নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।

আহা রুবন

পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।

আহা রুবন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পহেলা বৈশাখের পান্তা-ইলিশ (অ)সংস্কৃতি: গোষ্ঠীর মধ্যে বন্দি হয়ে গেলে সেটা আর উৎসব থাকে না।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:৫৭

পহেলা বৈশাখে পান্তা –ইলিশ খাওয়াটা কোথা থেকে এল কে জানে। গ্রাম বাংলার মানুষ পান্তা খায় মরিচ, পেঁয়াজ, লবণ মেখে। কখনও বাসী তরকারি বা এটা সেটার ভর্তা দিয়ে। যারা বৈশাখে ইলিশ আমদানি করেছে তাদের উদ্দেশ্য সৎ বলে মনে হয় না। একটি বিশেষ গোষ্ঠী তো রয়েছেই যারা পহেলা বৈশাখকে পছন্দ করে না—ছায়ানট, উদীচীর ঘটনা বা ঢাবি এলাকায় মেয়েদের যৌন নির্যাতন করে দিনটার মাধুর্য ধ্বংস করতে সদা তৎপর। এরা নানা কৌশলে চেষ্টা করছে যাতে এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবটি বিতর্কিত হয়; সর্বব্যাপী না হয়, সকলের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে। তাই একে বিভিন্ন সময় হিন্দুয়ানী, অনৈসলামিক প্রভৃতি আখ্যা দিতে ব্যস্ত। কেউ বুঝে কেউ না বুঝে বা কেউ-বা শুধুই ব্যবসায়ী ফন্দি এঁটে বাহারি পোশাকের প্রচার করে, বাংলার নিজস্ব গান বাদ দিয়ে পপ গানের পৃষ্ঠপোষকতা করে, ইলিশের সংস্কৃতি ছড়িয়ে উৎসবটাকে একটা গোষ্ঠীর(যারা প্রচুর ব্যয় করার সামর্থ্য রাখে।) মধ্যে আটকে ফেলতে কাজ করে যাচ্ছে। অসাম্প্রদায়িক চেতনা যেন সবার মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে, উদ্দেশ্য সেটাই।

সময়টা এখন ইলিশের নয়। বেআইনিভাবে জেলেরা জাটকা নিধন করছে। কদিন পর পূর্ণাঙ্গ ইলিশ হত। আর বড় যেগুলো ধরা হচ্ছে সেগুলোর পেটে ডিম। ঘটনাটা দাঁড়াচ্ছে, এই পান্তা-ইলিশ (অ)সংস্কৃতি নববর্ষ উদযাপনকে কেবল বড় লোকের মধ্যে সীমিতই করে দিচ্ছে না, ইলিশের উৎপাদনকেও মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে। কাজেই পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ ধরা, বিক্রয় ও ক্রয় করাকে জরিমানার আওতায় এনে ইলিশ ধরা বিরোধী ব্যাপক প্রচার চালাতে হবে।

প্রকৃতি আমাদের ঋতু অনুযায়ী ফল-সবজি দিয়েছে। চৈত্র মাসটা দারুণ খরার মাস। তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জীবন জুড়িয়ে দিতেই এই সময়টাতে বিভিন্ন রসালো ফল—তরমুজ, আনারস, বাঙ্গি, শসা উঠতে শুরু করে। নববর্ষে আমরা এদিক সেদিক ঘুরবো—গান শুনবো, নাচ দেখবো, কবিতা আবৃত্তি করবো, দল বেঁধে এ বাড়ি সে বাড়ি যাব, আত্মীয় বাড়ি যাব, বন্ধুর বাড়ি যাব। আমরা আপ্যায়িত হব, কাঁচা আমের সরবত, বেলের সরবত, লেবু-পানি বা লাচ্ছি দিয়ে। তিলের, কাউনের, নারিকেলের নাড়ু খাব, মোয়া খাব। মধু মাসের ফলের বাটি হাতে নেব—সাজানো হবে ঠাণ্ডা তরমুজ, বাঙ্গি, কলা, শসা, যদি জুটে যায় কটা আঙ্গুর—কেন নয়। খারাপ হবে কি? একেবারে সামর্থ্যের বাইরে হবে কি?

কোনও কোনও গ্রামে আজও শিশুরা কাঁচা আমের ভর্তা বানিয়ে প্রতিবেশীদের মাঝে বিলোয়। অপরূপ হার্দিক এই ব্যাপারগুলো কেন আমাদের নাগরিক জীবন গ্রহণ করতে পারে না।

বৈশাখ পর্ব হয়ে উঠুক সব মানুষের—ছোট বড় সকলের। সবাইকে নব বর্ষের শুভেচ্ছা!


আহা রুবন

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:১২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গোষ্ঠীর মধ্যে বন্দি হয়ে গেলে সেটা আর উৎসব থাকে না।
এটাই তো মূল কথা। এখন যেটা হয় সেটা স্রেফ চারুকলা আর ছায়ানটের উর্বর(গোবর) মস্তিস্কের ফসল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.