নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।
আমরা নিশ্চিন্তে বসে আছি। বসে নেই রাজাকারের ছা-পোনারা। একের পর এক অপমান করে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা মনে হয় নির্বিকার! এরা নানা রকমের ঘটনা ঘটিয়ে নিজেদের চাঙ্গা করছে, সমমনাদের খুঁজে বের করে সংগঠিত হচ্ছে—কতটুক প্রতিক্রিয়া হয় সেটা হিসেব করে ভবিষ্যতের লক্ষ্য নির্ধারণ করছে। আমরা কেউ হাত কামড়াচ্ছি, কেউ ভাবছি সরকার চালাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল, অতএব সব তারাই করবে। সরকার উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত। গৃহস্থকে কেবল ফসলের উৎপাদন বাড়ালেই চলে না, গোলায় ইঁদুরের খোঁজও রাখতে হয়।
দেশে ভাস্কর্য নিয়ে ডামাডোলের ভেতরেই বিজয় দিবসে জাতিয় পতাকার অবমাননা অতি পরিকল্পিত চক্রান্তেরই অংশ ছাড়া কিছু নয়। টাঙ্গাইলের বাসাইলে কৃষি ব্যাংকে জাতীয় পতাকা অবমাননা করার অভিযোগে ব্যাংকের নিরাপত্তা প্রহরীকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একে গাফলতি বা ভুলক্রমে হয়েছে মনে করলে মহাভুল করা হবে! বেশ কয়েক বছর আগে একটি ছবি দেখেছিলাম সম্ভবত গাইবান্ধার কোনও একটি মাদরাসায় টয়লেটের দরজায় পর্দার মত করে জাতিয় পতাকা ঝুলিয়ে রেখেছে। একটি কুচক্রই মহল সুযোগ পেলেই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। কঠোর কোনও পদক্ষেপ নেয়া হয় না বা এ-ব্যাপারে সতর্ক করা হয় না বলেই কয়দিন পর পর দেশের বিরুদ্ধে অপমান প্রকাশ করার সাহস পেয়ে যায়। পতাকার ওপরে এমন অত্যাচার এবারই যে প্রথম সেটাও কিন্তু নয়--২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সালের ঘটনা প্রায় একই |ঝাড়ুর মাথায় জাতীয় পতাকা : চাঁদপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা।
এখানেই শেষ নয় ২০১৭ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতেও মাগুরায় একই ধরণের ভুল(?) ঝাড়ুর মাথায় জাতীয় পতাকা: শাস্তি নিয়ে গড়িমসি
এর মধ্যে আবার রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ঝাড়ুকে পুরনো স্টাইল মনে করে হাজির হয়েছে একটু নতুন আঙ্গিকে!
এই বিজয় দিবসে রাজশাহীর তানোর উপজেলার একটি কলেজে বাজানো হয়েছে জিয়াউর রহমানের ভাষণ। কাটছাঁট করা জিয়ার খণ্ডিত ভাষণ প্রচার করে হিরো হতে চেয়েছে। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানের ভাষণ, কলেজ অধ্যক্ষকে অব্যাহতি
যে যেভাবে পারছে বাংলাদেশ, জাতিয় পতাকা, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাসের ওপর আঁচড় বসাচ্ছে! দিনের পর দিন দেশ-বিরোধী অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে বা লঘু শাস্তি পাওয়ায় তাদের বুকের ছাতি বড় হয়ে যাচ্ছে। হয়ত একটা সময় রাজাকারের শাবকেরা আমাদের ধমক দেবে, আমরা চুপ হয়ে তাকিয়ে দেখব।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০
আহা রুবন বলেছেন: রাজাকারের বংশধরেরা ঐক্যবদ্ধ থাকলেও আমরা তা নই। ধন্যবাদ।
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
সরকার স্বাধীনতায় বিশ্বাসীদের থেকে দেশকে কেড়ে নিয়েছে; এই সুযোগ জামাত-শিবির হেফাজতেরা নিচ্ছে, ও আরো বড় হওয়ার চেষ্টা করছে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৪
আহা রুবন বলেছেন: বিএনপির কোমড় ভেঙ্গে গিয়েছে মনে করে সরকার খুব নিশ্চিন্তে আছে। এদিকে হেফাজতের ছাতির নিচে সব শেয়ালে আশ্রয় গেড়েছে।
৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: বিএনপির কোমড় ভেঙ্গে গিয়েছে মনে করে সরকার খুব নিশ্চিন্তে আছে। এদিকে হেফাজতের ছাতির নিচে সব শেয়ালে আশ্রয় গেড়েছে।
