নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Our sweetest songs are those that tell of saddest thought (Shelly).

রূপক বিধৌত সাধু

মন রে, কৃষিকাজ জানো না; এমন মানবজমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা! রামপ্রসাদ সেন ([email protected])

রূপক বিধৌত সাধু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্থানান্তর

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫১


অভিরাম কিছুদিন যাবত নানার বাড়ি বেড়াইতে আসিয়াছে। উপলক্ষ্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া। এইস্থানে আসিয়া সে বেশ সমস্যায় পড়িয়াছে। তন্মধ্যে জল সঙ্কট প্রকট। জলের স্তর নিম্নগামী। চৈত্র মাস আসিলে এই অঞ্চলের লোকজন জল সংগ্রহের নিমিত্তে এপার ওপার দৌড়াদৌড়ি করে। চৈত্র মাস শেষে বৈশাখ আসে, তথাপি নলকূপ হইতে জল ওঠে না।

একদিন ওপারে স্নান করিতে গেল অভিরাম। জোলেখা খালার বাড়ি। মাঝপথে একটি ব্রিজ। দুই-তিনটি তরুণ উপরে বসিয়া আছে। যদি দু’চারিটি রুপবতী কন্যা রাস্তা দিয়া যায়- দেখিয়া প্রাণ ভরিবে। তাহাদিগকের মনে আশা। ঘাটে নয়া জোয়ার আসিলে নাকি এমনটি হয়। হৃদয় প্রবল আবেগ প্রবণ হইয়া ওঠে।

অভিরাম অনুক্ষণ তাহাদিগকে দেখিয়া আপনার গন্তব্যে চলিয়া আসিল। মনে মনে সংকোচ বোধ হইল। ভাগ্য ভালো! বাড়িতে খালা ব্যতীত আর কেহ উপস্থিত নাই। খালার সহিত কথা বলিয়া লজ্জা খানিক প্রশমিত হইল।
খালার সুন্দরী একটি কন্যা আছে; নাম চামেলি। তাহাকে অদ্যাপি দেখা হয় নাই। অভিরাম শুনিয়াছে, মেয়েটি বড্ড চপলমতি। এলাকায় বেশ চাহিদা। ছেলেরা পিছনে লাইন দেয়।

পরবর্তী দিন দুপুর বেলা। প্রখর রুদ্রে খাঁ খাঁ করিতেছে আঙ্গিনা। অভিরাম নানার সঙ্গে বসিয়া পান চিবাইতেছিল। হঠাৎ চামেলি উপস্থিত। চকিত চাহিয়া অন্য ঘরে চলিয়া গেল। অভিরাম কিছুক্ষণ তাকাইয়া রহিল। সেইদিন আর কথা হয় নাই। আগন্তুকের সঙ্গে কথা বলা বেশ দুরুহ কাজ।

বাড়িতে দুষ্টু দুইটি মেয়ে থাকে। মায়া আর জবা। সারা বাড়ি মাত করিয়া রাখে। তাহাদিগকের অত্যাচারে বাড়ির সবাই অতিষ্ট। উত্তম-মধ্যম তাহাদিগকের নৈমিত্তিক পুরস্কার। তথাপি চঞ্চলতা বর্ধমান। একদিন খুব বিরক্ত করিতেছিল মায়া। অভিরাম বলিল, “বিরক্ত কোরো না; আমি পড়ছি!”
মায়া ভেংচি কাটিয়া বলিল, “পড়েন কেন?”
অভিরাম জবাকে ডাকিয়া আনিল। নিকটেই খেলাধুলা করিতেছিল সে।
“মায়ার বাম গালে একটা চড় দাও তো, জবা।” রাগের স্বরে বলিল অভিরাম।
সে ইতস্তত করিতেছিল। বাম গাল যে কোনটা; সে চিনিতে পারিতেছিল না।
“ভাইয়া, বাম গাল কোনটা?” জবা জিজ্ঞাসা করিল।

