নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিক্ষার উদ্দেশ্য কি?
সিজিপিএ? বউ? বিয়ে? টাকা? সচেতনতা?
কোনটা?
আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এমন অনেক বিষয় পড়ানো হয় যার আসলে কোন কাজ নেই।
তবে কেন অযথা ওসব পড়িয়ে সময় নষ্ট?
এবারের ঢাবির খ ইউনিটের ইংরেজি প্রশ্নটায় যে কম্প্রিহেশনটা দেয়া হয়েছিল সেটার কথাটা ঠিক, অবাক কর; আমাদের ঢাবিতে তার কোন চর্চাই নেই।
আমি নিজেও ঢাবিরই ছাত্র !
আমাদের কেন শেখানো হয় কি কি শিখতে হবে?
শিক্ষাটা হওয়ার কথা ছিল-- কেন শিখব, আর কি শিখবো না !
ব্যাপারটা তা না হয়ে শুধু মুখস্থ নির্ভর হয়ে গেল, যার ফল এই আমরা।
আমরা ভাবতে শিখি না; কারণ আমাদের ছোটকাল থেকেই ও কাজটি যে কবীরা গুনাহ্ তা শেখানো হয়।
একটা উদাহরণ দিই: কেউ কি দেখেছেন ২ বা ১টা ব্যতিক্রম ছাড়া, যে কারও অভিবাবক তার সন্তানকে বলছেন যে কোন একটা রচনা; এছে, প্যারাগ্রাফ নিজে বানিয়ে বা নিজের মত করে লিখতে?
বেশির ভাগই বলে মুখস্থ করতে।
আচ্ছা বলুন তো; কেউ কি রাতারাতি বড় মাপের কেউ হয়ে যায়?
নাকি যারা বড় মাপের মানুষ তার ছাপটা তার ছোটকাল থেকেই থাকে?
যদি তাই হয় তবে কেন আমরা সাহস করি না?
অনেকে আছেন মহা পন্ডিত; কিন্তু কাজের বেলা হাওয়া; এদের কথাই আমরা বেশি মানি!
যেমনটা কোচিং সেন্টার।
এখনের অভিবাকেরা তাদের সন্তানদের "ফার্স্ট" বানাতে ব্যস্ত; কেউ "বেস্ট", "মানুষ", "বড় কেউ", "ভাল কেউ" হতে বলে না !
এই জন্যই আমাদের সমাজে এত সমস্যা !
সবাই আমরা শান্তি চাই; কিন্তু তার জন্য কেউ কিছু করতে চাই না !
এটার জন্যও শিক্ষাব্যবস্থাটাই দায়ী; কারণ যে দেশের লোকের ইন্টার ফাস্ট ইয়ার বলে তারা ওতেই থাকে !
ইন্টার ফাস্ট ইয়ার বলে কিছু নাই; ওটা একাদশ !
একাদশ একাদশই বলার কথা, বুঝার কথা, কেউ বুঝুক আর না বুঝুক যা ঠিক, আপনি শুরু করুন, দেখবেন বাকীরাও ঠিক হতে বাধ্য হবে !
কেননা দেখুন; আপনি ঠিক মানে আপনার পরিবার ঠিক !
আর আপনার পরিবার ঠিক মানে আপনার সার্কেল; আত্মীয়স্বজনও ঠিক, ফলে দেশটাও ঠিক হয়ে যেতে বাধ্য।
এই ব্যাপারটা আমাদের কেউ শিখায়ই না !
যারা মনে করেন যে ওমুক বয়স হলে এমনিই শিখে যাবে, তাদের বলছি: দেখুন, আপনি যা শিখেছেন তা কি হাওয়া থেকে এসেছে?
হয় কেউ শিখিয়েছে, নয়তো আপনার পরিবেশটাই তাতে সহায়তা করেছে।
সেই পরিবেশটা কি বাকীদের আছে?
সেটা ভাবুন !
ভাবলেই বুঝতে পারবেন যে কি করছেন; কেন করছেন !
নিজেকে প্রশ্ন করুন, উত্তর পাবেন !
আমাদের শিক্ষাটা হওয়া উচিৎ ছিল এমনই যা আমাদের ভাবতে শিখাবে, মুখস্থ নয় !
আমরা একটা বড় মা মোটা বই দেখলে ভীত হই; কিন্তু কেন??????
এই কেনর উত্তরটা খুঁজুন বুঝতে পারবেন যে জাতি হিসেবে কেন আমরা পিছিয়ে আছি !!!
--------------------------
সাজ্জাদ হোসেন
নভে: ৩০, ২০১৩
সকাল ১০:০০
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩
সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: যদি চিন্তা করতেন তবে বুঝতেন, দুনিয়ার সবচে ধনীরা লেখাপড়ার ধারও ধারেন নাই; যাদের উপর পিএইচডি করা হয় তাদের বেশিরভাগই কোন লেখাপড়া করেনই নি ।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
সোজা কথা বলেছেন: ভালো বলেছেন।ছোটবেলা থেকেই শিখতে হবে।পরিণত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা যাবে না।আর শিখতে হবে শুদ্ধটাই।এভাবে তা অভ্যাসে পরিণত হবে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্
যাক অনেক ভাল লাগলো, অন্তত একজন বুঝতে পেরেছেন !
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: দুঃখিত! আমি হয়তো স্যাটায়ার করাতে এত ভালো না। আমি যা বলছি সেইটা শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য কখনোই না। কিন্তু আমাদের বর্তমান সমাজে সবাই এই চিন্তাটাকে টেকেন ফর গ্রান্টেড হিসেবে নিছে। শিক্ষা মানুষের চিন্তার পরিধি বাড়ায়। কিন্তু এখন শিক্ষা নেওয়া হয় শুধু সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য। কেউ জানার ইচ্ছা নিয়ে লেখাপড়া করে না, লেখাপড়া করে বড় জব পাওয়ার জন্য; যেখানে অনেক টাকা পাওয়া যাবে! প্যাশান নিয়ে পড়ালেখা করছে এমন খুব কম মানুষ হয়তো পাওয়া যাবে। "আমি এটা পড়তে চাই কারণ আমি এটা নিয়ে কিছু করতে চাই"- এই কথা শুনতে পাওয়াই ভার। এর জন্য কেবল শিক্ষা পদ্ধতি বা নীতিনির্ধারকরা দোষী না, সাধারণের দোষ অনেক বেশী কারণ সাধারণ মানুষ এটাকে মেনে নিচ্ছে। বংশানুক্রমিক প্রক্রিয়ায় এটাকেই লালন করছে এবং পরিবর্তনের কোন চেষ্টা করছে না। যে মুষ্টিমেয় মানুষ পরিবর্তন করতে চাইছে তাদের সাথে হ্যাঁ বলতেও আমাদের সমাজের তিব্র সংকোচ!
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ বলেছেন: ওটা আমরা সবাইই জানি; আসল শিক্ষা আর নকল শিক্ষায় তফাৎ
আর শুধু শিক্ষায় যে তফাৎ; মানে এই তিন যে আলাদা সেটা আমরা করি বলেই এত সমস্যা; শুধু একটাই বুঝতো যদি সবাই; তবে এমনটা হতো না !
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮
রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: এটা আসলে চিন্তার বিষয় না, শিক্ষা হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার ফলে সার্টিফিকেট অর্জনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের রুজির ব্যাবস্থা হয়!!