নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
ছবির কিশোরটির নাম নোমান। এর আগে আমি তাকে নিয়ে আরেকটি পোস্ট দিয়েছিলাম। সেই নোমানের সাথে গতকাল আবার দেখা।বাড়ি কক্সবাজার সি বিচের পাশের বদর মোকাম জামে মসজিদের পাশে কস্তুরীঘাট নামের একটি গ্রাম। কস্তুরীঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণীতে পড়ত।বাবা মোঃমুসা সওদাগর আর মা লায়লা বেগমের ৩ ছেলে আর ৩ মেয়ের মধ্যে নোমান সব চেয়ে ছোট। সাগর পারের ডানপিটে বালক। সিন্দাবাদের মতো সাহসী।
১৪ /১০/২০১৪ তারিখে ট্রলারে চড়ে চলে এসেছে মালয়েশিয়া। থাকে কুয়ালালামপুরের ব্যস্ত এলাকা কোতারায়ার ন্যাশনাল ব্যাংকের সাথে বিসমিল্লাহ-৩ হোটেলের উপরে। খুব মিশুক বলে সহজেই খাতির জমিয়ে ফেলতে পারে। ছোট্ট বালক, তাই মালয়শিয়ার পুলিশরাও তাকে জ্বালাতন করে না। তার একটা মোবাইল ফোনও আছে যার নম্বর +601112396993। বাবা-মা’র সাথে কথা হয় প্রা।য়ই। একটাই চিন্তা কবে সে আরো বড় হবে।মনে হতে পারে সে খুব সহজেই দেশ থেকে চলে আসতে পেরেছে। দেড় মাসের কঠিন সাগর ভ্রমন, দালালদের অত্যাচার আর লাখ দেড়েক টাকার শ্রাদ্ধ--- তারপর --। আর বিদেশে টাকা উড়ে বলে মনে হলেও টাকা কিন্তু উড়ে না। মাথার ঘাম পায়ে না ফেললে কেউ একটা কানা কড়িও দেবে না।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। বিদেশে আমাদের মানুষজন যত কঠিন কাজ করে দুনিয়ার আর কোন দেশের মানুষ করে বলে মনে হয় না। ফলে অনেক মানুষ অকাল মারা যায় প্রতি দিন। এই সব মানুষদের ব্যাপারে কেউ ভাবে না।
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৭
ইফতেখার রাজু বলেছেন: আহ.....দীর্ঘশ্বাস
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সে এখানে খুবই আরামে আছে। স্মার্ট ফোন চালায়। ভাইবার, হোয়াটস আপ, ইমু সবই চালায়। দারুণ সুখী বালক।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বিদেশে টাকা উড়ে বলে মনে হলেও টাকা কিন্তু উড়ে না। মাথার ঘাম পায়ে না ফেললে কেউ একটা কানা কড়িও দেবে না
যথার্থ বলেছেন।