নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মালয়েশিয়ার প্রচলিত গল্প- ১ঃ মাহসুরি

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৬

মাহসুরি




অনেক অনেক দিন আগে বর্তমানের মালয়েশিয়ার প্রধান পর্যটন আকর্ষণ লঙ্কাবি দ্বীপে অপূর্ব সুন্দরী এক মহিলা বাস করতো। তার নাম ছিল মাহসুরি। অনেক তরুন তার সৌন্দর্য্যে আকৃষ্ট ছিল ।

এর মধ্যে দ্বীপের শাসক যিনি দ্বীপের প্রধান নামে পরিচিত ছিলেন তিনিও মনে মনে মাহসুরিকে ভালোবেসে ফেলেছিলেন। কিন্তু তিনি বিবাহিত ছিলেন। তার বেশ কয়েক জন ছেলে মেয়েও ছিলো। তবু তিনি মাহসুরিকে তার পরবর্তী স্ত্রী হিসাবে মনে মনে এক প্রকার ঠিক করে ফেলেছিলেন।

একদিন, মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় মালাক্কা প্রদেশ থেকে এক জন যুবক লঙ্কাবি দ্বীপে আসল। তার নাম ছিল দারমং।

এই সুদর্শন যুবক মাহসুরিকে দেখে তার প্রেমে পড়ে যায় । অন্যদিকে মাহসুরিও সুদর্শন এই যুবককে ভালো বেসে ফেলেন।
প্রায়ই তারা একটি নির্দিষ্ট স্থানে গোপনে দেখা করতেন।
এক সন্ধ্যায়, তারা গোপনে একটি শান্ত স্থানে দেখা করলেন। তাদের ভাগ্য প্রসন্ন ছিলো না। কোন এক ব্যক্তি তাদেরকে একত্রে দেখে ফেলে। লোকটি দ্রুত দ্বীপের প্রধানকে জানিয়ে দেয়।

সব শুনে তিনি খুবই রেগে যান।
"এখনই তাদেরকে গ্রেপ্তার কর এবং আমার কাছে নিয়ে এসো!" তিনি তাঁর লোকদেরকে কাছে চিৎকার করে আদেশ করলেন।
লোকেরা দ্রুত তাদের দু’জনকে ধরে প্রধানের সামনে হাজির করলো।

"আমরা কোন অন্যায় কিংবা ভুল করিনি” আত্নবিশ্বাসের সাথে বললেস দেরামং।
"তোমার সাহস তো কম নয়!" প্রধান চিতকার করে পকেট থেকে কিরিচ বের করে দারামংকে ছুরিকাঘাত করেন। ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে এবং দেরামং তখনি মারা যায়।

মাহসুরি চিৎকার করে বললেন, "আমি নির্দোষ! আমি অভিশাপ দিচ্ছি। আগামী সাতটি প্রজন্মের জন্য এই দ্বীপ অভিশপ্ত! " । এই দ্বীপ ধ্বংস হয়ে যাবে।

এই কথা বলার সাথে সাথেই প্রধান মাহসুরিকে ছুরিকাঘাত করেন।

উপস্থিত সব মানুষ হতবাক। মহসুরীর দেহ থেকে সাদা রক্ত বের হয়ে আসছিল।

"তারা নির্দোষ, তারা নির্দোষ!" উপস্থিত লোকজন চিৎকার করে বলল।

এই ঘটনার অল্পকাল পরেই শ্যামদেশীয় সেনাবাহিনী লঙ্কাবি দ্বীপ আক্রমন করে। এই আক্রমনে দ্বীপটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো। লোক জন বলাবলি করতো , মাহসুরির অভিশাপের কারণেই এটা ঘটেছে।

* মাহসুরি সম্পর্কে আরো জানুনঃ মাহসুরি সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে এখানে ক্লিক করতে পারেন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এসব কাহিনী আমাকে বিচলিত করে; রূপের কারণে, অনেক মেয়ে নিজের ভালোবাসার মানুষকে পায় না জীবনে, বা জীবনও হারায়।

৩০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:২৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: উইকিপিডিয়াতে দেখা গেল, এই নারীর স্বামী ছিলেন। তিনি যুদ্ধে যাবার পর এই ঘটনা ঘটে। পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:১৮

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: somoy ekhon borsha kal. horin khamchay vager gal.

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: হরিণের সংবাদ দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২২

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার গল্প এবং শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +।

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: মূল গল্পটি খুজে পাইনি। পেলে পোস্ট করবো। পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.