নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে হৈচৈ হচ্ছে, হৈচৈ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে। একটা পক্ষ আগের সরকারের সময়ে হৈচৈ করত কিন্তু বর্তমানে চুপ। আরেকটা পক্ষ আগে চুপ ছিল এখন সরব। তৃতীয় পক্ষটা আগেও সরব ছিল; এখনও সরব। তবে এরা একটু বেকায়দায় পড়ে গেছে।
আগে দ্রব্যমূল্য বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলে অন্তত কোনো ট্যাগ খেতে হতো না। অথচ এখন আফসোস লীগ ট্যাগ খেতে হচ্ছে।
আগে যারা দ্রব্যমূল্য বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে নীরব ছিল, তারা নিশ্চয়ই দালাল ছিল? এখন যারা নীরব থাকছে বা সমালোচকদের বিভিন্ন ট্যাগ দিচ্ছে তারা কী?
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বলা যায়: দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কাঁচাবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যে কারণে দামটা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তুলনামূলক অনেক বেশি। এ অবস্থা বেশিদিন থাকবে না। কিন্তু এটা কী করে বলা যায়, ১৫ বছর কোথায় ছিলেন? ১৫ বছর খারাপ ছিল বলে এখনও খারাপ যাবে? তাহলে কেন এত আন্দোলন? কেন এত রক্তপাত?
কেউ কেউ দেখলাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বলছেন, ১৫ বছরের জঞ্জাল দুই মাসে দূর করা সম্ভব না। ঠিক কথা। কিন্তু চট্টগ্রাম বিভাগে যখন বন্যা হলো, অনেক টাকা সাহায্য উঠল। সেই টাকার যথাযথ হিসেব যখন দেওয়া হচ্ছিল না, তখন দেখলাম অনেক জ্ঞানী লোকও তাদের সাফাই গাইলেন। বললেন, ১৮ লাখ কোটি টাকা গেল সেদিকে খবর নেই, এই কয়েক টাকা (নয় কোটি বা তার বেশি) নিয়ে এত হৈচৈ! প্রকারান্তরে তাদের কাজকে সমর্থন দিলেন। একবারও ভাবলেন না এরা যদি এখনই পরিষ্কার না থাকে ভবিষ্যতে পরিষ্কার থাকবে এর নিশ্চয়তা কী? ব্যাপারটা কি এমন শত্রুর পতনে অন্য যে কাউকে সমর্থন দেওয়া যাবে? নিজের বিবেককে প্রশ্ন করা যাবে না?
যাহোক, টাকার হিসেব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যায় লোকে চট্টগ্রাম বিভাগে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য টাকা দিল ব্যাংকে রাখার জন্য?
হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, পাকিস্তানিদের বিশ্বাস করি না গোলাপ নিয়ে এলেও। আমার মনে হয় এই কথাগুলো বাঙালিদের জন্যও প্রযোজ্য। আমাদের জাতিগত স্বভাব কি বদলাতে পারব? আদৌ আমরা কি সভ্য হতে পারব?
দেশে লোকে সরকারি চাকরি চায় দাপট দেখাতে, অসৎভাবে উপার্জন করতে। এই চরিত্র মনে হয় না কখনও বদলানো যাবে। সরকারি চাকরির দাপট আর টাকা কমে গেলে লোকে ওদিকে মুখও ফিরে তাকাবে না।
আমরা কিন্তু জাতি হিসেবে খুবই কিউট। নিজে অসৎ, অথচ অন্যকে সৎ উপদেশ দিই। নিজে কথা বলতে চাই, অথচ অন্যকে তার মতো কথা বলতে দিতে চাই না। সম্প্রতি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম উর্মির সঙ্গে কী কাণ্ডটাই না হলো! ইউনূসের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উর্মি একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। আর যায় কোথায়? চাকরিও গেল, মামলাও হলো। আগের সরকারের সময় এমন ঘটনা ঘটেছে। তাহলে অন্যদের সাথে ইউনূসের পার্থক্যটা কোথায় রইল?
