে করেন। তাই পথে এক সাথে চলতে গেলে দেখতে পাবেন, তারা আপনাকে রাস্তার বাম দিকে ঠেলছে। আপনি সরে না গেলে আপনার পায়ের উপর চাকা তুলে দেবে।

সাইকেলের চেয়ে বড় হচ্ছে রিক্সা বা অটো রিক্সা। তারা সাইকেল বা মোটর সাইকেলকে বিরাট আপদ মনে করেন। চলার সময় এরা সাইকেল বা মোটর সাইকেলকে বাম দিকে ঠেলতে থাকে। সুযোগ পেলে কষে গালি দেয়।

প্রাইভেট কার বা বাস যারা চালায় তারা রিক্সা কিংবা অটো রিক্সা চালকদেরকে তাদের বিরাট আপদ ভাবে । চলার সময় খুব কায়দা করে তারা রিক্সাওয়ালাদেরকে রাস্তার বামে ঠেলে রাখে। কায়দায় না কুলোলে তারা কঠিন হাতে লাঠি চার্জ করে।
ঢাকার প্রাইভেট কার চালকদের কাছে লাইসেন্স থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। কিন্তু একটি জিনিস থাকের হাতের কাছেই থাকে তা হচ্ছে আড়াই হাতি লাঠি। এই লাঠি তারা চার্জ করে তাদের চেয়ে কম দামী পরিবহনের চালকদের উপর। আপনি যদি ঢাকা শহরে থাকেন তবে প্রতিদিন পথ চলার সময় একটু খেয়াল করে দেখুন- এই সব দামী চালকরা তাদের চেয়ে কম দামী চালকদের পিঠে প্রতি দিনই দুম ধাম করে লাঠি চার্জ করছে। পথের আপদদেরকে লাঠি চার্জ করতে দারুণ মজা।
এই সব মজা দেখতে দেখতে বড় হলাম। শিশুরা বড় হচ্ছে। আমি লাঠি খুব পছন্দ করি।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই ধরণের পরিবেশে মানুষ কি মানুষ থাকে? শহরের রাস্তা, শহরের মানুষ, শহরের পরিবেশ, মানুষকে অমানুষে পরিণত করেছে।

তারিথ আউয়াল, বা আতিক যেই আসুক, ব্লগার নুর মোহাম্মদ নুরু'র পোষ্টে আসতে পারে শীঘ্রই

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তারপরও আমরা দেশবাসী স্বপ্ন দেখি। একদিন এই সব সমস্যা থাকবে না। কেবল থাকবে সুন্দর আর শান্তি। সুন্দর সেই আগামীর স্বপ্ন দেখি আমরা ঘুমের মাঝে।

২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: হকার'রা তো এই দেশের'ই নাগরিক। তাদের পরিবার আছে, সন্তান আছে, বেচেঁ থাকার অধিকার আছে। কিছু দিন পর-পর এরকম উচ্ছেদ অভিযান চালালে- দরিদ্র মানুষগুলো কোথায় যাবে?

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: হকাররা এদেশের নাগরিক। কিন্তু ফুটপাথে দোকান নিয়ে বসা কোন দায়িত্বশীল নাগরিকের কাজ হতে পারে না। দেশের নাগরিক হিসাবে গর্বের সাথে, আনন্দের সাথে দেশের আ্ইন মেনে চলতে হবে। ফুটপাত সহজ ভাষায় নাগরিকদের চলাফেরার জন্য। দোকান চালাবার জন্য আছে শত শত মার্কেট। প্রয়োজনে আরো মার্কেট তৈরী করুন। হকারদের সেখানে ব্যবসা করতে দিন।

হকাররা এই দেশের নাগরিক আর আমরা আমজনতা কি অন্য দেশের নাগরিক?

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৬

বেয়াদপ কাক বলেছেন: ফুটপাথে অনেক খানি জায়গা থাকবার পরও রাস্তা দিয়ে হেটে যাবে কিছু লোক, তাদের সাইড দিতে বললে বা ফুটপাথে উঠতে বললে উল্টো কিছু কথা শুনতে হয়। মাথার উপর ফুট ওভার ব্রিজ থাকবার পর ও, আনডাবাচ্চা, গাটটি বস্তা নিয়ে হেচকাতে হেচকাতে রাস্তা পার হয়, কিছু লোক, কিছু পরিবার। একটা গাড়ির তো ব্রেক করে নিজ নিয়ন্ত্রনে আসতেও কিছু সেকেন্ড লেগে যায়। সাইকেল নিয়ে দুইকানে হেডফোন গুঁজে একদম রাস্তার মাঝ বরাবর একে বেকে চলে অনেক তরুন। অথচ তার হাল্কা বাহন, ভারী বাহনগুলি দয়া মায়া করে না চালালে কোথায় গিয়ে ঠেকত কে যানে। খারাপ লাগে বেশির ভাগ ই আপাত দৃস্টি তে শিক্ষিত বলেই মনে হয়।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার কথাগুলো খুবই বাস্তব । কি আর করা। আমরা তো অসহায়।

৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

আটলান্টিক বলেছেন: আমি নতুন ব্লগার :( :( :(

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: নতুনরাই তো সব। কারণ তারাই হাল ধরবে। পুরতানরা চলে যাবে পথ ছেড়ে দিয়ে। সেই পথে নতুনরা হাটবে নতুন উদ্যমে। স্বাগতম।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: এইজন্যই বোধহয় আগের বেবী ট্যাক্সি আর অধুনা সিএনজির পিছনে লেখা থাকে, মামা আমি ছোট।। আমাকে মারবেন না =p~

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৫:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঢাকা শহরে একে অপরকে মারার জন্য যেন তৈরী। কেবল জানা সম্ভব হয় না কে কাকে মারবে। জীবন যে কত অনিশ্চয়তায় ভরা সেটা ঢাকা শহরে না গেলে বুঝতে পারবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.