নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সায়েমা খাতুনঃ নৃবিজ্ঞানী, গবেষক ও লেখক
দেখা যাচ্ছে LGBTQ+ নিয়ে আলাপ এড়ানোর উপায় নেই।পরিসংখ্যানে বিশ্বের জনসংখ্যার ৯% এলজিবিটিকিউ প্লাস হলেও, একালের সকল মানুষের জন্যেই বিষয়টি জানাবোঝা আবশ্যিক!
এখানে মুখোমুখি দুটি পক্ষঃ সেকুলার অধিকারবাদী বনাম ইসলামপন্থী। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই সময় যে কোনো টপিক নিয়ে আলোচনা "আইদার উইথ আস অর এগেইন্সট আস" হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে কোন দায়িত্বশীল এবং সিন্সিয়ার আলাপ হতে পারে কিনা, এই দুই প্রবল প্রতিপক্ষের মাঝামাঝি কোন এরিয়া থাকতে পারে কিনা, কিম্বা সেটা সৃষ্টি করা যাবে কিনা, ঝুঁকি নিয়ে হলেও আমি তা ভাবতে আগ্রহী।
আমার উদ্দেশ্য, এখনকার সেকুলার এবং ইসলামপন্থীদের মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে একটা শাদা পতাকা উড়িয়ে শান্তি প্রস্তাব রাখা।
দেখা যাচ্ছে, সেকুলার অধিকারবাদীরা পশ্চিমা মানবাধিকারের অঙ্গরূপে কোন মানুষের যে ব্যক্তি-স্বাধীনতা বা ব্যক্তির আত্মপ্রকাশের অধিকার, সেই জায়গা থেকে এলজিবিটিকিউ প্লাস মানুষের যৌন আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়াচ্ছেন।যার অর্থ দাঁড়ায় তারা এই বিচিত্র যৌনসম্পর্কের চর্চাকে ব্যক্তির অধিকার হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, যেমনটি তারা বলেন যে, ধর্মও ব্যক্তিগত বিষয়।"ব্যক্তিগত" দাবী করা হলেও, এই অধিকার প্রতিষ্ঠা কিন্তু আদতে ব্যক্তিগত পরিসরে থাকবার সুযোগ নেই, সমাজ-সংগঠনে এবং রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানের নীতি ও কর্মপন্থায় এটি প্রবেশ করে ইতোমধ্যে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন সৃষ্টি করছে।এই আন্দোলন হাল জমানার মানুষের আত্মপরিচয় ও আত্মপ্রকাশকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে!
পশ্চিমের নিত্যদিনের জীবনের উদাহরণ হিসাবে দেখুন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার মত দেশগুলোতে এলজিবিটিকিউ প্লাস অধিকার প্রায় সর্বত্র প্রতিষ্ঠা করার ফলে স্ট্রেইট হলেও আপনাকে সব জায়গায় প্রোনাউন ঘোষণা করবার একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে।পরিচয় দেয়ার সময়, আমাকে ঘোষণা করতে হবে যে, আমি একজন নারী।প্রত্যেকে নিজের নাম উচ্চারণের সাথেই পাবলিক পরিসরে সেক্সুয়াল চর্চার ধরণ ঘোষণা করতে হবে বা অবধারিতভাবে জিজ্ঞাস করা হবে জনজীবনের সর্বত্র। এই বিষয়ে কেউ কোন অস্বস্তি প্রকাশ করলে হোমোফোব ট্যাগ খাওয়ার ঝুঁকি থাকে।হালে এখানে নারী-নারী, পুরুষ-পুরুষ বিয়ে বৈধ হয়েছে।