আইনের শাসনের প্রতি বিশ্বাসী ইউনূস নিজের ৬৬৬ কোটি টাকা করের মামলা ছাড়িয়ে নিলেন। গায়েবি মামলা শুরু হলো দেশে। ওদিকে বড় বড় আসামিরা মুক্তি পেতে লাগল। নিয়মকানুনের বালাই নেই। দুই মাসে এত এত খুন হলো, লুটপাট হলো- এসব নিয়েও পদক্ষেপ নেই।
আগের সরকারের সময় শুনতাম রায় এক জায়গা থেকে আসে। এখন দেখলাম সিস্টেম তো একই।
আমাদের পল্টি নিতে বেশি দেরি লাগে না। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য জানপ্রাণ দিয়ে দিয়েছিলাম। এমন পণ করেছিল কেউ কেউ নিজে একবেলা খেয়ে হলেও রোহিঙ্গাদের খাওয়াবে। কয়েকদিন পর যখন তাদের আসল রুপ বের হয়ে এলো তখন পল্টি নিতে দেরি হলো না। সব দায় একজনের কাঁধে দিয়ে দিলাম।
লালন কম দুঃখে লেখেননি, এক কানায় কয় আরেক কানারে, চলো চলো ভবপাড়ে, নিজে কানা পথ চেনে না পরকে ডাকে বারংবার।
ছবি: সংগৃহীত
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:২৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুনুন।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৩৪
বিষাদ সময় বলেছেন: আগেও মন খুলে কথা বলা যেত না, এখনও যায়না। আগে মন খুলে কথা বলা যেত না আয়না ঘরের ভয়ে আর এখন কথা বলা যায়না বায়না ধর' দের জন্য। আগে হালাকার উপর দিয়ে সমালোচনা করলে তেমন সমস্যা ছিল না, বেশি করে ফেললেই বিশাল বিপদ। আর এখন সামান্য কিছু বললেই কেউ কেউ বায়না ধরে " ওকে সবাই ফ্যাসিস্ট এর দালাল বলবেন/ আফসোসলীগ বলবেন/ ব্যান করতে বলবেন/ গণ ধোলাই এর তালিকায় নাম উঠাবেন ইত্যাদি, ইত্যাদি।
বোবার কোন শত্রু নাই, কাজেই বোবা হয়ে থাকাই উত্তম।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: বোবা হয়ে থাকাও বিপদ। নগর পুড়তে দেবালয় তো এড়ায় না।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০১
মামুন ইসলাম বলেছেন: উনরা এখন নতুন করে দেশ গড়তে ব্যস্ত প্লীজ নো ডিস্টার্ব। ভাই দুঃখে কলিজাটা ফেটে যাচ্ছে। কিছু বলার নাই,আমরা অভিশপ্ত জাতিতে পরিণত হয়েছি।পদে পদে বৃতর্কিত হচ্ছে।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সদিচ্ছা থাকলেও অনেকসময় দক্ষতার অভাবে অনেককিছু হয় না। এখন সদিচ্ছাও দেখছি না, দক্ষতাও দেখছি না। ২০০৭-২০০৮ সালে ফখরুদ্দিনের সময় অন্তত সদিচ্ছা ছিল। তারা সরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে স্বাধীন রাখতে সক্ষম হয়েছিল।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:০৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: রিসেট বাটনে পুশ করেন। সব ঠিক হয়ে যাবে ।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নিজেদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস কেবল নির্বোধেরাই মুছে ফেলতে চায়।
৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৫:৫৫
ক্লোন রাফা বলেছেন: প্রতিটি ধাক্কা বা পট পরিবর্তনের পর আমরা একই স্বপ্ন দেখি‼️এবার নিশ্চই আমাদের দেশটা আইনের স্বর্গরাজ্য করে ফেলবে তথাকথিত ত্রানকর্তারা।দাঁত কামড়ে ভাবতে থাকি কিছুটা সময়’তো এদের প্রাপ্য ! নিঃশ্বাস নেওয়ার সময়টুকু দেওয়ার যায়। ঐ ব্রিদিং স্পেসের সুযোগ নিয়ে সেই নিস্পাপ ত্রানকর্তারা আমাদের’কে ভানুমতির খেল দেখিয়ে ধাবিত করে আবার নরকের পথে!
