নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
বাংলাদেশে মোটর সাইকেল যারা চালায় তারা বেশ সাহসী। বিপ্লবীও বলা যেতে পারে। কারণ তারা অন্য অনেকের মতো কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেন না। এটা তাদের সাহসী একটা ভালো দিক। তবে কিছু খারাপ দিকও আছে। কারণ, মৃত্যুর মুখে পথ চলেন মোটর সাইকেলের নারী যাত্রী! আমি বুঝি না নারী যাত্রীরা মোটর সাইকেলটাকে কেন বসার আরাম দায়ক সোফা মনে করেন। মোটর সাইকেলে তারা এক দিকে দুই পা দিয়ে যে ভাবে বসেন সেটা যে কত বড় ভয়ঙ্কর ব্যাপার তারা কি সেটা বুঝেন না।
বেশ কিছু দিন আগে এক নবদম্পতি যাচ্ছিলেন মোটর সাইকেলে । দুরন্ত বেগ না থাকলেও খুব কম জোরে যে তারা চালাননি তা মনে করা যেতে পারে। ঢাকার শনির আখড়ায় আসার পর একটি ট্রাক কিংবা পিকআপ ভ্যানের সাথে ধাক্কা লাগে। নারী যাত্রী পড়ে যান। এবং মারাও যান।
বাংলাদেশের এক দম্পতি একই স্টাইলে মোটর সাইকেলে যাচ্ছিলেন। তবে এখানে তাদের ছোট্ট শিশুটিও ছিল মায়ের কোলে। চলার এক পর্যায়ে কোন এক ট্রাকের সাথে ধাক্কা লাগে এবং শিশুটি ছিটকে পড়ে যায় । সাথে সাথে মারা যায় সে। দম্পতি অজ্ঞান।
তাই আমরা কেউ যেন নিয়মের বাইরে মোটর সাইকেল না চালাই। নিয়ম মেনে চলার প্রয়োজন আছে।
১। মোটর সাইকেল চালালে অবশ্যই হেলমেট পড়তে হবে।
২। গায়ে বিশেষ ধরনের জ্যাকেট থাকতে হবে।
৩। নারী সহযাত্রী থাকলে তিনিও হেলমেট পড়বেন। নারী যাত্রী বসবেন তার সামনে বসা চালকের মতোই । দুই পা এক দিকে দিয়ে নয়।
৪। মনে রাখতে হবে, ফুটপাত মানুষের পায়ে হেটে চলার জন্য। এখানে মোটর সাইকেল চালানো অন্যায়।
সম্প্রতি মালয়েশিয়াতে মোটর সাইকেল চালকদের জন্য দিনের বেলায়ও হেড লাইট অন করে চালাতে বলা হয়েছে। কারণ , রাস্তায় হুট হাট করে কখন যে মোটর সাইকেল এসে পড়ে বুঝা যায় না।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দুর্ঘটনা কমানোর জন্য এটা করা হয়েছে। কারণ মোটর সাইকেল চালকরা যে কোন সময় হুট হাট ঢুকে পড়ে। লাইট জ্বালানো থাকলে একটু হলেও সতর্ক থাকা যায়।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৬
সুমন কর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। কিন্তু ৩ নং নিয়মের (মহিলা বসবেন, চালকের মতো) এটা বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, না ?
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলাদেশে এখন মহিলারা যে ভাবে হোন্ডায় বসে সেটা জেনে শুনে শুলে চরার মতো। তারা শুলে চরেই আছে। যে কোন সময় মারা যা্বে। যায়ও তো।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: ঢাকা শহরে যারা বাইক চালায় তারা মোটামোটি বদ। তারা ফুটপাতে বাইক উঠিয়ে দেয়। বিকট হর্ন বাজায়।
সব কিছু মিলিয়ে তাদের ভদ্র হওয়া খুব দরকার।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমাদের দোহারে যে ভাবে নাইন টেনের পোলপান হোন্ডা চালায় দেখে নিজেরই শরম লাগে। টাকার গরম ছাড়া আর কি হতে পারে।
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫
নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: ওসব বলে লাভ নেই। পিছনে নারী উঠলে অনেক বঙ্গদেশীয় বাইকারের নাড়ীস্পন্দন আকাশ ছোঁয় আর সাথে সাথে বাইকের স্পিডও। তাঁরা তখন মনে করেন তাঁরা বাইক নয়, আকাশে হেলিকপ্টার চালাচ্ছেন। দূর্ঘটনা না ঘটাটাই অস্বাভাবিক।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: হুম। বঙ্গ যুবারা মরতে রাজি। সাথে সহযাত্রীনীকেও মারবে।
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
কালীদাস বলেছেন: অপারেশন ক্লিনহার্ট চলার সময় বা যতবার আর্মি রাস্তায় ট্রাফিক কন্ট্রোলে নেমেছে ঢাকা শহরে প্রত্যেকবার মোটরসাইকেলওয়ালাদের আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠত হেলমেট ছাড়া বাইকওয়ালাদের কান ধরে উঠবস করানো হত। কথায় কথায় ফুটপাতে চালানো তো চিন্তাও করা যেত না।
বাংলাদেশের মোটরসাইকেলওয়ালারা কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না: এটা গর্ব করার কোন বিষয় না। এরা ঢাকার রাস্তার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী রাফ বাস ড্রাইভারদের বাদ দিলে, একটা সিগনালও ঠিকমত মানতে দেখিনা অনেক বাইকারকে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অপারেশন ক্লিন হার্টকে খুব মিস করি। কি যে ভালো দিন গেছে।
৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ট্রাফিকের সময়, অফিসে যাবার জন্য যদি ব্যবহার করতে হয়, করা উচিত; না হয়, ইহা থেকে দুরে থাকার দরকার আছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হুমম, মালয়েশিতে দেখেছি দিনের বেলায়ও হেড লাইট জ্বলতে