সমকামীরা বৈধ পরিবার গঠন করতে পারে, এমন কি সন্তান দত্তক নিয়ে ওয়ারিশও করতে পারে।কিন্তু অফিসিয়ালি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেই যে সমকামীতা নৈতিকভাবে-সামাজিকভাবে পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য হয়ে গেছে, এমনটা নয়।এটা ভাবা ভুল যে, গোটা মার্কিন সমাজ এই এলজিবিটিকিউ প্লাস অধিকারের প্রাতিষ্ঠানিক চর্চাকে সহজভাবে নিয়েছে।খোদ মার্কিন সমাজের ভেতরে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ নিয়ে ব্যাপক মতভেদ এবং তর্ক-বিতর্ক আছে।আব্রাহামিক ধর্মগ্রন্থগুলো সমকামীতা অনুমোদন করে না।এসেম্বলি অব মুসলিম জুরিষ্টস অব আমেরিকা সমকামীতাকে দ্ব্যার্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান করে।প্র্যাকটিসিং খ্রিস্টান, ইহুদী, মুসলমান, হিন্দুদের বিরাট অংশ সমকামীতাকে প্রত্যাখ্যান করে। এখানকার মেইনস্ট্রীম কনজারভেটিভদের মধ্যে প্রবল সমকামীতা-বিরোধী অবস্থান রয়েছে।
আমার কাছে এটা সমস্যাজনক লাগে যে, বাংলাদেশের সেকুলারদের একাংশ বিষয়টিকে সিরিয়াস এনগেজমেন্টের পথ পরিহার করে নেহায়েৎ "অশিক্ষিত" "পশ্চাদপদ" হুজুরদের আপত্তি বলে নাকচ করতে চেষ্টা করে।বিষয়টি যে অনেক বড় রকম জ্ঞানতাত্ত্বিক-সামাজিক-নৈতিক প্রশ্ন, সেটাকে একভাবে অস্বীকার করা হয়, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়ে নৈতিক জায়গাটা এড়িয়ে যাওয়া হয়।সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক এবং অপরিনামদর্শী বিষয় হল, এই নিয়ে তারা বরঞ্চ অনেক সময় "হুজুর" ব্যাশিং এর পথ বেছে নেয় - যেন সমাজের বাদবাকি অংশ সমকামীতাকে কিছুই মনে করে না, কেবল "হুজুর"রাই যত ঝামেলা বাঁধাচ্ছে - যা বেশীর ভাগ সময় ব্যাকফায়ার করে।তখন দুইপক্ষের কার কয়টা ডিগ্রী বা পাবলিকেশন, সেই হিসাব করে কি প্রমাণ করা যাবে? কাম টু দ্য পয়েন্ট!
এটা বোধগম্য যে, মূল আপত্তি/আর্গুমেন্টগুলো যেহেতু দৃশ্যত মসজিদ-মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো থেকে স্পষ্টভাবে উত্থাপিত হচ্ছে, সেকুলার এলজিবিটিকিউ প্লাস অধিকারবাদীরা প্রত্যাঘাত করবার সময় সেখানেই আঘাত করে।কিন্তু তাইলে ডায়ালগ/আলাপ/সমঝোতা/কন্সেনসাস ক্যামনে গড়ে উঠবে? নিশ্চয়ই মসজিদ-মাদ্রাসায় দুর্নীতির অভাব নাই।স্থানীয় মসজিদ-মাদ্রাসা থেকে এই সেদিনও সাভারে ৪০০-৫০০ জনের সঙ্ঘবদ্ধ সশস্ত্র হামলাকারী সুরেশ্বরীদের বসতবাড়িতে হামলা করলো অনেক লোককে আহত করলো।অভ্যুত্থান পরবর্তীকালে একের পর এক মাজার-মন্দিরগুলোতে একের পর এক দলবদ্ধ হামলা থামছেই না।এসব দুর্নীতি-অনাচার-সহিংসতা ইসলামের নামেই করা হচ্ছে, সব সত্যি!সেসব অবশ্যই অ্যাড্রেস করা, রুখে দাঁড়ানো জরুরী।