যদি বদলাতে হয় শুরুটা প্রথম সেকেন্ড থেকেই করতে হব। শুদ্ধ করতে হবে নিজেকে সবার আগে। প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য প্রশ্ন করতে হবে অবিরত। তাহোলে যদি কিছু হয়........
ভালো লিখেছেন, রু.বি.সাধু ।ধন্যবাদ॥
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যদি বদলাতে হয় শুরুটা প্রথম সেকেন্ড থেকেই করতে হবে। শুদ্ধ করতে হবে নিজেকে সবার আগে। ছয় মাস যাক। সবকিছু সঠিক পথে আসে কি না বোঝা যাবে। তবে শুরুর পদক্ষেপগুলোই গোলমেলে মনে হচ্ছে।
৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: শুধু নির্বোধরা না। শয়তানও মুছতে চায়। কারণ এতে তার কলঙ্কের ইতিহাসও ঢাকা পড়ে যায়।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এরা ভুলে যায় সত্য চিরদিন চাপা থাকে না।
৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: এই সরকারের উপরে বিভিন্ন মহল থেকে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তাতে তাদের টিকে থাকাই মুশকিল
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সবাই সবার দাবি পূরণ করতে চায়।
৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:১২
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আগে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ মারামারি লাগলে পুলিশ বসে বসে আয়াতুল কুরসি পড়তো, এখন মনে হয় উপদেষ্টা মন্ডলী আয়াতুল কুরসি পড়ছে, এ কোন আগুনের মধ্যে এসে পড়ছে তাঁরা। বাণিজ্যমন্ত্রী দুই মাসে তিন লাইন কথা বলসে। আগে শেখ হাসিনা বলতো ভাতের বদলে আলু খাও, মিষ্টি কুমড়া খাও বেগুন এর বদলে। এখন বাজার ভর্তি খালি পেঁপে, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ভাতের বদলে পেঁপে খাওয়া লাগবে।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: মুখে অনেক কথাই বলা যায়। কাজে নামলে বোঝা যায় অবস্থা। আসিফ নজরুল তো আগের বিভিন্ন সময়ের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আরও বিপদে।
৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
মিরোরডডল বলেছেন:
তৃতীয় পক্ষটা আগেও সরব ছিল; এখনও সরব।
সাধারণ মানুষ এই তৃতীয় পক্ষ। তারা বিএনপি আওয়ামীলীগ কোনটাই না। কোন সরকার এলো গেলো তাতে তাদের কিছু আসে যায়না। তারা চিন্তা করে মাস শেষে ইনকাম কত, আর সেটা দিয়ে কিভাবে সংসার চলবে। যেভাবে সবকিছুর দাম আগেও বেড়েছে, এখনো তাই, দিনশেষে তাদের জীবনে কোন পরিবর্তন নেই, আছে শুধু বেঁচে থাকার সংগ্রাম।
তাদের জন্য কষ্ট লাগে।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমি তেমন কথা বলি না। কেউ যখন বিষয়টাকে ডিফেন্ড করে খুব অবাক লাগে। এই যে ডিফেন্ড করল, তাও তারা নিরপেক্ষ ভাব নেয়। মনে করে কেউ তাদের ধান্ধা বোঝে না।
১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
আগে দ্রব্যমূল্য বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলে অন্তত কোনো ট্যাগ খেতে হতো না। অথচ এখন আফসোস লীগ ট্যাগ খেতে হচ্ছে।
এ বিষয়টা খুবই বিরক্তিকর।
কোনকিছু নিয়ে সমালোচনা করলে বা প্রশ্ন তুললেই ট্যাগ দিচ্ছে বা অনুমান নির্ভর হয়ে জাজ করছে।
এ আচরণগুলো প্রিয় ব্লগারদের কাছ থেকে একদম আশা করিনা কিন্তু আনফরচুনেটলি এটাই হচ্ছে এখন।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আরও একটা কমন প্রশ্ন: “১৫ বছর কোথায় ছিলেন?” অবস্থা এমন কথাই বলা যাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২০
বরুণা বলেছেন: অনেকদিন লালনের গান শোনা হয় না!!!