নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বয়স ২৯। সম্প্রতি দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় চাকুরীগুলোর একটাতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি।
সমস্যা হচ্ছে, এরপর থেকেই আমার বাড়িতে বিয়ের জন্য মোটামুটি তোড়জোর আরম্ভ করেছে। আমি সময় চাচ্ছি। আমার নিজের কোন পছন্দ নেই। চাকুরি পাবার পরে সাধারনত যা হয়, আইডিতে বিপরীত লিংগের আনাগোণা বাড়ে। বেশিরভাগই গায়ে পড়া। যদিও এই অভিজ্ঞতা নতুন না। তবে এবার সেটা অনেক বেশি করে হচ্ছে।
আমার বরাবরের মতই সেসবকে খুব হাল্কা লাগে। ব্যক্তিগত জীবনে একটু বেশি রকম ব্যক্তিত্ব নিয়ে চলা মানুষ আমি। আমার কাছের বন্ধুবান্ধবও এরকম। নিজে থেকে ছ্যাচড়ামি করে কোন মেয়েকে নক দেয়ার কথা মনে পড়েনা। এরকমো গেছে কোন মেয়ে প্রপোজ করলে তাকে সসম্মানে অন্যভাবে এভয়েড করেছি। তার ব্যাপারে কারো কাছে কিছু জানাইনি আলগা ভাব নেবার জন্য।
এতকিছু বলার উদ্দেশ্য, আমি মানুষ টা কেমন তা কিছুটা বোঝানোর জন্য।
তো আমি এখন প্রায়ই জীবনসংগী/বিয়ে ব্যাপারটা নিয়ে কিছুটা আতংকে থাকি। আমার প্রায়ই মনে হয় আমাকে হয়ত ফ্যামিলির পছন্দে বিয়ে করতে হবে। কাকে না কাকে করতে হয় কে জানে! এমনিতে চরম খুঁতখুঁতে মানুষ আমি।
আবার এদিকে প্রেম হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। একেত যারা নক দেয় তাদের এপ্রোচের কারনেই ভাল লাগেনা।
দ্বিতীয়ত, নিজে কাউকে পছন্দ করতে ৬ মাস এক বছর লাগে। একটা সময় গিয়ে মনে হয়, আমরা একসাথে শান্তি পাবনা। তার মাঝে আমি যা খুঁজি সে সেসবে নমনীয় না। আর মনের কথা আর বলা হয়ে উঠেনা।
আমি গত ৭ বছর যাবত সিংগেল। যাকে ভালবাসতাম সে নিজেই প্রথমে যোগাযোগ করেছিল। বন্ধু ছিল। সেখান থেকে প্রেম ছিল। কিন্তু শেষে সে আমাকে বাজেভাবে ঠকিয়েছে নিজের স্বার্থে। আমি এটা হজম করতে পারিনি এখনো যদিও তাকে ঘৃণাও করতে পারিনা।
আমি বিয়ের ব্যাপারে কী করব? বাড়ি থেকে প্রেশারের দরুণ বিয়ে করলে মনে সন্তুষ্টি নাও আসতে পারে। ফলস্বরূপ, বেটার হাফকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার সমূহ সম্ভাবনা আছে।
আবার নিজে কাউকে পছন্দ করব সেই সাহসও পাচ্ছিনা।
আমি এখনো নিজের মন স্থির করতে পারছিনা। বিয়ের জন্য মানসিকভাবে ম্যাচিউরড হতে আমি কি আরো বছরদুয়েক সময় নিব? এদিকে প্রায় সব বন্ধুবান্ধব বিবাহিত। আমি নিজের ভেতরে জীবনের গ্লানি টেনে বেড়ানো মানুষ। মাঝেমধ্যে খুব করে ইচ্ছা কেউ আমার সাথে সারাক্ষণ থাকুক। কেউ আমার হৃদয়ের ভার কমাক একটু পিঠে হাত বুলিয়ে হলেও।
...
টিপসঃ
আরও তিন বছরের আগে বিয়ে নয়। আপনার মা বেশি জোড় করলে অন্যত্র বাসা নিন বা মেসে থাকুন। জয়েন করার পর অনেক ফরম্যালিটি থাকে। সেসব তখনই বিয়ে করলে দুইটার কোনটায়ই হবে না। আর আপনার মা তারপরও বউ নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ভুগলে আপনার বাবার জন্য দেখুন। দিনশেষে বউ ত বউ -ই, সেটা আপনার হোক আর আপনার বাবার!
দুই জনের থেকেই ত উনি সিনিয়র!
আর হ্যা, বিয়ে নিয়ে কম করে হলেও দুই বছর পড়া উচিৎ -
টপিকঃ বিয়ে, তালাক, সন্তান প্রতিপালন, সম্পর্ক রক্ষা, ফরয ইলম (কম করে হলেও এগুলো শেষ করা উচিৎ)
২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা দুইবার এসেছে। এডিট করে ঠিক করে নিন।
২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯
সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: এই সমস্যার সমাধান কি? প্রায়ই হচ্ছে
৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
রানার ব্লগ বলেছেন: কিছুটা অভিজ্ঞতা থেকে বলছি (আর দশটা অভাগা সাধারন মানুষ হিসাবে) চাকরি পাবার চার বছরেরমধ্যে বিয়ে করবেন না। নিজেকে আগে সময় দিন নিজের ইচ্ছা গুলো কে পূরন করুন । তারপর ভাবুন কি করবেন বিয়ে না সংসার। বিয়ে করলে প্রথম তিন মাস হা হা হি হি তে কাটবে তারপর শুরু হবে ওরে বাবা ! ওরে মা ! । কারন আপনার সকল কর্তিত্ব চলে যাবে অন্যের হাতে । তার কথায় ওঠো তার কথায় বসো । অনেকেই বলবে আহা একটু মানলেন তো কি হলো ? ওই একটু যে কতটূ হবে ভাবতেও পারবেন না। আর যদি সংসার করতে চান স্ত্রী কে বুঝিয়ে বলুন । এটা আপনাদের সংসার। এখানে বাব মা ভাই বোন থাকে তো এদের সাথেই আপনাকে থাকতে হবে । এরা ছাড়া আপনি শূন্য । ঠিক তেমনি আপনার দায়ীত্ব আপনার স্ত্রীর বাবা মা ভাই বোন কে সম্মান দেয়া তাদের কে নিজের করে নেয়া যা আপনার স্ত্রী করবে । ব্যাস। কথা শেষ ।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই সমস্যার সমাধান কি? প্রায়ই হচ্ছে
সমাধান আছে। জানি কি করতে হবে। কিন্তু আপনাকে বুঝাই কি করে!
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২০
Bondi বলেছেন: বিয়ে করে ফেলুন। সংসার জীবন ব্যাচেলর লাইফ থেকে আলাদা। সমস্যা থাকবেই। তবে বিয়ে মানেই একটা বৃত্তে আটকে যাওয়া। বাচ্চা নিয়ে ফেলবেন দ্রুত।