ঠিক সেই সময় সাথী হাজির। সাথী পাশের বাড়ির মেয়ে। মায়াদের সমবয়সি। অভিরাম বলিল, “একে একটা থাপ্পড় মারো, সাথী!” অঙ্গুলি দিয়া মায়াকে নির্দেশ করিল অভিরাম। বেচারি সভার মাঝখানে ঢুকিয়া কিছুই বুঝিল না। ভয়ে দৌড়াইয়া পালাইল। ততক্ষণে মায়া, জবা কেহই ঘরে নাই।

নানা শীতল পাটিতে বসিয়া পান চিবাইতেছিলেন। আর গান গাহিতেছিলেন ‘নাইয়ারে, নায়ের বাদাম তুইলা কোন দূরে যাও চইলা; অচেনা সায়রের মাঝি সে কথা যাও বইলা’। অভিরাম কেদারায় বসিয়া পড়াশোনায় নিমগ্ন। নানা বেশ বৃদ্ধ। দেশ বিভাগের সময় তাহার বয়স ছিল পনেরো। কিন্তু তাহার আচরণে মনে হয়, তিনি এখনও আঠারো বছরের তরুণ। উছলে পড়া যৌবন তাঁহার। নানির সঙ্গে প্রায়ই নানার ঝগড়া হয়। নানি নম্র স্বভাবের; চুপচাপ থাকেন। ঝগড়া বেশিদূর আগায় না। নানির আচরণে বেশ মায়া। কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁহার সঙ্গে অভিরামের ভাব হইয়া গেল। মাঝ রাত্রি পর্যন্ত কথাবার্তা হয়।

একদা সাঁঝের বেলা অভিরাম ওপারে গেল। খালা তাহাকে দেখিয়া বেশ খুশি হইলেন। তাহাকে আগের দিন আসিতে বলিয়াছিলেন। কিন্তু সে যায় নাই। খালা অনুযোগের স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “গতকাল আসোনি কেন?” অভিরাম মুখ লুকাইয়া হাসিল; যাহার মানে এই, লজ্জা লাগিতেছিল। তাই আসিতে পারে নাই। খালা বলিলেন,“খালার বাড়ি আসবে; লজ্জার কী আছে!”

রাত্রে তেমন নিদ্রা হয় না অভিরামের। প্রায়ই এমন হয়। কী এক দুঃশ্চিন্তা তাহাকে আচ্ছন্ন করিয়া রাখে। বাড়ির কোনো খোঁজ-খবর নাই। মন খারাপ থাকে সবসময়।

এক রাত্রে সে জাগিয়া আছে। রাত্রি গভীর হইয়া আসে; তথাপি দুই চক্ষে এক ফোঁটা ঘুম নাই। নানা কল্পনা তাহার অন্তরে জাগ্রত হইতেছে। কপাট খুলিয়া বাহিরে আসিল। নারিকেল গাছের ফাঁক দিয়া অন্তরীক্ষে চন্দ্র দেখা যাইতেছে। চন্দ্রিমার আলোয় সারা আঙ্গিনা ঝলমল করিতেছে। সবাই তন্দ্রাচ্ছন্ন। কোথাও কোন কোলাহল নাই।

বাড়ির সন্নিকটেই একটি পুষ্করিণী। পাড়ে আসিয়া বসিল অভিরাম। ক্ষণকাল কাটিল। সহসা ব্রিজটি দৃষ্টিগোচর হইল। হাঁটিতে ইচ্ছে হইল তাহার। হাঁটিতে হাঁটিতে ব্রিজের নিকটে গেল। ব্রিজের ওপরে দীর্ঘক্ষণ বসিয়া রহিল। বড়ো বড়ো বৃক্ষ দাঁড়াইয়া আছে। পত্র পল্লব ঘন কালো।

