নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতিরিক্ত জনসংখ্যা কি সম্পদ না আপদ?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১



পরিশ্রম যেমন সৌভাগ্যের প্রসূতি তেমনি বাংলাদেশে সকল সমস্যার মূল হল এই জনসংখ্যা সমস্যা। জনসংখ্যা এখন যেন জনবোমা ! এর বিস্ফোরণে কষ্ট পাচ্ছে কত মানুষ! অথচ আশ্চর্যের বিষয় এই যে এ সমস্যাটাকে দেশের নেতা-নেত্রী সহ বেশীর ভাগ মানুষই সমস্যা মনে করতে চাননা। তারা মনে করেন, মুখ দিয়েছেন যিনি আহার দেবেন তিনি। আহার তবু এখনো জুটছে। আর ক’ বছর পরে তাও আর জুটবে না। স্বাধীনতার পর ৪৬ বছরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা এমন দ্রুত গতিতে বেড়েছে যে, ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব আর কোথাও না হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। কেননা বাংলাদেশে সম্পদের পরিমাণ কম। জমির পরিমান এতই কম যে এখানে এখন আধুনিক চাষাবাদ করা আর সম্ভব নয়। সামনে তাই এখন সীমাহীন অন্ধকার। যাবেন কোথায়? এখনই তো বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের চাহিদা নেই। সামনে কেউ তাদের আর নেবে না। কি যে কষ্ট হবে তখন বাংলাদেশের। কাজ নেই । কেবলই হতাশা আর আধার। যাবার কোন জায়গা থাকবে না।

এমন একটা সময় ছিল যখন এমন কোন পরিবারই ছিল যার সন্তান সংখ্যা ১০/১২ টার কম। বাংলাদেশে বর্তমানে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারে সন্তান নেবার হার কম হলেও নিম্ন বিত্ত পরিবারে সন্তান নেবার হার এখনো আশংকাজনক। বস্তির একটি পরিবার মনে করে, একটি সন্তান মানে একটি আয়ের উতস। যদি ৫টা ছেলে থাকে তাহলে রিক্সা চালালেও রোজ কম করে হলেও ৫০০ টাকা নগদ আয়। এমন আয়ের সযপোগ কে ছাড়বে বলুন। তাই তারা বাড়িয়ে চলেছে জনসংখ্যা।
সমাজ বিজ্ঞানের বইয়ে পড়েছিলাম ( ছাত্র জীবনে), দরিদ্রপরিবারে বিনোদনের অন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় স্বামী-স্ত্রী তাদের দাম্পত্য যৌন সম্পর্কটাকেই বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করে। ফলে জনসংখ্যা বেড়ে যায় অবাধ গতিতে। তাতে মনে হতে পারে যে, উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্তরা বুঝি দাম্পত্য সম্পর্ককে উপভোগ করে না। বড় ভুল দারণা। উপভোগ করুন ঠিক আছে। তার জন্য গন্ডায গন্ডায় আন্ডা বাচ্চা পয়দা করতে হবে কেন?



তবে কেবল যে দরিদ্র পরিবারেই জনসংখ্যা অবাধে বৃদ্ধি পায় তা নয়। অনেক শিক্ষিত মানুষকে দেখেছি বর্তমানে সময়েও ৩/৪ টি বাচ্চা। তার যে কিভাবে এদেরেকে মানুষ করবে আল্লাহ মালুম। এই ধরনের ক্ষেত্রে যা হয় তাহল, কেউ কেউ মেয়ের জন্য আবার কেউ কেউ ছেলের জন্য জনসংখ্যা বাড়িয়ে তুলে। ফলে তাদের হয়তো খুব কষ্ট না হলেও বাজারের উপর সামগ্রিক প্রভাব পড়ে। কেননা, বাজার থেকেই তো তাকে জিনিসপত্র কিনতে হয়।
দু’টির বেশী সন্তান এখন আর কোন দম্পতিরই নেয়া উচিত নয়। ভেবে দেখুন, ১৯৭১ সালের সাড়ে সাত কোটি মানুষ ছিল। এখন ১৬ কোটি। যদি সেই সাড়ে সাত কোটিকে ৮/৯ কোটিতেও ধরে রাখা যেত তাহলে বাংলাদেশ হতে পারত এ অঞ্চলের অন্যতম প্রধান চাল রফতানীকারক দেশ।কারণ বাংলাদেশের মানুষ যেমন উর্ববর তেমনি এদেশের মাটিও উর্বর।