-শেখ হাসিনা বিএনপিকে ভরণপোষণ করছেন, যাতে উহা বর্তামন অবস্হায় থাকে।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০
আহা রুবন বলেছেন: অবস্থা দেখে সেটাই মনে হয়। কিন্তু প্রকৃতি শূন্যতা পরিহার করে। এই ফাঁকে যদি প্রগতিশীল কোনও দল উঠে আসতে পারত ভাল হত।
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: যারা নিজেদের দেশের পতাকা সম্পর্কে জানে না। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। যারা এই পতাকা হাতে নিয়ে ছবি তুলেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৬
আহা রুবন বলেছেন: পতাকা সম্পর্কে জানে না, ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। এরা বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক!
৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
এমেরিকা বলেছেন: ছবির এই প্রত্যেকটা কুলাঙ্গারকে যদি থানায় নিয়ে ডিম থেরাপি না দেওয়া হয়, তবে বুঝে নেব বাঙালি আসলে বৈধ বাপের সন্তান না।
৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় যুবলীগ নেতা আটক
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান। আটকরা হলেন কয়া বাঘা যতীন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুনু, অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ ও নৈশপ্রহরী খলিলুর রহমান এবং কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান।
৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
চোরাবালি- বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে এখন আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগের নেই। এক সময় যারা বিএনপি করত তারা এখন অধিকাংশই আওয়ামী লীগ, অন্যান্য দল তো সেই কবে থেকেই।
সভ্যতার ইতিহাসে আমরাদের জ্ঞান বিলুপ্তির পথে, আমরা সত্যকে সত্য হিসেবে স্বীকৃতিও দিতে ভুলে গেছি।
আমার নাস্কিক বন্ধু ভোটের পরিসংখ্যান নিয়ে কথা তুলল- বললাম সর্বশেষ তুমি কত সাথে ভোট দিয়েছো, আর জেনে শুনে সত্য গোপন করা কি নাস্তিকতায় জায়েজ আছে? উত্তর বলল প্রসঙ্গ ঘুরাচ্ছ কেন, বললাম খুজে নাও তোমার পরিসংখ্যান আমার প্রশ্নের মাঝেই।
যাহউক কথায় কথায় রাজাকারের ছানাপোনা না খুজে দোষি খুজে বেরকরুন। দোষিকে শাস্তি দিন। সংবিধান বলে যে দোষি তাকে দোষি হিসেবেই গণ্য করা উচিত কোন দলীয় পরিচয়ে না।
৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪২
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: শত্রুদের কোনো শাস্তি হচ্ছে না।
এই সুযোগে ওরা মাথাচাড়া দিয়েছে।
সবকিছু পরিকল্পিত চক্রান্ত।
৯| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৫
আহা রুবন বলেছেন: সরকার উন্নয়ন নিয়ে এত ব্যাস্ত, নিজের দলে যে পঁচন ধরেছে সেদিকে খেয়াল নেই। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য রক্ষা করতে ব্যর্থ।
১০| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৯
আহা রুবন বলেছেন: এসব অপকর্ম করে পার পেয়েছে বলেই একই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে। দেখা যাক এবার কী হয়।
১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫
আহা রুবন বলেছেন: দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগ অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণেই সব ছ্যাড়াব্যাড়া করা শুরু করেছে।
১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১
আহা রুবন বলেছেন: ঘটনা সেটাই। ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এজন্য দরকার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ।সচেতন অংশকেই নেতৃত্বে এগিয়ে আসতে হবে।