গাছের আড়াল হইতে কেহ আসিতেছিল। “এত রাত্রে কে আসিবে?” নিজেকেই প্রশ্নটি করিল অভিরাম। হঠাৎ ভয় লাগিল। সান্ত্বনা খুঁজিতে ভাবিল, হয়তো ভুল দেখিয়াছে। কেহই আসিল না। ভয় কাটিল। আরও কিছুক্ষণ অতিবাহিত হইল। আবারও সেই ছায়া- যাহাকে ক্ষণকাল পূর্বে দেখিয়াছে। ধীর পদে গাছের নিকটে গেল। কেহ নাই। অকস্মাৎ ঝোড়ো বায়ু বহিতে লাগিল। গাছপালা ভাঙ্গিবার উপক্রম। মনে হইল, মহাপ্রলয় আসিয়া পড়িয়াছে। “অভি, এখানে কী করছিস?” পশ্চাতে তাকাইল অভিরাম। নানা দাঁড়াইয়া আছেন।

খালা বলিলেন, “চামেলিকে পড়াইতে হইবে।” অভিরাম দ্বিধাগ্রস্থ ছিল - যাইবে, কী যাইবে না। মেয়েটি চঞ্চল স্বভাবের। এই সব মেয়েদের বিশ্বাস নাই। কখন কী করিয়া বসে, ঠিক নাই। পরে মান- সম্মান যাইবে! নানির প্ররোচনায় গেল।

চামেলি ভাবিয়াছিল অভিরাম বখাটে ধরনের হইবে। কারণ, ইতঃপূর্বে সে যত ছেলে দেখিয়াছে, সবাই তাহার প্রতি দুর্বল ছিল। সুযোগ বুঝিয়া তাহাকে উত্তক্ত করিত। কিছুদিন পর তাহার ভুল ভাঙ্গিয়া গেল। দেখিল, অভিরাম শান্ত, অমায়িক। তাহার চাইতে বড়ো কথা তাহার দৃষ্টিতে লোভ নাই। যাহা অনেকের মাঝে বিরাজমান। প্রত্যেক পুরুষের মাঝে এক প্রকার হিংস্রতা থাকে। সময়ে-অসময়ে জাগ্রত হইলে তাহারা পশু হইয়া ওঠে। নারীকে আর নারী মনে হয় না। ব্যাঘ্র যেমন হরিণের নাগাল পাইলে ভক্ষণের জন্য অস্থির হইয়া যায়, তদ্রুপ পুরুষেরাও নারীকে ভোগের জন্য উন্মত্ত হইয়া ওঠে।

একদা অভিরামের মনে হইল, এ বাড়িতে তাহার আগমন অনেকের পছন্দ হয় নাই। প্রতিবেশীরা নানা কথা বলিতে লাগিল। জোয়ান ছেলেমেয়ে একসাথে …। জনৈক মামা পর্যন্ত কথাটি তুলিলেন। প্রচণ্ড অভিমান হইল। তাই ওই বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করিয়া দিল অভিরাম। পরবর্তীতে যতদিন সে নানার বাড়ি ছিল, চামেলি এপারে পড়িতে আসিত।

অভিরাম চামেলি সম্পর্কে অনেক কথাই শুনিল। কাহারও সঙ্গে তাহার প্রণয় আছে। একদা এই কারণে তাহার পিতা তাহাকে প্রহার করিয়াছিলেন। অভিরাম বিস্মিত হইল। বাচ্চা একটি মেয়ে- সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে মাত্র। যাহার মুখ হইতে এখনও দুধের গন্ধ বাহির হয়- সে পিরীতের কী বোঝে!

