নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।
অনেক পরিকল্পনা করে সাজানো-গোছানো কথাগুলো উপস্থাপন করার সময় মনোযোগী শ্রোতার আগ্রহ ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছিল। তাই তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে তিনগুণ হয়ে উঠল। কিন্তু কথা শেষে যখন বললেন ‘আপনার উদ্দেশ্য কী?’ তখন মোন্তাজুর রহমানের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।
‘পুলটা খুবই দরকার স্যার।’
‘তা তো শুনলামই...’
‘আমাদের খুব কষ্ট করে যে কোনও একটা উপায়ে নদী পার হতে হয়। কিন্তু বাচ্চারা বর্ষায় স্কুলে যেতে ভীষণ বিপদে পড়ে যায়... দুই মাইল ঘুরে...’
‘এ-কথা আগেও বলেছেন, কিন্তু আমি জানতে চাচ্ছি তাতে আপনার কী লাভ?’
‘কোনও লাভ নেই স্যার! আমাদের সবার খানিকটা উপকার হয়, এই তো।’
চশমার ওপর দিয়ে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে, মুখে এসে দৃষ্টি স্থির হয়। পুল সুপারিশকারী জড়সড় হয়ে পড়েন, যেন তিনি নব বধূ—ধর্ষকের মুখে বাড়িতে একা।
‘হুম সবার উপকার হয়! কিন্তু সেই সবার উপকার হলে আপনার কি সুবিধে, সেটাই তো আমি জানতে চাই।’
মোন্তাজুর রহমান মহাবিপদে পড়ে গেলেন। তার কী সুবিধে? আসলেই সেটা তো ভেবে দেখা হয়নি।
‘এত করে সব সমস্যাগুলোর কথা গুছিয়ে প্রায় মুখস্থ করে ফেললাম, আর আমার কী লাভ সেটাই বলতে পারছি না। মাথা চুলকাতে লাগলেন। স্যার যেহেতু বলছেন, কথা ঠিক। আমার লাভ অবশ্যই আছে, কিন্তু কী সেটা?’
‘এত কী ভাবছেন? এত কথার পেছনে আপনার উদ্দেশ্য বলুন দেখি—পুলটা পাশ করে দিচ্ছি।’
ভয়ার্ত চোখে নেতার দিকে তাকালেন মোন্তাজুর রহমান—তবে কি পুলটা হবে না! ধরা-পড়া মাছ-চোর বেড়ালের মত চোখে-মুখে অসহায় ভাব ফুটে উঠল।
‘আমি এখন উঠছি... এই... ভদ্রলোকটাকে চা দিয়ে যা।’
পুল আবেদনকারী কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন—মনে মনে হাতড়াতে লাগলেন—পুল তৈরি হলে তার কোন উদ্দেশ্য সফল হয়? ভেতরে ভেতরে ঘেমে উঠলেন। মাথা ঘুরতে লাগল, কানে শুধু ভোঁ ভোঁ শব্দ। টালুমালু করতে লাগলেন। এরমধ্যে নেতা উঠে দাঁড়িয়েছেন। হঠাৎ মোন্তাজুর রহমান হাঁপাতে হাঁপাতে বলতে শুরু করলেন ‘স্যার পুলটা হলে আমার স্ত্রীর কাঁথা শুকোনোর খুব সুবিধে হয়...’
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
আহা রুবন বলেছেন: আমাদের নেতারা যেমন! সবাইকেও তাই ভাবেন!
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
সোনার বাংলার বড় প্রশ্ন, "আপনার কি লাভ, আমার কি লাভ"?
