নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।

আহা রুবন

পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।

আহা রুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোরুর কাছে হেরে গেল এইচআইভি

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:২৬




গোরুর শরীরে এইচআইভি ভাইরাস প্রবেশ করলে এরা খুব দ্রুত একটি এন্টিবডি তৈরি করে ফেলে যা এইচআইভির আক্রমণ প্রতিহত করে।
মানবশরীরে এইচআইভি খুবই পিচ্ছিল এবং কুখ্যাত প্রতিপক্ষ। এটি এত দ্রুত বিবর্তিত হয়ে যায় যে যখনই রোগীর শরীরে এটি প্রতিরোধের কোনও ব্যবস্থা তৈরি হতে যায় তখনই এটি এর গঠন বদলে ফেলে। তবে রোগীদের একাংশ আক্রান্ত হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে কার্যকর এন্টিবডি তৈরি করতে পারে, যা একটি বিস্তৃত রকমের ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। ফলে বিবর্তিত রূপের ভাইরাসও এই এন্টিবডির মাধ্যমে অকার্যকর করা যায়। গোরুর শরীরে প্রয়োজনীয় এন্টিবডিগুলো মাত্র কয়েক সপ্তায় তৈরি হয়ে যায়। মানুষের শরীরে এই এন্টিবডিগুলো তৈরি হয় তিন থেকে পাঁচ বছর সময়ে। নেচার জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, গোরুর শরীরের এন্টিবডি ৪২ দিনের মধ্যে ২০% এইচআইভি স্ট্রেইনকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। আর ৩৮১ দিনের মধ্যে ৯৬ শতাংশ ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা এবার গোরু নিয়ে গবেষণা শুরু করতে চাচ্ছেন, কীভাবে গোরুর কাছ থেকে জ্ঞান নিয়ে এইচআইভির টিকা তৈরি করা যায়। ধারণা করা হচ্ছে গোরুর ‘জাবরকাটা’ বৈশিষ্ট্যের পরিপাকতন্ত্রের হজমের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বন্য এবং বিরূপ ব্যাক্টেরিয়া। এই ব্যাক্টেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্যই এদের অতি-কার্যকর রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
ইহুদি-নাসারা, ইদানীং হিন্দুরা গোরু নিয়ে উঠে-পড়ে লেগেছেন। আমরা গোরু না ধরে দেখতে পারি বাঙ্গালিদের মধ্যে যাদের জাবরকাটা লোক, মানে পান খাওয়ার স্বভাব আছে তাদের শরীরে গোরুর মত এন্টিবডি তৈরি হয় কি না। হয়ত এই সুযোগে আমরা বড় কিছু আবিষ্কার করেও ফেলতে পারি!

তথ্য ও ছবিঃ নেট থেকে

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৩

তপোবণ বলেছেন: দারুণ তথ্য তো! ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩৯

আহা রুবন বলেছেন: হ্যাঁ আমার কাছেও খুব আশাব্যঞ্জক খবর মনে হল। হয়ত বিজ্ঞিনীরা খুব শিঘ্রই এই প্রাণঘাতী রোগের উপায় খুঁজে পাবেন। অনেক ধন্যবাদ।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৩৪

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: বাঙ্গালিদের মধ্যে যাদের জাবরকাটা লোক, মানে পান খাওয়ার স্বভাব আছে তাদের শরীরে গোরুর মত এন্টিবডি তৈরি হয় কি না। হয়ত এই সুযোগে আমরা বড় কিছু আবিষ্কার করেও ফেলতে পারি!