সেটা আর এ জীবনেও হবে না। প্রতি দিন জনস্যখ্যা বাড়ছে আর সেই সাথে বাড়ছে সব ধরনের অপরাধ। সুন্দর একটি দেশ চাইলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এখন সময়ের দাবী। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ না করলে আগামীতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। তাই সময় থাকতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর আইন প্রণয়ন করা হোক। ছেলে হোক মেয়ে হোক দু'টি সন্তানই যেন যথেষ্ট হয় সব দম্পতির জন্য।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


প্রতিটি জাপানী, সুইডিস ও ইসরায়েলী দেশের জন্য সম্পদ, এরা সবাই শিক্ষিত, সবাই দক্ষ; প্রতিট অদক্ষ বাংগালী জাতির জন্য বোঝা; বাংগালীদের শিক্ষার টাকাটা ডাকাতী করে, তাদেরকে অশিক্ষিত করে, জাতির জন্য বোঝা বানায়েছে সরকারী ও পার্টির লোকেরা।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ইসরাইল নামে আমাদের বিরাট এলার্জী। আমাদের পাসপোর্টে মনে হয় লেখা থাকতে ইসরাইল ছাড়া সব দেশ ভ্রমনে এই পাসপোর্ট কাজে লাগানো যাবে। তাদের সাথে আমাদের শত্রুতাটি কবে থেকে?

উন্নত সমাজ গঠনে আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক শিক্ষার কোন বিকল্প দেখি না। এটা নেই বলেই আমরা এক একটি বোঝা হয়ে জাতির কাঁধে সিন্দাবাদের ভুতের মতো চেপে বসেছি।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৯

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: টিকাদান কর্মসূচীর নামে নিম্নশ্রেণীর মানুষদের বন্ধ্যাকরণ ঔষধ প্রয়োগ করা যেতে পারে। কয়েকবছর চললেই জন্মহার নিচে নেমে যাবে।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: যে সব আজে বাজে খাবার আর ভেজাল ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে তাতে কোনটা যে এই টিকার কাজ করে বসে বলার উপায় নেই। একটি ফ্যাক্টর হচ্ছে - জনসংখ্যা বাড়লে কেবল মুখই বাড়ে না ভোটও বাড়ে। নির্বাচনে জেতার জন্য তো অধিক ভোট দরকার। তাই নেতারা চান জনসংখ্যা আরো বেশী করে বাড়ুক। একটি মুখ বাড়া মানে একটি ভোট বেড়ে যাওয়া।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের ফলে আজও এদেশকে দুর্নিতিমুক্ত করা যায় এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে যাদের দিন চলেনা বা মৌলিক চাহিদা পুরণ করতে পারে নাই এবং যারা চরম অসৎ ও দুর্নিতিবাজ লোক-তাদের কোন সন্তান জ্বন্ম দেওয়ার দরকার নাই এদেশে। বা তাদের বংশের বাতিরও এদেশে কোন প্রয়জন নাই। তাদের জন্য সরকার বৃদ্ধাশ্রম তৈরী করবে প্রত্যেক জেলায় একটি করে। আর যারা ৫০ লক্ষাধিক টাকা সন্তানের জন্য জমাতে পারে তারাই একটি সন্তান জ্বন্ম দিতে পারে। এভাবে কোন ব্যক্তি ৫০ কোটি টাকার মালিক হলে সে দুইটি সন্তান নিতে পারে। ৫০০ কোটির মালিক হলে সে তিনটি সন্তানও নিতে পারে। তার আর পর নেই।
কোন রকম গোড়ামি না করে ছেলে ও মেয়ে সমান ভাগই পাবে। যার একটি সন্তান যদি কন্যা হয় তার বিয়ে দিয়ে জামাইকে নিজের ছেলের মত দেখবে। ফলে পুত্র সন্তানের ইচ্ছাও পুরণ হবে। এবং পিতা সন্তানকে যেমন দেয় ঠিক তেমনই পায়। আর যার পুত্র হয় সে তাকে বিয়ে দিয়ে বউমাকে নিজের মেয়ের মত দেখবে। ফলে বউমাও শশুরকে পিতার মত দেখতে বাধ্য। এভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আজও এদেশকে দুর্নিতিমুক্ত করে শ্বান্তি নিয়ে আসা সম্ভব।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনার ভাবনাগুলো সুন্দর। ধর্মীয় গোড়ামী বিরাট একটি ফ্যাক্টর। শস্যের চেয়ে এদেশে ধর্মের আগাছা বেশী। তাই তো কর্মীর হাত হয়নি। হয়েছে আজে বাজে কিছু।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