চৈত্র শেষ হইয়া বৈশাখ মাস আসিল। একদিন মায়া, জবা, সাথী, চামেলি সবাইকে লইয়া মেলায় গেল অভিরাম। সারা দিন কাটিল। বাহারি রঙ্গের তৈজসপত্র, বেলুন, দিন পঞ্জিকা অনেক কিছু কিনিয়া দিল সবাইকে। সবাই যারপনাই খুশি। সন্ধ্যা ঘনাইয়া আসিয়াছে। সবাই দৌড়াইয়া বাড়ি ফিরিয়া আসিল। অভিরাম চামেলি পশ্চাতে। হঠাৎ আকাশে মেঘের গর্জন। ঝুপঝাপ বৃষ্টি পড়া শুরু হইল। আবছা অন্ধকার। চামেলি ভয় পাইয়া অভিরামকে জড়াইয়া ধরিল। কী আর করা যাইবে! বেচারা অভিরাম স্থির দাঁড়াইয়া রহিল। দুই-চারিজন বালিকা দৃশ্যখানি দেখিয়া উচ্চ স্বরে হাসাহাসি করিল। বোধহয়, দৃশ্যটি তাহাদিগকের ভালো লাগিয়াছে!

চামেলির বাবা অভিরামকে মাঝে মাঝে টাকা দেন। অভিরামের মন হইতে বাধা আসে। কারও সহযোগিতা সে চায় না। সে তো প্রার্থী নয়। একদিন টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানাইল। অবশ্য ভদ্রতার খাতিরে টাকা নিল। খালুজান বোধহয় রাগ করিলেন। পরবর্তীতে আর অভিরামের সঙ্গে কথা বলেন নাই। অভিরাম বুঝিল, সে ভুল করিয়াছে। খালু টাকা দিতেই পারেন। সে সিদ্ধান্ত নিল, বিদায়ের দিন খালুর কাছে মাফ চাহিবে! সে সুযোগ আর তাহার হয় নাই। সেদিন খালু বাড়ি ছিলেন না।

অভিরামের কাছে চামেলি পড়িতে আসে। অনেক রাত্রিতে বাড়ি ফিরে যায়। মাঝে মাঝে কমলের সাথে লুকিয়ে দেখা করে। কমলকে সে ভালোবাসে। তাহার আব্বা কিছু জিজ্ঞাসা করেন না। তিনি জানেন অভিরামের নিকট পড়িতে গিয়াছিল। অভিরামের প্রতি অভিমান থাকিলেও অভিরামকে বিশ্বাস করেন তিনি। কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করলেই বোঝা যায়, কে ভালো কে মন্দ। বিদেশ হইতে অভিরামের মামা ফোন করিলে তাহার গুণ কীর্তন করেন।

বিদায়ক্ষণ আসে। শেষ দেখা করিবার নিমিত্তে অভিরাম ওপারে খালার বাড়ি গেল। খালা তাহাকে পূর্বেকার চাইতে বেশি আদর যত্ন করিলেন, আপন তনয় বলিয়া সম্বোধন করিলেন। খালার মাঝে আপন মায়ের অস্তিত্ব অবলোকন করিল সে। কেন যেন আবেগপ্রবণ হইয়া গেল। তাহার দুই চক্ষে অশ্রু ছলছল করিতেছিল। বড় বিচিত্র এ জগৎ! কিছুদিন কোথাও অবস্থান করিলে স্থানটির প্রতি এক প্রকার মায়া জন্মাইয়া যায়। সেদিন শেষ বারের মত চামেলিকে পড়াইয়াছিল অভিরাম।

পরদিন ভোরে সকলের নিকট হইতে বিদায় নিল অভিরাম। মায়া তাহার বিদায় মুহূর্তটি মানিয়া লইতে চাহিতেছিল না। দৌড়াইয়া গিয়া ঘরে খিল দিল। সে-ই বোধহয় অভিরামকে সবচাইতে বেশি ভালবাসিয়াছিল। অভিরামও তাহাকে আপনার ভগ্নির ন্যায় স্নেহ করিত।

ব্রিজের নিকট আসিয়া অভিরাম স্মৃতিকাতর হইয়া পড়িল। পুরোনো স্মৃতি চোখের সম্মুখে ভাসিতেছে। সব স্মৃতি ফেলিয়া সে কীভাবে যাইবে!কেহ তাহার পানে তাকাইয়া আছে কী না তাহা দেখিতে সে পশ্চাতে ফিরিয়া দেখিল না। সে কাহারও মায়াজালে জড়াইবে না। স্মৃতি বেদনাবিধুর। স্মৃতি ক্রন্দন ব্যতীত কিছুই দানিতে পারে না।

