নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।

আহা রুবন

পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।

আহা রুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপান্তর

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৪২



ইলিয়ট ব্রিজ পার হয়ে মৃদু পায়ে হেঁটে আসছিল এক পাদুকা মেরামতকারী—যার কিনা ব্রিজের গোড়ায় এতক্ষণে ছালা বিছিয়ে বসার কথা। কাঁধে জুতোর কালি, ব্রাশ ও যন্ত্রপাতি সজ্জিত জীর্ণ বাক্স। বাম হাতে তিন মাথার গুঁতোনি-পাটা—ডান হাতের মুঠোয় ধরা বছর চারের একটি শিশুর হাত। ব্রিজ পেরিয়ে এলে ডানের ছয় তলা নতুন বিল্ডিংটার সামনে দাঁড়াল মেয়েটি, ‘বাবা যখন বড় হই, এই রকম দালানওয়ালার সাথে আমায় বিয়া দিয়ো?’
হেসে উঠল বাবা। অট্টহাসি বেরিয়ে আসতে চাইছিল, পরিষ্কার বোঝা গেল। কিন্তু চেপে রেখে বলল ‘মা রে! বাপে কী, আর তার মেয়ের বায়না কী!’
‘দিবা কিন্তু? দিবা তো? ইশকুলে ভর্তি কইরা দিয়ো। মেলা পড়মু আমি।’
শুধু হাসল বাবা...

আমি পাশের সংবাদপত্রের দোকানটায় দাঁড়িয়ে কিছু পড়ার চেষ্টারত। বাবা-মেয়ের কথা কর্ণগোচরের ফলে চোখ তুলে তাকিয়েছিলাম। দেখলাম সুন্দর একটি দেবদারু-চারা। কিন্তু সবাই বলল ওটা ভাঁট গাছ। আমিও এক সময় তাদের সঙ্গে সুর মেলালাম। হৃদয়ের খচখচানি সওয়ার চেয়ে তাল মেলানো অনেক সহজ আর নিরাপদ।

বৃক্ষকে গুল্মের কাছে ঠেলে দিলাম আমরা। কিছু দিন পর চারাটি হয়ত নিজেকে ভাঁট গাছের বংশ বলে ভাবতে শিখেছিল। কয়েক বৎসর পর আজ হঠাৎ মেয়েটিকে বাবার পসরার সামনে দাঁড়ানো দেখে ঠিকই চিনতে পারলাম আমি। রৌদ্রের তীব্র তেজ থেকে বাঁচার ছুতোয় হাতের ম্যাগাজিন দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললাম। বিব্রত হয়ে পড়েছিলাম—যদি আমার কাছে তার পাওনা বাবদ ছয় তলা বিল্ডিংটি আজ চেয়ে বসে! কেননা সত্যি সত্যি দেবদারু চারাটি ভাঁট গাছে রূপান্তরিত হয়েছে যে...

ছবি: গুগল

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫০

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: লেখার ধরণ সত্যিই ভালো লাগলো।
দেবদারু চারাটি ভাট গাছে রুপান্তরিত হয়েছিলো যে! +

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৩

আহা রুবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফয়েজ ভাই।

২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার স্বল্প লাইনের গল্প আমার অনেক পছন্দ হয়েছে, আমাদের জাতীর ছবি এঁকেছেন।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০২

আহা রুবন বলেছেন: জানি সত্য হবে না কোনও দিন। তবু স্বপ্ন দেখি একদিন শিশুরা হবে আমাদের। প্রত্যেক পিতার অনুভূতি হবে প্রত্যেকটি শিশুর পিতা সে ।

৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৮

সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগল।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৩

আহা রুবন বলেছেন: খুশি হলাম দাদা, অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫২

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভালো লাগলো ..............



ইলিয়ট ব্রিজ চিনে ফেলেছি ;!!! ;)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৪

আহা রুবন বলেছেন: ধরা খেয়ে গেলাম শাহরিয়ার ভাই :`>

৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০৮

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
সমস্যা নেই আমিও ওখানকার !! ;)

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৪

আহা রুবন বলেছেন: কী বলেন!? আনন্দে যে নাচতে ইচ্ছে করছে! আমার অতি প্রিয় একজন কবি-বন্ধু আমার এত কাছের...! =p~

৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১৯

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: হা, হা, হা...... আমিও আপনজন পেলাম !! কোন প্রত্রিকায় লেখেন ?? আমার পেশা ভিন্ন, লেখালেখি না; এগুলো থেকে একদম ভিন্ন জগত। শখের কবি এই আর কি !!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৭

আহা রুবন বলেছেন: না না, কোনও পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত নই। আমিও আপনার মতই।

৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৪

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
ওহ আচ্ছা ! ঠিক আছে ভাই, ধন্যবাদ ভালো থাকুন ।

৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক অনেক ভালো লাগা রইল পোষ্টে।

শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০১

আহা রুবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নয়ন ভাই।

৯| ১২ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি এি এলাকায় নতুন নতুন ভাবনার জাল বুজতে পারেন।

১৩ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১২:০৪

আহা রুবন বলেছেন: আমার লেখার আমিও একজন পাঠক। বিষয় ভাবনায় একই রকম হতে থাকলে নিজের ওপর বিরক্ত চলে আসে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.