নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাজ্জাদ হোসেন

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ

জানতে ও জানাতে আমার খুব ভাল লাগে।

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খবর পড়ছেন নাকি নিজের কবর খুঁড়ছেন?

০১ লা জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৫




আমরা সবাই খবর পড়ি। কোন খবরগুলো আপনার নজর কাড়ে সেটা কখনও ভেবে দেখেছেন?
আপনার ইমোশনকে নিয়ে হাডুডু খেলা যায় যেগুলা দিয়ে সেগুলাই আপনার নজর কাড়ে, মুখরোচক হয় সেগুলো, আপনি বারংবার সেসব খবরই পড়েন, আর মুখিয়ে থাকেন।
ধর্ষণ – ব্যাপারটা নিয়ে আপনি যতই বিরোধী হউন না কেন, আপনার লিঙ্গ যাইই হোক না কেন, নিউজপোর্টালে ধর্ষণের খবর দেখলে, সেটা যে করেই হউক আপনি পড়েন। কি হল দেখি, দেখি।
ইস, এইসব এই যুগে এসেও করে কেউ? এসব বর্বরতার কোন মানে হয়?
- আসলেই কি তাই? আপনার মনের মধ্যে এসব কথা জাগলেও আপনি কিন্তু ঠিকই সংবাদগুলা মুখরোচক, সুস্বাদু খবারের ন্যায় পড়তেই থাকেন। আর খিস্তি দিতে থাকেন এর বিরুদ্ধে আর নিজের অজান্তে ধর্ষণবৃদ্ধির সমর্থন করে যান।

ধরুন, এই বনানী ঘটনার পর, এই আজকের কথাইই ধরুন, পত্রিকায়, ফেসবুকের পাতায় পাতায় কয়টা স্ট্যাটাস দেখেছেন ধর্ষণ নিয়ে? সম্ভবত একটিও না।





তার মানে কি আজ ধর্ষণ বন্ধ ছিল? যেখানে সারাদুনিয়ার প্রতি সেকেন্ডেই কোথাও না কোথাও ধর্ষণ হচ্ছে। প্রতি ঘন্টায় ঠিক কয়টা ধর্ষণ এ দেশে হচ্ছে সেটার ঠিক পরিসংখ্যান নিয়েও দ্বিমত আছে, কিন্তু ধর্ষণ কিন্তু থেমে নেই। এর সংবাদও কিন্তু ঐভাবে ফলাও করে আসছে না। কারণ একটাইই, এক খাবার মানুষ প্রতিদিন খায় না, তেমন এক খবরও মানুষ প্রতিদিন পড়তে চায় না। তারা চায় বৈচিত্র্য। তাই, দু-চারদিন পর অন্য একটি টপিক চলে আসে।
ঠিক যেমন এইকয়দিন ধরে লাখ টাকায় হাজার টাকা কেটে নেবার টপিক নিয়ে তোলপাড় চলল।

ঠিক তেমনিভাবে, নারী নিয়ে, শিশু নিয়ে, আত্মহত্যা নিয়ে খবর চাওর হয়। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের পর পরই আত্মহত্যার খবর বেড়ে যায়। আপনি জানেন কি, মানব মস্তক যখন কিছু চিন্তা করতে পারে না, তখন সে সস্তা কিছু খোঁজে, সে তার পরিবেশে যাইই পায় তা মেনে নেয়। ফলাফল খারাপের ঠিক ঐ দিনই কিন্তু আত্মহত্যার খবর আসে না, তার পরদিন কয়েকটা খবর আসে, এরপর পরই চার-ছ দিন পরে অনেকগুলা আত্মহত্যার খবর পাই আমরা, কারণ খারাপ রেজাল্টের পরিণাম স্বীয়হনন – এই মেসেজটা আমরা দিয়ে দিই যাতে করে খবরের কাটতি হয়, সাইটে ক্লিক বাড়ে।




আরেকটা উদাহরণ দিই, “দেখুন ভিডিওসহ” - এই ধরনের নিউজ লিংকে মহান সাধুপুরুষও ভিডিও দেখতে চলে যায় আর নিউজ পোর্টালের কাটতি বাড়ায়। তারমানে, আপনার মনের সুপ্তবাসনা, আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে চলছে খবর ব্যবসা, যার সহজ শিকার আপনি - এ নিয়ে আপনার কোন মাথা ব্যথাইই নেই।

আবার ধরুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস রং রুটে গেছে, ঢাকা কলেজের ছেলেরা ভাংচুর করেছে, ইডেনের মেয়েদের হলে কিছু হইছে, তেঁজগাঁও কলেজের ছেলেরা কাউকে পিটাইছে, জাহাঙ্গীরনগরের সামনে অবরোধ – এইসব খবরের কাটতি যে কি পরিমাণ, কি পরিমাণ সেটা আপনার ধারণার বাইরে।

একটা হিন্দি মুভি দেখছিলাম যেটার থিমটা এমন – একটা নিউজ চ্যানেল, এর কাটতি, দর্শক কম। তো সে তার টিআরপি বাড়াতে নিজেরাই, খুন, ধর্ষণ, নারী পাচার, ড্রাগস – এইসব অন্যায় করে যায়। ছবির নায়ক সেটা ধরতে পারে এবং প্রতিবাদ করতে চায়। সেও রেহাই পায় না, এই চক্রের হাত থেকে। সেও একটা কাটতি খবর হয়ে যায়।

এভাবে প্রতিটা ক্ষেত্রই ব্যবসা হচ্ছে যা আপনি কখনই চিন্তা করছেন না। করলে হয়ত, ক্রাইম আর ফেয়ার এন্ড লাভলি ক্রিম এম বিক্রি হত না, যদি ক্রিম কাজ করতই, শ্যামলা কেউ থাকত না।
তাই সময় থাকতে সচেতন হউন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৭

আহা রুবন বলেছেন: প্রধান শিরোনামে চোখ বোলালেও আমার আকর্ষণ থাকে উপসম্পাদকীয় পাতাতে, আমারটা মিলল না। :-B

০২ রা জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: হা হা হা, আপনার মতন ব্যক্তির সংখ্যাটা ১০% এর নীচে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.