পূর্বপাশে ধানখেত আর পশ্চিম পাশে মৎস্য খামার। মাঝখানে রাস্তা। অভিরাম পথ চলিতে লাগিল।

৩১ বৈশাখ ১৪১৭ বঙ্গাব্দ
ভালুকা, ময়মনসিংহ।
(১৪/০৫/২০১০)

প্রাসঙ্গিক আরও দুটি পোস্ট, যা পূর্বে প্রকাশিত; পোস্ট দুটিকে এই গল্পের শাখা-প্রশাখা বলা যাইতে পারে।
১) Click This Link
২) Click This Link

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: এই অভিরাম কি লেখক নিজেই?
এত মায়া ভালবাসা বুকে রাখিতে নাই তাহাতে কষ্টই বাড়িবে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: :)

২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর হয়েছে।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা অফুরান।

৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু ,




মানুষের জীবনের সুমধুর সঙ্গীতগুলো তাহারই মনের গভীরতম ব্যথার ঝংকার !
গল্পের অভিরামেরও যেন তাহাই হইয়াছে ।



০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: যথার্থই।

৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো গল্প।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৩

নীলপরি বলেছেন: চলমান দৃশ্য দেখলাম ।
২নং লিংকের কথা পড়তে পড়তে মনে পড়েছিল ।

শুভকামনা ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: একই ঘটনার নির্যাস।

৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: গুড জব।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: থ্যাঙ্কস।

৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


"এক রাত্রে সে জাগিয়া আছে। রাত্রি গভীর হইয়া আসে; তথাপি দুই চক্ষে এক ফোঁটা ঘুম নাই। নানা কল্পনা তাহার অন্তরে জাগ্রত হইতেছে। কপাট খুলিয়া বাহিরে আসিলো। নারিকেল গাছের ফাঁক দিয়া অন্তরীক্ষে রবি দেখা যাইতেছে। চন্দ্রিমার আলোয় সারা আঙ্গিনা ঝলমল করিতেছে। "

-রাতে চাঁদের আলোর মাঝে "রবি" দেখা যাওয়ার কথা নয়; উহাকে ঠিক করে দেন।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঠিক করে নিয়েছি।

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধু ভাষায়, গ্রামের জীবনের কাহিনী ভালো লেগেছে

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অনুপ্রাণিত হলাম আপনার পাঠ ও প্রতিক্রিয়ায়। সাধু ভাষারীতির প্রতি একসময় দারুণ আগ্রহ ছিলো, তাই লিখতাম। ধন্যবাদ অশেষ!

৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০

ঢাকাবাসী বলেছেন: লেখার স্টাইলটা দারুণ লাগল, খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: :) প্রীতি ও শুভেচ্ছা অফুরন্ত।

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সুলেখ্য...

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩০

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শুভেচ্ছা অশেষ! শুভ কামনা জানবেন।

১১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: জানি জুলেখা বা সুলেখা বলে কমেন্ট করে বার বার পার পাওয়া যায় না! তবুও আমাদের মতো কমেন্টারদের অই বেশ হয়েছে, সুন্দর লিখেছেন টাইপে র কমেন্ট দিয়েই কাজ সারতে হয়!!:)


কি করবো বলেন! কমেন্ট করার শিল্পগুনের যে বড়ই অভাব আমার!!:)


সুন্দর লেখা!!;)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪২

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: :) আমি তো প্রতি উত্তর দিতে ভুলে গেলাম।

১২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

সুমন কর বলেছেন: গল্প ভালো লাগিল।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: :) শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো অবিরাম।

১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫০

প্রামানিক বলেছেন: অনেক ভালো লাগল অভিরামের কাহিনী। ধন্যবাদ

১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৪

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.