নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়তে ও চিন্তা করতে ভালবাসি। ছোট গল্পের সাথে সাথে ব্লগ লিখি।
টাঙ্গাইল স্টেশনে ট্রেন বেশি সময় দাঁড়ায় না। ক্রসিং ছিল বলে বসে বসে ঝিমুচ্ছে। ভেতরে প্রচণ্ড গরম তায় আবার সিট পাইনি। প্লাটফরমে খানিক হাঁটাহাঁটি করতে নামলাম। ক্ষুধাও পেয়েছে খুব। রুটি-কলা কিনে খাচ্ছিলাম ফাঁকা একটা জায়গায়।
বছর আট হবে, শান্ত ধরনের একটা মেয়ে কলসি কাঁখে সামনে এসে দাঁড়াল।
‘স্যার পানি খাবেন?’
‘না খুচরো টাকা নেই।’ উদ্দেশ্য ওকে ভাগানো।
কিছুক্ষণ পরও মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে দেখে বললাম ‘বললাম-না টাকা নেই?’
‘টাকা লাগবে না স্যার।’
আমি খাবার গতি কমিয়ে দিলাম। বিরক্ত হলাম। ভাবলাম এক সময় সেও বিরক্ত হয়ে চলে যাবে। কিন্ত মেয়েটি দাঁড়িয়েই রইল। আমি চোখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম।
খাওয়া শেষ হওয়া দেখে, গ্লাসটা ভাল করে পরিষ্কার করল। গ্লাসে পানি ঢেলে সামনে এগিয়ে ধরল। অনিচ্ছা সত্বেও হাত বাড়ালাম। এক গ্লাস খাবার পর, আরও এক গ্লাস সামনে ধরল। এবার যেন আমি সম্মোহিতের মতো হাত বাড়ালাম।
‘সত্যিই খুচরো নেই রে...’
‘টাকা লাগবে না।’
‘অন্য দিকে গেলেই তো দশ-বারো টাকা কামাই করতে পারতি?’
‘অসুবিধা নাই।’ এই বলে মেয়েটি হাঁটতে লাগল। এক জন ডাক দিল পানির জন্য।
ভাবতে লাগলাম অপুষ্ট শরীরের এই মেয়েটার নিশ্চয় টাকার প্রয়োজোন। কিন্তু ইচ্ছে করে কয়টি টাকা রোজগার করা থেকে কেন বিরত থাকল? পরক্ষণেই মনে হল পৃথিবীর সব মায়েরাই আসলে একই রকম।
আহা রুবন
©somewhere in net ltd.