কিন্তু সমকামীতার বিরুদ্ধাচারণ করবার জন্যে বিশ্বাসী মুসলমান সমাজকে ক্যাটাগরিক্যালি আঘাত করবার চেষ্টাও ন্যাক্কারজনক নয় কি? একের পর এক মাদ্রাসায় শিশুদের ধর্ষণ/বলৎকারের রিপোর্ট দেখে মনে হতে পারে, যেন এসব কেবল মাদ্রাসায়ই ঘটে থাকে, দেশের বাকি শিশুরা যেন নিরাপদে আছে!আমেরিকাতে যে অসংখ্য ছেলেশিশু সমকামী ধর্ষণের শিকার হয়ে থাকে, সেগুলো কি মাদ্রাসায় ঘটে? বাংলাদেশে গ্রামে-গঞ্জে, শহরে, পরিবারের ভেতর পরিবারের সদস্য দ্বারাই ছেলে শিশুরা ধর্ষিত হয়, কিমাশ্চর্য যে, সেই রিপোর্ট বা পরিসংখ্যান আমাদের ঠিকঠাক নাই।কিম্বা কোন বিচিত্র কারনে পত্রিকাগুলো এ বিষয়ে রিপোর্ট করা থেকে বিরত থাকে।ধর্ষণ একটা চরম ভায়োলেশন, যার সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান এবং নিবারণের জন্যে নিরন্তর সক্রিয়তা জরুরী।কিন্তু তাই বলে, সম্মতি ও সক্রিয় এজেন্সির মাধ্যমে সমকামীতা চর্চাকে সমাজে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করবার মত গুরুতর নৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক একটা আলাপকে ডিসট্র্যাক্ট করবার জন্যে নয়।এলজিবিটিকিউ প্লাস আন্দোলন 'কেবলমাত্র নারী এবং পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক যৌন সম্পর্ক' এর বাইরে গিয়ে বহুবিচিত্র যৌন আচরণের প্র্যাকটিস নরমালাইজ করতে চায়।এই লিঙ্গবৈচিত্র্যের একটি অবিচ্ছেদ্য উপাদান হল সমকামীতা, বিশ্বাসী মুসলিমের পক্ষে সেটা অনুমোদনের কোন এখতিয়ার নাই।এটা কেবল ইসলাম নয়, খ্রিস্টান-ইহুদীসহ আব্রাহামিক ধর্মগুলোর মূল টেক্সটের মূলধারার ব্যাখ্যা অনুসারে 'যৌনসম্পর্ক কেবলমাত্র এক রকমভাবে বৈধ', 'বহুরকম যৌনসম্পর্ক', 'বিবিধতা' তা অনুমোদন করে না।'কেবল নারী এবং পুরুষের মধ্যে বৈধ বিবাহ' ছাড়া 'বিচিত্র যৌন সম্পর্ক' সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, এবং বিয়ের আগে, পিছে, বাইরে, সব কিছুই নিষিদ্ধ।এটা ধর্মীয় বিশ্বাসী প্র্যাকটিসিং বিপুল মানুষের ধর্মীয় জীবনাচরণের অবিচ্ছেদ্য অংশ।বিশ্বাসী মুসলমান, খ্রিস্টান, ইহুদী সমকামী চর্চাকে অনুমোদন করতে পারবে না।বিশ্বাসীর জন্যে এটা কোন চয়েস না।এটা তার নিজের ইচ্ছা, অনিচ্ছার বিষয় না, এটা তারা যে ডিভাইন রুল দ্বারা গভার্ণ হয় বলে বিশ্বাস করে তার প্রতি আনুগত্য।
এতো বড় একটা কনসার্নকে নিয়ে হাল্কা-পাতলা আলোচনা করে, যথার্থ গুরুত্ব ও মনোযোগ না দিয়ে, কোন পাবলিক তর্ক-বিতর্ক, বাহাস, সভা না করেই চট করে ফটাফট বাচ্চাদের বইয়ে ঢুকিয়ে দিয়ে আশা করছেন যে কেউ টুঁ শব্দটি করবে না? এই রকম একটা গুরুতর বিষয়ে জাতি ভবিষ্যতের নাগরিকদের কি শেখাতে চায়, তার জন্যে কি কোন কন্সেন্সাস গড়ে তোলা হয়েছে?
