নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।
রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগ ঘটনার কোনও পরিবর্তন নেই। জীবন বাঁচাতে পাড়ি জমাচ্ছে কক্সবাজারে। কিন্তু যারা চোখে পড়ছে তাদের পুনরায় ফেরত পাঠানে হচ্ছে।এদিকে বিজিবি সীমান্তে টহল জোরদার করেছ। তারপরও আসছে এবং আসতেই থাকবে। মানুষ জীবন রক্ষার জন্য কোনও কিছুই ধর্তব্যে আনে না। এমন নয় যে এবারই এটা প্রথম ঘটল। কিছুদিন পর পর একটি ঘটনা ঘটে আর রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার হিড়িক পড়ে। বর্মিরা হামলা করতে ওদের ছুতোর অভাব হয় না। এমনিতে সারা বৎসর কম-বেশি আসছে। ইতঃপূর্বে যারা এসেছে তাদের মায়ানমার ফেরত নিচ্ছে না। মায়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখে। এবং তারাও আর সেখানে ফেরত যেতে চায় না। কক্সবাজার ও তার আশে-পাশে এরা ছড়িয়ে পড়েছে। রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য এখন বোঝা। এরা নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, জঙ্গল কেটে পাহাড় ন্যাড়া করে ফেলেছে। পতিতাবৃত্তি, ইয়াবা পাচার সহ নানা অপকর্মে জড়িত।
আমরা অনেকেই ধর্মীয় ও জাতিগত আবেগের কারণে তাদেরকে আশ্রয় দেয়ার পক্ষে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছে। আমরা চিন্তা করছি না পরে কী হতে পারে। কেননা রোহিঙ্গারা আবার তার দেশে ফেরত যাবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এদের গ্রহণ করে বাংলাদেশের নাগরিক করে নেয়ার পক্ষে কেউ কেউ। এটা কোনও সমাধান হতে পারে না। আর সত্যিই যদি এমন করা হয় আরও নতুন সমস্যার উদ্ভব হবে। আমরা বিহারিদের ফেরত পাঠাতে পারিনি। যারা বাংলাদেশকে নিজের দেশ ভাবে তাদের কথা বলছি না। বলছি যারা পাকিস্তান ফিরে যেতে চায়—যাদের পা বাংলায় দিল পড়ে আছে পাকিস্তানে।
বলছিলাম রোহিঙ্গাদের গ্রহণের নতুন সমস্যার কথা। আমরা ভুলে যাচ্ছি আসামের কথা। মাওলানা ভাসানী আসামের ভাসানী চরে অবস্থান নিয়েছিলেন। তার অনুসারীদের অনেকেই সেখানে রয়ে গিয়েছেন। আসামে মাঝে-মধ্যেই রব ওঠে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর। রোহিঙ্গা গ্রহণ করলে আসামের এই দাবী তখন আরও জোরদার হবে। এদের সঙ্গে আসামের মুসলমানদেরও বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে নতুন ফ্যাসাদ তৈরি করা হবে। স্বাধীনতা পূর্ব থেকে করাচিতে বহু বাঙ্গালি বসবাস করে আসছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে অনেক রাজাকার পালিয়ে পাকিস্তান চলে গিয়েছিল, তাদের ছা-পোনা আরও বেড়েছে। সরকারি অভিবাসী নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নারার মতে করাচির বাঙ্গালির সংখ্যা প্রায় এক কোটি দশ লাখ। এর মধ্যে আবার পঁচিশ লাখ রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গা পেজগি করচিতেও! এদের খুব কম সংখ্যকই বৈধ কাগজ-পত্র পেয়েছে। এত বছর পরও তাদের বিদেশি বলে অভিহিত করা হয়। এরাও রয়েছ চরম মানবেতর অবস্থার মধ্যে। দেখাদেখি পাকিস্তানও বাঙ্গালি খেদাও শুরু করে দেবে। কয়দিন আগেই কিন্তু তারা আমাদের কাছে বকেয়া (?) ভিক্ষা চেয়েছে। এত লোক বাংলাদেশ গ্রহণ করতে পারবে? খুব পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করা মোটেই সমাধানের রাস্তা নয়। এটা কখনও হবার নয়। তবু কথাগুলো বললাম যারা এমনটি ভাবছেন তাদের উদ্দেশে। এমন চিন্তা ঝেড়ে ফেলে কী করে রোহিঙ্গাদের পক্ষে বিশ্ব জনমত তৈরা করা যায়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
আমরা যতটা আবেগ ঢালছি, ভুয়া ছবি পোস্ট করছি, সে তুলনায় জোরালো কোনও প্রতিবাদ জানাচ্ছি না মায়ানমারের প্রতি। বিশ্ব জানছে আমরা যে ছবি প্রচার করছি সেসব আসল নয়। এতে করে রোহিঙ্গাদের কি কোনও লাভ হল? বরং তাদের নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যার ঘটনাগুলোকে হালকা করে ফেললাম। রাজনৈতিক দলগুলো নানান ছল-ছুতোয় রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে মিছিল, সমাবেশ করে । এখন তারা কোথায়? কোথায় আমাদের ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা? সরকারের কাজ সরকার করবে—সীমান্তে