হেসেছি, তবে চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। আগে আমি জাবরকাটতাম। ডাক্তারে বলেছে জাবরকাটলে ভিটামিন ডি কমে। ডরে ভয়ে জাবরকাটা বন্ধ করেছি।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৫

আহা রুবন বলেছেন: জাবরকাটা বন্ধ করার আমরা আনন্দিত :D

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:



পান ৯০% বাংগালীর দাঁত নস্ট করে দেয়।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

আহা রুবন বলেছেন: ‌এই অখাদ্য জিনিসটা শারীরিক ক্ষতি তো করেই সাথে সাথে পরিবেশ নোংড়া করায় ওস্তাদ‍! সরকারি অফিসগুলোর দেয়াল থাকে পানের পিকের দখলে X((

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:০৫

বারিধারা বলেছেন: এইডসের প্রতিষেধক আবিস্কার না হওয়াই ভাল। এই রোগ অনেকের চরিত্র জোর করে হলেও ভালো রেখেছে। বিশ্বব্যাপী সমকামিতা জনপ্রিয় না হবার পেছনে অনেকখানি কৃতিত্ব এই এইডসের।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

আহা রুবন বলেছেন: যারা নোংড়ামি করার তারা করবেই। হয় কনডোম নিয়ে যাবে নয়ত জটিল রোগ বাঁধিয়ে সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। এইচআইভি কেবল যৌন সম্পর্কেই ছড়ায় না, এদের শিশুরা বিনা অপরাধে আক্রান্ত হতে পারে। জীবন বাঁচাতে জরুরি প্রয়োজনে রক্ত গ্রহনে ছড়াতে পারে। খুব কম সময় পর্যন্ত এইচআইভি জীবানু বাইরে বেঁচে থাকে। এই ক্ষণিক কালের মধ্যে যদি এইচআইভি আক্রান্ত যে দাঁতের ডাক্তারের ঘরে বা সেলুনে গিয়েছিল, সেখানে সুস্থ কেউ গেলে নাপিতের ক্ষুর থেকেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: গরুর উপর গবেষণা করতে গিয়ে গরু হয়ে লাভ নেই ।। আগে এইচআইভি গবেষণা না করে, আরো এনথাক্স গবেষণা করা দরকার। তাতে, যদি আপনার ও আমার দেশের গরুগুলোর মাংস খেয়ে মানুষগুলো বাঁচে । ;)

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

আহা রুবন বলেছেন: কয়েক দিন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন? তড়কা গোরু বিক্রি করে ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন না কি ;) গর্ত থেকে বের হওয়ায় খুব ভাল লাগছে।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৫

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ‍কিছুদিন ব্যস্ত আর ব্লগিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ; কিছু জ্ঞান পাপী আছে, তাদের আচারণে .....। খুলে বলুন কি হয়েছে ? আর, আমি গরুর এলাকার লোক বা তাঁতি পাড়ার লোক না, ভাই । ধান আর মাছ এলাকার লোক । ;)

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

আহা রুবন বলেছেন: না ভাই কিছুই হয় নাই :-/ মজা করলাম। হঠাৎ এক দিন দেখি সব পোস্ট হাওয়া! বন্ধুকে পাওয়া যাচ্ছে না। ভাবলাম গোরু দেখতে গিয়েছে, কত লাভ হতে পারে , কদিন পরই কোরবানি:P ধান আর মাছ এলাকার জেনে হিসেবের ভুল ভাঙ্গল। যাক ফিরে আসায় অভিন্দন রইল।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো তথ্য দিয়েছেন তো ভাই! গরু নিয়ে গবেষণা করে যদি একটি শক্ত ভাইরাসের এন্টিবডি মিলে তো মন্দ না।
ভালো পোষ্ট দিয়েছেন ভাই।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩

আহা রুবন বলেছেন: টিকা আবিষ্কারের আগের আবার রোগ বাঁধায়ে ফালায়েন না :>

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

আখেনাটেন বলেছেন: বাঙ্গালিদের মধ্যে যাদের জাবরকাটা লোক, মানে পান খাওয়ার স্বভাব আছে তাদের শরীরে গোরুর মত এন্টিবডি তৈরি হয় কি না। হয়ত এই সুযোগে আমরা বড় কিছু আবিষ্কার করেও ফেলতে পারি! :P