@শৈবাল আহম্মেদ ,

দরিদ্রা সরকারের উপর ভরসা করে না, ওরা নিজের ছেলেমেয়ের উপর ভরসা রাখে, যদি আজকালের অর্থনীতিতে গরীব ছেলেমেয়ারা বৃদ্ধ পিতামাতাকে সাহায্য করতে পারে না।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আজকাল আর কয় জন সন্তান বাবা-মাকে চালানোর মতো উপার্জন করতে পারে। ফলে বাবা-মাকে বৃদ্ধ বয়সে কষ্ট করতেই হয়। তাই শিক্ষিক আধুনিক জাতি হতে পারলে রাষ্ট্র তাদের দায়িত্ব নিতে পারতো।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন অধিক বাচ্চা নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয় , মায়েদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হয় , চাকরিতে ছুটি বাড়ানো হয় , বাচ্চা প্রতি বরাদ্দ দেওয়া হয়।জাপানের অর্থনীতি স্থবির হয়ে গেছে। অধিকাংশ জনসংখ্যা বৃদ্ধ হয়ে গেছে। সরকার এখন চেষ্টা করছে কিভাবে মায়েদের উৎসাহিত করা যায় বেশি বেশি বাচ্চা নেওয়ার।আমাদের ফ্যামিলি প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের এখন জনসংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যায় সেই কার্যক্রম হাতে নেওয়া উচিত। নইলে খুব দ্রুতই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমতে থাকবে। আমাদের বুদ্ধুজীবীরা তো এখনো সেই ভাঙা রেকর্ড বাজাইয়া যাইতাছেন, আমাদের সমস্যা নাকি জনসংখ্যা বেশি। প্রয়োজন হলো জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করা। বুদ্ধুজীবীরা সেই লক্ষ্যে কিছু করে দেখিয়ে বুদ্ধিজীবী হোন, এই কামনা করি।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি বললেন, "আমাদের ফ্যামিলি প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টের এখন জনসংখ্যা কিভাবে বাড়ানো যায় সেই কার্যক্রম হাতে নেওয়া উচিত"। জনসংখ্যা আর কি ভাবে বাড়ানো সম্ভব তার একটা উপায় আপনি যদি বাতলে দিতেন তাহলে জাতি ধন্য হয়ে যেত। বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় আসলেই খুব কম। এটা দ্রুত বাড়িয়ে উন্নয়নের জোয়ার আরো বাড়ানো দরকার।

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: জনসংখ্যা যা বৃদ্ধি পেয়েছে এটাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে পারলে এখনও আশীর্বাদ বয়ে আনবে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কি ভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে আপনি জনশক্তিতে পরিণত করবেন তার একটা রূপরেখা দিন। সবাই তো কেবল নির্বাচনের রোড ম্যাপ দেন। জনশক্তিতে পরণিত করার রোডম্যাপটি কি আমরা পেতে পারি না? আমার মনে হয় অতিরিক্ত জন্যসংখ্যাকে জনসসম্পদে পরিণত করার উপায় কারোরই জানা নেই। কেবল বলি আউড়ানো ছাড়া। ধন্যবাদ।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

উদাস মাঝি বলেছেন: সরকার যদি এই বিপুল জনসংখ্যাকে সমস্যা হিসেবে না দেখে,সম্পদ হিসেবে দেখত
তাহলে হয়ত আমরা অচিরেই অন্যান্য দেশের আইডল হয়ে যেতাম ।

২০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অতিরিক্ত কোন কিছুই কিন্তু ভালো নয়। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের জনসংখ্যা যে অতিরিক্ত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এক বার মালয়েশিয়া এসে দেখেন যান আমাদের কামলা খাটা জনসম্পদ কেমন আছে।

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ১. কনডম ফুটা কইরা লইতে পারেন !
২. ইয়ে না দাড়াইলে ভায়াগ্রা খাইতে পারেন !
৩. ম্যাডামরে পিল না খাওয়াইয়া ভিটামিন খাওয়াইতে পারেন !

কাজ না হইলে আবার আসিবেন ! :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.