বাংলাদেশে যখন এলজিবিটিকিউ প্লাস নিয়ে আলাপ শুরু হচ্ছে, তখন সেকুলারদের মধ্যে খুব তাড়াহুড়া আমাকে বিস্মিত করে।একটা আইডিয়া, যেটা পশ্চিম থেকে আসা অধিকার-ভিত্তিক ফ্রেমওয়ার্কে রচিত, সেটা সেকুলাররা খুব তাড়াহুড়া করে প্রচলন করে দিতে চান। চট করে পাঠ্যপুস্তকে শরীফ-শরিফা ঢুকিয়ে দিলেই যেন অধিকার-ভিত্তিক এলজিবিটিকিউ প্লাস প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে!কন্সেন্সাস গড়ে তোলা বলে যে একটা দীর্ঘ-মেয়াদী অথচ কার্যকর ও উপকারী প্রক্রিয়া রয়েছে, সেই ধৈর্যের বড়ই অভাব মনে হয়েছে।এ প্রসঙ্গে মনে রাখা ভালো যে, মুঘল ভারতে, প্রাক-ব্রিটিশ আমল থেকে হিজড়া এবং আরও কিছু বিচিত্র গোষ্ঠীর অস্তিত্ব জানা যায়, যারা সমাজে নিজস্ব অবস্থান নিয়ে জীবন-যাপন করতো, যাদের সমাজে সাংস্কৃতিক সহিষ্ণুতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছিলো, পরবর্তীতে যাদের অবস্থা কলোনিয়াল মডার্নিটি মধ্যে শোচনীয় হয়ে উঠেছিল।ব্রিটিশ শাসনের প্রক্রিয়াতেই বরং আগের শিথিলতা ও সহিষ্ণুতার স্থলে একটা আঁটোসাঁটো কঠোর 'একগামী নারী ও পুরুষের বিবাহ' একমাত্র বৈধ পন্থা বলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো।ট্র্যাডিশনাল সমাজ এই কলোনিয়াল রূপান্তরের শিকার হয়েছিলো।
অপরপক্ষে, ইসলামপন্থী বা বিশেষ করে বললে কট্টর শরিয়াপন্থীদের এলজিবিটিকিউ প্লাস অধিকারবাদী সেকুলারদের "ইসলাম-বিদ্বেষী" ট্যাগিং দেয়া এবং নানা রকম আক্রমণ চালিয়ে যাওয়া কি গ্রহণযোগ্য আচরণ? ইসলামে কেন সমকামীতাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, এলজিবিটিকিউ প্লাস আন্দোলন সম্পর্কে দুনিয়ার তাবৎ বড় বড় ইসলামী স্কলাররা বিস্তারিতভাবে গভীর আলোচনা জারী রেখেছেন। সেই সব আলোচনাগুলোর সাথে এনগেজ করার চেষ্টা এখনও পর্যন্ত অতি অপর্যাপ্ত।এলজিবিটিকিউ প্লাস অধিকারপন্থীদের ব্যক্তি-বিশেষের উপর নানা রকম আক্রমণ শানানোর চাইতে পাবলিক ডিবেট গড়ে তোলায় এনার্জি দেয়া অনেক বেশী কার্যকর ও জরুরী নয় কি? "ইসলামবিরোধী"বলে ব্যক্তিবিশেষকে আক্রমণ, ঘৃণা ছড়ানো কি সমর্থন যোগ্য? বরং সেই পয়েন্টে আসুন, আলাপ করুন, ইসলামের ভেতরের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, বৈজ্ঞানিক ও নৈতিক যুক্তিগুলো উত্থাপন করুন।সহিংসতার উস্কানির ঝোঁক পরিহার করে বরং শক্তিশালী আলাপ গড়ে তুলুন।যুক্তরাষ্ট্রের মত দেশে বসেও নোমান আলী খান, ওমর সোলায়মান, ইয়াসির কাদ্রির মত ইসলামিক পণ্ডিতেরা এলজিবিটিকিউ প্লাস অধিকার নিয়ে শান্তিপূর্ণ অথচ দ্ব্যর্থহীনভাবে সমকামীতাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন।সমকামী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ, আক্রমণ, সহিংসতায় লিপ্ত হওয়ার নির্দেশ আছে কি? হজরত লুত(আঃ)এর কাহিনীতে দেখা যাচ্ছে, সডোমের অধিবাসী সমকামী কওমের উপর আল্লাহ্ 'ঐশী গজব' নাজিল করে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন।কিন্তু লুত (আঃ)বা মানুষের দ্বারা শাস্তি বিধান করেন নাই। লুত(আঃ)এর ভূমিকা ছিল নিরন্তরভাবে আল্লাহ্র নির্দেশনা জাতির কাছে পৌঁছে দেয়া, কল্যাণকর বিকল্প দেখানো, উদাহরণ সৃষ্টি করা, এবং শেষ পর্যন্ত তাদের পরিত্যাগ করা।সমকামীদের পক্ষালম্বনকারী নিজের স্ত্রীকেও কি তিনি শাস্তি দিয়েছিলেন, নাকি তিনি অবিরাম হেদায়েত করেছিলেন? এমনকি সডোম ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় হিজরতের পথেও তাকে পরিত্যাগ করেন নাই।বরং, তিনি ঐশী নির্দেশ অমান্য করে নিজে ফিরে তাকানোর সময় শিলীভূত হয়ে গিয়েছিলেন।এই গল্পের মরাল অনুসারে, সমকামী কৌম, সমকামীদের পক্ষালম্বনকারীদের ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে শাস্তি দেয়ার এখতিয়ার সম্পূর্ণ আল্লাহ্র নয় কি? লুত (আঃ)এর স্ত্রীর উদাহরণ কি সেই নির্দেশনাই দেয় না?
সুরা আশ-শুআরার ১৭০-৭৫ আয়াত নীচে পাঠকের জ্ঞাতার্থে দেয়া হলঃ
{فَنَجَّيْنَاهُ وَأَهْلَهُ أَجْمَعِينَ * إِلَّا عَجُوزًا فِي الْغَابِرِينَ * ثُمَّ دَمَّرْنَا الْآخَرِينَ * وَأَمْطَرْنَا عَلَيْهِم مَّطَرًا ۖ فَسَاءَ مَطَرُ الْمُنذَرِينَ * إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَةً ۖ وَمَا كَانَ أَكْثَرُهُم مُّؤْمِنِينَ * وَإِنَّ رَبَّكَ لَهُوَ الْعَزِيزُ الرَّحِيمُ
“So We saved him and all of his family, except an old woman (Lut’s wife), who was one of the doomed. Then We utterly destroyed the rest, pouring upon them a rain [of brimstone]. How evil was the rain of those who had been warned! Surely in this is a sign. Yet most of them would not believe. And your Lord is certainly the Exalted in Might, Most Merciful.” [Surah Al-Shuʿara’ 26:170-175]
অক্টোবর ১-৩, ২০২৪
মঙ্গলবার-বৃহস্পতিবার
মিল্বাকি, উইস্কন্সিন
#সায়েমারলেখা
#BDLGBTQ+
২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ইসলাম পন্থীরা প্রথম শুরু করেছে। তারা গণহারে সবাইকে বাম এবং ইসলাম বিদ্বেষী ট্যাগ দিয়ে বিরোধী মত ঘায়েল করার চেষ্টা করছে। LGBTQ+ যাস্ট একটা আইওয়াশ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:১৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই দেশে জনসম্মুখে LGBTQ নিয়ে আলোচনা করা বিপজ্জনক, ব্লগেও এসব নিয়ে লেখালেখি করলে হেনেস্তার শিকার হতে হয়। চারিদিকে ইসলামি বিশেষজ্ঞ গিজ গিজ করছে।