সেদিন দেখলাম গরুর গোবর ও মূত্রের বটিকা মালিশে কঠিন রোগও নাকি ভালো হয়ে যাচ্ছে ভারতে। ;) জয় গরুজী।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

আহা রুবন বলেছেন: কিছু দিন আগে পড়েছিলাম, ভারতের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে পেয়েছেন যে, ঘরের দেয়ালে গোবরের প্রলেপ দিলে তেজস্ক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। চিন-ভারত যুদ্ধ-যুদ্ধ ভাব চলছে। চিন যদি পারমানবিক বোমা মেরেই বসে...তাই বাঁচার একটাই পথ সব দালান-কোঠায় গোবর মাখানো। আর যারা বাইরে বেরোবে তারা সমস্ত শরীরে গোবর মেখে বেরোবে | :D

বিস্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে আধ্যাত্মিক গুরু মহাগরু জয়বাবা গণনা করে আগেই জেনেছিলেন চিন-ভারত যুদ্ধ হবে। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে সরকারকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বাংলাদেশে গোরু পাচার বন্ধ করেছে। নিজের দেশেও গোরু খাওয়া নিষিদ্ধ করেছে, যেন গোরু ও গোবরের ঘাটতি না থাকে। গো-হত্যা নিষিদ্ধের এটাই একমাত্র কারণ B-)

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪

বাকরখানি বলেছেন: টেকনিকাল কথাবার্তা ব্লগে লেক্তে ইচ্ছা করে না স্বঘোষিত বড় পন্ডিতদের মিথ্যা আস্ফালনের কারণে। সহজ ভাষায় এক লাইনে বলি- গরুর ডিএনএ আর মানুষের ডিএনএর গঠন এক না। এই লাইনে যারা কাজ কর্তাসে তারা ভুগতাসে এই সমস্যাটা নিয়াই বেশি।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

আহা রুবন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: ছোটকালে গরুর বহুমুখী উপকারীতা/প্রতিভা নিয়ে লেখা রচনা সে সময় অনেক সন্দেহ জাগাত মনে।

কচি মনে একটু খটকা থেকেই যেত এই গোবেচারা প্রাণি কি এতই উপকারী? আজ চারিদিকে গরুর জয়জয়কার দেখে সন্দেহটা এক ঝটকায় ছুটে গেল। বাঁচলুম। :P জয় মহাগরুজী।

২৪ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

আহা রুবন বলেছেন: জয় :||

১১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৪

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ।

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:১৭

আহা রুবন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাই।

১২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার পোস্টে অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করেছেন কোন নতুন ব্লাগার!

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:২৪

আহা রুবন বলেছেন: ব্লগে এসব দেখে কয়দিন হল লগইন করি না। তামাশা দেখছি।

১৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৫

সনেট কবি বলেছেন:




আহা রুবনের গরু বিজ্ঞান

গরু এইচআইভি প্রতিরোধে খুব
কার্যকর প্রণী বলে বিজ্ঞান জানায়:
দারুণ খবর এটি। আহা রুবনকে
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা শেয়ার করায়।
পানখোরদের মাঝে জাবর কাটায়
গরুর মতন নাকি এ ক্ষমতা থাকা
সম্ভব হতেও পারে। এখন সময়
পরীক্ষা করে দেখার তথ্য সঠিকতা।

রোগের অত্যাচারের বিরুদ্ধে দূর্বার
প্রতিরোধে মানবতা এগিয়ে আসবে,
আর তাতে সহায়তা করবে বিজ্ঞান।
গরুদের মতো রোগে গুতিয়ে তাড়াবে
মানুষেরা সব মিলে। আপনার পোষ্টে
মজাই পেলাম বেশ হে আহারুবন।



১৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:১৬

আহা রুবন বলেছেন: বাহ বাহ সনেট কবি =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.