টহল বাড়াবে, ফেরত পাঠাবে, কূটনৈতিক তৎপরতা চালাবে। যদিও তা তেমন জোরদার মনে হয় না। কিন্তু আমাদের সুশীল, সংস্কৃতি কর্মীরা কোথায় গেল? আমাদের পাহাড়ি ভাইয়েরা চুপ কেন? তারা তো মায়ানমারকে এই সমস্ত বর্বরতা বন্ধ করতে বলতে পারে। তাদের প্রতিবাদ সহজেই বিশ্ববাসীর দৃষ্টি কাড়তে সমর্থ হবে। তাদের সঙ্গে বর্মিদের নৃতাত্ত্বিক একটা সম্পর্ক আছে। রোহিঙ্গারা যেমন করে বাংলা থেকে আরাকানে গিয়েছিল, একইভাবে মঙ্গোলীয় ক্ষুদ্র জাতিগুলোও তো নানা অঞ্চল থেকে বাংলাদেশে এসে বসতি গেড়েছিল। তাহলে রোহিঙ্গাদের প্রতি আপনাদের সহমর্মিতা থাকবে না কেন? যদি রোহিঙ্গারা এভাবে আসতেই থাকে— এক সময় ওরাই আপনাদের ঝেঁটিয়ে তাড়াবে। সাবধান হোন।
ড. ইউনুসের সমালোচনাকারীদের বঙ্গবীর বলেছিলেন নোবেল পুরষ্কার কি ছেলের হাতের মোয়া? সত্যিই তো নোবেল তো আর চাইলেই কেউ পায় না। শত বৎসর অপেক্ষা করতে হয়। সেই নোবেলধারী শান্তি চাচা এখন কোথায়? দেশের সকল সমস্যার, দুর্যোগে যেমন চুপটি করে থাকেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতেও বরাবরের মতো নিশ্চুপ। সমকামীদের জন্য অধিকার চাইতে পারেন, রোহিঙ্গাদের ওপর যা ঘটছে তা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়!? তার তো আন্তর্জাতিক পরিচিতি আছে, উন্নত বিশ্বে যথেষ্ট প্রভাব আছে। তিনি কি পারেন না, এই বর্বরতার বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির উদ্যোগ নিতে। এক শান্তির নেত্রী রাক্ষসীর ভূমিকা নিয়েছে আর আমাদের শান্তি চাচা হয়ত দেখে যাচ্ছেন—কীভাবে এর ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করা যায়! বাঘ এখন মিউ হয়ে গেছে!
আমাদের প্রতিবেশী যারা আছে তাদের ব্যাপারটি হালকাভাবে নেয়ার কোনও উপায় নেই। উপায় নেই পৃথিবীর অন্য প্রান্তের কারো। এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে মায়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে—একটা স্থায়ী সমাধানে আসতে হবে। এখানে গোজামিল দেয়ার কোনও সুযোগ নেই। জাতিসংঘের তথ্যমতে রোহিঙ্গারা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। মৌলবাদীরা তাদের উদ্দেশে নানা কৌশল নিয়েছে। এদের মধ্যে উগ্রবাদীতা ছড়ানোর পাঁয়তারা করছে। জাতিগত সমস্যাকে (মায়ানমারে বহু মুসলমান আছে, তাদের নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।) ধর্মীয় রঙ লাগাতে ব্যস্ত। সেখানকার ভৌগলিক অবস্থানটা সবার মাথায় রাখা উচিত। এমন চলতে থাকলে, কোনও সমাধানে না পৌঁছতে পারলে রোহিঙ্গারা এক সময় চোখের সামনে মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাবে না। শেষ পরিণতি হিসেবে ভয়ঙ্কর জঙ্গিবাদের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। আদম বোমা, আইএস হয়ে উঠতে কতক্ষণ? আর তা যদি একবার শুরু হয়, সেটা কেবল বাংলাদেশ বা ভারত নয় সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্যই নতুন এক আতঙ্ক হিসেবে আবির্ভূত হবে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০০
আহা রুবন বলেছেন: সত্যিই তাই।
২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৬
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
বিপন্ন মনবতা,এ কেমন বর্বরতা !!!
যদি পাশের দেশ ভারত থেকে হাতি এসে বঙ্গবীর উপাধি লাভ করতে পারে,
তাহলে রোহিঙ্গাদেরে আশ্রয় দিতে সমস্যা কোথায়? আমাদের দেশের উচিৎ রোহিঙ্গাদের অন্তঃপক্ষে নিদিষ্টি কোন জায়গায় প্রসাশন পহারায় আশ্রয় দেওয়া হোক। এ সমস্যা তো আর চিরকাল থাকবে না।যখন সমস্যা সমাধাণ হয়ে যাবে,তখন তাদের দেশে ফেরত দেওয়া হবে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৫
আহা রুবন বলেছেন: হ্যাঁ সেরকম করা যেতেই পারে। তার জন্য জাতিসংঘের এগিয়ে আসা উচিত।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: পেপারে পরলাম, রোহিঙ্গাদের সাথে যা ঘটছে তা সম্ভবত মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে- জাতিসংঘ
দেখেন ভাই, কি অবস্থা! মানুষ মেরে, অত্যাচার করে সব এককার করে ফেলছে সেখানে জাতিসংঘ উনাদের কমেন্টে এই পরিস্থিতে "সম্ভবত" লাগায়! কে কথা বলবে রোহিঙ্গাদের পক্ষে? এরা!!