গল্পটি সুন্দর ও ভারী হয়েছে; আপনি আসলে ছোট গল্পে ভালো করছেন।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
আহা রুবন বলেছেন: ছোট গল্প লিখে নিজেও আনন্দ পাই। সোনার বাংলার বড় প্রশ্ন, "আপনার কি লাভ, আমার কি লাভ"? মন্তব্যটির মধ্যে গল্পের পুরো ভাবটাই প্রকাশিত হয়েছে। ধন্যবাদ ভাই।
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২৩
রানা আমান বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩
আহা রুবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আজকে পড়তে এসে ছবিটা দেখলাম, খুবই সঠিক চয়েস।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
আহা রুবন বলেছেন: আপনি দেখছি পড়ার পাগল! এখানে ছবি খেয়াল করেননি, আরেকখানে দেখলাম শিরোনাম না পড়েই পড়তে শুরু করেছিলেন। তেমন মন্তব্য করেছেন। আপনাকে আমি শ্রদ্ধা করি তার কারণগুলোর এটি একটি। বেশিরভাগ ব্লগার বাছাই করে পড়ে, কিছু কিছু ব্লগে সবাই যেন হুমড়ি খেয়ে পড়ে মন্তব্য করে। আপনাকেই দেখলাম নতুন পুরাণ বাছেন না, সব পড়েন এবং মন্তব্য করেন।
৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: অতি চমৎকার ছোট গল্প ।
হায়রে ন্যাতা, এরাই ন্যাতা !!!!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৯
আহা রুবন বলেছেন: ব্লগে স্বাগতম! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:২৭
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানবেন
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
আহা রুবন বলেছেন: শুভ নববর্ষ
৭| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
লিখাটি ভাল লেগেছে ।
ইংরেজী নব বর্ষে রইল লিলি ফুলের শুভেচ্ছা।
নতুন বছরে জীবন সুন্দর ও সাফল্যময়
হোক এ কামনাই করি ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৪
আহা রুবন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অপেক্ষায় রইলাম অসাধারণ সব লেখার। আজকের নতুন দিনে আপনার সাফল্য ও সুস্থতা কামনা করি।
৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: অল্প কথায় ছোট্ট গল্প। অসাধারণ।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫২
আহা রুবন বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে আহ্লাদিত! খৃস্টাব্দের শুভেচ্ছা রইল।
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ আহা রুবন ভাই , আপনার শুভ কামনা নিলাম অন্তরে ধারণ করে । কিছু কিছু ছবি দেখে মাঝে মধ্যে পুরনো দিনের স্মৃতি জেগে উঠে । তেমনি একটি , আপনার দেয়া কসমছ ফূলের ছবি দেখে মনে পড়ে যায় অর্ধ শতাদ্বিরও আগের বাল্যকালের কিছু স্মৃতির কথা । মনে পরে আমাদের গায়ে জেলা বোর্ডের টাকায় চলা পাঠশালার কথা, উচু টিলায় গড়া পাঠশালার উপরে চালা নীচে নেই বেড়া, সেই স্কুলে নতুন মোহাম্দদ আলী স্যার আসলেন পোস্টিং নিয়ে । এসেই তিনি স্কুলের পাশে খালি জায়গায় একটি ছোট বাগান করায় হাত দিলেন।
আমরাও মহা আনন্দে যোগ দিতাম স্যারের সাথে । দল বেদে গ্রাম হতে চাদা হিসাবে গার্ডিয়ানদেরে হাতে পায়ে ধরে বাঁশ কেটে এনে বেড়া দিতাম সে বাগানে । মাসে ৩০ টাকা মাইনে পাওয়া মোহাম্মদ আলী স্যার নীজের পকেট হতে পয়সা খরচ করে কিনে আনতেন বাগানের জন্য বীজ ও চাড়া। পাঠশালার টি্উব ওয়েলটি মাসের কুড়ি দিনই থাকতো বিকল , তাই দুর হতে বাকেটে অথবা কলসিতে করে রোজ পানি এনে দিতে হত সে বাগানে । অতি কস্টের সে বাগানে প্রথম যে ফুলটি ফুটে তা হল কসমস ।
গাছ হতে ফুল তুলা নিষেধ , কেপটেন ছিলাম বলে আর বাগানের কাজে খুশী হয়ে স্যার গাছ হতে একটি ফুল তুলে আমাকে দেয়ার জন্য হাত দিলেন বাড়িয়ে । ভয়ে নিতে চাইনি , স্যার বললেন ভাল বেসে কেও কিছু দিলে নিতে হয় তা সযতনে ও শ্রদ্ধাভরে । আমাকে দেয়া আপনার এই কসমছ দেখে বাল্যকালের সেই মধুময় স্মৃতিটিই উঠে ভেসে । এই সুবাদে প্রয়াত আমার সেই জনপ্রিয় সারের প্রতিও শ্রদ্বা জনাই । ছোট্ট এই জীবনে দেশ বিদেশে বিভিন্ন উপলক্ষ ও প্রিয়জনের কাছ হতে ফুলের তোরা পেয়েছি অনেক , তবে এই প্রথম দ্বিতীয় আর কারো কাছ হতে পেলাম কছসছ । তাই পরম আদরে নিলাম তা গ্রহন করে কিছু স্মৃতিও দিলাম এ সাথে যোগ করে।
অনেক অনেক ভালবাসা ও শুভ কামনা রইল ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১৯
আহা রুবন বলেছেন: আপ্লুত! ধন্য!
আপনার বলা গল্পটিও কিন্তু হৃদয় ছুঁয়ে যায়।
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি মন্তব্যের জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
‘এ-কথা আগেও বলেছেন, কিন্তু আমি জানতে চাচ্ছি তাতে আপনার কী লাভ?’
ভালো কাজের দাম নাই । উল্টা সন্দেহ!!