এই সমস্যা সমাধানে সবাইকে মায়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
আপনার এই কথাটা খুব ভালো লাগছে! কিন্তু চাপটা কে দিবে ভাই, এরা তো অসহায় রোহিঙ্গা। আজ মুসলমানরা অত্যাচারিত অথচ কথা বলার কেউ নেই।
এই প্রসঙ্গ টা নিয়ে লেখছেন, আপনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৭
আহা রুবন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৮
যোগী বলেছেন:
বিশ্বে মুসলিমদের রেপুটেশনের যে অবস্থা ততে রোহিংগাদের পক্ষে কোন জনমত তৈরী হবে বলে মনে হয়না। রোহিংগারা হামলা করে সেই দেশের পুলিশ মারছে। এখন বার্মা চাইলেই এদেরকে আইএস এর মদদপুষ্ট জংগীগ্রুপ আক্ষা দিয়ে ড্রোন হামলা চালাতে পারে।
আর আমরা মুসলিমরা কখনোই মিথ্যা ছাড়া সত্যকে আকড়ে ধরতে জানিনা। জনমত পাওয়ার জন্য যতসব ফেইক ছবি আর ভূয়া নিউজ দিয়ে রোহিংগাদের পক্ষে প্রচারনা চালাচ্ছি। এখন কোন রোহিংগার সত্যিকারের গলা কাটা লাশ দেখলেও কেও বিশ্বাষ করতে চাই না। মনে করে রং মেখে পোজ দিছে।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১১
আহা রুবন বলেছেন: এখন কোন রোহিংগার সত্যিকারের গলা কাটা লাশ দেখলেও কেও বিশ্বাষ করতে চাই না। মনে করে রং মেখে পোজ দিছে।
আমি সেটাই বলতে চেয়েছি। সমাধানের রাস্তায় না গিয়ে ছাগলামি করছি।
৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:৪৮
শাব্দিক হিমু বলেছেন: যোগীর সাথে পুরোপুরি একমত। কিছু ছাগল পাগল ভূয়া ছবি দিয়ে যে প্রচারনা চালাচ্ছে তাতে মুসলীমরাই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
মুসলীমরা দিন দিন আসল কাজ বাদ দিয়ে পুতুল বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। অধঃপতন অনিবার্য্য।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৪
আহা রুবন বলেছেন: এরা আসলে মানবিক কারণে হৈ চৈ করছে না, ওদের রাজনৈতিক ধান্ধায় করছে। তবে বুদ্ধি কম যে...
৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০২
কালীদাস বলেছেন: এই জিনিষটা নিয়ে জাতিসংঘের বাংলাদেশি করেসপন্ডের সোচ্চার হওয়া উচিত। ভাষানি আসামে গেছেন, আমরা পুরা দেশের সবাই ১৯৭১এ ভারতে গেছি। স্বাধীন হওয়ার পর আমরা কিন্তু ফিরেও এসেছি। মায়ানমারে সেটার শেষ কই? ৪০বছর ধরে এই স্রোত আসা চলছে এবং সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। এবং আশংকাজনক যেটা- এদের উল্লেখযোগ্য অংশ নীরিহ না।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৪
আহা রুবন বলেছেন: নীরিহ হলেও আমরা তাদের অল্প কয়দিনই আশ্রয় দিতে পারি, বেশি দিন না। কিন্তু এরা এসে তো আর যায় না, মগেরাও নেবে না। কোথায় যেন পড়লাম কেউ কেউ নাকি ভারতেও ঢুকে পড়েছে।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: যুগে যুগে মানব সম্প্রদায় কর্তৃক কোন না কোন জনগোষ্ঠী নির্যাতিত হয়েছে। যারা সংঘবদ্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পেরেছে, তারাই টিকে গেছে।
পতিতাবৃত্তি, ইয়াবা পাচার সহ নানা অপকর্মে জড়িত - দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ যেকোন কিছু করে থাকে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১
আহা রুবন বলেছেন: যারা সংঘবদ্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পেরেছে, তারাই টিকে গেছে।
পৃথিবীর এটাই নিয়ম। কিন্তু মুসলমানেরা সংঘবদ্ধ হওয়ার চেয়ে নানা ছুতা-নাতা টেনে এনে বিভক্ত হতে আনন্দ পায় বেশি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৬
বিজন রয় বলেছেন: সমস্যা চারিদিকে।